সাইবার প্রতারণার বড়সড় পর্দাফাঁস করল ইসলামপুর থানার পুলিস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চোপড়া এলাকায় অভিযানে নামে পুলিস। বায়োমেট্রিক নম্বর জাল করে অর্থ লোপাট করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় বেশ কিছু কম্পিউটার, ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট, ও ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্য়ানার। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে।
পুলিস জানিয়েছে, সাইবার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তিনজন ধৃতই চোপড়া এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে আধার কার্ড নম্বর জাল করে টাকা লোপাট সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পুলিসের অনুমান, এই জালিয়াতির ঘটনা চোপড়ার বাইরেও রয়েছে।
রবিবার এই বিষয়ে ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিস পাওয়ার পর চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কোনও বড় চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
ফ্রি-তে খাবার বা 'ফ্রি থালি' (Free Food) পাওয়ার লোভে খোয়াতে হল ৯০ হাজার টাকা। 'একটি থালি কিনলে আরেকটি বিনামূল্যে' এমন অফারের প্রলোভনে পড়ে সাইবার জালিয়াতির (Cyber Fraud) শিকার হলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির (Delhi) বাসিন্দা ওই মহিলা। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বর্তমানে চারিদিকে প্রতারণার ছড়াছাড়ি। কয়েকদিন আগেই খবরে এসেছিল, ইউটিউবের লিঙ্কে ক্লিক করতেই হারাতে হয় টাকা। আর এবারে খাবারের নাম করেও প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে এল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত সেই মহিলার নাম সবিতা শর্মা। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে গিয়ে সেখানকার একটি খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন তিনি। ওই ওয়েবসাইটে যে নম্বর ছিল সেখানে তিনি ফোন করেন। কিন্তু সেই সময় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তিনি একটি ফোন পান। ফোনে বলা হয় সাগর রত্ন রেস্তোরাঁ থেকে তিনি এই সুবিধাটা পেতে পারেন। তবে অফারটি পাওয়ার জন্য মহিলাকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেয় তারা।
এরপর তাদের কথা মতোই কাজ করতে গিয়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অ্যাপ ডাউনলোড করে পাসওয়ার্ড দিতেই ফোন হ্যাক হয়ে যায় তাঁর। এরপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর ৪০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এই দেখেই বুঝতে পারেন তিনি যে, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রথমে ক্রেডিট কার্ড থেকে পেটিএম অ্য়াকাউন্ট ও সেখান থেকে টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে যায়। ২ মে তিনি থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
এক শিক্ষিকার থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে (Mumbai)। প্রভিডেন্ড ফান্ড (PF) অফিসের কর্মীর পরিচয় দিয়েই টাকা হাতিয়েছে অভিযুক্ত। ওই শিক্ষিকা মামলা দায়ের করেছে এনআরআই (NRI Coastal Police Station) কোস্টাল থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে অনলাইনে প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিসের ফোন নম্বর খুঁজছিলেন বছর ৩২-এর বেসরকারি স্কুলের ওই শিক্ষিকা। তারপরেই এমন ঘটনা ঘটে।
পুলিস জানিয়েছে, 'অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে ফোন করে জানান তিনি প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিসে কাজ করেন। এরপর ওই ব্যক্তি শিক্ষিকাকে তাঁর ফোনে একটি অ্যাপও ডাউনলোড করতে বলে। সেখানে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সব তথ্যও দিতে বলা হয় শিক্ষিকাকে। তারপরে ওই ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত পিনও দিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা। তখনই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে নেয় অভিযুক্ত।'
কিছুদিন আগেই মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী ভুয়ো জ্যোতিষীর পাল্লায় পড়ে প্রায় দু’লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। সেই ঘটনারই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
সরকারি ভুয়ো ওয়েবসাইট (Fake Website) তৈরি। সেখান থেকে বালি খাদানের ভুয়ো রশিদ বানিয়ে প্রতারণা। বীরভূমের (Birbhum) এই প্রতারণা চক্রের আরও এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার (Arrested) করলো বিধাননগর (Bidhannagar) সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস (Cyber Crime Police Station)। ধৃতের নাম অনুপ দাস, খড়গপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, সরকারি ওয়েবসাইট জাল করে বালি খাদানের চালান তৈরি করে চালানো হতো এই অবৈধ ব্যবসা।
উল্লেখ্য, বীরভূমে হানা দিয়ে এমনই এক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে অভিযুক্ত অনুপ দাসের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার খড়্গপুরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অনুপ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এই অনুপ দাস সরকারি ওয়েবসাইট এবং ভুয়ো চালান তৈরি করেছিল। মূল অভিযুক্তর সঙ্গে বালি খাদানের মালিকদের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতো এই অনুপ। শনিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিস তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবার সাইবার প্রতারণার (Cyber Fraud) জাল বিছানো মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam kumar) বাসভবনে। প্রতারণার ফাঁদে তরুণ কুমারের নাতি অভিনেতা সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় (Saurav Banerjee)। তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন। তিনি জানান, 'আমার ফোনে দু'দিন ধরে একটা মেসেজ আসছে। তাতে বলা আমি নাকি সাড়ে তিন হাজার টাকা লোন নিয়েছি। সেটা ফেরত দিতে হবে, নয়তো আমার কন্টাক্ট নম্বর হ্যাক হয়েছে। ওরা ওখানে নোংরা ছবি পাঠাবে, ভুলভাল বলবে এবং সেটা কিছু লোকের কাছে গেছেও।'
তিনি লেখেন, 'লালবাজারে জানানো হয়েছে ওরা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাই আমার কন্টাক্ট লিস্টে যারা আছেন, এই ধরনের মেসেজ আসলে অ্যাটেন্ড করবেন না। ব্লক করলেও অন্য নম্বর থেকে করছে কারণ পুরোটাই কম্প্যুটারাইজড। তাই অনুগ্রহ করে কাউকে রিপ্লাই দেবেন না।'
প্রতারণার (fraud) ঘটনা নতুন কোনও কিছু বিষয় নয়। প্রতিদিনই কোনও না কোনওভাবে সাধারণ মানুষ এই প্রতারণার শিকার। যার পিছনে রয়েছে বড় একটি প্রতারণা চক্র। ফের রাজ্যে এমনই এক প্রতারণার পর্দা ফাঁস। ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা দেব, তাঁর টাকাও অ্যাকাউন্ট থেকে এক নিমেষেই গায়েব। অভিযোগ, গত ২১ তারিখ এক অজানা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। বলা হয় তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার (Bank manager) বলছেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। কারণ, তিনি নাকি ব্যাঙ্ক এসএমএস লক্ষ্য করেননি। এরপরই তাঁর কাছে ওটিপি থেকে শুরু করে এটিএম কার্ডের নম্বর-সহ একাধিক তথ্য জেনে নেওয়া হয়। পক্ষান্তরে গ্রাহকের বেশ কিছু তথ্য সঠিকভাবে পরিবেশন করেন জনৈক 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজার'।
অভিযোগ, এটিএম কার্ডের নম্বর বলার পরেই তৎক্ষণাৎ "উহু" নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর ফোনে এসএমএস আসে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ পুরো ব্যালেন্সটাই তুলে নেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট থেকে। এরপরই অন্নপূর্ণা দেবী বুঝতে না পেরে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন, কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তাঁকে ফোন করেনি। তিনি জালিয়াতির শিকার। সমস্ত টাকাটাই জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র। এরপরই তিনি বারাইপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ করা হয় সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে।
কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এভাবেই ফোন করে একাধিক সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে অচিরেই এই ধরনের প্রতারণাকারী চক্র বিশ্বাসের জাল বিছিয়ে রয়েছে। আর তারপরেই খোয়া যায় মূল্যবান টাকা। তাই সজাগ, সচেতন এবং অবশ্যই সতর্ক থেকে লক্ষ্য রাখতে হবে এই ধরনের প্রতারণার চক্রে যাতে পা না দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিলের (Electricity bill) সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করার মেসেজ মোবাইলে পাঠিয়ে এক শিক্ষিকার (teacher) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষ টাকার প্রতারণা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফারাক্কার। টাকা প্রতারণার (fraud) পর ফারাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
জানা যায়, শিক্ষিকার নাম নবনীতা সরকার। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে। কর্মসূত্রে তিনি মুর্শিদাবাদের সুতির সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি বর্তমানে ফারাক্কা ব্যারেজের প্রজেক্ট আবাসনে থাকেন। তিনি জানান, রবিবার রাতে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা, তাঁর বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিল-এর সমস্যা হওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। তারপর রাতের বেলায় হোয়াট্অ্যাপে মেসেজ আসা নম্বরে সোমবার সকালে ফোন করেন।
তারপর প্রতারক তাঁকে নিজের মোবাইলে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। অ্যাপ ডাউনলোড করার পর তাঁকে দশ টাকা পেমেন্ট করতে বলা হয়। অভিযোগ, তাঁর মোবাইল থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দশ টাকা পেমেন্ট করার পরপরই অ্যাকাউন্ট থেকে তিন ধাপে ৯৯৫১০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। যখন দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে তারপরে তিনি তাঁর ফোন ডিসকানেক্ট করে দেন। ডিসকানেক্ট করার পর অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনওরকম ট্রানজেকশন করতে পারিনি প্রতারক।
শিক্ষিকা আরও জানান, এই ধরনের প্রতারণার সঙ্গে যারা জড়িত, তাঁরা যেন শাস্তি পায় এবং সাধারণ মানুষকে এই প্রতারণা সম্পর্কে যেন সরকারিভাবে সচেতন করা হয়। যেন আর কেউ এই প্রতারণা ফাঁদে পা না দেয়। সোমবার বিকেলেই শিক্ষিকা কর্মসূত্র থেকে বাড়ি এসে ফারাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ফারাক্কা থানা নড়েচড়ে বসে। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
সম্প্রতি ইলেকট্রিক বিল বকেয়া সংক্রান্ত প্রতারণা চক্রে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। এবার একইভাবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বলিউড অভিনেতা অনু কাপুর। ব্যাঙ্কের কাজে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড শেয়ার করে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা খুইয়েছেন তিনি। তবে পুলিসি তৎপরতায় টাকার বেশিরভাগ অংশ ফেরত পেয়েছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, অনলাইনে এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করতে গিয়ে প্রতারিত অনু কাপুর। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী হিসাবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। অভিনেতার কেওয়াইসি ফর্মটি আপ়ডেট করা প্রয়োজন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য ওই অচেনা ব্যক্তিকে জানিয়ে দেন তিনি। এরপর তাঁর নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপি এলে তা-ও ফোনে জানিয়ে দেন অভিনেতা। তাতেই কার্যসিদ্ধি।
পুলিস জানিয়েছে, অভিনেতা ফোন রেখে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর দু’টি অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। যা জানতেই পারেননি অনু। মোট ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়।