রাজ্যে সামান্য কমল করোনার (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ, কিন্তু বেড়েছে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত (Covid-19) ৪০০ জন, মৃত ৫। একদিনের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫৩ জন, এই মুহূর্তে বাংলায় সুস্থতার হার ৯৮.৭৮%। পজিটিভিটি রেট (Active Case) বা আক্রান্তের হার ৩.৬৫%।
এদিকে, টানা কয়েকদিন দেশের করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে থাকলেও ফের ১২ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যদিও কিছুটা স্বস্তি মৃত্যু সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এদিন খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৪ জন। যা বৃহস্পরিবার ছিল ১২ হাজার ৬০৮ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। বৃহস্পরিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৭২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫৩ জন।
টানা কয়েকদিন দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ১০ হাজারের নিচে থাকলেও ফের ১২ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেখানে শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যদিও কিছুটা স্বস্তি মৃত্যু সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস (Active Case) ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের (Covid-19) ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী (Delhi)। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এদিন খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৫৪ জন। যা বৃহস্পরিবার ছিল ১২ হাজার ৬০৮ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। বৃহস্পরিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৭২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫৩ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৩ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৮৩০। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫৩৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ২২০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৮ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ৩.৪৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৯ কোটি ২৭ লক্ষের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ৩১ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ (COVID 19) রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী। মাঝে ১৫ অগাস্টের আশপাশে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছিল। এমনকী গত কদিন ধরেই রাজ্যের সামনে যেটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই মৃত্যুসংখ্যাও ১৫ অগাস্ট শূন্যে নেমে এসেছিল।
কিন্তু তারপর থেকে ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। যেমন বুধবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা (Corona New Cases) ছিল ৩৯৩ এবং মৃত্যু (Death) হয়েছিল ৪ জনের। বৃহস্পতিবার মৃত্যুসংখ্যা একজন কমে হয়েছে ৩। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩৬। ফলে ক্ষণিকের স্বস্তিও উধাও।
এদিনের পরিসংখ্যানে সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা গত কদিনের মতো বেশিই রয়েছে। এদিন তা ছিল ৫৮৭। ফলে হোম আসোলেশন (Home Isolation) এবং হাসপাতাল মিলিয়ে যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার হিসাব করা হয়, তা অনেকটাই কমে এসেছে। এদিন তা ছিল ৪৪৭০। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪২৯৩ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭৭ জন। পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, এবারের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেশ কমই। অনেকেই বাড়িতে থেকে চিকিত্সা করেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ চিত্রে এটাই কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।
এদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত কদিনের তুলনায় বেশিই ছিল, ১০ হাজার ৮০০। আসলে একটা বিষয় পরিষ্কার, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেই আক্রান্তের সংখ্যাতেও বৃদ্ধি ঘটছে। অন্যদিকে, পজিটিভিটি রেট এখনও পাঁচ শতাংশের নিচেই রয়েছে, এদিন যা ছিল ৪.০৪ শতাংশ।
টানা দু'দিন দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ১০ হাজারের নিচে থাকলেও ফের ১২ হাজারের গণ্ডি টপকে গেল। যদিও কিছুটা স্বস্তি অ্যাকটিভ কেস (Active Case) ও পজিটিভিটি রেটের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের (Covid-19) ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী (Delhi)। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এদিন খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী।
বৃহস্পরিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। যা বুধবার ছিল ৯ হাজার ০৬২ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। বুধবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩৬। মৃত্যুসংখ্যা যে অনেকটা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২০৬ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৪ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৪৩। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৬৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ২৫১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৭ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ৩.৪৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটির বেশি।
স্বাধীনতা দিবসে করোনার সংক্রমণ (Covid 19) যেমন অনেকটাই কমে গিয়েছিল, একইসঙ্গে সেদিন মৃত্যুসংখ্যা নেমে এসেছিল শূন্যে। পরেরদিন, অর্থাত্ মঙ্গলবার সংক্রমণ আরও কমে গিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে মৃত্যু হয়েছিল একজনের।
কিন্তু বুধবার রাজ্যের করোনা-চিত্রে আচমকাই উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এদিন আক্রান্ত (Corona New Cases) এবং মৃত্যু (Death), দুইই একলাফে অনেকটাই বেড়ে গেল। মঙ্গলবার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৭৫ এবং ১। আর বুধবার এই দুটি সংখ্যাই বেড়ে হয়ে গেল যথাক্রমে ৩৯৩ এবং ৪। বোঝাই যায়, স্বস্তির জায়গা উধাও।
কেন এই আচমকা বৃদ্ধি? এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কোনও মতামত পাওয়া যায়নি। তবে পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, করোনার নমুনা পরীক্ষার (Test) সংখ্যা এদিন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার যে সংখ্যা ছিল ৫০৩৪, বুধবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ৯৭২৩। অর্থাত্ প্রায় দ্বিগুণ। পরীক্ষার সংখ্যায় বৃদ্ধি মানেই আক্রান্তের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির সম্বাবনা থেকেই যায়।
তবে এবারের করোনা-চিত্রে উল্লেখযোগ্য আশার জায়গা হল সক্রিয় আক্রান্তের (Active Corona Cases) সংখ্যা কমছে। কারণ, আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা রোজই ভালোরকম কমছে। এদিনের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬২৪। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯০ জন। কিন্তু তার মধ্যেও মৃত্যুসংখ্যাকে কেন পুরোপুরি বাগে আনা যাচ্ছে না, সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার।
পজিটিভিটি রেট অবশ্য এখনও পাঁচ শতাংশের নিচেই রয়েছে। এদিন তা ছিল ৪.০৪ শতাংশ।
টানা দু'দিন দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) ১০ হাজারের নিচে। বড়সড় স্বস্তি দেশবাসীর কাছে। পাশাপাশি কমেছে অ্যাকটিভ কেসের (Active Case) হারও। তবে মঙ্গলবারের তুলনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুসংখ্যা খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও অনেকটাই সুস্থতার পথে দেশ। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের (Covid-19) ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৭ জন। এছাড়া মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ০৬২ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ৮ হাজার ৮১৩ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। মঙ্গলবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ২৯। মৃত্যুসংখ্যা যে ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ১৩৪ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৪ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৮। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ০৬৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ২২০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটি ৫৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২৫১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৫৭ জন। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত দু'বছর হাইকোর্টের রায় মেনে পুজোর (Durga Puja 2022) আয়োজন করতে হয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে। এবার চিত্রটা ভিন্ন। করোনার তেমন বাড়বাড়ন্ত নেই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বুস্টার ডোজ। তাই এই দুই মিলিয়ে এবার শারদোৎসবে একটু বাড়তি আনন্দ বাঙালির। এবার তাই আসন্ন দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) আগামী ২২ অগস্ট বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। ১৪ অগাস্ট বেহালার সভা থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হতে চলা ওই বৈঠকে শহর কলকাতা এবং শহরতলির পুজো কমিটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভার্চুয়ালি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ব্লক ও মিউনিসিপালিটি স্তরের পুজো কমিটিগুলোও বৈঠকে উপস্থিত থাকবে।
এই বৈঠকে পুজো কমিটিগুলোকে সরকারি অনুদান দেওয়ার বিষয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হতে পারে। এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। পাশাপাশি দুর্গোৎসবকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রদানকে সামনে রেখে এবার পুজোর একমাস আগে থেকেই নানা কর্মসূচি গ্রহণের কথা সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। সে বিষয়েও পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
একটা সময় রাজ্যে করোনার সংক্রমণ (Covid 19) হু হু করে বেড়ে চলেছিল। এবার যে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিকের দিকেই এগচ্ছে, তা প্রতিদিনের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। সোমবার স্বাধীনতা দিবসের উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, করোনায় মৃত্যুসংখ্যা (Death) শূন্যে নেমে এসেছিল। আক্রান্তের সংখ্যাও কমে হয়েছিল ২৭০।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, এদিন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা (Corona New Cases) আরও কমে হয়েছে ১৭৫। পাশাপাশি আরও আশার জায়গা হল, আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা অনেক বেশি, ৬৩১। ফলে হাসপাতাল এবং বাড়ি মিলিয়ে যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার হিসাব করা হয়, তা আরও নিম্নমুখী হয়েছে। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮৪২। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯৪ এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬৬৮ জন। উল্লেখ্য, সোমবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের ওপরে। ফলে এদিনই তা পাঁচ হাজারের নিচে নামল।
নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে। ভাবা গিয়েছিল, সোমবার ছুটির দিন হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু মঙ্গলবারও তা কমই ছিল, ৫০৩৪। আর পজিটিভিটি রেট গত তিন-চারদিন ধরে রয়েছে পাঁচ শতাংশের নিচে। এদিন তা আরও কমে হয়েছে ৩.৪৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, সারা দেশের করোনা সংক্রমণও একলাফে নামল ১০ হাজারের নিচে। বড় স্বস্তি দেশবাসীর কাছেও। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১৩ জন। যা সোমবার ছিল ১৪ হাজার ৯১৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৮ জন।
করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) একলাফে নামল ১০ হাজারের নিচে। বড় স্বস্তি দেশবাসীর কাছে। স্বস্তি দিয়ে কমেছে অ্যাকটিভ কেসের (Active Case) হারও। কমেছে মৃত্যুসংখ্যাও। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে কয়েকটি রাজ্যের কোভিডের (Covid-19) ছবিটা। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২২৭ জন। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,২০৬), মহারাষ্ট্র (১,১৮৯) ও কেরল (৭৫৮)।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১৩ জন। যা সোমবার ছিল ১৪ হাজার ৯১৭ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৩২। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৮ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৫ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৫২। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ০৪০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৬ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটি ৩১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৯৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ১০ হাজার। গতকাল দেশে ২ লক্ষ ১২ হাজার ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগ প্রকোপের ভয়াবহতা কাটিয়ে সবে যখন দেশ ধাতস্থ হচ্ছিল, তখন করোনার (Coronavirus) সংক্রমণ হঠাৎ করে গতি পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। তার মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (omicron)। তবে দেশবাসীর জন্য সুখবর। ওমিক্রনের নয়া রূপ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে রেখে একটি প্রতিষেধক তৈরি করে নজির গড়ল মডার্না (Moderna)। আর এই সংস্থার ওমিক্রন ভ্যাকসিনটির (Vaccine) ব্যবহারে প্রথম স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন।
সোমবার ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘মডার্নার তৈরি প্রতিষেধককে নতুন রূপ (আপডেটেড ভার্সান) দেওয়া হয়েছে। করোনার দুই প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে পারবে এই টিকা।’’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর এই টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মডার্নার বুস্টার টিকা ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এই প্রতিষেধক। ওই প্রতিষেধক শুধু ওমিক্রনকে আটকাবে না, করোনাভাইরাসের আগের রূপগুলিকেও রুখে দিতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে মডার্নার তরফে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন XE প্রজাতি যা ব্রিটেনে পাওয়া গিয়েছিল ২০২২ এ বর্তমানে মুম্বই ও গুজরাতে সনাক্ত করা গিয়েছে। ওমিক্রনের চেয়েও ১০ শতাংশ দ্রুত ছড়ায় এই প্রজাতির করোনা। ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানায়, XE ভাইরাসের উপসর্গ করোনার অন্যান্য প্রজাতির উপসর্গের মতোই। হাঁচি এবং গলা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকছে। এছাড়াও জ্বর, কাশি এবং স্বাদ বা গন্ধ হারানোর মতো লক্ষণও রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্ত বোধ, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ বা সর্দি, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গও থাকছে।
শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের (Corona New Cases) সংখ্যা ছিল ৪৬১ এবং মৃত্যু (Death) হয়েছিল ৩ জনের। রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয় ৪৭৯ এবং মৃত্যুসংখ্যা কমে হয় ২। স্বস্তির খবর, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির দিনেই মৃত্যুসংখ্যা নেমে এল শূন্যে। উল্লেখ্য, বারবারই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, মৃত্যুসংখ্যা কমে আসাটা কখনই স্বস্তির হতে পারে না। কারণ, একজনেরও মৃত্যু কাঙ্খিত নয়। বরং মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনাটাই রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে অবশেষে পৌঁছল রাজ্য।
এদিন আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কমে হয়েছে ২৭০। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার। তা হল, ছুটির দিন হওয়ায় করোনার নমুনা পরীক্ষার (Sample Test) সংখ্যা এদিন যথেষ্ট কমই ছিল, ৬২৯৪। যদিও করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত মোটামুটি খুব একটা কম ছিল না। রবিবার ছুটির দিনের পরিসংখ্যানেও দেখা গিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি।
তবে বরাবরের মতো এদিনও সুস্থতার (Recovery) সংখ্যা ছিল আক্রান্তের তুলনায় বেশ বেশি, ৬৫৮। তার জেরে সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যার উর্ধ্বমুখী ধারায় এদিনও ছেদ পড়েনি। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫২৯৯। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) রয়েছেন ৫১৪৮ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫১ জন।
গত কদিন ধরেই পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) রয়েছে ৫ শতাংশের নিচে। এদিনও তা ছিল ৪.২৯ শতাংশ। ফলে রবিবারের মতো এদিনও সংক্রমণ চিত্রে ধীরে হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
দীর্ঘ দু'বছর ধরে করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে রেড রোডে (Red Road) পালন হয়নি স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। এবছর সংক্রমণ খানিকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে রেড রোডে। অন্যদিকে এবছর লালকেল্লাতেও উদযাপিত হল অমৃত কা মহোৎসব। এসবের মধ্যেও এদিন করোনা গ্রাফ (Covid-19) কিছুটা চিন্তায় ফেলল দেশবাসীকে। ফের খানিকটা বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। তবে স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৭ জন। যা রবিবার ছিল ১৪ হাজার ০৯২ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। রবিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪১। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ০৬৯ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৭ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০৮। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার ২৩৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটি ২৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে রয়েছে দু’হাজারের উপরেই। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,১৬২। মহারাষ্ট্রেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও দু’হাজারের গণ্ডি পার করে করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,০৮২। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,৮৩৭), কেরল (১,০০৭) ও রাজস্থান (৮৮২)।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ (Corona Infection) সামান্য বাড়লেও মৃত্যুসংখ্যা কমল। শনিবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬১ এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। কিন্তু রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৪৭৯ এবং মৃত্যুসংখ্যা (Death) কমে হয়েছে ২। ফলে মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনার যে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের সামনে ছিল, তা পূরণে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট।
তবে বরাবরের মতো এদিনও সুস্থতার সংখ্যা ছিল আক্রান্তের তুলনায় সামান্য বেশি, ৬৭৪। তার জেরে সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যার উর্ধ্বমুখী ধারায় এদিনও ছেদ পড়েনি। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৮৭। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) রয়েছেন ৫৫১২ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৭৫ জন।
বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন, এবারের করোনা-চিত্রে উল্লেখযোগ্য স্বস্তির দিক হল, অধিকাংশ আক্রান্তই বাড়িতে থেকে চিকিত্সা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এদিনের পরিসংখ্যানে সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে।
করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এখনও পর্যন্ত মোটামুটি খুব একটা কম নেই। রবিবার ছুটির দিনের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাত্, করোনার উপসর্গ এখনও বহু মানুষের শরীরে দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। যদিও পজিটিভিটি রেট এদিনও ছিল বেশ কম, ৪.৭৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত কদিন ধরেই পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) রয়েছে ৫ শতাংশের নিচে। ফলে সংক্রমণ চিত্রে ধীরে হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যান (Covid-19) উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে দু'দিনের করোনা গ্রাফে (Coronavirus) সাময়িক স্বস্তি মিললেও এখনও ভয় কাটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও মৃত্যুসংখ্যা (Death) সামান্য নিম্নমুখী। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ০৯২ জন। যা শনিবার ছিল ১৫ হাজার ৮১৫ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। শনিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৬৮। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ০৩৭ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৬ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৬১। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ০৯ হাজার ৫৬৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৫৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৮ লক্ষের বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
শনিবার রাজ্যের করোনা-চিত্রে তেমন কোনও পরিবর্তন এল না। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত (Corona New Cases) এবং মৃতের সংখ্যা (Death) ছিল যথাক্রমে ৪৭২ এবং ৩। শনিবার এই দুটি সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৪৬১ এবং ৩। অর্থাত্, আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। কিন্তু মৃত্যুসংখ্যা একই রয়েছে। অবশ্য, কদিন আগেও রাজ্যে করোনায় ৪-৫ জনের মৃত্যুর খবর আসছিল। সেই হিসাবে মৃত্যুসংখ্যা নিম্নমুখী। তবে এতে স্বস্তির জায়গা নেই। কারণ, করোনায় একজনেরও মৃত্যু কাঙ্খিত নয়। বরাবরই বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, মৃত্যুসংখ্যাকে শূন্যে নামিয়ে আনাটাই রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে রাজ্য কতখানি সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
যদিও করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বাইরের রাজ্যের দিকে তাকালে দেখা যাবে, করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি রাজ্য ফের মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দিল্লি। সেখানে জনবহুল স্থানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এর জন্য সেখানে বেশ কয়েকটি বিশেষ বাহিনীও গঠন করা হয়েছে। ফলে এমন দিন যাতে না আসে, তার জন্য কিছুটা নজরদারি এবং কড়া পদক্ষেপ দরকার বলেই অনেকে মনে করছেন।
করোনায় এবারের চিত্রে সবচেয়ে আশার দিকটি হল, সুস্থতার সংখ্যা (Recovery) বরাবরই বেশি থাকছে। যার জেরেই সক্রিয় আক্রান্তের (Active Cases) সংখ্যা ধাপে ধাপে অনেকটা কমে এসেছে। যেমন এদিন সেই সংখ্যা ছিল ৫৮৮৪। এর মধ্যে ৫৭০০ জনই হোম আইসোলেশন, অর্থাত্ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাকি মাত্র ১৮৪ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
আরও একটি আশার বিষয় হল, পজিটিভিটি রেটও (Positivity Rate) নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে, এদিন যা ছিল ৪.১১ শতাংশ।