যাতায়াতের রাস্তায় নোংরা আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ (Beaten)। প্লাস্টিকের পাইপ,বাঁশ ও টিউব লাইট দিয়ে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত উভয়পক্ষের ৯ জন। আহতদের মধ্যে এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীও ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার (Deganga) বেড়াচাঁপা এলাকায়। আহতদের (Injured) চিকিৎসা করানো হয় বিশ্বানাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। দু'পক্ষ থেকেই দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।
এক পক্ষের অভিযোগ, প্রায়ই রাস্তার উপর প্লাস্টিক, নোংরা ফেলে রাখা হয়। বারবার পরিষ্কার করার কথা বললেও কোনও উপকার হয়নি। অভিযোগ, এই নোংরা পরিস্কারের কথা বলতেই কলের পাইপ, টিউবলাইট, ইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁরা। দাবি, ইতিমধ্যেই ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দেগঙ্গা থানায়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেগঙ্গার (Deganga) অবৈধ গ্যাস গোডাউনে হানা (Raid) জেলা এনফোর্সমেন্ট দফতরের (ED) আধিকারিকদের। উদ্ধার কেন্দ্রীয় সরকারের উজালা প্রকল্পের ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার-সহ ২টি পাঞ্চিং মোটর। ইতিমধ্যেই এক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযু্ক্তর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট দফতর। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা কাউকেপাড়া এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে একটি গ্যাসের গোডাউনে হানা দেয় জেলা এনফোর্সমেন্ট দফতরের আধিকারিকরা। সেই অভিযানে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল দেগঙ্গা থানার পুলিস।
জেলা এনফোর্সমেন্ট দফতর সূত্রে খবর, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত উজালা গ্যাস অবৈধভাবে গোডাউন থেকে বিভিন্ন অটোয় ভরা হত। সোমবারই ওই অবৈধ গ্যাস গোডাউনে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট দফতরের একাধিক আধিকারিক-সহ দেগঙ্গা থানার পুলিসও। এমনকি অনেক গ্যাসের সিলিন্ডারও উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তর খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃদ্ধা মাকে খেতে দেয় না দাদা-বৌদিরা। এই ঘটনার প্রতিবাদ (Beaten) করে ছোট ভাই। যার জেরে আস্ত ইঁট দিয়ে ছোট ভাইয়ের চোখে মারার এবং তাঁর মাথায় কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে দুই দাদা-বৌদির বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার মাধবপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার (Deganga Police) পুলিস। আহত যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিশ্বনাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। তবে চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই যুবকের নাম গোলাম মোস্তফা, বয়স ২৬ বছর। দেগঙ্গার মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। বৃদ্ধ মাকে খেতে না দেওয়ায় প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবককে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। এমনকি ইঁট দিয়ে মেরে চোখ জখম করে দেয় দুই দাদা-বৌদি। এমনকি আহতর মাথায় কামড়েও দেয় অভিযুক্তরা, এমনটাই জানাচ্ছে আহতর আত্মীয়রা।
তবে বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্ত ওই চারজনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
অমানবিকতার পাশাপাশি মানবিকতার ছবি ধরা পড়ল দেগঙ্গায় (Deganga)। ম্যাক্স বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় (Accident) রক্তাক্ত সাইকেল আরোহী বৃদ্ধ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কোনও পথচারী এগিয়ে আসেননি। ঠিক সেই সময় বৃদ্ধকে সাহসের সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন এক মহিলা ভ্যান চালক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ সাইকেল আরোহীর।
ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর এলাকায় টাকি রোডে সোমবার সকালে। জানা গিয়েছে, ইট বোঝাই ম্যাক্স বোলেরো গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী ওই বৃদ্ধের।মৃত বৃদ্ধের নাম আয়েপ মাটি(৬০)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে সাইকেল চালিয়ে টাকি রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন আয়েপ মাটি। পিছন দিক থেকে একটি ইট বোঝাই ম্যাক্স বোলেরো গাড়ি বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান চালক।
অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেননি কেউ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। পথচারীরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলেন পাশ কাটিয়ে। অবশেষে ভ্যান চালক আজিরা খাতুন রক্তাক্ত ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যান ওই বৃদ্ধ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। আটক করে ঘাতক গাড়িটি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক যুবক। উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার দেগঙ্গার পারুলিয়া এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার (Deganga Police) পুলিস। ওই যুবকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পরান কাহার (৩০)। দেগঙ্গার পারুলিয়া এলাকারই বাসিন্দা তিনি। আমগাছের ডালে নিজের জামা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই যুবক।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার ভোরেই পারিবারিক অশান্তির জেরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতেও ওদের মধ্যে বচসা হয়। তারপরে শনিবারই এমন ঘটনা। এই ঘটনায় পুলিস ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নগ্ন দেহ(Death Body) উদ্ধার। দেহটি উদ্ধার করল দেগঙ্গা থানার(Deganga Police) পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার উত্তরবরুনী এলাকার(North 24 Parganas) পৃথীবা রোডের পাশে এক নির্জন এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাষীরা ৪৫ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মৃত ব্যক্তির শরীরে গলায় কালশিটে দাগ লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। এমনকি ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল না কোনও পোশাক, দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে চাষের জমিতে সবজি তুলতে এসে নগ্ন অবস্থায় এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা। পরে দেগঙ্গা থানায় খবর দেয় তাঁরা। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব্যক্তিকে খুন করে এখানে ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকি এই এলাকায় একাধিক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা আগেও ঘটেছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এই এলাকায় পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
পুলিস ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
৮ কিলোমিটার রাস্তা (road), বেহাল দশা। প্রায়দিনই ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা (accident)। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসনকে বলেও হয়নি কোনও কাজ। একাধিকবার বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তার অবস্থা এখনও বেহাল। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা (Deganga)। কবে মিটবে সমস্যা, কবে মিলবে যাতায়াতের যোগ্য রাস্তা? জানেন না স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর থেকে বক্সিরহাটি যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পিচ, পাথর উঠে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা। প্রায়দিনই ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। যাতায়াতের সমস্যায় স্কুলপড়ুয়া থেকে নিত্য পথচলতি মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসনকে বলেও হয়নি রাস্তা মেরামতির কোনও কাজ। স্থানীয় বিধায়ক বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি রাস্তা মেরামতি।
তবে এবিষয়ে লেগেছে রাজনৈতিক রং। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তুষারকান্তি দাস জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তাটির মেরামতির কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে, বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেত্রী দীপিকা চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, শাসক দল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের চাহিদা দেখার সুযোগ নেই।
বিগত কয়েক মাস ধরেই গরু পাচার মামলা (Cow smuggling case) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে দেগঙ্গায় (Deganga) রাতের অন্ধকারে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের তিনটি গরু চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। চুরির দৃশ্য বন্দী সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে। ঘটনার পরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমেছে পুলিস (police)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেগঙ্গার কুমরুলী এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে এক ব্যক্তির গোয়াল ঘড়ে রাখা তিনটি গরু চুরি করে দুষ্কৃতীরা। চুরির দৃশ্য বন্দী হয় সিসি টিভিতে। তাতে দেখা যায়, তিনটি গরুকে নিয়ে এক দুষ্কৃতী হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে একটি বাছুর। কিন্তু বাছুরটিকে ফেলে তিনটি গরু নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়ির কর্তা মোরশেদ আলী জানান, শুক্রবার রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ গরুদের খেতে দিয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। শনিবার সকালে উঠে দেখেন তিনটি গরু উধাও। ফেলে গিয়েছে সদ্য জন্মগ্ৰহন করা দুটি বাছুর।
খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার পরই দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোরশেদ আলী। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সাত সকালে ফের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৫দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। ঘটনাস্থল দেগঙ্গা (Deganga) থানার বেড়াচাঁপা এলাকা। খবর পেয়েই পুলিস (police) পৌঁছে মৃতদেহ নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধ বছর ৭০ এর জয়দেব সওদাগার। তিনি গত ৫দিন ধরেই নিখোঁজ (missing) ছিলেন। শুক্রবার সকালে পচা দূর্গন্ধ বার হতেই এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। গেট দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন বারান্দায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার মৃতদেহ। পুলিসকে খবর দিলে পুলিস তালা ভেঙে পচগলা দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আরও জানান, বেড়াচাঁপা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফাঁকা বাড়িতে ওই বৃদ্ধকে থাকতেন দেন। তবে মৃত বৃদ্ধের বাড়ি হাড়োয়া থানার আটপুকুর এলাকায়। গত ৬ বছর আগে বেড়াচাঁপা এলাকায় আসেন তিনি। পুলিস ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মর্মান্তিক ঘটনা, দেগঙ্গায় মেধাবী ছাত্রীর (student) রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিস (police) গিয়ে মৃতদেহটি (deadbody) উদ্ধার করে বিশ্বনাথ গ্ৰামীণ হাসপাতালে (hospital) নিয়ে আসে। তবে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত (death) ঘোষণা করেন। মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। কেন এমন সিদ্ধান্ত বলতে পারছেন না পরিবারের কেউই।
মৃত ছাত্রীর বাড়ি দেগঙ্গার খেজুরডাঙা গ্ৰামে। বছর ১৭-র ওই ছাত্রী রায়পুর-নিরামিষা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। গত পরশু পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ বেরিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, পরীক্ষায় সে ভালো রেজাল্ট করে একাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়েছে। মৃতা ছাত্রীর মা জানান, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া করে সে। এরপর মাকে জানায় সে পড়তে বসবে।
রাতভর সে তার নিজের ঘরেই ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে চোখে পড়ে ওড়ানা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের ঘরের মধ্যেই ঝুলছে সে। কানে হেডফোন এবং তার মোবাইল ফোন সাইলেন্ট। যা ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য।
পরিবারের সঙ্গে কোনও অশান্তি-ঝামেলা হয়নি। তবুও কী কারণে তার এই পদক্ষেপ বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে দেগঙ্গা থানার পুলিস। অন্যদিকে, স্কুলের মধ্যেই আত্মহত্যা চেষ্টা করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। ঘটনাটি বারাসাত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। বুধবার সে তার ভূগোল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দোতলার বারান্দার থেকে ঝাপ দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিল এই ছাত্রী। পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দিলে পুলিস এসে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঠিক কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
স্কুল সূত্রে খবর, এই মেধাবী ছাত্রী বরাবরই ক্লাসে প্রথম হয়। তবে বেশ কিছুদিন ধরে তার চালচরণে অসংগতি বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষিকারা। এছাড়াও, সে জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার খাতায় উল্লেখ করেছিল শেষ পরীক্ষায় আত্মহত্যার আভাস। এরপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা বলার কথা ছিল। তবে তার আগেই এই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থিতিশীল রয়েছে ওই ছাত্রী।
ফের উদ্বেগ বাড়িছে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ, পাশাপাশি মৃত্যু (death) সংখ্যাও বাড়ছে। উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় (Deganga) ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত গৃহবধূর মৃত্যু। ষষ্ঠীতেই বিষাদের সুর এলাকায়। বন্ধ বাড়ির উঠানে বারোয়ারি দুর্গাপুজো। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, মৃতা সুলেখা কর্মকার দেগঙ্গার বাসিন্দা। বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর।পরিবার সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার জ্বর আসে ওই গৃহবধূর। এরপরই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে যান বিশ্বনাথ পুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। তবে সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় বারাসাত জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শুক্রবার তাঁর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে ওঠে। তড়িঘড়ি গৃহবধূকে স্থানান্তর করা হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানেই নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান সুলেখা। সুলেখার মৃত্যুতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন এই ডেঙ্গির প্রভাব আরও বাড়বে পুজোর পর। ঠাণ্ডা না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে মেনে চলতে হবে পুরসভার সমস্ত গাইড লাইন। পুরকর্তা এবং কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম আগেই জানিয়ে ছিলেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে একমাত্র পথ হল সচেতনতা। মানুষ সচেতন না হলে, ডেঙ্গি কমবে না।
ফের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর (Anganwadi workers) বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি (theft)। ঘরের মধ্যে ঘুমের ওষুধ ষ্প্রে করে লক্ষাধিক টাকার দুঃসাহসিক চুরির অভিযোগ উঠল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দেগঙ্গার (Deganga) চাকলা পুকুর আটি এলাকায়।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ফরিদা বেগম ও তাঁর ছেলের দাবি, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মূল গেটের তালা ভাঙা, দুটি ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। ভাঙা আলমারি ও শোকেসের তালা, উধাও সোনার অলঙ্কার (Gold ornaments) সহ নগদ টাকা। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা।
তাঁদের অভিযোগ, ঘুমের ওষুধ ষ্প্রে করে তাঁদের বাড়ি থেকে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।