মেয়েকে বিএড কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে অনিয়মের খোঁজ। মামলাকারী দেখেছিলেন, কলেজ যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই। রয়েছে অন্যত্র। দেখে সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ করতে গিয়ে এরকম আরও ছয়টি কলেজের সন্ধান পান মামলাকারী। অভিযোগ, কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না নিয়েই ভর্তি নিচ্ছে।
মামলাকারীর আইনজীবী দেবযানী সেনগুপ্তর অভিযোগ, এনসিটিই গাইডলাইন অনুসরণে এইসব কলেজ স্থাপন করা যায়। নিজস্ব বাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকা সেখানে বাধ্যতামূলক। সেগুলি ঠিকঠাক থাকলে তবেই রাজ্য সরকার সেই প্রতিষ্ঠানকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু এই কলেজগুলির ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, এমন অন্তত ১৫ টি কলেজ আছে, যেগুলির অনুমোদনের নবীকরণ পর্ব চলছে এখনও।
সবটা শোনার পর বিচারপতির মন্তব্য, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। সর্বাধিক প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে উল্লেখ করতে হবে, কোন কোন কলেজের অনুমোদন আছে। স্পষ্টত বিচারপতির নির্দেশ, অনুমোদনহীন কলেজে ছাত্র ভর্তি করা যাবে না। আদালতের নির্দেশে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ছয় মাস পর।
ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় বুধবারই তাঁর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়। এবার সিবিআইয়ের দায়ের এফআইআরও খারিজ করে দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আদালত থেকে সংগৃহীত নথি ফেরত দিতে হবে সিবিআইকে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত করার কথা জানার পরেও কি করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস সেই রায়ের কপি সিবিআইকে পাঠালো? বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষায় রিজার্ভ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দুর্নীতির আবহেই ডাক্তারি পরীক্ষায় এমবিবিএস-এর রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু হয়েছিল। এই ঘটনাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরে আবারও মিলেছে জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে নিয়োগের তথ্য প্রমাণ। আর তারপরেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
নতুন বছরের শুরুতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উঠে এসেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। অর্থপেডিক স্নাতকোত্তর বিভাগের ২ ডাক্তারি পড়ুয়া, একই বিভাগের ২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। যার মধ্যে ছিল অশালীন আচরণ, শারীরিক নিগ্রহ, দুর্ব্যবহার এমনকি অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের ভিতরে মারধর, ইলেকট্রিক কেটলি, জলের বোতল দিয়ে মারধর করা ছাড়াও অস্ত্রোপচার কেন্দ্রের সরঞ্জাম দিয়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ। এরপরেই ঘটনাটি লিখিত আকারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে জানান র্যাগিংয়ের শিকার ওই ছাত্ররা। পাশাপাশি এই ঘটনায় ছাত্র সংসদ-এর তরফ থেকেও অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির কাছে।
এরপরেই শুক্রবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের র্যাগিং সংক্রান্ত এনকোয়ারি কমিটির পক্ষ থেকে অধ্যক্ষের অফিসে জমা দেওয়া হলো রিপোর্ট। শনিবার এই রিপোর্ট নিয়েই বৈঠক রয়েছে কলেজ কাউন্সিলের। এছাড়াও, র্যাগিংয়ের ঘটনায় যে অভিযোগ উঠেছিল সে সম্পর্কে সত্যতা জানতে পেরেছে এনকোয়ারি কমিটি, এমনটাই সূত্রের খবর।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
দালাল চক্রের অভিযোগ এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মা বিভাগে। অর্থের বিনিময়ে চলছে সরকারি হাসপাতালের সমস্ত কাজ। টাকা ছাড়া পাওয়া যাবে না কোনও পরিষেবা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অন্য একটি বিভাগ মাতৃ মা। সেটাও এখন দালাল রাজের এক অন্যতম আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাতৃ মায়ের ভিতরে মেয়েদের ছাড়া সকলের প্রবেশ নিষেধ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাতৃ মায়ে কর্মরত ওয়ার্ড বয় ও সহকারীরা রীতিমত টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। আবার কখোনও চিকিৎসার অভাবে গর্ভবতী মায়েদের বাধ্য হয়ে মাতৃ মা ছেড়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু যাদের আর্থিক সংকট তাঁদের এক প্রকার বাধ্য হয়েই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। যার ফলে চিকিৎসার গাফিলতি তে প্রসূতি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ, প্রসূতির আলট্রাসোনোগ্রাফির ছবি তোলা কিংবা বেডে দেওয়ার জন্য ধার্য করা হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি কখনো কখনো চিকিৎসা না করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা নিরুপায় হয়ে তাঁদের কথা মতো টাকা দিয়ে নিজেদের চিকিৎসাটুকু করিয়ে নেয়। আর এভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে দালাল চক্রের রাজত্ব।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালের লেখা রয়েছে চিকিৎসাক্ষেত্রে কাউকে পয়সা দেবেন না অথবা কোনো প্রকার অভিযোগ থাকলে একটি নাম্বারও দেওয়া আছে।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রের থ্রিডি নকশা মেনে তৈরি করতে হবে সেলফি পয়েন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালদের এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মণীশ জোশী। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এর পিছনে ইউজিসির যুক্তি, সেলফি পয়েন্ট ক্যাম্পাসে ভেদাভেদ বন্ধ করতে সাহায্য় করবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মাহাত্ম্য তুলে ধরতে সাহায্য় করবে।
কিন্তু প্রশ্ন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কোথায় হবে সেলফি পয়েন্ট? যদিও নির্দেশিকায় থ্রিডি নকশার মাধ্যমে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই সেলফি পয়েন্ট তৈরি করতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কোনও কোনও সূত্র মারফত খবর, সেলফি জোনের পটভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখতে বলা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ নির্দেশিকায় কোথাও নেই।
আর ইউজিসির এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের। এমনকি মোদীর প্রচারের ক্ষেত্রে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে ইউজিসির মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
শুধু তাই নয়, দেশের তরুণ সমাজকে নিশানা করতেও এহেন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজনৈতিকমহলের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি গ্রান্ট কমিশন অর্থাৎ ইউজিসির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যেভাবে বিতর্ক যেভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে তাতে এহেন নির্দেশ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত সরকার নেয় সেদিকেই নজর সবার।
পুলিসের মারে মৃত্যু হল এক পান ব্যবসায়ীর। এই অভিযোগে মেডিকেল কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জয়েন্ট সিপি রূপেশ কুমার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই দোকানদার ব্যক্তির নাম অশোক সিং। অভিযোগ আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে একটি ঘটনার তদনের জন্য ওই ব্যক্তিকে থানায় ডাকা হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। অভিযোগ এর পর আহত অবস্থায় ওই দোকানদারকে মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল।
সূত্রের খবর, মৃত ওই অশোক সিং একটি মোবাইল কেনে, ২ হাজার টাকার বিনিময়ে, অভিযোগ ওই মোবাইল টি চোরাই মোবাইল ছিল। ওই মোবাইল চুরির তদন্তে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে থানায় ডাকা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ এরপরেই তদন্তের নামে ওই ব্যক্তিকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সিএন। অভিযোগ আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে মেডিকেল কলেজের সামনেই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। যদিও এ ঘটনা সামাল দিতে ঘটনাস্থালে পৌঁচেচেন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। এবারে আগুন লাগল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাবরেটরিতে বিকেল সাড়ে ৫:৩০ টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের চারতলায় এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে আগুন দেখা যায়। আগুন লাগার পরই ফায়ার অ্যালার্ম বাজে ও তারপরই আগুন লাগার কথা জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই সময় সেই বিভাগে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে আগুন লেগেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার পর হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। তবে কীভাবে লাগল এই আগুন, তার তদন্তে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের সরকারি অনুমোদন আপাতত বাতিল। এই কলেজগুলির পুনর্নবীকরণ হবে না বলেও জানিয়ে দিল রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
এই কলেজ চালানোর জন্য কেন্দ্রের নির্দেশিকার নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি আছে। তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে রাজ্যের বিআর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগাম সতর্ক করা হলেও তা মানেনি অধিকাংশ কলেজ। তাই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে। এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ।
রাজ্যে বিএডি প্রশিক্ষণ দেওয়া সরকারি কলেজের সংখ্যা মাত্র ২৪টি। তুলনায় বেসরকারি কলেজের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। প্রায় ৬০০ বেসরকারি কলেজে প্রশিক্ষণ নেন লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী। এই সিদ্ধান্ত অনেকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ। বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মেডিকেল কলেজের ৩ কর্মী সহ মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বর্ধমান থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে শববাহি গাড়িতে করে একাধিক দেহ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় মৃতদেহ সহ গাড়িটিকেও হাতেনাতে ধরা হয়। এরপর খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিস যায় মেডিকেল কলেজে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে তৎপর হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এমনকি মৃতদেহ পাচারের উদ্দেশ্য়ে যাওয়া শববাহি গাড়িটিকে আটক করে পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়। অনুমতি ছাড়ায় মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গ থেকে মৃতদেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক।
যদিও এই মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় যথাযথ প্রমাণ না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কে বা কারা এই মৃতদেহ পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিংবা এর পিছনে বড় কোন পাচারচক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ফের হোস্টেলে পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু। ডাক্তারি পড়তে যাওয়া যে মৃত্যু ডেকে আনবে নার্সিং পড়ুয়ার তা আর কে জানতো? বোলপুরে মৃত্যু হয় হুগলি পুড়শুড়ার বাসিন্দা বছর ২০-র স্নেহা দত্তর। জানা গিয়েছে, ডাক্তারি পড়তে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন স্নেহা। রবিবার খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে প্রথমে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে ও পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। এই রহস্য়মৃত্য়ু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর মুখ থেকে ফেনা বেরোতে শুরু করে তাঁর। মৃতার বাবা জানান, প্রথমে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানায় কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তারপর রবিবার মধ্য়রাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই ছাত্রীর।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকার পরেও কেন সেখানে চিকিৎসা করা হলো না। কেনই বা তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্য়ে। তবে ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃত্য়ুর সঠিক জানতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দালালরাজের দৌরাত্ম্য। খবর সামনে আসতেই রাতারাতি হাসপাতাল জুড়ে পড়ল জাভেদ নামের এক দালালের বিরুদ্ধে পোস্টার। পোস্টারে রয়েছে জাভেদের থেকে সতর্ক থাকার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাওয়ার পরিবর্তে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ার ভয়ে তটস্থ রোগী থেকে রোগীর পরিবার। চিকিৎসা মেলার পরিবর্তে তাঁরা চান না দালালদের পকেট ভারী করতে। চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন অসহায় রোগী ও তার পরিবাররে সদস্যরা। যদিও গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত দালাল জাভেদ। দালালরাজের বাড়বাড়ন্তে শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুললেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম।
তবে হাসপাতালে দালালরাজের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রির সাফ জবাব, এই ঘটনার তদন্তে একটি এনকোয়্যারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, জাভেদ হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী নয়। এজেন্সি মারফত নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী। যদি ভবিষ্যতে হাসপাতালের ওই অস্থায়ী কর্মচারী জাভেদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, কোনও ঘটনা বিশদে না জেনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা য়ায় না। তাই পুলিস এ ব্যাপারে তদন্ত করুক এবং রোগীর পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ হাসপাতালে জমা দেয়, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে হাসপাতাল। আশ্বাস দিলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম প্রধান।
কিছুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ শোনা গিয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের মুখে। দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পারছেন না। আর এবার শাসকদলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং মানসিক চাপ তৈরির অভিযোগ আনলেন কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে চিঠি পাঠালেন তিনি।
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, মনমর্জিমত বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরে থেকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন বহিরাগতদের যাতায়াতের উন্মুক্ত ক্ষেত্র, কোনও অনুশাসন নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, ন্যূনতম শিষ্টাচারও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাতাবরণ কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বহিরাগতদের দাপট এবং শিক্ষাঙ্গনে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ দিনের পর দিন যন্ত্রণার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত কারণেই সরে যেতে চান যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তবে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের গর্ভনিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমারের প্রতিক্রিয়া, অধ্যক্ষ তাকে সরাসরি কিছু জানাননি, তবে তিনি চিঠি পাঠিয়ে থাকলে গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ, উপাচার্য থেকে অধ্যাপকদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ যেন ঘুরিয়েফিরিয়ে একই। প্রশ্ন উঠছে, খোদ অধ্যাপক থেকে উপাচার্যরা যেখানে আতঙ্কিত, সেখানে কিভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা? কেন শিক্ষাঙ্গনে সুপরিচালনার লক্ষ্যে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন? যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ যেন সেই প্রশ্নই আবার তুলে দিল।
বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। বহরমপুরে কলেজছাত্রী খুনে দোষী সাব্যস্থ হওয়া সুশান্তের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। আদালতে এমনই জানালেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী। ফাঁসির আবেদন করা হল। সুশান্তের আইনজীবী আদালতে পাল্টা জানান, তাঁর মক্কেল আবেগের বশে এই কাজ করেছেন। আদালত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হবে।
বহরমপুরের কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। মঙ্গলবার তাঁকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নম্বর ও ২৮এ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
বুধবার সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে। খুন করার ১৫ মাসের মাথায় সুতপা হত্যা কাণ্ডের শুনানিতে মঙ্গলবার বহরমপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর নির্মম মৃত্যুতে তোলপাড় দেশের নাগরিক থেকে মিডিয়া মহল। কি বস্তু এই ৱ্যাগিং? সাদা মাথায় বলা যেতে পারে কারুর উপর মানসিক অত্যাচার বিশেষ করে যুবা মহলে তথা কলেজের হোস্টেলে আসা নব্য ছাত্রছাত্রীদের। নতুনরা ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রাবাসে তাদের বোকা বানানো বা মানসিক চাপ দেওয়াই নাকি এই ৱ্যাগিং। কিন্তু কি ভাবে আসলো এই বস্তুটি, স্বাভাবিক প্রশ্ন।
এটি আদি ইতিহাসের অঙ্গ। আমরা মহাভারতের মতো পৌরাণিক কাহিনীতেও এই ৱ্যাগিং-এর ঘটনা পাই। ঋষি দ্রোণাচার্যের আশ্রমে অবসর হলেই মহা পরাক্রমী ভীম সকলের খাওয়া কখনও খেয়ে নিতেন। আবার কৌরবদের শতপুত্রদের অধিকাংশকে একটু 'হাতের সুখ' করার কাহিনীও জানতে পারি। যাক ওসব আদি ইতিহাস। শোনা যায় ব্রিটিশ আমলে নতুন ছাত্রছাত্রীদের যে কোনও শিক্ষা কেন্দ্রে নানান ভাবে বোকা বানানো বা মানসিক চাপ দেওয়াটা একটা রেওয়াজ ছিল।অবশ্যই কান্ডগুলি করতো সাহেবরা ভারতীয়দের উপরেই। কখনও কখনও মাত্রা ছাড়ানো অত্যাচারও হতো। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রাবাসে এই কান্ডটি হয়ে থাকতো। সারা ভারতেই এই কারবার অলিখিত ভাবে চালু ছিল বিশেষ করে সরকারি কলেজে।
ইঞ্জিয়ারিং কলেজে তো এটা প্রায় বাধ্যতামূলক ছিল। এ ছাড়া যাদবপুর বা জেএনইউ তে এটি নাকি দস্তুর ছিলই। তবে এক সময়ের বিই কলেজে এই ৱ্যাগিং কে বলা হতো বোরিং অর্থাৎ নতুনদের বোকা বানাও কয়েকদিন ধরে। শিবপুরের ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার পার্থপ্রতিম ঘোষ জানালেন যে এখানে শারীরিক অত্যাচারের প্রশ্নই নেই। কয়েকদিন তাদের নিয়ে মজা হতো তারপর হতো গ্রান্ড ফিস্ট। অর্থাৎ পুরোনো ছাত্ররা নতুনদের খাওয়াতো। পার্থবাবু জানালেন, এতে নতুন পুরাতনদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো, একই সাথে একটা লজ্জা ভাব কেটে চনমনে থাকতো নব্যরা। পার্থবাবুর কথায় জটিলতা নেই কিন্তু এটাই সীমারেখা ছাড়িয়ে গিয়েছে বহুবার এবং তার থেকেই স্বপ্নদীপের মৃত্যু।