
রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা তোলা হোক কিংবা পয়সার বিনিময়ে বাজি কারখানাকে আড়াল করা। সর্বক্ষেত্রে জনসাধারণের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধেই। সেজন্যই বারবার জনরোষের টার্গেট পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এবার বোলপুরে ধরা পড়ল আরও বড় অভিযোগ। সেখানে আবার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে পুলিশের হাতে হাতকড়া পড়েছে।
সূত্রের খবর, সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে শনিবার বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশ। কেন? অভিযোগ, বেআইনি পথে দেদার কামাই করেছেন এই কনস্টেবল। ধৃত কনস্টেবল রামপুরহাট থানায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে কাজ করেছেন। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
সূত্রের খবর, ২০২২ সালের অগাস্টে মনোজিত্ বাগীশের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরই কোটিপতি কনস্টেবলের উপর গোয়েন্দাদের নজর। কারণ, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। পুলিশ সূত্রের খবর, মনোজিতের ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। জীবনবিমা ১০ লক্ষের। ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় বান্ধবীকে দিয়েছেন গাড়ি উপহার। গোয়েন্দাদের নজরে কনস্টেবলের জমি ও সোনাও।
একজন কনস্টেবলের এত পয়সার উত্স কী? পৈতৃক সম্পত্তি? না কি সবটাই কালো টাকার খেল? অভিযুক্ত কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে হেফাজতে নিয়ে তারই খোঁজ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।