কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ২ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝাঁ ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিং-কে হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা পাচার নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগামী ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই এদিন হেফাজতে পায় বিনয় মিশ্রকেও। চারদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে বিনয় মিশ্রকে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টরের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন এই প্রথম কোনও সিআইএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হল।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) বড় স্বস্তি পেলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আগামি ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর (Minister Malay Ghatak) বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা তাদের বক্তব্য আদালতকে জানাবে। এই মর্মে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। পাশাপাশি কয়লা পাচার-কাণ্ডে এই মুহূর্তে রাজ্যের মন্ত্রীকে দিল্লি তলব করতে পারবে না কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত বছর কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটকের আসানসোলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তারপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডিও তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এদিকে, ফের একবার ইডি হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি হাজিরা এড়ালেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রার পর মোট তিনবার গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনবারই ইডি হাজিরা এড়ান তিনি। সম্প্রতি বোলপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন সুকন্যা। পেটে যন্ত্রণার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন এমনটাই সূত্রের খবর।
শক্তিগড়ে (Saktigarh) কয়লা (Coal) ব্যবসায়ী খুনে (Dead) পুলিসের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কয়লা ব্যবসায়ী রাজু, ৯০ দশক থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানের খাদানের দায়িত্ব সামলান। শনিবার একটা কলকাতাগামী গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় রাজুর গাড়ির উদ্দেশ্যে। রবিবার সকালে সেই গাড়িটিই শক্তিগড়ের রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, গাড়িটির নম্বর প্লেট ভুয়ো, সড়কপথে কলকাতার দিকে না গিয়ে রেলপথকেই বেছে নিয়েছেন আততায়ীরা। পুলিশের অনুমান, প্রথমে তাঁদের সড়কপথেই কলকাতার দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা পরিকল্পনা বদল করেন। রেল স্টেশনের রাস্তায় গাড়িটি ফেলে রেখে রাজুর আততায়ীরা ট্রেনে উঠে পালিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই নীল গাড়ির মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিস। দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই ধরে ফেলা যাবে বলে তাদের অনুমান।
সূত্রের আরও খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি তলব করেছিল এই রাজু ঝাঁ-কে। ইডির হাজিরার আগেই খুন হলো এই বিজেপি নেতা রাজু, একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে শনিবার রাতে রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কয়েকজন দুষ্কৃতী। রাজুদের গাড়ি সে সময় শক্তিগড়ের আমড়া মোড়ের কাছে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিল। গাড়িতে চালকের আসনে ছিলেন রাজু। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর এক সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী খুনে তুঙ্গে আমরা-ওরা রাজনীতি। শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় রাজু ঝাঁ-কে। মৃত এই রাজু ঝাঁ-কে নিয়ে শনিবার রাতেই টুইট করে দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ' যে কোনো মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক, আমি আগে যখন বিজেপি করতাম, তখন আমার সঙ্গে ওদের মতবিরোধের অন্যতম কারণ ছিল এই রাজু। রাজুকে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাশ বিজয় বর্গীয় বিজেপিতে যোগদান করায়।' যদিও বাবুল সুপ্রিয়ের এই টুইটের জবাবে বিজেপির রাজ্য নেতা তথা দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘এখন বাবুল সুপ্রিয়ের কোনও গুরুত্ব নেই। খবরে আসার জন্যই এই ধরনের টুইট করছেন উনি। আসানসোলের মানুষ জানেন যে, উনি কী ধরনের মানুষ!'
শক্তিগড়ে শুটআউটের ঘটনা, মৃত এক, আশঙ্কাজনক এক। জানা গিয়েছে, কয়লা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দু'জনকেই। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝায়ের। তাঁর সঙ্গী আরও একজন চিকিৎসাধীন। দু'জনকে লক্ষ্য করে প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চলে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের সামনে গাড়ি থেকে ঝালমুড়ি কিনতে নামলেই এই হামলা। পূর্ব বর্ধমানের জনবহুল ল্যাংচা হাব এলাকায় কয়লা ব্যবসায়ীর দিকে এই গুলি চালনার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, দু'জনকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
পূর্ব বর্ধমানের বিশাল পুলিস বাহিনী এলাকায়। আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। হামলার পর কলকাতার দিকে রওয়ানা দেয় দুষ্কৃতীরা বলেই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাঁচের টুকরো এবং রক্ত। পূর্ব বর্ধমানের সীমান্ত এলাকাজুড়ে চলছে পুলিসি তল্লাশি। এই হামলার নেপথ্যে পুরনো শত্রুতা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। খবর গিয়েছে রাজু ঝায়ের পরিবারের কাছে। দুষ্কৃতীর সন্ধানে চলছে পুলিসের নাকা চেকিং।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) বুধবার অর্থাৎ চলতি মাসের ২৯ তারিখ মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি (Ed)। পাশাপাশি তাঁর আপ্ত সহায়কেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, সেই হাজিরা এড়িয়ে যান মলয়ের আপ্ত সহায়ক। আজ অর্থাৎ বুধবার দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরে দিতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছু জায়গায় মন্ত্রী মলয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগসূত্র পেয়েছে ইডি, সে বিষয়েই মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। বেলা ১২ টা বেজে গেলেও এখনও দিল্লির অফিসে দেখা যায়নি মলয়কে। মন্ত্রী মলয় ঘটক কি তাঁর আপ্তসহায়কের মত হাজিরা এড়াবেন! উঠছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি ইডির দিল্লির অফিসে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলীকে। গরু পাচারকাণ্ডে বারবার তাঁর নাম খুঁজে পেয়েছে ইডি। সেইমতো লেনদেনেই কিছু তথ্য পাওয়ায় ইডির তরফে তাঁকে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দিতে বলা হয়েছিল। সেটা এখনও দেননি আইসি মোহাম্মদ আলী। পাশাপাশি একটি পেট্রোল পাম্পের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জেনেছে ইডি।
সূত্রের খবর, যদিও সেই পেট্রোল পাম্পের কথা অস্বীকার করেছে মোহাম্মদ আলী। সোমবারের আগে তাকে একদিন ৯ ঘণ্টা ও একদিন ১২ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডির আধিকারিকরা, সূত্রের খবর, জেরায় সাহায্য করছেন না তিনি। সিউড়ির আইসির থেকে আরও তথ্য জানতে, সোমবার আবারও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
কয়লাকাণ্ডে বীরভূমের এক পুলিস আধিকারিককে ফের তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। মঙ্গলবার শেখ মহম্মদ আলি নামে ওই পুলিস আধিকারিককে ডাকা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে ওই পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআইয়ের সূত্রে খবর। ২৫ শে মার্চ তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও একবার তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। শেখ মহম্মদ বর্তমানে সিউড়ি থানায় আইসি হিসাবে কর্মরত। এর আগে তিনি ছিলেন মহম্মদবাজার থানার ওসি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন থানার দায়িত্বেও ছিলেন। কোটি কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে আবার শেখ মহম্মদকে তলব করেছে সিবিআই।
কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে ইতিমধ্যেই লালাকে চিহ্নিত করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। তাঁর একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। উদ্ধার হয় বহু নথিও। সেই লালা বর্তমানে অবশ্য রয়েছেন শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচে। গরু পাচারের পাশাপাশি কয়লা পাচারকাণ্ডেও অভিযুক্ত বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বর্তমানে তিহার জেলে। তারই মধ্যে কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে নয়া পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। ২৫ মার্চ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব।
উল্লেখ্য, সিবিআই সূত্রে খবর, ওই পুলিসকর্তা ছাড়াও আসানসোল জেলের জেলারকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের আয়করের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
আসামিকে বাড়তি সুবিধে কেন? এই প্রশ্ন তুলে জেল সুপারকে আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে ৭দিন জেলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) সুপার দেবাশিষ সরকারের উদ্দেশে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে (vikash Mishra) অযথা নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই অভিযোগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অশোককুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন জেল সুপারকে। তাঁর উপর ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে জেলের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জানাতে হবে জরিমানার অর্থ দিয়েছেন কিনা জেল সুপার? জরিমানার টাকা জেল সুপার দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এমনটাই কড়া নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
আদালত অবমাননা করায় জেল সুপারের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। 'একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে এই ধরনের কাজ আইন সংগত নয়।', মন্তব্য আদালতের। এদিন কোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে জেল সুপার ক্ষমা চাইলেও, সেই ক্ষমা গ্রহণ করেনি আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, 'রাজ্যের সবথেকে বড় সংশোধনাগারের দায়িত্বে আপনি। সেই আপনি যদি অন্য আসামিদের সাথে দ্বিচারিতা করেন, এটা একেবারেই কাম্য নয়।'
জানা গিয়েছে, কয়লা-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে জেলে রেখেই চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর না করে অভিযুক্ত বিকাশকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। সেই কারণেই আদালত অবমাননার মামলায় জরিমানার নির্দেশ জেল সুপার দেবাশিস সরকারকে।
কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে বালিগঞ্জ আর্ল স্ট্রিটের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার অফিসে ইডি অভিযানে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নগদ (Cash Recover) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) হাজরা রোডের এক ধাবার মালিকের যোগাযোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম মনজিৎ সিং বলে খবর। শুধু দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোড নয়, শহরের একাধিক জায়গায় এই ধাবার শাখা রয়েছে। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, অর্থ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই 'পলাতক' মনজিৎ সিং।
এদিকে কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানতে পেরেছে, এই মনজিৎ সিংয়ের ধাবার ফুড চেনের হাত ঘুরে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক বিক্রম শিখারিয়াকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ফলে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার উৎস কী, জানতে ফের বিক্রম শিখারিয়াকে সিজিওতে তলব করতে পারে ইডি। এই ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালীর যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ছাড়াও একটি ডেস্কটপ, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
খাস কলকাতায় ফের নগদ টাকা উদ্ধার (Cash Recover)। ইডি অভিযানে (ED Raid) বালিগঞ্জের এক সংস্থা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সন্ধ্যায় এই নগদ গুণতে আনা হয়েছিল টাকা গোনার মেশিন। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও চলেছে টাকা গোনার কাজ। এমনকি এই অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা নেতৃত্ব দেন। অভিযোগ, কয়লা-কাণ্ডের (Coal Case) কালো টাকা ঘুরে এই সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে সেই অর্থ।
জানা গিয়েছে, ইডির ১২-১৩ জন কর্তারা মনজিত সিং জিততার খোঁজে আসেন তদন্তকারী অফিসাররা। মনোজিতকে না পেয়ে বিক্রম শিখারিয়া নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ইডি। কোথাও টাকা লুকনো রয়েছে কিনা সেই খোঁজেও কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি সংস্থার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে এই বেসরকারি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ মিলেছে এমন আরও একাধিক সংস্থার।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling) অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইডির একটি নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। সেই নোটিশে তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED Notice)। সেই তলবের বিরোধিতায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছিলে। সেই রক্ষাকবচে উল্লেখ ছিল, মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি। এবার মেনকার সঙ্গে থাকা সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। যেহেতু ইডির জারি করা তলব নোটিশের সময়সীমা পেরিয়েছে, তাই এখন আর রক্ষাকবচের দরকার নেই।
এই যুক্তি দেখিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার সঙ্গে থাকা রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। যতদিন নোটিশের মেয়াদ, ততদিন রক্ষাকবচ। নয়তো সেই রক্ষাকবচের অপব্যবহার হতে পারে। এমনটাই আদালতে সূত্রে খবর।
নতুন করে ইডি যদি তাঁকে কোনও নোটিস পাঠায়, তিনি আদালতে দ্বারস্থ হলে ফের রক্ষাকবচ পেতে পারেন। এমনটাই মেনকা গম্ভীরকে জানান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতের এই নির্দেশের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার সঙ্গে কোনও রক্ষাকবচ রইল না। তাই ইডি তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরোধিতা করে মেনকা গম্ভীর ডিভিশন বেঞ্চে যাবে কিনা সেটা আগামির বিষয়।
এবার এক তৃণমূল নেতার আত্মীয় বাড়ি থেকে অবৈধ কয়লা (illegal coal) উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় কাণ্ড। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিস উদ্ধার করে অবৈধ কয়লা। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের (Dubrajpur) যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হকের শ্যালক শেখ নুর মহম্মদের খামারবাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় অবৈধ কয়লা। উদ্ধার হয় প্রায় ৫ টন অবৈধ কয়লা। ইতিমধ্যেই সেগুলিকে দুবরাজপুর থানার পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই ওই এলাকায় অঞ্চল সভাপতি মুন্সী মোজাম্মেল হক-সহ তাঁর পরিবারের আত্মীয়দের নামে যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে পোষ্টার দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। এরপরেই দুবরাজপুর থানার পুলিস শেখ নুর মহম্মদের খামারবাড়ি থেকে অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। তিনি জানান, মানুষ দুয়ারে সরকারের সুবিধা কীভাবে পাবে সেই চেষ্টা না করে, তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হচ্ছে অবৈধ কয়লা। এরপরও কী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন?
কয়লা পাচার-কাণ্ডে শর্তাধীনে জামিন পেলেন বিকাশ মিশ্র। শুক্রবার ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জামিন শর্তে জানিয়েছে, এখনই দেশ ছাড়তে পারবে না বিকাশ। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট। কলকাতা পুরসভা এলাকায় তাঁকে থাকতে হবে। কয়লা পাচার মামলার শুনানি আসানসোলের বিশেষ আদালতে চলাকালীন তাঁকে হাজির থাকতে হবে। অসুস্থতার প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে জানাতে হবে সিবিআইকে।
যদিও বিকাশের জামিন আবেদনের বিরোধিতায় সিবিআই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, জামিন পেলে দাদার মতোই দেশ ছেড়ে পালাতে পারে বিকাশ। বিনয় মিশ্রের ব্যবসার সব হিসেব দেখতেন বিকাশ মিশ্র। এদিকে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে আরও তৎপর হবে ইডি। পুজোর পরে কোমর বেঁধে নামছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ডাকা হতে পারে মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক এবং অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে। সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক আইপিএসকে কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তলবের সম্ভাবনা এমনটাই সূত্রের খবর।
কয়লা পাচার-কাণ্ডের (Coal Smuggling) তদন্ত সিবিআই করবে। মঙ্গলবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির করা মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বড়সড় স্বস্তিতে আসানসোলের প্রাক্তনব মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা। তাঁকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার (CID) সেই প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) রেহাই দিয়েছে আদালত (High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধুমাত্র জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ অন্য মামলাকারীদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত করতে পারবে না। সেই তদন্ত সিবিআই-ই (CBI) করবে। তবে অন্য কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে বাধা নেই।
এদিন আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির পক্ষে সওয়াল করা হয়, 'কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে তাহলে সিআইডি তদন্তের কী প্রয়োজন? ২০২০-র ফেব্রয়ারিতে ইসিএল কয়লা পাচার নিয়ে অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিস সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করেনি। পড়ে কোর্ট নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে সিবিআই এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যানে। এক হাজার কোটি টাকার বেআইনি কয়লা পাচার হয়ছে বলে অভিযোগ। ১০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ সিআইডি জিতেন তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। একই মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কীভাবে সিআইডি-ও তদন্ত করতে পারে?'
পাল্টা সিআইডি আইনজীবী জানান, এই মামলা শুরু হয়েছে ২০২০-তে। এই অপরাধ এক জায়গায় আটকে নেই। প্রচুর বড় এলাকাজুড়ে কয়লা পাচার হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে সিআইডি তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মামলায়। তদন্তের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এই সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতির মন্তব্য, সিআইডি তদন্তের লক্ষ্য কী? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ তো আদালত দিয়েছে। দু'টি তদন্ত একসঙ্গে চললে কেন্দ্রীয় সংস্থার মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সিবিআই চার্জশিট দিয়ে দিয়েছে, তদন্তে গতি আছে। আপনাদের ভূমিকা কী?' এই মন্তব্যের পরেই কোর্টের নির্দেশ ৪ সপ্তাহ পরেই সিবিআই-সিআইডি দু'জনেই হলফনামা আকারে জানাবে কোর্টকে।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) রাজ্যের দুই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং এবং আকাশ মাঘারিয়াকে ইডির (ED) তলব। রাজ্য এসটিএফ-র এডিজি পদে কর্মরত জ্ঞানবন্ত সিং (IPS Gyanbant Singh), পাশাপাশি ডিসি সাউথ পদে রয়েছেন আকাশ মাঘারিয়া (IPS Akash Magharia)। এই দুজনকে চলতি সপ্তাহেই ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ। ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার, কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে হাজিরা দিয়েছেন আকাশ মাঘারিয়া। আর বুধবার অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে।
কয়লা-কাণ্ডে যৌথ ভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। অবৈধভাবে কয়লা খনন, পাচার এবং বিক্রির বিষয়টি এই দুই তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের আওতাধীন। এই দুই আইপিএস আগে কয়লাবেষ্টিত জেলার পুলিস প্রশাসনের গুরুদায়িত্বে ছিলেন। তাই কয়তলা পচার সম্বন্ধে তাঁরা আদৌ ওয়াকিবহাল কিনা জানতে চায় ইডি। কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। সিবিআই অভিযান চালিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। রাজ্য পুলিসের একাধিক আইপিএস ইতিমধ্যে ইডির দিল্লি অফিসে গিয়ে বয়ান রেকর্ড করে এসেছেন।
এবার আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং এবং আকাশ মাঘারিয়াকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ক্লয়লা পাচার-কাণ্ডে।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling) শুক্রবার সিআইডি (CID) তলব এড়ালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা পত্রপাঠ সেই সিদ্ধান্ত জানান আসানসোলের (Asansol) প্রাক্তন মেয়র। তাঁর হাজিরার এড়ানোর পিছনে কারণ, যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থা একটা তদন্ত করছে, সেখানে আড়াই বছর পরে হঠাৎ করে তাকে কেন তলব? অন্ডালের কয়লা পাচার-কাণ্ডে তাঁকে তলব করা হলেও তিনি ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক। এমনকি, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র হলেও অন্ডালের এই মামলা তাঁর পুর এলাকার বাইরে। তাহলে কেন তিনি হাজিরা দেবেন?
সূত্রের খবর, সিআইডি এই তলবের বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা জিতেন্দ্রর। এদিকে, গরু পাচার-কাণ্ডে বেন্টিক স্ট্রিটের এক অফিসে চলতি সপ্তাহে তল্লাশি অভিযান চালায় সিআইডি। গোরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হকের ভাইপোর এই অফিসে বুধবার দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। বেন্টিক স্ট্রিটের জেএইচএম গ্রুপের ৪০১ এবং ৪০৫ নম্বর অফিস সিল করে সিআইডি। গরু পাচার চক্রের টাকা এই সংস্থার মাধ্যমে অন্য খাতে বিনিয়োগ হয়েছে কিনা, সেটা জানতেই এই তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সংস্থার ব্যাঙ্কের নথি। গোয়েন্দাদের অনুমান জেএইচএম গ্রুপের এই সংস্থাকে সামনে রেখে পুরো চক্র কাজ করতো। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারেও এই সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই অনুমান সিআইডির।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার ৪০৫ এবং ৪০১ নম্বর ঘরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি যে মূল বিল্ডিংয়ে জেএইচএম গ্রুপের অফিস, সেই বিল্ডিংয়ে প্রবেশেও আইকার্ড দেখাতে হয়েছে অন্য সংস্থার কর্মীদের।