ফের রাজ্যে বোমায় আক্রান্ত শৈশব, মিনাখা-কুলপির পর মালদহ! মানিকচকে বোমা ফেটে (Bomb blast) আহত দুই শিশু। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, এবং আহত (injured) দুই। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুতোলা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক শিশু, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইটভাটা এলাকায় পড়ে থাকা বলের মতো দেখতে একটি জিনিস দেখতে পায়। সেটা বল ভেবে কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়ির সদস্যরা সেটাকে বাইরে ফেলে আসতে বললে শিশুরা বাইরে ফেলতে যায়। এরপরই ঘটে যায় অঘটন। বাড়ির সামনে বোমাগুলো ফেলতেই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে থাকা দুই শিশু আহত হয়েছে। আহত দু'জন আসিরুল ইসলাম (৯) ও আব্দুল মোমিন (৭)। আহতরা নাসু টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তবে ওই এলাকায় কী করে বোমা এলো, তা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিস (police)। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই এসে হাজির হয়েছে বোম স্কোয়াডের টিম। চলছে তল্লাসি।
তবে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এদিকে, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সৌমেন সুর: নেই সেই আইসক্রিম, নেই সেই হজমি কেনার ছুট, নেই সেই এক মুঠো সোনালী শৈশব। এখন সবকিছুই ফিকে। আছে শুধু সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পড়ার চাপ আর শাসনের ভ্রুকুটি। চোখের সামনে ফুটে ওঠে কবি ভবানীপ্রসাদের কয়েকটা লাইন। " কেউ বলে না তোমরা সবাই ফুলের মতো ফোটো/ কেউ বলে না সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠো/ একটা কথা রাখবে মনে মাস্ট/ সবকিছুতেই হতেই হবে ফার্স্ট।" ফার্স্ট হওয়া ছাড়া মা-বাবার মুখে যেন অন্য কথা নেই। যেমন করে হোক তোমাকে ফার্স্ট হতেই হবে।
অদ্ভুত লাগে এই সময়কে। আমরাও তো একসময় শিশু ছিলাম। কত রকম খেলা খেলেছি শৈশবে। আবার নিয়মের বেড়াজালে মানুষ হয়ে শাসনের মতো বার্তাও পালন করেছি। তবে শাসন সেই সময় ছিল একটু অন্য ধাঁচে। সেটা শৃঙ্খলায় ভরা এক নরম গরম স্বভাবের শাসন। মন চলে যায় শৈশবে। ধুলোবালি মেখে নিজেকে ফিরে দেখার সেই শৈশব। অজান্তে আকাশের পানে চলে যায় মায়াবী চোখ। নীলাকাশে খন্ড খন্ড মেঘগুলো দেখে মনে হয়— আমারই মতো সবাই শৈশবে ফিরে পেতে চায়। সবাই ব্যস্ত। শুধু ছুট-ছুট আর ছুট। অর্থই কি জীবনের লক্ষ্য? এই যন্ত্রের চাকায় প্রতিমুহূর্তে মরে যাচ্ছে আমাদের মন। লোকদেখানো আর যান্ত্রিকতাই হয়েছে মূল লক্ষ্য।
শিক্ষা উদারতা আনে। শান্তি জীবনকে তৃপ্তি দেয়। এ কোন সময়! যেখানে আদর্শ, সারল্য এই শব্দগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সোনালী শৈশবের মতো। যেন রাতের তারারা লুকিয়ে আছে দিনের আলোর গভীরে। শব্দ নেই, গুঞ্জন নেই। বেঁচে আছে মৃতের মতো।