সাতসকালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক পুলিস কনস্টেবলের। গুরুতর আহত আরও এক পুলিস কর্মী। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ির চালক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিস কর্মীর নাম সৌভিক সাও এবং জখম পুলিসকর্মীর নাম তপন দাস। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তপন দাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরবেলায় সৌভিক সাও ও তাঁর সহকর্মী তপন দাস বাইকে করে ইসলামপুর থানায় ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টোদিক থেকে একটি পিকআপ ভ্য়ান এসে ধাক্কা মারে। পিকআপ ভ্য়ানের ধাক্কায় বাইক থেকে দুজনই ছিটকে পড়েন। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় ইসলামপুর হাসপাতালে। হেলমেট না থাকায় মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় মৃত্য়ু হয় সৌভিক সাও এর। আহত তপন দাসকে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস।
কলকাতা পুলিসের কনস্টেবলের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ওই পুলিসকর্মী। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার পর্ণশ্রী থানা এলাকা। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিস কর্মীর নাম পুলক ব্যাপারী। কলকাতা পুলিসের ওয়ারলেস ব্রাঞ্চে কর্মরত। পর্ণশ্রী এলাকায় পুলক ব্যাপারী তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, গত তিন মাস আগে এই এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেশীর মতে পুলক ব্যপারীর পরিবারে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখেননি তাঁরা।
ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানার চেষ্টা করছে পারিবারিক অশান্তি নাকি মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিস কনস্টেবল।
এবারে খাদ্যভবনে চলল গুলি। সোমবার বড়দিনের উৎসবের রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খাদ্যভবনে কর্মরত পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ব্যারাকে থাকতেন তপন পাল। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যখন সবাই উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়েছেন, ঠিক তখনই হাইকোর্টের ডিউটির জন্য বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। জানা যায়, সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মহত্যা করেন তিনি। গুলি লাগে বুকে। শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে।
সূত্রের খবর, রিজার্ভ ফোর্সের ওই পুলিসকর্মীর নাম তপন দাস। বড়দিনের সন্ধ্যায় হাইকোর্টের ডিউটিতে বেরোচ্ছিলেন তপন পাল। সেই সময় নিজের সার্ভিস গান দিয়েই আত্মঘাতী হন তিনি। নিজেই নিজেকে গুলি করেন, সেই গুলি এসে লাগে তাঁর বুকে। ঘটনার পর সহকর্মীরা তাঁকে কলকাতা পুলিস হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানা যাচ্ছে, তপন পাল হরিণঘাটা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুবর্ণপুরের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ভুগছিলেন স্নায়ু রোগে। এছাড়াও বহু দিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও জানা যায় সূত্র মারফত। ৫৩ বছর বয়সী তপন পালের এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার। শোকের ছায়া গোটা পরিবারে।
লোকাল ট্রেনের মধ্য়ে চলল গুলি। আচমকা গুলির আওয়াজে আতঙ্কে কেঁপে উঠল ট্রেনে থাকা সকল যাত্রী। সূত্রের খবর, নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন জিআরপির এক কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার রাতে ব্য়ান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেনে পালসিট রেল স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ। বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড় এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান জিআরপিতে পোস্টিং ছিল শুভঙ্কর সাধুখাঁ নামে ওই কনস্টেবলের। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হাওড়া-বর্ধমান আপ লোকালের মহিলা কামড়ায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। শীতের জন্য় যাত্রী বেশি না থাকায় রাতের ট্রেনগুলি বেশ ফাঁকাই থাকে। এরপর পালসিট স্টেশনের কাছে ট্রেনের মধ্যে হঠাৎ নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। গুলির শব্দ পেয়ে ভয়ে আঁতকে ওঠে সকল মহিলা যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থামিয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে। পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে বর্ধমান জিআরপি তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দ্রুতই ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে কি তবে হাসি ফুটবে?
স্পেন সফর সেরে ফেরার পর পায়ে আঘাতের কারণে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের বদলে তাঁর বাড়ি থেকেই সারছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় মন্ত্রীসভার বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১২ হাজার পুলিস কনস্টেবল, যার মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ ৩৬০০ মহিলা নিয়োগ করা হবে। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে এবার প্রকাশও করা হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই সূত্রের খবর। আবার পাশাপাশি অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।
এর আগেও নবান্ন থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যা এখনও প্রতিশ্রুতি হয়ে রয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে ফের একবার প্রতিশ্রুতি, যা কী সত্যিই হাসি ফোটাবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে, নাকি অন্যান্য বারের মত দুস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।
৪ বছর পর জট কাটলো কনস্টেবল নিয়োগে। রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগের মামলায় স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। সেই তালিকা খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। এবং নির্দেশে বলা হয় যারা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে চার সপ্তাহের মধ্যে।
সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ যাদের নতুন তালিকা বানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাদের লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর থাকলেও ইন্টারভিউতে দেখা যায় প্রচুর নম্বর পেয়েছে তারা। ইন্টারভিউতে গিয়ে তাদের দক্ষতা হটাৎ করে কি ভাবে বেড়ে যায় সেই দিকটি ক্ষতিয়ে না দেখে ট্রাইব্যুনাল পুরো তালিকাই খারিজ করার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ।
রাজ্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মত নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয় নতুন তালিকায়। পাশাপাশি আরও ২১৭ জন চাকরিতে যোগদিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলে জানান রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত কিছু ক্ষতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
এদিন প্রধান বিচারপতির টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছেন ২০২১ সালের ২৬ মার্চ যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ফলে যেহেতু নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল তাই সিনিয়োরিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি যে ১৭০ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছিল রাজ্য তাদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র চাকরিতে নিযুক্ত করতে সুপারিশ হাইকোর্টের।
চলন্ত ট্রেনে মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ। অভিযুক্তকে এনকাউন্টার (Encounter) করে নিকেশ করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিস (Police)। অভিযুক্তের দুই সঙ্গী এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে অগাস্ট সরযূ এক্সপ্রেসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছিল ওই মহিলা পুলিস কর্মীর দেহ। গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েই এনকাউন্টার করে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম আনিস। শুক্রবার সকালে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আনিস ও তার দুই সঙ্গী। পুলিসের গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আনিস। পরে তার মৃত্যু হয়। আনিসের দুই সঙ্গী আজাদ খান ও বিশ্বম্ভর দয়ালও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্মী রতন শর্মাও আহত হয়েছেন এনকাউন্টার চলাকালীন।
প্রসঙ্গত, ৩০ অগাস্ট অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা কনস্টেবলকে। ধারা্লো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মুখ কোপানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মারধর করে ভেঙে দেওয়া হয় মাথার খুলিও। গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা তোলা হোক কিংবা পয়সার বিনিময়ে বাজি কারখানাকে আড়াল করা। সর্বক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধেই। সেজন্যই বারবার জনরোষের টার্গেট পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এবার বোলপুরে ধরা পড়ল আরও বড় অভিযোগ। সেখানে আবার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে পুলিশের হাতে হাতকড়া পড়েছে।
সূত্রের খবর, সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে শনিবার বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশ। কেন? অভিযোগ, বেআইনি পথে দেদার কামাই করেছেন এই কনস্টেবল। ধৃত কনস্টেবল রামপুরহাট থানায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে কাজ করেছেন। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের অগাস্টে মনোজিত্ বাগীশের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরই কোটিপতি কনস্টেবলের উপর গোয়েন্দাদের নজর। কারণ, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মনোজিতের ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। জীবনবিমা ১০ লক্ষের। ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় বান্ধবীকে দিয়েছেন গাড়ি উপহার। গোয়েন্দাদের নজরে কনস্টেবলের জমি ও সোনাও।
একজন কনস্টেবলের এত পয়সার উত্স কী? পৈতৃক সম্পত্তি? না কি সবটাই কালো টাকার খেল? অভিযুক্ত কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে হেফাজতে নিয়ে তারই খোঁজ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
সীমা হায়দারের (Seema Haider) ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করার মামলায় এবারে দুই কনস্টেবলকে (Constable) সাসপেন্ড করা হল। পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন সীমা হায়দার। তিনি দাবি করেন, প্রেমিক সচিনের ভালোবাসার টানে তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে ভারতে এসেছেন ও সারাজীবন এখানেই থাকতে চান। কিন্তু তিনি ভারত-নেপাল সীমান্তে সঠিক পরিচয়পত্র না দিয়েই বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছেন, সূত্রের খবর। আর সেদিন সেখানে তাঁদের পরিচয়পত্র ঠিক মতো না দেখার অভিযোগ উঠেছে দুই এসএসবি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাই সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর দুই আধিকারিককে কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ১৩ মে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে আসেন সীমা ও তাঁর চার সন্তান। এসএসবি সূত্রে খবর, নেপাল থেকে উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত জেলা সিদ্ধার্থনগর হয়ে অনেক গাড়ি ঢোকে। আর সেদিনও এই রাস্তা দিয়েই এসেছিলেন সীমা। আর সেখানকার গাড়িগুলোর দায়িত্বে ছিলেন সুজিত কুমার বর্মা ও চন্দ্রকমল কলিতা। কিন্তু সেদিন তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি বলে অভিযোগ। কেন তাঁদের পরিচয় ঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল এসএসবি। তাঁদের সাসপেন্ডের সময় ২ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে।
ফের সাত সকালে পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Death)। এবার পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক পুলিস কনস্টেবল (Police constable)। মৃত পুলিসকর্মীর নাম শিশির মণ্ডল। তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় কর্মরত ছিলেন। বালির লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালবেলা কনস্টেবল শিশির মণ্ডল বেহালা চৌরাস্তা থেকে ডিউটি করে ঠাকুরপুকুর থানায় ফিরছিললেন। সে সময় ঠাকুরপুকুর থানার সামনে আচমকা একটি বালির লরি তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তখন শিশির বাইকে ছিলেন। এর ফলে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তখন বালির লরির চাকা কনস্টেবলের গায়ে উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। তড়িঘড়ি বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘাতক লরিকে আটক করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। যদিও চালক ও খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, একের পর এক শহরের বুকে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রত্যকদিনই কোথাও না কোথাও পথদুর্ঘটনা, মৃত্যু, এসব খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরবাসীর মধ্যে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান নিত্যযাত্রীরা।
লেডি কনস্টেবলকে (Lady Constable) ধর্ষণের অভিযোগ বিএসএফ-র (BSF) এক ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার (Nadia Incident) কৃষ্ণগঞ্জের টুঙ্গি আউটপোস্টে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে। নির্যাতিতা ওই বিএসএফ-র লেডি কনস্টেবল কলকাতার একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। সেখান থেকে তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, সেই অভিযোগের কপি কৃষ্ণগঞ্জ থানায় আসার কথা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ইনস্পেক্টরকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিএসএফ-র পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গোপন জবানবন্দি দিতে আনা হয়েছে নির্যাতিত বিএসএফ কর্মীকে কৃষ্ণনগর জেলা দায়রা আদালতে।
এই প্রসঙ্গে বিএসএফ-র এক কর্তা জানান, তদন্ত কমিটি গড়ে বিষয়টির অনুসন্ধান চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিএসএফ।
ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে হেড কনস্টেবল খুনে সন্দেহের তির মাওবাদীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় পুলিশের হেড কনস্টেবল মণিরাম ভেট্টিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় ৪ জন। সোমবার বীজপুরের বেলচর গ্রামের এই ঘটনার শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, মণিরাম ভেট্টি ছুটিতে ছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন এক আত্মীয়র বাড়ি। মণিরামকে রবিবার মধ্যরাত ২টো নাগাদ ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় ৪ জন। পরে দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছেই। দেহে একাধিক ক্ষত মিলেছে।
সূত্রের খবর, মণিরাম থাকতেন গেদাম এলাকায় কিন্তু নিযুক্ত ছিলেন দান্তেওয়াড়ায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন মাওবাদীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাওবাদী পোস্টার বা পত্রিকা মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিস।
রক্ষকই যখন ভক্ষক! খোয়া গিয়েছে এক ব্যবসায়ীর টাকা ও মোটর সাইকেল, অভিযোগ জানাতে গিয়ে তাঁকেই বেধড়ক মারধর পুলিসের (police)। রক্ষকের হাতেই জখম ব্যবসায়ী। অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে থানাতেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকি মেরে দুটি লাঠিও ভাঙা হয়েছে। এমনই নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকল ফাঁসিদেওয়াবাসী (Phansidewa)। কিন্তু কেন এই নির্মম অত্যাচার (torture)?
জানা যায়, ওই লেপ ব্যবসায়ী (businessman) মহম্মদ রহমান গ্রামে ঘুরে ঘুরে লেপ তৈরি করার কাজ করেন। যেহেতু পরিচিতির মধ্যেই তাই গ্রামে বেশ কিছু মানুষদের নতুন লেপ ধারে বানিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে সেই লেপের টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিন তিনি। এরপর গ্রামেরই বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ওই লেপ ব্যবসায়ের মোটর সাইকেল ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সেই অভিযোগ ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিতভাবে জানানোর জন্য লেপ ব্যবসায়ী এলে রীতিমতো তাঁকে এক অফিসারের নির্দেশে বেশ কয়েকজন কনস্টেবল (Constable) ও সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) মারধর করেন।
লেপ ব্যবসায়ীর বক্তব্য, বিনা কারণে পুলিস কেন তাঁকে মারল, তার জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে যদি এই মারধর করা হয়, তাহলে সাধারণ জনগণ কেন আসবে পুলিসের সাহায্য নিতে? তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে যারা যারা মারধর করেছেন, প্রত্যকের বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ জানাবেন। কেন তাঁকে বিনা কারণেই মারধর করা হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
মৌলালি এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে পুলিস পরিচয় দিয়ে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল দেবাশিস দাস। ধৃত দেবাশিষ দাস কলকাতা পুলিসের ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। গত জুনে অপহরণ করে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে আগে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মরত এক কনস্টেবল-সহ ৬ জন গ্রেফতার হয়েছিল।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই দেবাশিসের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। কাল রাতে অভিযান চালিয়ে সল্টলেকে থেকে কনস্টেবল দেবাশিষ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের থেকে এক লক্ষ টাকার বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজত হয়েছে।
হস্টেলের খাবার পছন্দ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু পুলিসের মেসের (Police Mess) খাবার (Food) পছন্দ হয়নি বলে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন এক পুলিস কনস্টেবল, এমন দৃশ্য দেখেছেন কখনও।
উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি মানুষজন। আর এমন বিরল দৃশ্য দেখতে রাস্তায় রীতিমতো ভিড়ও জমে গেল।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগটা ঠিক কী? যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনস্টেবল মনোজ কুমার হাতে থালা নিয়ে রাস্তায়। থালায় রয়েছে রুটি, ডাল এবং ভাত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন এক সিনিয়র অফিসার। তাঁকে বলে-বুঝিয়ে থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মনোজ কুমার বলেই যেতে থাকেন, এই খাবার কি মানুষে খায়? এটা পশুদেরও মুখে উঠবে না। রুটি ভালো করে সেঁকা হয় না। আর ডাল মানে তো জল। তাঁর আরও অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, এসব করলে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হবে, এমন হুমকিও নাকি শুনতে হয়েছে।
मैस के खाने की गुणवत्ता से सम्बन्धित शिकायती ट्वीट प्रकरण में खाने की गुणवत्ता सम्बन्धी जांच सीओ सिटी कर रहे है।
— Firozabad Police (@firozabadpolice) August 10, 2022
उल्लेखनीय है कि उक्त शिकायतकर्ता आरक्षी को आदतन अनुशासनहीनता, गैरहाजिरी व लापरवाही से सम्बन्धित 15 दण्ड विगत वर्षो में दिये गये है । @Uppolice @dgpup @adgzoneagra
মনোজ কুমারের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পুলিসকর্মীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডিউটি করার পর তাঁদের ভাগ্যে জোটে এমনই সব অখাদ্য। ভালো খাবার না পেলে আমরা কাজ করব কীভাবে? প্রশ্ন মনোজ কুমারের।
পরে ফিরোজাবাদ পুলিস একটি ট্যুইটে এই ঘটনার ব্যাপারে জানায়, ওই কনস্টেবল এর আগে নয় নয় করে ১৫ বার এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। এবারের ঘটনা নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।