Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Dharmatala

BJP: চমকহীন বিজেপির ধর্মতলা জনসভা

প্রসূন গুপ্ত:  আজ থেকে ৯ বছর আগে এই ধর্মতলাতে ৩০ নভেম্বর জনসভা করেছিল তৎকালীন রাজ্য বিজেপির পরিচালন মন্ডলী। সেদিনও প্রধান বক্তা ছিলেন অমিত শাহ , যদিও তখন তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন বিজেপির। বেশ ভিড় হয়েছিল রাহুল সিনহার নেতৃত্বে। এটা বাস্তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ের বিষয় একেবারেই ভিন্ন সুতরাং ওই দিনের সঙ্গে তুলনা করা ছেলেমানুষি হবে।  সেবারে উদ্দেশ্য একটি ছিল নিশ্চই যে সদ্য ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি কেন্দ্রে এবং নতুন সভাপতিকে বরণের বিষয় ছিল কিন্তু বুধবার রাজ্য বিজেপির কোনও এজেন্ডাই ছিল না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনে লোকসভা নির্বাচন কাজেই ধর্মতলায় ভিড় জমিয়ে তাঁর কোনও সুবিধা নেই কিন্তু ভোট প্রচারের টেম্পোটি তুলে দিলে মন্দ কি। অন্যদিকে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বছর দুয়েক আগেও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন কাজেই তিনি জানেন ধর্মতলার মহিমা কিন্তু যে কোনও এই ধরণের হাই প্রোফাইলের নেতাকে নিয়ে জনসভার নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্য থাকবে যা কিনা অনুপস্থিত ছিল আজ।

সভা শুরু হয়ে যায় দুপুরের আগেই। তখন কোনও কোনও নেতারা ভাষণ দিতে থাকেন। কিছু গান বাজনা ইত্যাদি ছিল। এরপরেই মূল সভা শুরু হয়ে যায় মধ্য দুপুরে। মঞ্চে দিলীপ ঘোষ , সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দুকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিড়ে বাড়তে শুরু হয় তখনই যদিও রাহুল সিনহার ২০১৪ র জনসভাকে টেক্কা দিতে পারলো না আজকের জনসভা।

যতটা ঝাঁজ ছিল শুভেন্দু বা অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যে ততটাই মামুলি ছিল প্রধান বক্তা অমিত শাহের ভাষণ। ধুরন্ধর এই রাজনৌতিক নেতা যেন কিছুটা বাংলার নেতাদের আবদার রাখতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। অমিত ভাষণে বারবার নরেন্দ্র মোদির কৃতিত্ব তুলে ধারা হয়। অমিত একেবারে কাগজ তুলে জানান যে ইউপিএর আমলে বাংলা যতটা বঞ্চিত হয়েছে ততটাই সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভাতে রেকর্ড ভোট যাতে বাংলার মানুষ দেয় তার আবেদনও ছিল ভাষণে। তিনি বার দুয়েক জানালেন যে আসন্ন ২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। কিন্তু বুদ্ধিমান অমিত জানেন এতো দ্রুত বিধানসভার প্রচার করে লাভ নেই। একবার জেলে বন্দি তৃণমূল নেতাদের নাম করলেন, একবার 'ভাতিজা' কথাটি উঠে এলেও বেশি আক্রমণে গেলেন না তিনি। দ্রুত শেষ করলেন তাঁর বক্তব্য। শেষ পর্যন্ত বোঝা গেলো না বুধবারের ধর্মতলার জনসভার উদ্দেশ্যটি  কি ছিল ?

6 months ago
BJP: ধর্মতলায় বিজেপির জনসভা

প্রসূন গুপ্ত: হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি ঠিক করেছিল যে তারা একটি জনসভা করবে এবং সেটি ধর্মতলার ঠিক ওই স্থানে যেখানে প্রতি বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই পালন করে থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতেই পারে ঠিক কাদের মগজ প্রসূত ভাবনা এই জনসভার? এখন এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে রাজ্য বিজেপি চলেছে তাদের নিশ্চই। অর্থাৎ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরাই মূল উদ্যোগী। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু দীর্ঘদিন তাদের দলটি করেছেন কাজেই আজ বিজেপিতে গেলেও ধর্মতলা জনসভার মহিমা ভোলেন নি। হয়তো তাই  একেবারে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে জনসভা করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। এখানেও প্রশ্ন থাকতে পারে, এই পরিকল্পনা করে মমতার জনপ্রিয়তা ভাঙতে চাইছেন শুভেন্দু ? কিন্তু বাস্তব ঘটনা এই যে ঠিক এই স্থানেই ইতিমধ্যে বিজেপি জনসভা করেছে ২০১৪ র ৩০ নভেম্বর , এবারে যা ২৯ শে।

সেবারেও প্রধান বক্তা ছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবারেও তিনিই। ঠিক প্যারাডাইস সিনেমার পাশেই হয়েছিল মঞ্চ। সে সময়ের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা দাবি করেছিলেন তাদের লক্ষাধিক মানুষ হাজির হয়েছিল এবারে কিন্তু গল্পটি ভিন্ন। এবারে রাজ্য সরকার প্রথমে ধর্মতলায় সভা করার অনুমতিই দেয় নি পরে কোর্ট কাছারি করে শর্ত সাপেক্ষে সভা হবে। মাননীয় বিচারপতিকে জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে যে উপস্থিত থাকবে দশ হাজার সমর্থক এবং কিছু গাড়ি। বিচারপতি অনুমতি দেন ওই শর্তে। এবারে দশ হাজার একশো হলে ফের হাইকোর্টে যাওয়া হবে কি না তা সভার পরেই বোঝা যাবে।

যদিও শুভেন্দু বেশ ভালোই জানেন প্রতি বছর ২১ জুলাই এখানে কয়েক লক্ষ তৃণমূল হাজির থাকে। একদিকে পার্ক স্ট্রিট অন্যদিকে গনেশ এভিনিউ অবধি ভিড় চলে যায় কিন্তু এই ভিড়ের কাছাকাছি ভিড় জমাতে না পারলে তো কুণাল ঘোষ বসে থাকবেন ব্যঙ্গ করতে কিন্তু তবুও তাঁরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন তার একটাই কারণ ইদানিং তাদের সংগঠনের অবস্থা আর আগের মতো নেই সুতরাং এই ধরণের একটি সভা করলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটতে পারে। কাজেই কঠিন চেষ্টাই করছেন বর্তমান নেতারা। 

6 months ago
Bjp: ধর্মতলায় বিজেপির সভা ঠেকাতে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

ধর্মতলায় বিজেপির সভা ঘিরে ফের জটিলতা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বিজেপির সভার অনুমতি দিলেও এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহকে এনে বড় সভার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য বিজেপি। যদিও সেই সভার অনুমতি বাতিল করেছিল রাজ্য পুলিশ।  পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। এরপর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৯ তারিখ ধর্মতলায় বিজেপির সভার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এবার ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য বিজেপি। জানা গিয়েছে,  এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

জানা গিয়েছে, ২৮ নভেম্বর ধর্মতলায় সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু, ১৫ দিন আগে যদি আবেদন করা না হয় সেক্ষেত্রে অনুমতি নয়, জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। এরপর ২৯ নভেম্বর নতুন করে সভার আবেদন করা হয়। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোনও কারণ না দেখিয়েই সেই সভা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, 'এটা তো স্বাধীন রাষ্ট্র। একটি আবেদন কোনও কারণ না দেখিয়েই বাতিল করে দেওয়া হয়।' সেই সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, এই উত্তরগুলি কম্পিউটার জেনারেটেড।

এরপর বিচারপতি বলেছিলেন, ‘সভার অনুমতি দিতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে শর্তাবলী ঠিক করে দিতে পারবে পুলিশ।’ সিঙ্গল বেঞ্চের অনুমতির পর তড়িঘড়ি প্রস্তুতি শুরু করেছিল গেরুয়া শিবিরও। কিন্তু, এই সভা ঠেকাতে এবার নতুন করে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ল রাজ্য।

6 months ago


BJP: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভার অনুমতি! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ফের বিজেপির  সভার অনুমতি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিস। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পরবর্তী শুনানিতে শর্ত কি হবে তা ঠিক করা হবে বলে জানান বিচারপতি।  আগামী বুধবার ২২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, উৎসবপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের রাজনৈতিক ময়দানে সামিল হতে হবে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি বাজবে। বিজেপি এই সভা দিয়েই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চাইছিল। আর এই সভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকতে চলেছেন। কিন্তু সেই সভারই অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না কলকাতা পুলিসের তরফে। যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ শুরু হয়ে গিয়েছিল। দলের অন্দরেও যথেষ্ট উত্তেজনা বেড়েছিল।

কিন্তু কোথায় বিজেপির এই সভা কোথায় হতে চলেছে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ধর্মতলায় সভা করতে পারবে বিজেপি। আগামী ২৯ নভেম্বর এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে, আগামী ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত এক নভেম্বর এই সভার অনুমতি বাতিল করেছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিস। এরপর ১৭ নভেম্বর এই সভার  আবেদন জানিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। আবেদনের ত্রুটির কথা জানিয়ে তৃতীয়বারও আবেদন নাকচ করে জেলা পুলিস। আজ, সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আগামী ২৫শে নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিসকে নির্দেশ বিচারপতি মান্থার।

6 months ago