Breaking News
Mamata: রব্বানীকে সরিয়ে সংখ্যালঘু দফতর খোদ নিজের হাতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী      Boxing: মেরিকমের কৃতিত্ব ছুঁয়ে ভারতকে তৃতীয়বারের মত সোনা দিলেন নিখাত জারিন      DA: ডিএ-র দাবিতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে সমর্থন, নবান্ন থেকে বদলি ১০ কর্মী      Anubrata: 'প্রভাবশালী' বলেই জেলে থেকেও জেলা সভাপতি কেষ্ট !      Rahul: সাংসদ পদ খোয়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজ্ঞপ্তি লোকসভার      Rahul: সুরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত রাহুল গান্ধী, দু'বছরের জেল সাংসদের      Mamata: ওড়িয়াতে কহন্তি, লেকিন হামারা ভুল-ভাল হো জায়েগা: মমতা      Film: কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় অয়নের ছবিতে ঋত্বিক-সোহিনী, বিতর্কে কী প্রতিক্রিয়া?      ISL: ফাইনাল খেলার ভোরে স্বপ্ন দেখলাম মোহনবাগান জিতেই গিয়েছে: মমতা      Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?     

Corona

Covid19: বাড়ছে উদ্বেগ, দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ, স্বস্তি কেবল মৃত্যু সংখ্যাতে

ফের করোনার (Coronavirus) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশজুড়ে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৮৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩৩। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হল, করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন বৃদ্ধি পেলেও মৃতের সংখ্যা খুবই কম। তবুও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছিল, শুক্রবার দেশে কোভিডে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এবারে কোভিড সংক্রমণ যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অতিমারীর কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য মহড়ার আয়োজন  করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসের ১০ এবং ১১ তারিখে হাসপাতালগুলির মহড়ার দিন নির্দিষ্ট হয়েছে।

শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর রাজীব বহলের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যগুলিকে কোভিডের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আর সেই নির্দেশিকাতেই হাসপাতালে মহড়া আয়োজনের কথাও জানানো হয়।

আরও জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি করোনার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও মক ড্রিল করা হবে। আবার শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, তা-ও যাচাই করে দেখা হবে ১০ ও ১১ এপ্রিল। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, হাসপাতালের বেড, আইসিইউ, অক্সিজেন পরিষেবার মতো খুঁটিনাটি বিষয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে নেওয়া হবে।

শনিবারই জানা গিয়েছিল, দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১৫০০ ছাড়িয়েছে। সঙ্গে করোনায় মৃত্যুও হয়েছে। দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই দৈনিক করোনা সংক্রমণও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে কোভিড।

2 days ago
Covid19: ফের কি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা, দেশে ৫ মাসে সর্বাধিক দৈনিক আক্রান্ত

করোনা আক্রান্তর সংখ্যা-বৃদ্ধি অব্যাহত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৯০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত ১৪৬ দিনে সবথেকে বেশি। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৬০১ জন। একদিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২-এর দাপট তো রয়েছেই, অন্যদিকে এখন করোনা আক্রান্তর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে করোনা (Corona)।

শনিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে মোট কোভিড মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮২৪। শুক্রবারই ছয় জনের করোনায় মৃতের খবর এসেছে, এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৩, কর্ণাটক, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে ১ জন করে মারা গিয়েছেন করোনায়। বর্তমানে প্রতিদিন পজিটিভিটি রেট ১.৩৩ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.২৩ শতাংশ। শুক্রবার আক্রান্তর সংখ্যা দিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২ হাজার ২৫৭।

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ২২০.৬৫ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। মাঝে করোনার প্রকোপ কিছু কমলেও ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনা থেকে বাঁচতে এখনও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

3 days ago
Covid: দৈনিক পজিটিভিটি রেট একের উপরে, একদিনে হাজার ছাড়াল আক্রান্ত

ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। দৈনিক সংক্রমণ ফের নতুন করে বেড়ে চলেছে। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০০০-এর বেশি করোনা আক্রান্তর সংখ্যা জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বুধবার দেশে মোট ১ হাজার ১৩৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে করানো সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে প্রতিদিনের পজিটিভিটি রেট দাঁড়াল ১.০৯ শতাংশ ও সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ০.৯৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন, সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন ও রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৭২, শনিবারে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩৮। আর এবার দেশে আক্রান্তর সংখ্যা ১০০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। ফলে এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত। দেশজুড়ে যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৩এন২ ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে, তার মধ্যেই করোনা আক্রান্তর সংখ্যা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, রাজধানীতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৫২৪ জন। সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা ২০৯। তবে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তর সংখ্যা মাত্র ১৭, বেশিরভাগই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। ফলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও এর দাপট সেই আগের মত নেই। তাই এই খবরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী।

এই আবহেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, দিল্লি হাসপাতালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তবু এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

6 days ago


Covid 19: ছয় রাজ্য করোনা প্রবণ, এখন থেকেই সতর্ক হতে কেন্দ্রের চিঠি

একদিকে অ্যাডিনো (Adenoviruses), অন্যদিকে H3N2 ভাইরাসের দাপট। তার মধ্যে ফের দেশজুড়ে বাড়ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Virus)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৮৪১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা হিসেব অনুযায়ী, এক মাসের আগের সংক্রমিতের থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি।

পাশাপাশি, সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গুজরাটে কোভিড সংক্রমণের হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। শনিবার সকালের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,৪৬,৯৪,৩৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা মোট সংক্রমণের ০.০১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৮০ শতাংশ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৬১ জন।

দেশের ছয়টি রাজ্যে ইতিমধ্যে কেন্দ্র চিঠি পাঠিয়েছে করোনা সংক্রমণের সতর্কতা হিসেবে। কারণ, কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাট, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।

a week ago
Google: বড়সড় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গুগল-অ্যামাজন, কতটা প্রভাব ভারতীয় বাজারে?

বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তিক্ষেত্রগুলিতে এখন ঘন কালো মেঘ। কিছুদিন আগে ইলন মাস্ক টুইটার (Twitter) থেকে বহু কর্মী ছাটাই করেছেন। এবার সেই পথে হাটছে গুগুল-অ্যামাজন (Google-Amazon)। মূলত গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট থেকে কর্মী ছাঁটাই হবে। যার কোপ কিছুটা হলেও পড়বে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সার্চ ইঞ্জিন প্রযুক্তি সংস্থায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই (Lay Off) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যালফাবেট।

শতাংশের বিচারে সারা বিশ্বে অ্যালফাবেটের মোট কর্মী সংখ্যার ৬%। গুগুলের প্রধান সুন্দর পিচাই এক সংবাদ সংস্থাকে এমন কথা জানান। কিছুদিন আগে মাইক্রোসফটও ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার কথা প্রকাশ্যে এনেছে। এরপরই শোনা গেল গুগুল অ্যালফাবেটের এই কড়া সিদ্ধান্তের কথা।

পাশাপাশি আরও এক দফা কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটবে অ্যামাজনও। এখনও পর্যন্ত অ্যামাজন ১৮ হাজার, মেটা ১১ হাজার, মাইক্রোসফট ১০ হাজার, টুইটার ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। জানা গিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বাজারের স্থবিরতা এবং মন্দাভাবই আন্তর্জাতিক এই সংস্থাগুলোকে কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। ভারতীয় চাকরি বাজারে সেই ছাঁটাইয়ের প্রভাব কতটা পড়বে, সেই উদ্বেগ এখন অর্থনীতিবিদদের মনে।

2 months ago


Covid 19: উদ্বেগজনক নতুন প্রজাতির সংক্রমণ, সতর্ক থাকতে মাস্ক বাধ্যতামূলক এই রাজ্যে

দেশে বেশ কয়েক মাস স্তিমিত ছিল করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus)। হাতেগোনা কয়েক জন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19)। তাই মাস্ক পরা এখন থেকে বাধ্যতামূলক। বাড়ির বাইরে বেরোলেই পরতে হবে মাস্ক, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেরল সরকার (Kerala Government)। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে কি করোনা ফের ভয়ংকর রূপে ফিরতে চলেছে?

কেরল সরকার নির্দেশিকায় বলেছে, করোনার নয়া প্রজাতি এক্সবিবি.১.৫ (ক্র্যাকেন)-এর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিল কেরল সরকার। আপাতত সমস্ত সরকারি জায়গা, কর্মক্ষেত্র এবং জমায়েতের স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল সে রাজ্যের সরকার।

এছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীকে দূরত্ববিধি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে প্রশাসন। স্যানিটাইজার ব্যবহার আগের মতো বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে কেরল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ‘ক্র্যাকেন’-এর সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ২৬ জন এতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ জেনোমিকস কনসর্টিয়াম (ইনসাকগ)’।

এর মধ্যে সোমবার দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। যার মধ্যে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২,১১৯ জন। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অনেকটাই বেশি, ৯৮.৮০ শতাংশ।

2 months ago
Covid: নববর্ষে করোনায় প্রথম মৃত্যু বাংলায়, বেলেঘাটা আইডিতে মৃত ট্যাংরার ব্যক্তি

নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট‍্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।

2 months ago
Corona: করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, বেলেঘাটা আইডি ছাড়ল বিদেশী মহিলাকে! জিন বিন্যাসই এখন ভরসা

দেশে ফের একবার বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। চিনে প্রতিদিন প্রায় দশ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ভারতে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে নজর রেখে একগুতচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

এদিকে, গত ২৬ তারিখ সোমবার, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এক বিদেশিনীকে। ভর্তির দিন থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনই আরটিপিসিআর রিপোর্ট করা হয়। যেখানে তাঁর তৃতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এরপরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই বিদেশী মহিলার শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা, তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরই বোঝা যাবে। সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে সাত দিন বাদে।

উল্লেখ্য, ওই ব্রিটিশ মহিলা কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ওই বিমানে থাকা বাকি যাত্রীদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

3 months ago


Corona: করোনা পরিস্থিতির খবর মিডিয়ায় থাকলেও, আগেভাগে সতর্ক হোক সরকার

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য: একেবারেই খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে নতুন করোনার উৎপাত সম্বন্ধে অবগত হলাম। যদিও অনেকেই বলতে পারেন বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশা। কিন্তু আমি বলবো ধোঁয়াশার উপর ছেড়ে রাখলে হবে না। ২০১৯-এর শেষে যখন আমাদের কাছে খবর এসেছিলো যে বিদেশে নতুন একটি সংক্রমণ এসেছে 'করোনা' আমাদের দেশজ প্রশাসন কিন্তু সতর্ক হয়নি। বরং আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে দিব্বি ঘুরে গেলেন ভারতে। অন্যদিকে তখন ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল এই সংক্রমণ এবং ঘোষিত হয়েছিল এটি মারণ রোগ। দেশ যখন সজাগ হলো তখন অনেকটাই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। সময়টা ২০২০-র মার্চ-এপ্রিল।

সে সময়ে আমি শিলিগুড়ির মেয়রের দায়িত্বে। রাতারাতি প্রচন্ড চাপ এসে পড়ে পুর এলাকায়। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যভিত্তিক লকডাউনে কীভাবে অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে কাজ করতে হয়েছিল তা আজ বেশ মনে পড়ছে। তবে এটাও ঠিক যে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছিলো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে।

মৃত্যু তো কম হয়নি দেশজুড়ে। আমাদের রেড ভলান্টিয়ার্সরা দুর্দান্ত পরিষেবা দিয়েছিল। ওদের কাজ সব থেকে কঠিন ছিল। যাই হোক ২০২২-এ এসে বিশেষ করে শারদ উৎসবের আগেই বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিলাম। কিন্তু ফের কেন করোনার রক্তচক্ষু আসছে? 

রাজ্যের একদা পৌরমন্ত্রী এবং শিলিগুড়ির মেয়র ছিলাম বলে আজকের নতুন প্রজাতি বিএফ-৭-কে উড়িয়ে দিতে পারি না। আমাদের দায়িত্ব থাকছেই। অনেকেই বলছেন চীন থেকে সরবরাহ হচ্ছে এই নতুন বিএফ-৭ র করোনা। আমি বলবো শুধু চীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এখন বিদেশ থেকে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া থেকে যারাই এদেশে বিমান বা অন্যভাবে আসছে তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কাগজেই দেখলাম বিদেশ থেকে আগত কয়েকজনের মধ্যে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ভয়ের বিষয়। কোনও এক সংস্থা আবার বলছে, দেড় মাস লক্ষ্য রাখতে হবে। আমি বলবো বিশেষজ্ঞদের নজর রাখা উচিত। হচ্ছে হবে ইত্যাদি শব্দ কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। সামনে মকর সংক্রান্তিতে লক্ষ মানুষের ভিড় হয় গঙ্গাসাগরে, তাদের জন্য সতর্কতা নিতে হবে। আবার আরও একটি যুদ্ধ, সত্যিই চাইছি না।  (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)


3 months ago
Nabanna: করোনার উপপ্রজাতির শঙ্কা! এয়ারপোর্টে নজরদারি বাড়ানো-সহ গুচ্ছ নির্দেশ মুখ্যসচিবের

চিনে করোনার উপপ্রজাতির (Corona Sub Variant) বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। সেই উদ্বেগের আঁচ এসে পড়েছে নবান্নে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে নবান্নে (Nabanna Meet) ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। মুখ্যসচিবের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিক নির্দেশ গিয়েছে। নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিকেও। এদিনের বৈঠকে ঠিক কী কী নির্দেশিকা জেলা শাসক এবং মেডিক্যাল কলেজের সুপারদের পাঠান মুখ্যসচিব? 

#জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড রোগী ভর্তির জন্য। জেলার হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

#হাসপাতালগুলিতে রাখতে হবে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর।

# প্রথম ধাপে রাজ্যজুড়ে ৩৮১৭টি কোভিড বেড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ।

# করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের কিট যাতে প্রস্তুত থাকে, তাও নজর রাখতে বলা হয়েছে।

# সমস্ত জেলার সিএমওএইচ এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলির প্রিন্সিপাল দেরকে নির্দেশ।

# এখনো পর্যন্ত ২৬ শতাংশ মানুষ গোটা রাজ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। টিকা নিতে অনীহা থাকায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল।

# বুস্টার ডোজের জন্য যাতে টিকা পাঠানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে চিঠি লিখছে স্বাস্থ্য দফতর

# টিকা এলে যাতে সমস্ত জায়গা থেকে তা দেওয়া যায়,তার জন্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতালকে।

# চলতি সপ্তাহে যে যে হাসপাতালে মক ড্রিল হয়েছে,তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

# বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ। 


3 months ago


COVID: ভারতীয় এবং বিদেশী মিলিয়ে দু'দিনে ৩৯ জন সংক্রমিত! চোখ কপালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। চিনে নতুন করে কোভিড ১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু চিন নয়, আমেরিকা,জাপান, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিলেও করোনার কেস বাড়তে শুরু করেছে। ফের করোনার গ্রাফ ঊর্দ্ধগামী হতেই সজাগ হতে শুরু করেছে ভারতও। নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত সরকার। প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে করা হচ্ছে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। আর তাতে করোনোভাইরাস ভারত এবং অন্য দেশের নাগরিক মিলিয়ে ৩৯ জন বিমানযাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র মারফত খবর, চিনে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার পরেই বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। আর তা শুরু হয়েছে মাত্র দু’দিন হয়েছে। আর তাতে মোট ৩৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। 

আগামী বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ইতিমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের নয়া সাবভেরিয়েন্ট বিএফ.৯ ধরা পড়েছে এই দেশেই। ফলে করোনার নতুন রূপ ভারতের জন্য কতটা বিপজ্জন হতে পারে, সেই নিয়ে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। চিকিত্‍সাবিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, জানুয়ারি শেষে ভারতে বাড়তে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

3 months ago
Covid: চিনের এই শহরে প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, দাবি শীর্ষ আধিকারিকের

চিনের (China) করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। জিরো-কোভিড বিধি শেষ হওয়ার পর ফের বৃদ্ধি পেয়েছে চিনের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড গ্রাফ। যদিও চিন সরকার সে কথা মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকার সঠিক তথ্য পরিবেশন করছে না। চিনের একটি শহর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

চিনের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার কিংডাও শহরে এক দিনে ৪ লক্ষ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, সেখানকার করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, ওই শহরের জনসংখ্যা ১ কোটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই শহরের সংক্রমণ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

ফের যেন ২০২০ ও ২০২১ এর ভয়াবহ চিত্র ফিরে এল চিনে। আইসিইউ-তে বেডের আকাল। চারপাশে মানুষের হাহাকার। রোগী সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল পরিস্থিতি হাসপাতালগুলির। শ্মশানগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওষুধের দোকানগুলিতেও মিলছে না প্রয়োজনীয় ওষুধ।

উল্লেখ্য, চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া শনিবারের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৩০ জন। তবে কারও মৃত্যু হয়নি করোনার নয়া সংক্রমণে। জিয়াংজ়ি প্রদেশে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। আগামী মার্চের মধ্যে প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জিয়াংজ়িতে ১৮ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫০০ জন গুরুতর বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

3 months ago
Covid: করোনা নিয়ে চিন্তা নয়,আমরা প্রস্তুত আছি, আবেদন দমকল মন্ত্রীর

সুজিত বসু (দমকলমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার): 

১৯১৯ থেকে ২১ অবধি বিশ্বে স্প্যানিশ ফ্লু-এর উৎপাত ছিল। শুনেছি কয়েক লক্ষ মানুষ ভারতেই মারা গিয়েছিলো। তখন বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না। এরপর ধীরে ধীরে চলে যায় ওই সংক্রমণ। কিন্তু শুনেছি পরবর্তীতে এই ভাইরাস চরিত্র পরিবর্তন করে টাইফয়েড বা সমতুল্য রোগে পরিণত হয়েছিল। আর আজ সেই সংক্রমণ যদি থেকেও থাকে তবে সাধারণ জ্বরে পরিণত হয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন সঠিক। করোনা ভাইরাস কিন্তু যখন চিনে এলো প্রথমে অন্যদেশে সেই খবর চেপে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ধীরে সেই ভাইরাস লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছিল কয়েক কোটি মানুষ। আজ আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে কল্পনা করা যায় না। সম্প্রতি সমস্ত বিদেশি চ্যানেলের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম ফের নাকি নতুন রূপে এই ভাইরাস এসেছে যার নাম বিএফ-৭। তৎপরতা শুরু হয়েছে শীত প্রধান দেশে।

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্য দফতর দেখছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি তো জানিয়েছেন যে আগেই আতঙ্কের কিছু নেই। কিছু হলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত আছে। কিন্তু আমাদেরও দায়িত্ব আছে। সরকার নজরে রাখছে সমস্ত পরিস্থিতি।চিন্তা করবেন না।

গতবারের করোনা আবহে আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিলো। আমি নিজে দু-দুবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার বিধাননগর এলাকাতে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়েছে। কসমোপলিটন এলাকা। এলাকায় উচ্চবিত্ত মানুষ যেমন আছে তেমন খেতে খাওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে দায়িত্ব ছিল অনেক। আমরা এলাকায় এলাকায় চাল ডাল সবজি ডিম্ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। 

৯ মাস ভিআইপি রোডে অভাবী মানুষের দু'বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। যাদের বাড়িতে বাজার করার লোক নেই, তিনি যিনিই হন বাড়িতে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিয়েছি ড্ৰাই ফুডের প্যাকেট। আক্রান্ত রোগীদের যথাযোগ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একটা কমিটি গড়েছিলাম 'স্পর্শ', যারা কাজ করেছে। প্রতিটি পুজো কমিটির মাধ্যমে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আবেদনে তারা সাড়া দিয়েছেন।

এরপরেও করোনার প্রভাব ছিল। তবে নিশ্চিত শক্তিহীন। তাই ফের বলতে চাই, ভয় পাবেন না আমরা দায়িত্বে আছি সারা বাংলায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে।রাজ্য প্রশাসন থেকে যে ঘোষণা হবে তা পালন করতে হবে। শুনছি এখনই কেন্দ্রীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানিনা এতো তাড়াহুড়ো কেন? তাই আতঙ্কে থাকবেন না আমরা আছি। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

3 months ago


Modi: চিনে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার উপপ্রজাতি, দেশ বাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

চিনে ওমিক্রনের (Omicron Variant) উপপ্রজাতির হানায় বিপাকে জিংপিং সরকার (Xingping Government)। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কের করোনা আবার ফিরছে! করোনার নতুন উপরূপ ‘BF.7’-র দাপাদাপিতে তৎপর কেন্দ্র (Modi Government)। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী  মোদী। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী কয়েকটা দিন উৎসবের মরশুম দেশজুড়ে। কিন্তু নতুন প্রজাতি যে ভাবে চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতেও আবার মাস্ক পরার মতো কোভিডবিধি বাধ্যতামূলক হবে কি? চিন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দাপট দেখাচ্ছে সংক্রমণ।

এদিকে, করোনায় পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে বার্তাও মোদী দিয়েছেন। পাশাপাশি উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়েছে কেন্দ্র।

3 months ago
Corona: চিনে ছড়ানো করোনার প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কে নয়, সজাগ থাকুন

ড.মানস ভূইঁয়া ( মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার) ঃ

রাজনীতি ও প্রশাসনের কাজে ব্যস্ত থাকলেও চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি হয়। তাই বাধ্য হয়েই কলম ধরলাম। দিব্বি চলছিল পৃথিবী তার নিজের গতিতে। পুজো উৎসব (Festive) শেষে এবার ডিসেম্বর। সরকারি স্কুলগুলির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার খুদে পড়ুয়ারা কোথাও বেড়াতে যাবে কিংবা হয়তো পিকনিকে যাবে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ কেন ফের করোনার (Corona) ঝংকার?

খবরটি নজরে এলো মঙ্গলবার রাতেই। আমেরিকার একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতিনিধি এরিক ফাইসন-ডিং জানিয়েছেন যে চিনে নাকি প্রবল ভাবে করোনার নতুন রূপ 'বিএফ ৭' এসেছে, ভাবনার বিষয়। বারবার ওদেশেই এই সমস্ত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে এবং কোথাও বড্ড দেরিতে আমরা জানতে পারছি। যদিও আজ শুনলাম হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই চিনের কাছে সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছে।

এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে করোনা সংক্রামণের ওমিক্রন প্রজাতির নতুন ভাইরাসের যে জন্ম হয়েছে তার নাম 'বিএফ ৭' , যা কিনা চিনে ছড়িয়ে গিয়েছে। এটিতে কয়েক লক্ষ লোক সংক্রামিত হয়েছে বলে খবর।

হু নিশ্চই দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি জানবে এবং প্রয়োজন মতো সতর্ক করবে। ভারতেও এই বার্তা এসেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে তা জানিয়েছে। এ বিষয় দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলায় কয়েক মাসে করোনা এক প্রকার বিদায় নিয়েছে। গত কয়েক দিনে সংক্রামিত হয়নি কেউই।

 তৎপর রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো। কিন্তু আমরা তবু হাত পা গুটিয়ে বসেনেই|। একজন জন প্রতিনিধি এবং চিকিৎসক হিসাবে বলবো:

১) ফের মাস্ক পরা শুরু করুন

২) হাত পা পরিষ্কার করুন, স্যানেটাইজ করুন

 ৩) শীতের সময়,অলসতা চলবে না 

৪) হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না, জল বহন করুন বাইরে গেলে

৫) ভিড় বাড়াবেন না

৬) বাড়ির বাচ্চাদের সতর্ক রাখুন

৭) সর্দি/কাশি/জ্বর হলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসালয়ের সাথে যোগাযোগ করুন। 

সামনে অবশ্য পৌষ সংক্রান্তি এবং গঙ্গা সাগরের পথে অনেকেই যাবেন। নিশ্চিন্তে থাকুন সমস্ত সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে।  সর্বোপরি আতঙ্কে নয় সতর্ক থাকুন। আতঙ্ক ছড়াবেন না।

আজকের এই করোনার প্রভাব কিন্তু অনেকটাই ম্রিয়মান। যেকোনও রোগ যখন প্রথম আসে তা হয়তো মারণ রোগ হিসাবে পরিগণিত হয়, তা স্প্যানিশ ফ্লু, স্মল পক্স বা যাই হোক না কেন তা পরবর্তীতে শক্তি হারিয়ে নিয়মিত রোগে পরিণত হয় বলেই দেখা গিয়েছে। তাই ভয় পাওয়ার মতো এখনও কিছু নেই। শেষে বলছি, কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে দায়িত্ব বন্টন করুন আমাদের। আমরা চিকিৎসকরা আছি জনতার সাথেই। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)

3 months ago