Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Dilip

Dilip: মুকুল রায় 'বেওয়ারিশ নেতা', মমতার থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে সিএন ডিজিটালকে জানালেন দিলীপ ঘোষ

মণি ভট্টাচার্যঃ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) করা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্যও করেন, তিনি বলেন, 'ওকে হয়ত কেউ থ্রেট করেছে।' এরপরে এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সিএন ডিজিটালকে জানালেন, 'মুকুল রায় কোন বাচ্চা ছেলে নয়, উনি বঙ্গ রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। কাউকে থ্রেট করে নিয়ে যাওয়া হবে এতটা বাচ্চা মুকুল রায় নন।' তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হয়তো থ্রেট করে তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছিলেন, এছাড়া বঙ্গ রাজনীতিতে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কী আছে?'

এছাড়া মুকুল রায়ের অন্তর্ধান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট বলেন, 'মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কোন দাম এই মুহূর্তে বাংলায় নেই, তিনি এখন বেওয়ারিশ নেতা।' যদিও দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'কখনও ওনার ছেলে বলছেন বাবা কিডন্যাপ হয়েছেন, কখনও উনি বলছেন আমি ঠিক আছি, আবার ওনার ছেলে বলছেন উনি নাকি অসুস্থ। পাল্টা মুকুল রায় বলছেন আমি সুস্থ, আমি বিজেপি করি। উনি একজন বিধায়ক উনি উনার ইচ্ছে মত দল করতে পারেন।'

রাজনৈতিক ঘটনাচক্রে ২০২১ সালে জুন মাসে, বিজেপিতে কেউ থাকতে পারবে না বলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে মুকুল ফের দাবি করছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক, দলবদল প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে, 'মুকুল রায় দীর্ঘ এক-দেড় বছর রাজনীতির বাইরে ছিলেন, কোনও ভাবেই সক্রিয় রাজনীতির মধ্যে ছিলেন না তিনি। তখন কে তাঁর খোঁজ নিয়েছে, তখন তাঁর খোঁজ নেননি কেউই।' দলবদল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সিএন-ডিজিটালকে আরও বলেন, 'মুকুল রায় যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। সেই সময় আমাদের বিজেপির মনবল নষ্ট করেছেন এবং বিজেপির অনেক অসম্মান করেছেন। এখন তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা! সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সে বিষয়ে বিজেপির উচ্চ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।'

12 months ago
Dilip: রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দিলীপ ঘোষ! বলেন, 'রাজ ভবন রাজনীতির জায়গা নয়'

প্রসূন গুপ্ত: তিনি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি, তিনি বিজেপি সাংসদ। কঠিন সময়ে প্রথমে ২০১৬-তে খড়গপুর বিধানসভা থেকে জিতে বিধায়ক হন। আবার ২০১৯-এ মেদিনীপুর লোকসভা থেকে সাংসদও হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এটা বাস্তব তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না ২০১৪ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর তাঁকে সংঘ পরিবার থেকে নিয়ে এসে দল সভাপতি করে। এক সময়ে মজা করে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিয়ে করেননি কেন? উত্তর এসেছিলো, সারাটা জীবন তো সংঘের প্রচারক হিসাবে কাজ করলাম, ফলে বিয়ের ভাবনাটাই আসেনি। এটাও বাস্তব তাঁর আমলে রাজ্য বিজেপি শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। বঙ্গ বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ আসন পাওয়া কম কথা নয়। কিন্তু সেই কাজটি করতে পেরেছিলেন দিলীপবাবু।

পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ-সভাপতির পদ পান। শোনা গিয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকারে তাঁকে ক্যাবিনেটের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি নম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। দিলীপ ঘোষ চিরকাল ভোরে উঠে নানা জায়গায় চায়ের আড্ডা জমান, তিনি বলেন জনমত বোঝার এটা একটা মোক্ষম কাজ। একইসঙ্গে মাঝে মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে থাকেন দিলীপ ঘোষ। যদিও লালু যাদব, অনুব্রত মন্ডল থেকে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ বিরোধীদের উদ্দেশে ক্রোধের থেকে মজাদায়ক বেশি।

এহেন দিলীপ ঘোষ ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হয়ে। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী নেতা রাজ্যপালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন কম কথা বলা উচ্চশিক্ষিত বোস। এবার দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালের প্রভূত প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিভি আনন্দ বোস উপযুক্ত মানুষ। পথে নেমে কাজ করেন রাজ্যপাল। দিলীপবাবু বলেন, 'রাজভবন রাজনীতির  জায়গা নয়।' 

one year ago
Dilip: হাওড়ার পর অগ্নিগর্ভ রিষড়া, দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ

রিষড়ায় (Rishra) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার (Attack) অভিযোগ। হাওড়ার পর এবার রিষড়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাম নবমীর মিছিলে। সূত্রের খবর, রবিবার রাম নবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা করে ওই মিছিলে। ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, কোনরকমে কেন্দ্রের সশস্ত্র জওয়ান ও তাঁর দেহরক্ষী তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায়, গুরুতর আহত হন বিজেপি বিধায়ক বিমান বোস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় রিষড়ায় বিশাল পুলিস  বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

দু'দিন, ঘোর কাটেনি হাওড়ার শিবপুরের। শিবপুরে রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, শিবপুরের কাজীপাড়া। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিয়ে তদন্ত করা হবে জানান। রাজনৈতিক মহলে জোর কটাক্ষ শুরু হয়। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন কমিটি ঘটনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করে। হাওড়ার শিবপুরের ঘটনার তিনদিনের মাথায় এমন ঘটনা  কি করে ঘটল? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কেন রাম নবমীর মিছিলে অতিরিক্ত পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হলো না? ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে।

one year ago


Kunal: পার্থর দাবির ঠিক আগেই কুণালের ট্যুইটে সেই তিন জনের নাম, নিছক কাকতালীয়?

মনি ভট্টাচার্য: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না, কুণাল (Kunal ghosh) ঘোষের টুইটে যাদের নাম, আদালতে ঢোকার সময়ে পার্থর (Partha chattopadhyay) মুখেও শোনা গেল তাদের নাম। বিতর্কের শুরু বৃহস্পতিবার। আলিপুর বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পেশ করে পুলিস  (Central agency)। আদালতে ঢোকার মুখে পার্থ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন,  'এখন দিলীপ বাবু, সুজন বাবু, অধীরবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তারা নিজের দিকে দেখুন, উত্তরবঙ্গে তারা কী করেছেন? তারা ২০০৯-২০১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন, সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাদেরকে বলেছি আমি সাহায্য করতে পারবো না, আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না।'

এই নামগুলি উল্লেখ করে একই বিষয়ে পার্থ বাবুর বক্তব্যর, মিনিট ১৮ আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক একটি টুইট করেন, সেখানে তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? কুণালবাবু বৃহস্পতিবার তার টুইটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের খোঁচা দিয়ে বলেন, 'তদন্ত হোক, কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।' যারপরেই কিন্তু শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বিতর্ক ঠিক কোন জায়গায় ? বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ৪২ মিনিটে কুণালের টুইট। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিকদের পার্থ ওই নামগুলোই বলেন, যেগুলো তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক টুইটে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি সমাপতন। প্রশ্ন উঠছে, কুণালবাবুর সঙ্গে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ আছে? পার্থবাবু কি কুণাল ঘোষকে আগাম কিছু বলেছিলেন, যার ভিত্তিতে এই টুইট করেন তিনি? যদিও তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, পার্থর সঙ্গে কুণালের সম্পর্ক একেবারেই সুমিষ্ট নয়। যদিও এই বিতর্কে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।

এ বিষয়ে বাম নেতা, সুজন চক্রবর্তী সিএন-কে বলেন, 'যারা বলছে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে উনি তো বিরোধীদের লোক ছিলেন, সেই সময় পার্থ কোথায় ছিলেন? এগুলো মাথা খারাপের লক্ষণ।'

একই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'পার্থ যে সময়ের (২০০৯-২০১০) কথা বলছে সেই সময়ে আমি রাজনীতিতেই আসিনি, ওর অভিযোগ প্রমাণ হলে পার্থর বদলে আমি জেলে যাবো ।' যদিও এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

one year ago
Actor: জ্যাঠালালের নাগপুরের বাড়িতে বড় 'দুষ্কৃতী হামলা',

জেঠালাল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন দিলীপ জোশী (Actor Dilip Joshi)। এবার তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতী হানার 'অভিযোগ'। এমনকি অভিনেতার কাছে হুমকি ফোন (Threat Call)  এসেছে বলেও খবর। তাতে বলা, 'একেবারে ২৫ জন দুষ্কৃতী মিলে নাকি ঘিরে ফেলেছে অভিনেতার বাড়ি।' সেই দুষ্কৃতী (Miscreants Attack) হানার খবর পৌঁছয় নাগপুর পুলিসের (Nagpur Police) কন্ট্রোল রুমেও। কিছুদিন আগেই বোমাতঙ্কের খবর পৌঁছয় অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে। এবার সেই তালিকায় নতুন নাম অভিনেতা দিলীপ জোশী ওরফে জ্যাঠালালের।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, নাগপুর কন্ট্রোল রুমে এক ব্যক্তির ফোন আসে। পুলিসের অনুমান, অভিনেতা দিলীপ যোশীর কাছে যে ব্যক্তি ফোন করেছিলেন, সেই একই ব্যক্তি অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর বাড়ির বোমাতঙ্কের খবর দেন। শুধুমাত্র বোমাতঙ্কের খবর দিয়েই ক্ষান্ত হননি সেই ব্যক্তি। ফোনে তিনি জানান, ২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্রধারী মুম্বইয়ের দাদরে এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে চলেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জুহু, ভিলে-পার্লে এলাকাতেও সতর্ক পুলিস। দিলীপ জোশীর বাড়িতে এই দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস।

one year ago


Netaji: প্রসঙ্গ নেতাজিকে যোগ্য সম্মান! তেইশের সকালে বিজেপি-টিএমসির বাকযুদ্ধ, তপ্ত মাঘের বাংলা

নেতাজির ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে (Netaji Birthday) বাংলায় অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। দেশের এই বীর সন্তানকে কে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে? এই প্রশ্নে যুযুধান বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস (BJP-TMC)। সোমবার প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'নেতাজিকে কেউ সম্মান দিলে বিজেপি দিয়েছে। দিল্লিতে তাঁর মূর্তি স্থাপন কে করলো, নরেন্দ্র মোদী। তোমরা ৭০ বছর করোনি কেন! নেতাজির নামে দোকান চলেছে, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। মোদীজি নেতাজিকে যোগ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে যুব সমাজের সামনে নিয়ে এসেছেন।'

যদিও বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, 'সাংসদ হিসেবে দিলীপ ঘোষ বা নতুন বিজেপি হয়েছে এমন কেউ, যারা সাংসদ বা সংসদে ছিলেন, তাঁরা একটা ভিডিও দেখাক যেখানে নেতাজির রহস্য উন্মোচনে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করেছে।'

তাঁর দাবি, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে চিরকাল তৃণমূল সম্মান দিয়ে এসেছে, এটা কর্তব্য। নেতাজির পরিবারের সদস্যদের সাংসদ করে দেশের সংসদে পাঠিয়েছে দল। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচন রাজ্যের বিষয় নয়। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের উপসংহার টেনে কী করেছে কেন্দ্র? রাজ্য তো সব ফাইল খুলে দিয়েছে। কেন্দ্র এখনও গুরত্বপূর্ণ ফাইল খোলেনি। এমন অভিযোগও রয়েছে। রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম এনে ডিএনএ টেস্ট কেন করা হচ্ছে না?'

one year ago
Bollywood: জীবনের জুড়িদাররা, সিনেমায় কতটা সফল? জানুন কী বলছে আলোচনা

প্রসূন গুপ্ত: সিনেমা জগতে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বাস্তব জীবনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সিনেমায় কতটা তাঁরা জুটি হিসাবে হিট? দিলীপকুমার সায়রা বানুকে বিয়ে করেছিলেন এবং মাত্র ৪টি ছবি একসঙ্গে করেন। তার মধ্যে তপন সিনহার সাগিনা মাহাতো দুটি ভাষায়। বাংলা ছবিটি ছাড়া কোনও ছবিই হিট করেনি, আবার ফ্লপও নয়। ধর্মেন্দ্র হেমার বিয়ে হয়েছিল অনেকগুলি ছবি হিট করার পর। বিয়ের পরেও তাঁরা একসঙ্গে ছবি করেছেন এবং ভালো ফল পেয়েছেন। কিন্তু হেমা এবং ধর্মেন্দ্র কয়েকটি ছবির প্রযোজক ছিলেন। সেই ছবিগুলিতে কেউ কাউকে সুযোগ দেননি কাজ করার। বিখ্যাত পরিচালক গুলজার বিয়ে করেছিলেন রাখীকে। দুজনই বলিউডের নামজাদা, কিন্তু গুলজার কোনও দিন রাখীকে তাঁর ছবিতে সুযোগ দেননি। সুনীল দত্ত বিয়ে করেছিলেন নার্গিসকে।

এঁরা একসঙ্গে একটাই ছবি করেছেন মাদার ইন্ডিয়া। যেখানে সুনীল, নার্গিসের ছেলের ভূমিকায় ছিলেন। শত্রুঘ্ন সিনহা বিয়ে করেছেন পুণমকে। দু'জনে মাত্র একটিই ছবি করেন, তাও সেটা ফ্লপ ছিল। এরকম হাজারো গল্প আছে মুম্বই সিনেমায়।

এ রাজ্যে উত্তমের চর্চিত প্রেমিকা ছিলেন সুপ্রিয়া দেবী। অসংখ্য ছবি করেছেন একসঙ্গে।  সেসব ছবি বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছে। উৎপল দত্তের ঘরণী ছিলেন শোভা সেন।একসঙ্গে ছবি করেছেন অনেক কিন্তু তেমন সাফল্য পায়নি। তেমনই তরুণকুমার-সুব্রতা।

বর্তমানে মুম্বই সিনেমায় চর্চিত যুগলদের বিয়ের ঘটনা ঘটছে। আশ্চর্যের বিষয় অনেক ক্ষেত্রে ভেঙেও যাচ্ছে। তা নিয়ে অবশ্য দুঃখ বা বেদনা কারও মধ্যেই পাওয়া যায় না। কাপুর পরিবারে অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিয়ের ঘটনা অসংখ্য। শাম্মি বিয়ে করেছিলেন গীতাবালীকে, শশী করেছিলেন জেনিফার কেন্ডালকে, রণধীর করেছিলেন ববিতাকে, ঋষি করেছিলেন নিতু সিংকে। পরবর্তী প্রজন্মের করিনা কাপুর করেছেন সইফ আলিকে।

যদিও দুজনের জুটি জমেনি। করিনা অনেক বেশি সপ্রতিভ শাহরুখ-আমির-শাহিদ কাপুরদের সঙ্গে। সম্প্রতি রণবীর বিয়ে করেন আলিয়া ভাটকে। এই জুটির ছবিও তেমন কিছু নেই। সবশেষে রণবীর সিং বিয়ে করেছেন মুম্বইয়ের এক নম্বর নায়িকা দীপিকা পাডুকোনকে। এদের জুটিতে কিছু ছবি হয়েছে যেমন বাজিরাও মাস্তানি, পদ্মাবত ইত্যাদি বাণিজ্যিক ভাবে সফল। কিন্তু দীপিকা বরং অনেক বেশি সফল প্রাক্তন রণবীর কাপুর 

এবং শাহরুখের সঙ্গে। এই জুটিগুলোর প্রায় সব ছবিই সুপার হিট। বাস্তবিক জীবনে এটাই হয়ে থাকে।


one year ago
Love: সিনেমার নায়ক-নায়িকার বাস্তবের প্রেমপর্ব এবং ধারাবাহিকতা!

প্রসূন গুপ্ত: সিনেমা জগতে প্রেমপর্ব অনেকটা জলভাতের মতো। মানে করলেই হলো, এমনটি নয় যে আজকের কাহিনী। একেবারে হিন্দি ছবির গোড়ার দিন থেকেই প্রেমের ঘটনা ও বিচ্ছেদের কাহিনী লিপ্ত আছে। দেব আনন্দের সঙ্গে প্রেম ছিল অসাধারণ সুন্দরী সুরাইয়ার। সুরাইয়া মুসলিম ছিলেন ফলে তাঁর বাড়ির থেকে ঘোর আপত্তি ছিল অসম বিবাহে। সুরাইয়া শেষ দিন অবধি অবিবাহিত থাকলেন। আর দেব আনন্দ প্রেম করে বিয়ে করলেন নতুন নায়িকা কল্পনা কার্তিককে। এরপরও বহু নায়িকা দেবের প্রেমে পড়েছেন। রাজ কাপুরও প্রেমে পড়েছেন বহুবার। নায়িকারা মুখিয়ে থাকতো রাজের প্রেমে পড়ার জন্য। নার্গিস, পদ্মিনী, বৈজয়ন্তীমালা থেকে বয়সে অনেক ছোট সিমি, প্রেমে পড়েছিলেন রাজ কাপুরের।

কোনওটাই টেকেনি। দিলীপ কুমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল এক পাকিস্তানি নায়িকার। শোনা যায় দিলীপের প্রিয়পাত্রী ছিলেন মধুবালা। সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কিন্তু  সায়রার আবার দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল রাজেন্দ্র কুমারের সঙ্গে। এ ব্যাপারে ধর্মেন্দ্র একেবারে রোমিও ছিলেন। প্রথম থেকেই বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর প্রথম প্রেম মীনা কুমারীর সঙ্গে পরে নিয়মিত প্রেমে পড়েছেন বহু নায়িকা। শেষ পর্যন্ত বিবাহিত ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন হেমা মালিনী।

অবশ্য এর আগে দুজনই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে সংবাদ। আজকের নায়িকাদের প্রেম করা মানে টাইম পাস। কে যে কখন প্রেমে পড়ছে কার কখন ছাড়াছাড়ি হচ্ছে, সে খবর মিডিয়ায় উঠতে উঠতে ক্লান্ত। কারণ বিয়ে না করে সংসার আজকের ফ্যাশন। তবে সুস্মিতা সেন প্রেমের মাহাত্ম্য টেক্কা দেয় অনেককেই। নিয়মিত প্রেম করেছেন নানা নায়ক কিংবা পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে। কিন্তু গুঞ্জন আছে এই প্রেমের শর্ত নাকি একটাই ছিল যে সাত পাঁকে বাধা চলবে না। অনেকেই বলে সুস্মিতার মধ্যে প্রেম বস্তুটিই নেই নতুবা বিতর্কিত ললিত মোদির প্রেমে পড়ে কেউ? এখনও নাকি সুস্মিতা রয়েছেন ললিতের সঙ্গেই।

এদেশে ফিরলেই ললিতকে গ্রেফতার হতে হবে জেনেও নাকি এই প্রেম। ললিত বর্তমানে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেন তিনি। শেষ খবর সুস্মিতার ভাই নাকি ললিতের সুস্থতা কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন, ধন্যি মেয়ে।


one year ago


ODI: ইডেনে দিলীপ ঘোষ, ভারত জিততেই আনন্দে আত্মহারা

প্রসূন গুপ্ত: বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এক বর্ণময় চরিত্র।  একদিকে রাজনীতির দৌড়ঝাঁপ যেমন থাকে আবার এই মানুষটি সকালে একেবারেই অন্য মুডে। প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে দলমত নির্বিশেষে চায়ের আড্ডায় বসে পড়েন এবং সেখানে শুনেছি রাজনীতির বিষয় থাকে কম, আড্ডাই বেশি। দিলীপ ঘোষ খুব সিনেমা প্রেমী নয় কিন্তু কখনও হয়তো দেখেও ফেলতে পারেন কোনও ছবি। দিলীপবাবুর রাজনীতির বাইরে প্রিয় বিষয় খেলাধুলা। এক সময়ে যখন তিনি সংঘ প্রচারক ছিলেন তখন শরীরচর্চা করেছেন, লাঠি খেলা থেকে অন্য খেলাতেও যোগ দিয়েছেন। ফুটবল ক্রিকেট তার প্রিয় খেলা হলেও ভারত অলিম্পিকে গেলে টেনশন নিয়ে সেই খেলাও দেখেন, যদি হাতে সময় থাকে। কিন্তু খেলা দেখাটা তাঁর কাছে অবসর যাপনের অন্যতম বিষয়। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল গেলো। রাতের খেলাগুলিতো দেখেছেন সময়ে পেলে বিকেলের খেলাও দেখতে কসুর করেননি দিলীপ ঘোষ।

এই প্রতিবেদককে একবার বলেছিলেন, আরে সকলেই তো দেখছি কোনও না কোনও দেশের সমর্থক। আমার ভালো লেগেছে এশিয়ার দলগুলিকে। গোড়া হিন্দুত্ববাদী কি তিনি? দিলীপের কথায় তা বিতর্ক ছড়ালেও খেলার বিষয় নিয়ে একেবারে নিরপেক্ষ। জানিয়েছিলেন, দেখবেন আগামী দিনে ইরান জাপান সৌদি আরবরা ফাইনাল রাউন্ডে খেলবে। এদের খেলাতেই নাকি মুগ্ধ ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

ক্রিকেটেও দিলীপ ঘোষকে ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায়। তিনি কপিল দেবের ভক্ত। কথায় কথায় বলেন আমি আর কপিল, যখন তখন দুধ খেয়ে হজম করতে পারি।কপিলের মূল শক্তি যে দুধে তা বলতে কসুর করেন না দিলীপ ঘোষ।

এহেন দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার ইডেনে গিয়ছিলেন ভারত আর শ্রীলংকার দ্বিতীয় একদিবসীয় ম্যাচ দেখতে। না মোটেই ক্লাব হাউসের ভিভিআইপি গ্যালারিতে নয় বরং একেবারে আম জনতার মাঝে বসে খেলা উপভোগ করলেন তিনি। ভারতীয় স্পিনার কুলদীপের বোলিংয়ে উচ্ছ্বসিত দিলীপ। কিন্তু পরে ভারত ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারানোতে ভয়ানক নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাহুল আর হার্দিকের খেলায় যেন স্বস্তি পেলেন তিনি। জয়ের স্ট্রোক নিতেই উচ্ছ্বাসে লাফালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাশে বসে থাকা সবাই হয়তো বিজেপি সমর্থক নয়, কেউ বা তৃণমূলের কিংবা বাম সমর্থক। তারাও দিলীপকে প্রায় জড়িয়ে ধরলেন। মাঠে কি আর রাজনীতি থাকে? এখানে সকলেই ভারতকে ভোট দেবে।

one year ago
Tripura: ত্রিপুরার ভোট প্রচারের দায়িত্বে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

প্রসূন গুপ্ত: দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে রাজ্য বিজেপির কাছে , যেতে হবে দ্বিতীয় বাঙালিদের রাজ্য ত্রিপুরাতে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভোটের কথা চলেছে। নির্দিষ্ট দিন এখনও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে না এলেও ২০২৩-এর গোড়াতেই ভোট ধরে নিয়ে এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গত ২০১৮ র বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি এবং তাদের স্থানীয় উপজাতি জোটসঙ্গী। ৫ বছর পূর্ণ কাজেই ফের নির্বাচনী দামামা বাজার আগেই প্রচারে নামতে চাইছে তারা।

গত বারের দায়িত্বে ছিলেন সুনীল দেওধর। ধুরন্ধর বুদ্ধি সুনীলের কাজেই নানান পরিকল্পনা করে এবং স্থানীয় কংগ্রেসকে ভেঙে ত্রিপুরায় টানা ৫ বার ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টকে পরাজিত করেছিল বিজেপি | আপাতত ৪০টি কেন্দ্রে প্রচারের দায়িত্ব থাকছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতাদের। ত্রিপুরা বাঙালির স্থান বললে ভুল বলা হবে। এক সময়ে স্বাধীনতার আগে ওপার বাংলার কুমিল্লার অংশ ছিল ত্রিপুরা। মূল ত্রিপুরাতে ত্রিপুরী উপজাতির বাস ছিল পরে দেশ বিভাগের পর ওপার বাংলা থেকে উদ্বাস্তুরা আসাতে সংখ্যাগুরু হয়ে যায় বাঙালিরা।

বর্তমানে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দীর্ঘদিনের  মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি বিশেষ দায়িত্বে আছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এমনকি কলকাতা থেকে নেতাদের পাঠানো হচ্ছে আগরতলায়। আপাতত রাজ্যের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক আমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথাও হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বলেই খবর।

প্রচারের জন্য একটি তালিকা করা হয়েছে তাতে প্রধান নাম সুকান্ত মজুমদার , শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ। এছাড়াও অন্য নেতারাও যাবেন। শোনা গিয়েছে, শুভেন্দুদের প্রায় দেড় মাস সেখানেই আস্তানা গাড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে বামফ্রন্ট ,কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়বে কিনা এখনও ঠিক হয়নি। তবে তৃণমূল যে লড়াইতে আছে সে বার্তা পরিষ্কার | ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াইতে আদতে লাভ বিজেপির, কাজেই তারা অপেক্ষা করছে তৃণমূল কী করে দেখতে।

one year ago


Dilip Ghosh: নক আউটের অভিজ্ঞতাটা ছিল না ছোট দলগুলির, জানালেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Vice President) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) চোখে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022)।

আমি খেলার ভক্ত। ছেলেবেলা থেকেই শরীরচর্চা বা ফুটবল খেলার অভ্যাস তো ছিলই। সংঘ করতে এসে তা আরও বেড়েছে। আমি বরাবরই ডিসিপ্লিন জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী। আজকেও আমার শরীরে কোনও রোগ নেই। ইচ্ছা হলে এখনও মাঠে নেমে যেতে পারি, তাই খেলা দেখি এবং বিশ্বকাপ তো দেখতেই হবে।

প্রথমেই বলা ভালো, যাঁরা খেলা দেখেছেন নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, ছোট দলগুলো অর্থাৎ এশিয়ার ও আফ্রিকার দলগুলো মন কেড়ে নিয়েছে। যদিও কথার কথা 'ছোট দল' এবং এই ছোটবড় কথাটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ যারা বিশ্বকাপের মূলপর্বে গিয়েছে তাদের খাটো করে দেখা মোটেই উচিত নয়। বিগত বিশ্বকাপে এরা যা পারফর্ম করেছে তার থেকে অনেক ভালো খেলেছে এই বছর। আমি তো বলবো ঊনিশ-বিশ। একটাই ফারাক অভিজ্ঞতা। সে বিষয়ে পরে লিখছি।

আমরা দেখলাম লিগের ম্যাচগুলোতে জাপান, ইরান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া থেকে তিউনেশিয়া, মরোক্কো, ক্যামেরুন, ঘানা ইত্যাদি দলগুলি নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দিয়েছে তথাকথিত সেরা দলগুলিকে। ইংল্যান্ড ছাড়া প্রতিটি ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলি কিন্তু এই এশিয়ান আর আফ্রিকান দলগুলির কাছে হেরেছে। আমি তো এদের খেলা ভুলবো না। আজ এরা পারলো না কিন্তু ফারাকটা কিন্তু সামান্যই। আগামীতে এরাই মাঠ কাঁপাবে।

এবারে আসি নক আউটের প্রসঙ্গে। লক্ষ্য করে দেখুন বেশির ভাগ ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দল প্রথম রাউন্ডে নিজেদেরকে সেভাবে মেলে ধরেনি। এবারে যেই নক আউট এরা উঠলো সে মুহূর্তেই নিজেদের খেলা সম্পূর্ণ পাল্টে ফেললো। এই একটি জায়গায় মার খেলো এশিয়া আফ্রিকা।

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কে কে কোয়ার্টার ফাইনাল যাবে ঠিক হবে এবং সেমিফাইনাল ঠিক হবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ১৮ তে ফাইনাল। আমি ব্রাজিলের খেলার ভক্ত, কিন্তু আমাদের ছেলেবেলায় দেখা ব্রাজিল আজ কোথায়? কোথায় সেই স্কিল? ডজ ড্রিবলিং পাসিং বা বাইরে থেকে স্পটকিকে গোল করা কোথায়? এখন শুধু আলট্রা পাসিংয়ের খেল। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হোক চাই, কিন্তু নেইমার নাটক করা বন্ধ করে যদি খেলায় মন দেয় ভালো। তবে আর্জেন্টিনাকে কোপা জিততে দেখেছি। এবারে মেসি কিন্তু ক্যাপ জিততে মরিয়া ফলে মেসির খেলার দিকে নজর তো থাকবেই। সবশেষে বলি ইউরোপের ফুটবল আজ যে ভাবে খেলছে বিশেষ করে ফ্রান্স। ভাবতে হবে। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত) 

one year ago
TET: ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ 'সুজন চক্রবর্তী,শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষ', তালিকা প্রকাশ পর্ষদের

২০১৪-র টেট পরীক্ষা (TET 2014) দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এবং শুভেন্দু অধিকারী! শুনতে বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। ১১ নভেম্বর ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। পাশ প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন "দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীর" নাম। জেনারেলে ক্যাটাগরিতে নাম আছে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীর আর ওবিসি ক্যাটাগরিতে নাম দিলীপ ঘোষ।


সফল প্রার্থীতালিকার সঙ্গে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের নাম এভাবে মিলে যাওয়া কি কাকতালীয়? এই নামে অন্য প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরাই কি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। যদিও এবিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন একদল আইনজীবী।


তবে আইনজীবী তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির মত, 'পুরোটাই অনুপ্রেরণা এবং জালিয়াতি। মানুষ যখন নকল বা জালিয়াতি করে তখন এভাবেই ভুল করে। কতটা জালিয়াতি আবার প্রমাণিত।' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'আমার নামে আর কারও নাম থাকতেই পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, এঁরা সবাই নাকি ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের নামটা বাদ গেল কেন। উদোর পিন্ডির ভুঁদোর ঘাড়ে দেওয়া, দুর্নীতিকে স্পষ্ট করা। পথে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ঠিক। এই তালিকার কোনও মূল্য নেই।' 

one year ago
TMC: বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে নানুরে গদাধর হাজরার বিতর্কিত মন্তব্য, বাম-বিজেপিকে আক্রমণ

অলীক কুনাট্য রঙ্গে অনেক আগেই লোক মজেছে এই রাঢ় বঙ্গে। যে কোনও বিষয় হলেই তাতে কটূক্তি, পাল্টা কটূক্তিতে সরগরম হয় রাজনৈতিক মঞ্চ, এ আর নতুন কিছু ঘটনা নয়। আর ফের রাজ্যে সেরকমই এক ঘটনা ঘটল বীরভূমের নানুরে। নানুর বিধানসভা (Nanur) এলাকার কিন্নাহারে গোমাই গ্রামে,নানুরের তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরার বিতর্কিত মন্তব্য এই মুহূর্তে তুমুল ভাইরাল আম জনতার মুখে। ঠিক কী বলেছেন তিনি? যা নিয়ে চলছে এত চর্চা?

এদিন ওই গ্রামে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে শোনা যায় নানুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরাকে। সেখানে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'অনেকে বলছেন কাস্তে গুলো জং পড়ে গেছে জং, সেই কাস্তে গুলোকে বের করে অনেকের শান দিতে বলছেন, শান দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদেরকে মারতে হবে যেভাবে ৩৪ বছর ধরে মেরেছি, ২০১১ এ আমরা ক্ষমতায় এসেছি তাই ওই কাস্তে থেকে আপনাদের হাত ধরে আপনাদের গলায় লাগিয়ে দিয়ে হাতটা টেনে দেবো, কি হবে সেটা পাবলিক দেখবে।'

পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে তোপ বর্ষণ, 'দিলীপ বলছেন তৃণমূলকে দেখলেই বুকে পা তুলে দেব। গলায় পা তুলে দেব, তারা জানে না আমরা লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছি, তাই আপনি যখন বুকে পা দিতে আসবেন পা তোলার আগেই আপনার পা টা আপনার চেহারার মধ্যে আর থাকবে না রাস্তার একপাশে দুটো পা পড়ে থাকবে অন্য পাশে বডিটা পড়ে থাকবে।'

এদিন এই অনুষ্ঠানে এরকম বহু আলটপকা মন্তব্য করলেন নানুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক। আর সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। অপরদিকে এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম সহ-সভাপতি সুব্রত চট্টরাজ বলেন, 'দিলীপ ঘোষের পা কাটার আগে প্রাক্তন বিধায়ক নিজে ভাবুন, আগামী নির্বাচনের পর উনি কোথায় থাকবেন। উনি তো পরিযায়ী পাখি, আগে উনি বিজেপির দিকে ছিলেন। এই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন তিনি। তৃণমূল, সিপিএম মিলে আঁতাত করছে যাতে বিজেপি জিততে না পারে।' 

2 years ago


Dilip: বেলদায় দিলীপ ঘোষকে দেখে তৃণমূলের গো-ব্যাক স্লোগান, বিজেপি সাংসদের পাল্টা কী জবাব

পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) বেলদায় প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে 'চোর' স্লোগান শুনলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির উদ্দেশে তৃণমূল (TMC) কর্মী- সমর্থকদের তরফে ধেয়ে আসে গো-ব্যাক স্লোগান। তবে সাতসকালে তৃণমূল কর্মীদের এই আচরণে একটুও বিচলিত হননি দিলীপ ঘোষ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এবং মুখে হাসি রেখে তিনি পাল্টা বলেন, 'বুকে পা দেব। সব চোরগুলো আমাদের সামনে। সব ভিতরে যাবে।' বিজেপি নেতা বলেন, 'দেখুন পঞ্চায়েতের টাকা কারা খেয়েছে দেখে নিন।'

পাল্টা তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, 'মুল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে জবাব দিন। গো ব্যাক, একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে, কৃষকদের মারছে।' তাঁদের অভিযোগ, 'সাংসদ হিসেবে দিলীপ ঘোষকে চার বছর দেখা যায়নি। এখন ভোট এসেছে আবার এসেছেন। উনি বসন্তের কোকিল?'

এই ঘটনায় বেলদা এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলে বেলদা থানার বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাময়িক ভাবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজেপি সাংসদকে ঘেরাও করে রাখলেও পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

2 years ago
Disha: ক্যান্সারে ভুগছেন কি অভিনেত্রী দিশা ভাকানি? সত্য জানুন জেঠালালের মুখে

হে মা মাতাজী! তাঁর গলায় এই সংলাপ শুনতেই আট থেকে আশি সকলেই বসে যেতেন টেলিভিশনের সামনে। কিন্তু গত বেশকিছু বছর ধরে সেকথা আর শুনতে পান না আপামর দর্শককুল। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী দিশা ভাকানির, যিনি দয়াবেন  নামেই গোটা দেশে জনপ্রিয়। কিন্তু এবার তাঁকে নিয়ে  নতুন এক জল্পনা, তিনি নাকি গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত! আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় টিভি দুনিয়া। আর আচমকা এই খবর শুনে রীতিমত হতবাক দয়াবেন ভক্তরা।

কিন্তু এই খবর নিয়েই এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর ভাই। সেই সঙ্গে একথা কতটা সত্য সে বিষয়ে খোলসা  করেছেন দিশার পর্দার স্বামী জেঠালাল ওরফে দিলীপ যোশীও। সম্প্রতি সামনে এসেছে দীর্ঘদিন জনপ্রিয় সিরিয়াল 'তারক  মেহতা কা উল্টা চশমা'তে দিশা কামব্যাক না করার অন্যতম কারণ।  দয়াবেন চরিত্রে অদ্ভুত আওয়াজে সংলাপ বলতে বলতেই নাকি গলায় ক্যান্সার হয়েছে দিশার, এরকম খবরও শোনা গিয়েছে।

কিন্তু এই গোটা ঘটনাকেই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জেঠালাল ওরফে অভিনেতা দিলীপ যোশী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'দিশা সম্পর্কে যা কিছু রটছে তা নিছক গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। বহাল তবিয়তেই রয়েছেন অভিনেত্রী। দিলীপ যোশী এও জানিয়েছেন দিন কয়েক আগেই দিশা ভাকানির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এমনকি জেঠালালের কাছে নাকি রাতদিন ফোন আসে এই ঘটনার সত্যতা জানার জন্য।'

অভিনেতা দিলীপ যোশীর পাশাপাশি এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে উড়িয়েছেন  অভিনেত্রীর ভাই ময়ূর ভাকানি। এই ঘটনা কোনওদিনই সত্যি নয়, এবং সেই সঙ্গে দিশার অগণিত ফ্যানেদের অহেতুক দুশ্চিন্তা না করতেও অনুরোধ করেছেন ময়ূর। উল্লেখ্য, দিশা ভাকানির খুবই কাছের বন্ধু অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রি বংশীওয়ালা, তিনিও জানিয়েছেন দিশা মোটেই গলায় ক্যান্সার আক্রান্ত নয়। কিছুদিন আগেই তাঁদের ফোনে কথা হয়েছে এবং দিশা খুবই ভাল আছেন বলেই জানিয়েছেন জেনিফার। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ধারাবাহিক 'তারক মেহতা কে উল্টা চশমা' থেকে মাতৃত্বকালীন বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী দিশা ভাকানি। কিন্তু এরপর আর পাকাপাকি  প্রত্যাবর্তন করেননি। দয়াবেনের সেই বিখ্যাত সংলাপ আর গড়বা নাকি খুবই মিস করেন দর্শকরা। আর তারই মধ্যে তাঁর এই অসুস্থতার খবরে মন খারাপ হয়ে পড়েছিল তাঁর ভক্তদের। কিন্তু অবশেষে আসল ঘটনা সামনে আসায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন দর্শকরা।

2 years ago