Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Conjunctivitis

Teacher: কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে প্রাইমারি শিক্ষক, শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।

সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।

সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।

একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক। 

8 months ago
Conjunctivitis: কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন? মেনে চলুন এই ঘরোয়া উপায়গুলো

তীব্র দাবদাহের পর বর্ষার আগমনে দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। আর যেই রোগ সারা দেশজুড়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হল কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি চোখের রোগ, যা বিশেষত ভাইরাসের সংক্রমণেই হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই কম বেশি এখন এই সংক্রমণ হচ্ছে। ফলে এবারে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরোয়া কিছু উপায়েও (Home Remedy) কমানো যেতে পারে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যা।

লবণ জল: এক লিটার জলে এক চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে এরপর সেই জল ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই জলে এক কাপড় ডুবিয়ে তারপর সেই কাপড় দিয়ে চোখের পাশে মুছে ফেলতে হবে। এতে চোখের পাতায় লেগে থাকা নোংরা পরিস্কার হবে।

গ্রিন টি ব্যাগ: চোখের জ্বালা ও চোখ ফোলা কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। টি ব্যাগকে ঠান্ডা করে এটি চোখের উপর রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

মধু: চোখের বিভিন্ন ইনফেকশন রুখতে মধু খুবই উপকারী। এক কাপ জলে দু'ফোটা মধু মিশিয়ে তা ভালো করে গরম করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ ঠান্ডা করে চোখে এক-দু ফোটা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই সব ঘরোয়া উপায় মেনে চলার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

9 months ago
Conjunctivitis: কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে কালো চশমা পরা হয় কেন? আদৌ কি সংক্রমণ আটকায়

বর্ষা আসতেই কনজাঙ্কটিভাইটিসের (Conjunctivitis) প্রকোপ শুরু হয়েছে দেশেজুড়ে। চোখের (Eye) খুব সাধারণ একটি অসুখ হল কনজাঙ্কটিভাইটিস। ইংরাজিতে এর অপর নাম  'পিঙ্ক আই ডিসিস' (Pink Eye)৷ এতে চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়। ক্রমাগত জল পড়া, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, জ্বালা করা ইত্যাদি এই রোগের উপসর্গ। আমরা বাঙালিরা একে অবশ্য 'জয়বাংলা' নামেই চিনি। আপনারা প্রত্য়েকেই দেখেছেন, কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে তাঁরা সাধারণত কালো রংয়ের চশমা পড়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি এই চশমা কেন পরা হয়? আর চশমা পরলেই কি আটকে যায় সংক্রমণ?

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কালো চশমা পরার অন্যতম কারণই হল কনজাঙ্কটিভাইটিসের সময় চোখকে সূর্যের আলো, ধুলো-বালি থেকে দূরে রাখা। কারণ কনজাঙ্কটিভাইটিসের রোগীর চোখে সরাসির সূর্যের আলো গেলে তা চোখের আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। ফলে এর জন্যই কালো চশমা পরা হয়। তবে শুধুমাত্র চশমা পরে কিন্তু সংক্রমণ আটকানো যায় না। ফলে সংক্রমণ আটকানোর জন্য নয়, কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীদের চোখে সূর্যালোক, ধুলো-বালি গিয়ে যাতে আর কোনও সমস্যা তৈরি না করে, তার জন্যই এই চশমা পরা।

10 months ago


Conjunctivitis: চোখে চোখ পড়লেই'জয় বাংলা'! কী বলছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ? জেনে নিন

করোনা, ওমিক্রন, মহামারী বিদায় নিলেও, সম্প্রতিকালে গোটা বাংলা কাঁপছে কনজাংটিভাইটিস বা 'জয় বাংলা' রোগে। কি এই জয় বাংলা বা কনজাংটিভাইটিস!  কেনই বা এত বাড়বাড়ন্ত? এই রোগ নিয়ে একটা প্রবাদ চালু আছে বাংলায়, কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর চোখে চোখ পড়লেই নাকি হয়ে যাবে এই রোগ অর্থাৎ 'জয় বাংলা।' তবে কি তা সত্যি? কীভাবে এই রোগের থেকে মুক্তি, খোঁজ নিল সিএন-ডিজিটাল।  

কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার ঘোষের মতে, কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর চোখে চোখ পড়লেই হবে না এই রোগ। তবে কি এই জয় বাংলা! কনজাংটিভাইটিস সাধারণত  'গোলাপী চোখ' বা জয় বাংলা নামে লোকমুখে পরিচিত। কনজাংটিভাইটিস হল একপ্রকার ভাইরাস জনিত সংক্রমণ। বর্তমানে যা ছড়িয়ে পড়েছে প্রতি ঘরে ঘরে। এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে আতঙ্ক। 

বুধবার সিএন-ডিজিটালকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ও  চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, কনজাংটিভাইটিস অর্থাৎ 'জয় বাংলা' সাধারণত একটি ভাইরাস। কোনও ভাবেই সরাসরি কিংবা কোনও মাধ্যমের সংযোগ ছাড়া কনজাংটিভাইটিস রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে না। সেক্ষত্রে তিনি 'কনজাংটিভাইটিস' আক্তান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বলেছেন, ' সতর্ক থাকতে, অন্যের ব্যবহার করা রুমাল, বা বিছানা, কিংবা বালিশ ব্যবহার না করতে।' রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের মতে, 'কনজাংটিভাইটিস' হলে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। অনেকক্ষেত্রে সেখানে ৭ থেকে ১০ দিন অবধিও থাকতে পারে এই সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে এই রোগ এড়াতে বেশ কিছু সতর্ক বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসক মহল। চিকিৎসকদের মতে, অন্যের ব্যবহার করা রুমাল ব্যবহার করা যাবে না, কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত কারোর চোখের সঙ্গে কোনও প্রতক্ষ্য শারীরিক সংযোগ রাখা যাবে না, কিংবা এই রোগে আক্রান্তদের স্পর্শও এড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে 'কনজাংটিভাইটিস' আক্রান্ত রোগী সংক্রমণ এড়াতে চোখে কালো চশমা পড়তে হবে, এ ছাড়া নিজের ব্যবহার করা রুমাল, বা বিছানা অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে বলা হয়েছে।

কি এই 'কনজাংটিভাইটিস' রোগের উপসর্গ! কিংবা কি করে বুঝবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত! এ বিষয়ে চিকিৎসক অসীম কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, হঠাৎ  চোখে লালভাব, চোখের ভিতরে জ্বলন, চোখ কটকট করা, তাকাতে অস্বস্তি, চোখের পাতা ফোলা। এই উপসর্গ গুলি হলেই বুঝবেন আপনি জয় বাংলা, বা কনজাংটিভাইটিস আক্রান্ত। এর থেকে বাঁচার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসক অসীম কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই ধরনের কোনও উপসর্গ এলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে দেখান, প্রয়োজনে সরকারি মেডিকেল কলেজে কিংবা বেসরকারি নার্সিংহোমে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখান। এবং চিকিৎসকের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলুন ও চিকিৎসকের প্রেস্ক্রাইবড আই ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করুন।

10 months ago
Eye Health: বর্ষায় চোখের সংক্রমণ রুখতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি

বর্ষা (Monsoon) আসতেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বর্ষা আসতেই ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পায়। এই সময় যে সংক্রমণ বেশি দেখা যায়, তা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা এই সময়ে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তবে এই সংক্রমণের থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে পারেন, যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো করবেই, এছাড়াও এই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে খাওয়া উচিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যেমন- কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম খেতে হবে। এতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- আখরোট, আমন্ড যা ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই-এ সমৃদ্ধ, যা ডায়েটে রাখা উচিত। এগুলো চোখের উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স বীজে চোখ হাইড্রেট করার উপাদান রয়েছে। আবার ভিটামিন এ ও অন্যান্য জরুরী উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ডায়েটে রাখা উচিত। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকরী।

10 months ago


Conjunctivitis: বর্ষা আসতেই কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন

বর্ষা (Monsoon) আসলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এই ঋতুতে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এর ফলেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণও বাড়তে থাকে। এককথায় বর্ষা মানেই ব্যারটেরিয়া-জীবাণুর আঁতুড়ঘর। ফলে বর্ষা আসতেই ঘরে ঘরে শুরু হয় জ্বর-সর্দি-কাশির উৎপাত। কিন্তু এই সময়ে আরও একটি সংক্রমণ দেখা যায়, সেটা হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis)। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন যা চোখের ক্ষতি করে। ফলে জেনে নিন কোন কোন উপায়ে কনজাংটিভাইটিসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন।

চোখ লাল, জ্বালা, ফুলে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, চোখ ব্যথা ইত্যাদির মতো উপসর্গ দেখা যায় কনজাংটিভাইটিসে। তাই এই ইনফেকশনের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কী কী করবেন জেনে নিন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন-

হাত ধোওয়া: হাত সবসময় ভালো মত সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধোওয়া উচিত। কারণ নোংরা হাত চোখে দিলেই তার থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বারবার চোখ না ধরা: বিনা কারণে নোংরা হাতে কখনও চোখ ধরা উচিত না। এতে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে ও কনজাংটিভাইটিসের মতো ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: সবসময় নিজেদের ব্যবহৃত তোয়ালা, গামছা, চাদর, বিছানার চাদর, বালিশের কভার ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।

দূষণ থেকে দূর: দূষণ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও ধুলোবালি থেকে বাঁচতে চশমা ব্যবহারের জন্য বলা হয়।

এছাড়াও কেউ যদি আগের থেকে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে তাঁর ব্যবহৃত কাপড়, চশমা, তোয়ালা ইত্যাদি জিনিস অন্যদের ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ছোঁয়াচে রোগ, যা রোগীর থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে।

10 months ago
Symptoms: জ্বর-সর্দি-কাশি নয়, এবারে কোভিড রোগীদের মধ্যে দেখা যাবে এই উপসর্গ

দেশজুড়ে করোনার (CoronaVirus) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধির পিছনে নতুন ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16-এই নতুন রূপটিকেই দায়ী করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি কোভিডের নতুন উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কোভিড হলে তীব্র জ্বর, সর্দি-কাশি এইসব উপসর্গ সবার মধ্যে দেখা যেত। এবারে দেখা গিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে মানুষের চোখের উপরেও প্রভাব ফেলছে এই ভাইরাস।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে মূলত কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চোখ জ্বালা, চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া ইত্যাদি। শুধু বড়দের নয়, ছোটদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে কোভিডের এই উপসর্গ। যে কারণে তা চিকিৎসকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট বেশি ছোঁয়াচে, যার জন্য খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থতার কোনও লক্ষণ নেই। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ, এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। করোনার বিভিন্ন নির্দেশিকা যেমন- মাস্ক ব্যবহার করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে।

one year ago