গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ইডির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। কোথায় এবং কীভাবে গরু পাচারের টাকা পৌঁছেছিল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছেন ইডি গোয়েন্দারা।
গরু পাচারের মূল পাণ্ডা এনামুল হক, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ চাল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের হাতে পাওয়া সমস্ত নথির ভিত্তিতে অনুব্রতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্রের খবর, অনুব্রত গরু পাচারকারীদের রক্ষার বিনিময়ে টাকা (প্রোটেকশন মানি) নিতেন, তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে সেই টাকা কোথায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার সময় যে যে প্রশ্ন করছে ইডি, তার একটা সম্ভাব্য তালিকা তুলে দেওয়া হল:
১) মেয়ের নামে থাকা দুটো কোম্পানির কাজ কী ছিল?
২) দুটো কোম্পানিতে এত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে কোথা থেকে?
৩) মেয়ের নামে থাকা দুটো সংস্থায় গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে। আপনি ছাড়া কীভাবে সেটা সম্ভব?
৪) মেয়ে একজন প্রাথমিকের শিক্ষিকা, তাহলে তাঁর নামে ৫৭ কোটি টাকার ২৬টি সম্পত্তি হলো কি করে? আপনার মেয়ে বলেছে এই বিষয়ে আপনি জানেন।
৫) শুধু প্রোটেকশন মানি নয়, পাচারের জন্য আপনি কমিশন নিতেন পাচারকারীদের থেকে। সেই টাকা কোথায় গেলো?
৬) যে পরিমাণ সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি আপনি পাচারকারীদের থেকে প্রোটেকশন মানি ও কমিশন নিয়েছেন। তাহলে বাকি টাকা কোথায়?
৭) কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে সেই টাকা যেত? প্রভাবশালীদের ইন্ধন ছাড়া কি আপনি এই কাজ করতে পারতেন?
৮) একজন প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীকে ৬ কোটি টাকা কেন দিয়েছিলেন?
৯) মলয় পিটের এনজিওতে আপনি কেন বিনিয়োগ করেছেন?
দিল্লিতে ইডি হেফাজতের দ্বিতীয় দিনে সাড়ে ১২টা থেকে জেরা শুরু অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata at Delhi)। সূত্রের খবর, যেকোনও জিজ্ঞাসাবাদ বা জেরায় বয়ান লিখিতভাবে নথিবদ্ধ করতে হয়। সেক্ষেত্রে কিছু প্রশ্নের উত্তর ইডির তরফে গরু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে লিখতে দেওয়া হয়েছিল। উত্তর খাতায় লিখতে বলা হলে নাকি অনুব্রত ইডি (ED) কর্তাদের বলেন, 'আমি লিখতে পারি না। ইংরেজি, হিন্দি তো পারি না। বাঙলাতেও ঠিকমতো লিখতে পারবেন না।' এরপরেই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বয়ানের অডিও রেকর্ড করার। সেইমতো বক্তব্যর অডিও রেকর্ড করছে ইডি। এদিকে, গরু পাচার-কাণ্ডের (Cow Smuggling case) তদন্তে এযাবৎকাল অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।
জানা গিয়েছে, মোট ১২১টি সম্পত্তির হদিশ নথিবদ্ধ করেছে ইডি। তৃণমূল নেতার প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে সম্পত্তি। বোন শিবানী ঘোষ ও জামাই কমলকান্তি ঘোষের নামে সম্পত্তি। ভাগ্নে রাজা ঘোষ ও ভাগ্নে বৌ প্রতিমা ঘোষের নামেও সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। এমনকি সম্পত্তি রয়েছে বিদ্যুত বরণ গায়েন ও তাঁর স্ত্রীর নামেও। এছাড়া বিদ্যুত বরণের মেয়ে অনুশ্রী গায়েনের নামেও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
সূত্রের দাবি, শুধু বীরভূমে নয়, অনুব্রতর জমি রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গোসাবার বিজয়নগর মৌজায় ১৫ ডেসিমেল জমি অনুব্রতর নামে। তৃণমূল কংগ্রেসে পার্টি অফিসের জমিও অনুব্রতর নামে। নানুরের চণ্ডীদাস মৌজায় তৃণমূলের জমি অনুব্রতর নামে বলে দাবি ইডি কর্তাদের।
এদিকে, অনুব্রতর নামে কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে শতাধিক জমি, ধানক্ষেত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি সম্পত্তি কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। যার পরিমাণ প্রায় ৫৭ কোটি টাকা! ব্যাংকে সুকন্যার ফিক্সড ডিপোজিট ৬ কোটি টাকা, সাত বছরে ১২ কোটি টাকার জমি কেনার তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছিল। ইডি সূত্রের দাবি, কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। বাবা জানতেন বলে সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে মেয়ে। এবার মেয়েকে করা সেই প্রশ্নের উত্তর বাবা অনুব্রত মণ্ডলের থেকে চাইছে ইডি।
দেশে নির্ভীক আইপিএস অফিসারের অভাব নেই। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (International Womesn Day) এমনই একজন সাহসী মহিলা আইপিএস অফিসার সোনিয়া নারাংয়ের (IPS Sonia Narang) কথা তুলে ধরছি। সোনিয়া নারাং ছোটবেলা থেকেই সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এই কারণেই তিনি উচ্চ বিদ্যালয় পাশ করে UPSC-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। চণ্ডীগড়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা, সোনিয়া নারাং ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। প্রতিভাবান সোনিয়া নারাং সমাজবিজ্ঞানে স্বর্ণপদক জিতেছেন। আইপিএস সোনিয়ার বাবা এএন নারাং একজন অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং বাবাকেই রোল মডেল মানেন এই দুঁদে মহিলা আইপিএস।
সোনিয়া নারাং কর্নাটক ক্যাডারের ২০০২ ব্যাচের আইপিএস। চাকরির সময় সোনিয়া নারাং কর্নাটকের একাধিক শহরে পোস্টড ছিলেন। এটা তাঁর সততা ও সাহসের ফল। তিনি যেখানেই গিয়েছেন, অপরাধীদের মনে ভয় ধরাতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির এক নেতাকে চড় মেরে লাইমলাইটে আসেন সোনিয়া।
আসলে, সে বছর একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন কংগ্রেস এবং বিজেপির দুই বড় নেতা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এরপর আইপিএস অফিসার সোনিয়া নারাং প্রকাশ্যে বিজেপি নেতা রেণুকাচার্যকে চড় মারেন। জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে জেরা করতে ইডির যে বিশেষ দল গঠিত হয়েছে, তাঁর নেতৃত্বে এই সোনিয়া নারাং, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর। আগামি তিন দিন বঙ্গ রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে বাঘা বাঘা প্রশ্নের মুখে ফেলে জেরবার করতে পারেন দুঁদে এবং নির্ভীক এই আইপিএস।
মধ্যরাতের টানাপোড়েনে শেষে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) তিন দিনের ইডি হেফাজত মিলেছে। ১০ মার্চ পর্যন্ত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন বঙ্গ রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডল। বুধবার দুপুর থেকেই তাঁকে একপ্রস্থ জেরা শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে করা হয় মেডিক্যাল পরীক্ষা। তাঁকে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। আধ ঘণ্টা করে মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন আইনজীবী। জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অনুব্রতর এত সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চাওয়া হতে পারে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) থেকে। পাশাপাশি আরও একাধিক প্রশ্নবাণে অনুব্রতকে বিদ্ধ করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)।
১) গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কোন চুক্তির উপর ভিত্তি করে টাকা নিয়েছেন?
২) তদন্তে দেখা গিয়েছে কালো টাকার পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। যা আপনার কাছে এসেছে, পাচারকারীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। সেই টাকাগুলো গেলো কোথায়?
৩) আপনার মেয়ের নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, সেই সম্পত্তি কেনার টাকার উৎস সম্পর্ক আপনিই নাকি জানেন। আপনার মেয়ের বক্তব্য তাই। আপনি জানান, মেয়ের সম্পত্তির পিছনে টাকার উৎস কি? সেগুলো কি গরু পাচারের কালো টাকা?
৪) আপনার হিসাবরক্ষক মণীশ কুঠুরি জানিয়েছেন, আপনি যা বলতেন উনি তাই করতেন। কালো টাকা সাদা করতে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন?
৫) আপনি একজন রাজনৈতিক নেতা, আপনার এত সম্পত্তি হলো কি করে? সেই সম্পত্তির পিছনে গরু পাচারের কালো টাকা রয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আপনার বক্তব্য কি?
এদিকে, বুধবারও অনুব্রত মণ্ডলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। ইডি দফতর থেকে অনুব্রতকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অপরদিকে, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল নেতাকে দিল্লি এনে ইডির সদর দফতরে তোলা হয়েছিল। ভার্চুয়ালি তাঁকে হাজির করা হলেও বিচারক ইডি কর্তাদের নির্দেশ দেন সশরীরে অনুব্রতকে হাজির করতে হবে। সেই মোতাবেক মধ্যরাতে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে বিচারকের বাড়ি ছোটেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তারা। ১৪ দিনের পূর্ণ মেয়াদের পুলিস হেফাজত দাবি করলেও, ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতর পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
বঙ্গ রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অপেক্ষায় তিহার! হাইকোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত সবুজ সংকেত দিয়েছে। ইডিও (ED) গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছে। এ কোর্ট, ও কোর্ট করে এবার মোটামুটি দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। এবার কী আছে তিহার জেলে? এত আতঙ্ক কেন তিহার যাত্রা ঘিরে?
তথ্য বলছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম জেল তিহারে রয়েছে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, জঙ্গি, গ্যাংস্টাররা। ৪০০ একর এলাকা নিয়ে এই জেলে আছে মোট ১৭ হাজার ৫৩৪ জন বন্দি। এখানে আছে কুখ্যাত এক্স-রে ওয়ার্ড। বন্দিদের জন্য মোবাইল ডিটেকটর, জ্যামার, কিউআরটি, পিএম সিস্টেম। তবে ভিআইপি বন্দিদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। এছাড়াও বিশেষ ভাবে রয়েছে ফাঁসিকাঠ।
এদিকে, হাইকোর্টের অর্ডার মেনে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জটিলতা কিছুটা কেটেছে। আসানসোল সিবিআই আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতাকে কলকাতা পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে রাজ্য পুলিস। কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে ইডির হাতে তৃণমূল নেতাকে তুলে দেবে পুলিস। সেখান থেকে ইডি দিল্লি নিয়ে যাবে রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে। আদালতের সেই রায়ের কপি ইডিকে পাঠালো আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ।
রায়ের কপির সঙ্গে চিঠি দিয়ে ইডির কাছে জানতে চাইলো, কবে অনুব্রতকে তারা নিয়ে যেতে চায়।
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ইডি। দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ কোর্ট থেকে আসানসোল জেলে অনুমতি মেইল এসেছে। সেই মেইলের সূত্র ধরেই তৃণমূল নেতাকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোরজোড় শুরু। জানা গিয়েছে, দিল্লি যাত্রা সংক্রান্ত নথি আদান-প্রদান একটা বড় প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া এদিনের মধ্যে শেষ হলে লক্ষ্মীবারেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ইডি। নয়তো শুক্রবার বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত। জেলবন্দি তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যেতে বহু দিন ধরে তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। অবশেষে সেই প্রচেষ্টা সফল হতে চলেছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শরীর খারাপ কারণ দেখিয়ে তৃণমূল নেতা, তাঁর দিল্লি যাত্রা স্থগিত করতে পারেন? এই সম্ভাবনা উসকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সায়গল হোসেনের মতোই তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর সেই সম্ভাবনায় জল ঢালতে পারে ইডি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে আসার পর ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে। সেই মর্মেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে আসানসোল জেলে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করল সিবিআই। বীরভূম তৃণমূলের সভাপতিকে দেড় ঘন্টা জেরা করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট-সহ বেশ কিছু বেনামী সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করে সিবিআই।
তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি করে গরু পাচারের(Cow smuggling) সময় দুর্ঘটনা। সোদপুর দত্ত রোডের এই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির চালক পলাতক। গরু-সহ ঘাতক গাড়িকে আটক করেছে খড়দহ থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি করে গরু পাচারের সময় সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক আধিকারিকরা বাধা দেয়। তখনই গাড়িটি দ্রুত গতিতে বিটি রোড ধরে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোদপুর দত্ত রোডের কাছে ডিভাইডারে ধাক্কা(accident) মারে। ঘটনার পর গাড়ির চালক-সহ অন্য ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। ঘাতক গাড়িকে গরু-সহ আটক করে খড়দহ থানার পুলিস (khardah Police)। পরে গাড়ির মধ্যে থাকা গরুকে উদ্ধার করে পুলিস।
তবে গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা থাকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন? আর এই ঘটনার জেরেই তৃণমূল বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। খড়দহ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী জানান, 'এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে গাড়ির সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।'
তবে শাসক দলের এরূপ মন্তব্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপির। রাজ্য বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, 'গরু পাচারের ঘটনা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন দোষ ঢাকার জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল।'
গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের (Jail Custody) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, গরু পাচার মামলায় আদালতে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় সংস্থা শুক্রবার আদালতে আরও ১১৫টি নতুন ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দিয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মাত্র ২ দিনেই এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই দাবি আদালতেও করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, যাদের নামে এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এই ১৬ জনের মধ্যে আবার ১২ জন টিপ সই করেন, এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। এদিকে, শুক্রবার আদালতে জামিনের আবেদন করেনি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় ইডি, আসানসোল জেলের মধ্যেই অনুব্রতকে গ্রেফতারের পরে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে এবং রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই অনুব্রত দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ জানিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে মামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে চারটি মামলায় ইডি-র বক্তব্য জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি নোটিস জারি করেছেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যেই অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়ল।
খড়গপুরে (Kharagpur Incident) রাতের অন্ধকারে গরু চুরি (Cow Smuggling) করতে এসে স্থানীয়দের হাতে আটক একটি পিকআপ ভ্যান-সহ ৪ গরু চোর। সোমবার গভীর রাতে খড়গপুর এক নম্বর ব্লকের জীনশহর এলাকায় গরু চুরি করে পালানোর সময় অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন এলাকাবাসী। এভাবে রাতের অন্ধকারে গরু চোর ধরা পড়ায় এলাকায় সকাল পর্যন্ত ছিল ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, গরু চোরদের আটকে রেখে খড়গপুর লোকাল থানায় (Police) খবর দেওয়া হয়।
পুলিস ভোররাতে এসে অভিযুক্ত-সহ পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, পিকআপ ভ্যানটি থেকে মোট ১২টি গরু ও ধৃতদের কাছ থেকে ছেনী, হাঁতুড়ি, ভোজালি এবং ছুরি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, দক্ষিণের খড়গপুরের পাশাপাশি উত্তরের নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্ততে এসএসবি লাগাতার অভিযানে গরু পাচারের আগেই হাতেনাতে এক পাচারকারী-সহ ৩টি গরু আটক হয়েছে।
মঙ্গলবার ওই ৩টি গরুকে আটক করে নকশালবাড়ির বড়মনিরাম জোত এসএসবি-র ৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। এসএসবি সূত্রে খবর, নেপাল থেকে ভারতে আসার সময় কোনও বৈধ নথি না থাকায় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় ধৃত মহম্মদ নজরুলকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হলে পুলিস শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে। অপরদিকে উদ্ধার ৩টি গরুকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার পর খোয়াড়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
ভারত নেপাল সীমান্তে ফের গরু পাচার (Cow Smuggling)। গরু পাচার করতে গিয়ে এসএসবি জওয়ানদের (SSB Jawan) দেখেই গরু ছেড়ে পালাল পাচারকারীরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) ঝাপুজোতর ভারত-নেপাল সীমান্তের এই ঘটনায় শুক্রবার চাঞ্চল্য। কুয়াশার চাদর মোড়া অবস্থায় নেপাল থেকে ভারতে গরু পাচারের সময় এসএসবি-র নজরে আসতেই গরু রেখে পালায় পাচারকারীরা। পরে উদ্ধার ৫টি গরুকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের পাঠানো হয় খোয়ারে। ভারত-নেপাল সীমান্ত খোলা থাকায় রাতের অন্ধকার ও ভোরের কুয়াশাচ্ছন্নতা কাজে লাগিয়ে গরু পাচার করছে পাচারকারীরা।
ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই এবং ইডি দুই সংস্থা এই পাচার-কাণ্ডের তদন্তে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যদিও সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার-কাণ্ডে বারবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা গরু পাচার এবং কয়লা পাচার নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও।
এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) খারিজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। বুধবার বহু প্রতীক্ষিত এই জামিন মামলায় (Bail Plea) রায় দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ খানিকটা প্রভাবশালী তত্ত্বে খারিজ করেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিন। জানা গিয়েছে, জেলে বসেই নাকি প্রভাব খাটাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ৫ মাস জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাকে আপাতত আসানসোল জেলেই থাকতে হবে, এমনটাই সূত্রের খবর।
পাশাপাশি শিব ঠাকুরের করা মামলায় পুলিসের ভূমিকাও অনুব্রতর বিপক্ষে গিয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং অজয় কুমার গুপ্তর বেঞ্চের প্রশ্ন, 'এক বছর পর কেন ৩০৭ ধারায় এভাবে মামলা দায়ের?' এই মামলা রায় দিতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, 'গরু পাচার তদন্তের এই পর্যায়ে এসে অনুব্রত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' এই মামলায় অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল।
কিন্তু তাঁর যুক্তিতেও জামিন মামলায় সুরাহা মেলেনি অনুব্রত মণ্ডলের।
এবার দিনের বেলায় অভিনব কায়দায় বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচার করতে গিয়ে পিকআপ ভ্যান-সহ আটক (arrest) গরু। তবে পুলিসকে (police) দেখে চম্পট দেয় চালক এবং সহকারী চালক। এ যেন একেবারেই ঠিক ফিল্মি কায়দা! পিকআপ ভ্যান করে গরু পাচার বানচাল করল ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সূত্র মারফত পুলিসের কাছে খবর আসে ধান বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানে বিহার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে গরু পাচার হচ্ছে। সেই মোতাবেক ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি বাইপাস ৩১ নাম্বার ডি জাতীয় সড়কে গোয়ালটুলি মোড় এলাকায় গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে একটি সন্দেহজনক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে চালক ও সহকারী চালক পালাতে সক্ষম হয় বলেই জানা গিয়েছে।
এরপরেই গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এরপরই চক্ষু চড়কগাছ পুলিস কর্মীদের। পিকআপ ভ্যানে বোঝাই করা সমস্ত ধানের বস্তা নামাতেই চোখে পড়ে সেখানে রয়েছে একাধিক গরু। তত্ক্ষণাত্ গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি গরু। তবে কোনও বৈধ কাগজ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়নি। ইতিমধ্যেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস এবং গরুগুলিকে খোয়ারে পাঠানো হবে বলে জানা যায়। তবে এই গরু পাচারের পিছনে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস।
ইডি (ED) যাতে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে না পারে, কোমর বেঁধে নামলো অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) এবার দরবার অনুব্রত মণ্ডলের। রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে ইডির করা প্রোডাকশন ওয়ারান্ট সংক্রান্ত মামলার বিরোধিতায় আবেদন তৃণমূল নেতার। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির প্রশ্ন, 'বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে?' এই মামলায় আবার সায়গল হোসেনকে
(Saigal Hossain) দিল্লি এনে জেরা করা হচ্ছে। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে রউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রোডাকশন ওয়ারান্ট সংক্রান্ত সেই আবেদন খারিজের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। যদিও ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। অনুব্রতর আইনজীবীর প্রশ্ন, 'বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে?' পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে, দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসানসোল থেকে দিল্লি না নিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে এই আবেদনে। ইডি তদন্তের প্রয়োজনে আসানসোল জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। এই মামলা দায়েরের পর রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অনুব্রতর প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল।
একসপ্তাহের মধ্যেই ইডি এবং সিবিআইয়ের (ED-CBI) জোড়া জেরা পর্ব। পাশাপাশি রয়েছে ইডির হেফাজতে থেকে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এভাবে যতই গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling) তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন মানসিক চাপ বাড়ছে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শনিবার সিবিআইয়ের জেরার পর হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। রবিবার সকালে তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালে (Asansol Hospital) আনা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ঢোকেন বীরভূম তৃণমূলে জেলা সভাপতি (Birbhum TMC)। প্রায় ৪০ মিনিট পর বেড়িয়েও আসেন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চিত চরিত্র অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলে।
চিকিৎসক জানান, তৃণমূল নেতার কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ নেই। ভালোই আছেন তিনি। তাঁর ইসিজি করা হয়েছে রিপোর্ট স্বাভাবিক। মেডিসিন এবং সার্জারির চিকিৎসকরা দেখেছেন, প্রত্যেকে জানান খারাপ কিছু নেই। ব্লাড প্রেসার, সুগার নর্মাল। খুব কিছু একটা সমস্যা নেই।
এদিকে, মঙ্গলবার দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে অনুব্রতকে আদালতে হাজির সংক্রান্ত ইডির মামলার শুনানি। তৃণমূল নেতার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে শুক্রবারই দিল্লির ওই কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেদিন এই আবেদন গৃহীত হলেও, হয়নি শুনানি। এখন মঙ্গলবার রউস অ্যাভেনিউ কোর্টের দিকে তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
দিল্লির রউস অ্যাভেনিউ কোর্টে (Delhi Court) শুনানি না হওয়ায় মঙ্গবার মঙ্গলবার পর্যন্ত আটকে গেলো অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা। শুক্রবার দিল্লির ওই কোর্টে ইডির (ED) তরফে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন রউস অ্যাভেনিউ কোর্ট গ্রহণ করলেও এদিন এই মামলার শুনানি হয়নি। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি, ততদিন পর্যন্ত আসানসোল জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন অবশ্য সম্ভাব্য দিল্লি যাত্রার আইনজীবীদের সঙ্গে একপ্রস্থ পরামর্শ করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। তিন আইনজীবীকে শুক্রবার আসানসোল জেলে আসতে দেখা গিয়েছে। যদিও জেল থেকে বেরনোর সময় সঙ্গাব্দ মাধ্যমে সামনে মুখ খুলতে চাননি ওরা। তবে সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করার সম্ভাবনা প্রবল। সেই সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছে, কারণ কোঠারিকে দিল্লি থেকে যেতে বলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
মূলত ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে অনুব্রতকে মণীশ কোঠারি এবং সুকন্যা মণ্ডলের মুখোমুখি বসাতে চাইছে ইডি। বৃহস্পতিবার দু'দফায় প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা জেরার পর অনুব্রত মণ্ডলকে শোন অ্যারেস্ট করেছে ইডি। তখন থেকেই জোর গুঞ্জন, তৃণমূল নেতার দিল্লি যাত্রা তবে কি নিশ্চিত!