বলিউডে যখন বিয়ের মরশুম, তখন এক তারকার বিবাহবিচ্ছেদ (Divorce) খবরে সরগরম টিনসেল টাউন। নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকির (Nawazuddin Siddiqui) থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। এমনটাই নাকি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রে নওয়াজ় ও আলিয়ার দাম্পত্য কলহ। নওয়াজ়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আদালতে গিয়েছেন আলিয়া। সম্প্রতি আলিয়ার অভিযোগ, 'নওয়াজ় নাকি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানকে স্বীকার করতে চাইছেন না। সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটলেই আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন তিনি।'
বর্তমানে নাকি বাড়ি ছেড়ে একটি হোটেলে রয়েছেন নওয়াজ়। আন্ধেরির বাংলোয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি দেখা করতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এদিকে আলিয়ার দাবি, 'নওয়াজ় এসেছিল শোরাকে কন্যাকে নিতে। ভিসার কাজে ওকে দরকার পড়েছিল। সত্যিটা বলি? আমি আর শোরা দুবাইয়ের নাগরিক। আমাদের এখানে কোনও প্রয়োজন নেই নথিপত্র ঠিক করার। আমি শোরাকে ওর সঙ্গে পাঠাইনি।'
আলিয়ার অভিযোগ, 'নওয়াজ় তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। এখন সন্তানদেরও কেড়ে নিতে চান।' টাকার জন্য নয়, এই পরিস্থিতিতে সন্তানদের কাছে রাখার জন্যই লড়তে চান বলে দাবি আলিয়ার।
আগে বাড়ির একটা ঘরে তাঁকে ও তাঁর বাচ্চাদের বন্দি করে রাখার অভিযোগ করে এফআইআর দায়ের করেন আলিয়া। বম্বে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে।
বিমানে (International Flight) লং জার্নি করতে গেলে অনেকেই প্রথমে ভাবেন, কীভাবে এতটা সময় চুপচাপ বসে কাটাবেন? এর জন্য অনেকে সিনেমা ডাউনলোড করে নিয়ে ওঠেন। আবার কেউ গান শুনতে শুনতে, তো কেউ ঘুমিয়ে পাঁচ-সাত ঘণ্টা কাটিয়ে ফেলেন। তবে বিমানে এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে একঘেয়েমি লাগবেই। এই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য বিমান হাইজ্যাকের (Hijack Tweet) টুইট করবেন কেউ, তা হয়তো সত্যি অভাবনীয়! গত ২৫শে জানুয়ারি এমনই ঘটনা ঘটান দুবাই থেকে জয়পুরগামী (Dubai-Jaipur Flight) স্পাইসজেটের এসজি-৫৮ বিমানের এক যাত্রী।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমানটিকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। সেখানে বিমানটি নামে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুমতি পায়। সেসময় ওই বিমানে বসে থাকা ২৯ বছরের এক যুবক বিরক্ত হয়ে টুইট করেন, বিমান হাইজ্যাক করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিমানবন্দরে।
সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মালপত্র নামানো হয় বিমান থেকে। নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা বিমান তল্লাশি চালান। পরে জানা যায়, ওই যুবক এমন ধরনের টুইট করেছেন। তড়িঘড়ি বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই অভিযুক্তর দাবি, বিমান অনেকক্ষণ দিল্লি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকায় তিনি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই নাকি তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
জুলাই মাসে দুবাইতে (Dubai) সড়ক দুর্ঘটনায় (Road Accident) দুই সৌদি নারীর মৃত্যু হয়েছিল। সে কারণে দুই ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ, একজন ভারতীয় এবং এক বাংলাদেশি নাগরিককে দুবাইয়ের একটি আদালত (Court) দোষী সাব্যস্ত করেছে। আর সে কারণে তাঁদের ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত। শুক্রবার সাজাও ঘোষণা করে ওই আদালত।
দুবাইয়ের ওই আদালত রায়ে বলে, ৪৮ বছর বয়স্ক দু’জনকে মিলে মোট দিতে হবে ৪ লক্ষ এমিরাতি দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় ৯০ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৩৬ টাকা)। ভারতীয় নাগরিককে ২ হাজার এমিরাতি দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫,০৯২ টাকা) জরিমানা বাবদ দিতে হবে। এর পাশাপাশি ৮০ হাজার এমিরাতি দিরহাম (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮৩ টাকা) তুলে দিতে হবে মৃত সৌদি মহিলাদের পরিবারের হাতে। বাকি টাকা দেবেন ওই বাংলাদেশি নাগরিক।
একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের একটি আদালত ৩ জুলাই দুবাইয়ের আল-বারশা এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে অর্থ প্রদানের জন্য এই দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়েছে। পরিবারের আরও চার সদস্য সামান্য আহত হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ভারতীয় এবং বাংলাদেশি নাগরিক দু’জনেই দু’টি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। পৃথক পৃথক দু’টি দুর্ঘটনায় ধাক্কা লাগার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দুই মহিলার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি ব্যক্তিটি প্রধান সড়কের মাঝখানে তাঁর গাড়ি থামিয়ে উল্টোদিকে যেতে শুরু করে। অন্য একটি গাড়িতে থাকা ভারতীয় ব্যক্তিটি গাড়িটিকে দেখতে না পেয়ে ধাক্কা দেয়। দুটি গাড়িই তারপর তৃতীয় একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। সেই গাড়িতেই ছিল সৌদি আরবের একটি পরিবার।
লোন অ্যাপ প্রতারণা (Loan App Fraud) চক্রের মাস্টারমাইন্ড এক মহিলাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। গত ৬ মাস দুবাইতে ছিলেন সোনিয়া খারতমল নামে ওই অভিযুক্ত, আদতে তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিসের (kolkata Police) সাইবার শাখার (Cyber Crime) অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল মুম্বই পুলিস। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই থেকে মুম্বই নামতেই ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। আন্ধেরির এক আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতা নিওয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের জুনে এক প্রতারিতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখা। জানা গিয়েছে, লোন অ্যাপ প্রতারণা চক্রের শিকার ওই ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লোন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারীর ফোনের একাধিক তথ্য প্রতারণা চক্রের হাতে পৌঁছে যায়। অর্থ না দিলে সেই তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই হুমকি চলতে থাকে। তারপরেই কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি।
অভিযোগের তদন্ত নেমে এক বড় প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় কলকাতা পুলিস। বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। তারপরেই উঠে আসে সোনিয়ার নাম।
কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা (gold smuggling)) উদ্ধারে আটক দুই ভারতীয় যাত্রী। তাঁদের থেকে উদ্ধার ১২০০ গ্রাম সোনা। সোমবার রাত দু'টো নাগাদ ফ্লাই দুবাইয়ের (Dubai) বিমানে করে কলকাতা (Kolkata Airpot) এসেছিল দুই যাত্রী। বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় তাঁদের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। এরপরই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায় সোনা পাচারে যুক্ত এই দুই ব্যক্তি। তাঁদের থেকে ১২০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। দুই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
সম্প্রতি মোজার মধ্যে লুকিয়ে সোনার গুঁড়ো পাচার করতে গিয়ে এই কলকাতা বিমানবন্দরে আটক হয়েছিলেন শেখ কাউসা নামে এক যাত্রী। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দোহা থেকে কলকাতাগামী বিমান কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর ৫৪০ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলে শেখ কাউসারের চলাফেরায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এরপরই ওই যাত্রীকে আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জেরা শুরু করে।
তল্লাশির সময় জুতো খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ আধিকারিকদের। ধৃতের মোজার ভেতরে ৩৯৯.৪৬০ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়। ভারতীয় টাকায় যার বাজার মূল্য ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০৮ টাকা। পরবর্তী সময়ে ওই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: রবির সকালটা দিয়ে বোঝাই যাচ্ছে না দিনটি কেমন যাবে। একবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি আবার ফের রোদ, ফলে দিনটি কেমন যাবে বোঝা দায়। রবিবার কিন্তু দমবন্ধ হওয়া খেলার দিন। একদিকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে দুবাইতে এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি। দু'দিকেই চিরশত্রুরা আজ ময়দানে, তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। যদিও ডার্বি মানে বাঙালির আলাদা আবেগ আর ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ মানে জাতীয়তাবাদ আবেগ।
এদিকে আজ, ২৮ অগাস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তৃণমূল এবং কংগ্রেস দু'দলই দিনটি পালন করে। তবে একসময়ে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র পরিষদের সম্পাদক ছিলেন তাই নতুন দল গড়ার পরেও এই দিনটি তাঁর দলও পালন করে। কংগ্রেস অফিসে আজ ছাত্র পরিষদের পতাকা উত্তোলন হয়েছে, এক সময়ে মহাজাতি সদনে কংগ্রেস পালন করতো দিনটি। অন্যদিকে মমতা করতেন মেয়ো রোডে।
আজ রবিবার, ফলে আগামীকাল তৃণমূল পালন করবে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। শহরে বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে তাদের। কিন্তু এসব ছাপিয়ে গিয়েছে লালহলুদ আর সবুজ মেরুন পতাকা। ধ্বজা উড়ছে শহর কলকাতা থেকে মফস্সল হয়ে গ্রামেও। আবার জাতীয় পতাকাও পতপত করে উড়ছে সারা রাজ্যে। জিততেই হবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে দু'দিকেই।
যুবভারতীতে বহুদিন বাদে ডার্বি। শেষ ডার্বিতে আই লিগের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান জিতেছিল ২-১ গোলে করোনার কারণে দ্বিতীয় লিগ হয়নি। এ ছাড়াও আইএসএলে মোহনবাগান পর্যদস্তু করেছে ইস্টবেঙ্গলকে। এরফলে লালহলুদের তাগিদ থাকবে জেতার। কিন্তু সব দিক বিচার করে কিছুটা এগিয়ে ফের এটিকে মোহনবাগানই। ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেও দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি লাল-হলুদ। এবার লড়াই ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপে। লিগ পর্যায়ের খেলতে দু'দলই খুব খারাপ খেলেছে সুতরাং আজকের ম্যাচে যেই জিতুক না কেন সামনের হার্ডলে অনেক কঠিন খেলা।
অন্যদিকে দুবাইতে এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারত জিততে মরিয়া। দলনায়ক রোহিত শর্মার হাতে অস্ত্র অনেক আবার চিন্তা ফর্মহীন বিরাটকে নিয়েও। অন্যদিকে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বাবর আজম বিশ্বের অন্যতম সেরা, দলটাও চনমন করছে ফলে সেরাটাই দিতে হবে ভারতকে।