এতদিন ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে মানুষের প্রয়োজন হত ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের (Aadhaar Card)। কিন্তু এবারে আর শুধু মানুষ নয়, 'আধার কার্ড' দেওয়া হবে কুকুরদেরও (Dog)। অবাক লাগছে তো? তবে এটাই সত্যি। মুম্বইয়ের বিমানবন্দরের (Mumbai Airport) বাইরে রাস্তার কিছু কুকুরদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ড। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে। কুকুরদের গলায় আধারকার্ড দেওয়ায় এবার থেকে তারাও পেল পরিচয়পত্র।
জানা গিয়েছে, ১৫ জুলাই, শনিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের বাইরে ২০ টি কুকুরকে চিহ্নিত করে তাদের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ড। সেগুলোতে কিউআর কোড রয়েছে, যা স্ক্যান করলেই জানা যাবে তার নাম, কোন প্রজাতির সেই কুকুরটি ও তাকে কী কী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেদিন কুকুরদের গলায় শুধুমাত্র সেই কিউআর কোডই ঝোলানো হয়নি, তাদের ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই অভিনব উদ্যোগের পিছনে রয়েছেন অক্ষয় রিদলান নামের এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের নাম pawfriend.in। তিনি বলেন, 'শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিমানবন্দরের বাইরের ২০ টি কুকুরকে চিহ্নিত করা হয় ও তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই কিউআর কোডের মাধ্যমে কোনও হারানো কুকুরকেও খুঁজে পাওয়া যাবে।' জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে ২০ টি কুকুরকে এই কার্ড পরানো হলেও ধীরে ধীরে শহরের সমস্ত কুকুরদের ক্ষেত্রেই এমনটাই করা হবে।
সারা বিশ্বে অনেক কুকুরপ্রেমী (Dogs) রয়েছেন। গৃহপালিত পশুদের মধ্যে কুকুর অনেকেই পছন্দ করেন। তবে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে কুকুরদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার। কুকুর বিশ্বস্ত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পশুরা কাছের মানুষদের বিপদ দেখলেই সাহায্য করতে ছোটে। ঠিক তেমন ঘটনাই ঘটল আবারও। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দুই শিশু বাড়ির সামনে ছোট্ট বাগানে বল নিয়ে খেলছে। এমন সময় তাদের বল পড়ে যায় পাশের জলের ফোয়ারায়।
দুই শিশুরই বয়স কম। এক শিশু এই ঘটনার পর দৌঁড়ে যায় বাড়ির লোক ডাকতে। আরেকটি শিশু জলের ফোয়ারার দিকে ঝুঁকে সেই বল তোলার চেষ্টা করে। আরেকটু হলেই হয়তো শিশুটি ওই জলে পড়ে যেতে পারত। কিন্তু সেই মুহূর্তেই তাকে বাঁচিয়ে নেয় বাড়ির পোষ্য কুকুরটি। সে দৌঁড়ে গিয়ে বাচ্চাটির জামা টেনে সরিয়ে নিয়ে আসে পিছনের দিকে।
যে বলটি ফোয়ারায় পরে গিয়েছে, সেটিকে জল থেকে বের করার উপায়ও বের করে কুকুরটি। পাশে রাখা ফোয়ারা পরিষ্কার করার একটি জাল লাগানো হাতল নিয়ে আসে। তারপর সেটি দিয়েই জলে পড়ে যাওয়া বলটিকে উদ্ধার করে কুকুরটি। এই ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
অবাক কাণ্ড! কুকুরদের তাড়া খেয়ে পালালো বনের রাজা! এ কি কখনও সম্ভব? তবে শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ নামক গ্রামে। আপনাার সবসময় দেখেছেন সিংহকে হরিণ, ছাগলদের শিকার করতে। কিন্তু এখানে ঘটেছে এর একদমই উল্টো। এখানে শিকার করা দূর কোনওরকমের কোনও হুঙ্কারও করল না সিংহ, বরং রাস্তা থেকেই তাকে তাড়িয়ে বিদায় করল কুকুরের একটি দল।
সম্প্রতি এই ঘটনারই একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, গুজরাটের গির সোমনাথের গ্রামের এক রাস্তায় রাতের দিকে এক সিংহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তখনই সেই জায়গার কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে করতে তাকে তাড়া দিয়ে বিদায় করে। তারপর সিংহ সেখান থেকে সামনে থাকা গরুর দিকে ছুটে পালিয়ে যায়।
এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ২০ হাজারের বেশি ভিউ এসেছে। সিংহের এই কাণ্ড দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা। নেটিজেনদের কেউ লিখেছেন, 'একতাই শক্তি।' কেউ আবার কুকুরদের এমন সাহস দেখে তাদের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে সিংহের এরূপ দেখে মজাও করেছেন নেটিজেনরা। কেউ বলেছে, এই জায়গায় সিংহের বদলে লেপার্ড থাকলে বিষয়টা অন্যরকমের হত।
পথকুকরদের (stray dog) আক্রমণে (Attacked) আতঙ্কিত নাগপুরবাসী। ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে যে, "কোনও নাগরিকের প্রকাশ্য স্থানে অথবা বাগান ইত্যাদি জায়গায় পথ কুকুরদের খাওয়ানো বা খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।"
বিচারপতি এস বি শুক্রে এবং এএল পানসারের বেঞ্চ নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এনএমসি) মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, এই ধরনের পথকুকুরদের নিজের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় খাবার দেওয়া যাবে না।
২০ অক্টোবর বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি কোনও ব্যক্তি পথকুকুরদের খাওয়াতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে ওই পথকুকুরদের দত্তক নিতে হবে। তার আগে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইনি পথে কাগজপত্র সই করতে হবে। এরপর নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে হোক বা কোনও কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে রেখে যত্ন নিতে পারেন বা খাওয়াতে পারেন।
আদালত নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনারকেও নির্দেশ দিয়েছে যে, কুকুর খাওয়ানোর নিজস্ব জায়গা বা কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্য কোনও অনুমোদিত জায়গা ছাড়া কোনও জায়গায় রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। সে বিষয়ে যেন নজর রাখে কর্পোরেশন। এমনকি কমিশনার এই নির্দেশাবলী লঙ্ঘনের জন্য উপযুক্ত জরিমানাও ধার্য করা হবে। আর সেই জরিমানা ২০০টাকারও বেশি হতে পারে।
বেঞ্চ আরও বলেছে যে, "এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।" যদিও, আদালত বলেছে যে, এই পদক্ষেপ একেবারে কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচানো যাবে তা নয়, তবে বিপদ থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে। আক্রমণকারী কুকুরকে নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে ট্রেনিং দিতে হবে। তাদের একটি মনিটরিং কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এভাবে, পুলিস কমিশনার এবং পুলিস সুপার, নাগপুর (গ্রামীণ) কেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, "বিপথগামী কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।"
পথ কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ১৭ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আদালত বরাদ্দ মঞ্জুর করে অবিলম্বে এ অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে কুকুরদের অন্ডকোষ বা ডিম্বাশয় অপসারণের কথা বলেছে। ও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই কুকুরদের যাবতীয় যত্ন নিতে হবে।
ফের পথকুকুরের (stray dogs) আক্রমণে (attacked) মৃত্যু (Death) পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যার (girl)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খারগোনে। সোনিয়া নামের ওই কিশোরীকে ঘাড়ে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আক্রমণ করে কুকুর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায় সোনিয়া।
বেদিয়া থানার অন্তর্গত বাকাওয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী। শুক্রবার বিকেলে পাশের একটি দোকান থেকে মুদি সামগ্রী কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তায়র প্রায় ৬টি কুকুরের আক্রমণের শিকার হয় ওই কিশোরী। তার বাবা পেশায় একজন শ্রমিক, কিছু কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। তখনই এ ঘটনা ঘটে। কান্না শুনে স্থানীয়রা সাহায্য করতে ছুটে আসেন। এবং কুকুর গুলিকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে সোনিয়াকে উদ্ধার করেন।
এরপর স্থানীয়রাই তাকে বেদিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল শেষ রক্ষা হয়নি কিশোরীর।