শিক্ষা সম্মেলন হয়ে গেল। কিন্তু অভিযোগ ডাকা হল না রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের। তবে রাজ্যের নিযুক্ত রেজিস্ট্রারদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই সম্মেলনে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের না ডাকার কারণ হিসাবে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা অনুপ্রবেশকারীদের মতো।
এই সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ফের উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। সাফ জানান, সিভি আনন্দ বোস নিযুক্ত উপাচার্যদের বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে একটি বণিকসভার সহায়তায় শুক্রবার একটি শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করেছিল শিক্ষা দফতর। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দেশ-বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
বাংলার সেই চির পরিচিত প্রবাদবাক্য যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল জি ২০-র মঞ্চে। 'যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে'। রাজনৈতিক মঞ্চ, গুরুগম্ভীর আলোচনা হবে, তা বলে সদস্যরা নিজেদের সাজপোশাকে মন দেবেন না, তেমনটা কিন্তু নয় একেবারেই। জি ২০-র মঞ্চে নজর কাড়ল বেশ কয়েকজন সদস্যের ফ্যাশন ট্রেন্ড। সবচেয়ে বেশি করে বলতে হয় ইতালির প্রাইম মিনিস্টার জর্জিনা মেলোনি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইএমএফ চিফ ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কথা।
ইটালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। দুঁদে রাজনীতিবিদ তো বটেই, তবে তিনি একই সঙ্গে মেধা ও সৌন্দর্যের নিখুঁত মেলবন্ধনের উদাহরণ। বিউটি উইথ ব্রেন বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তাই। নীল স্যুটে ক্লাসি লুকে নজর কাড়লেন জর্জিয়া। সঙ্গে কালো হিলস। তাঁর ফ্যাশন সেন্স অবশ্য বরাবরই প্রশংসনীয়।
পড়শি দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাড়িও সকলের নজর কেড়েছে। গোলাপী রঙের ঢাকাই জামদানির সঙ্গে হাসিনা পরেছেন গোলাপী ফুলস্লিভ ব্লাউজ। গলায় সাদা মুক্তোর মালা, হাতে সোনার চুড়ি। জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিল্পীরা নিজের হাতে বানান এই শাড়ি। এই শাড়ি অত্যন্ত দামী তো বটেই, সঙ্গে মিশে থাকে বয়নশিল্পীদের শ্রম, মেধা, ভালোবাসা।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে দারুণ লাগছে। কালো প্যান্টের উপর সবজে শেডের লম্বা জ্যাকেট পরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে কালো জুতো এবং গলায় সোনার চেন। জর্জিয়েভা দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর ভারতীয় শিল্পীদের লোকসঙ্গীতের সঞ্চে নাচ করতে দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি৷ বাজনার তালে তালে পা মেলাতে শুরু করেন নিজেই।
অবশেষে সাংবাদিক সম্মেলনের (Press Conference) সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২২ জুন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একেবারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন ও ভারতীয় দুই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আরও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে এক মার্কিন সাংবাদিক এবং এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এই যৌথ সম্মেলনকে 'বড় বিষয়' বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'হোয়াইট হাউস কৃতজ্ঞ যে সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।'
তিনদিনের সফরে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এটাই তাঁর প্রথম অফিসিয়াল মার্কিন সফর। ফলে এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনোর পরই তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আজ হোয়াইট হাউসে পৌঁছতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান।