নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ডাম্পিং ল্যান্ড থেকে উদ্ধার প্রায় ১৮-২০ টি শিশুর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথম ওই ভ্রূণগুলি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১০টি মেয়ে, ৬ টি ছেলের। বাকিগুলির ভ্রূণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ভাগাড় থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় এই ভাগাড় থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে গর্ভপাত করানোর পর ভ্রুণগুলিকে ওই ভাগাড়ে নিয়ে এসে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের। ভ্রুণগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোটা ঘটনায় তদন্তে পুলিস।
সাধুর নামে ভণ্ডামি। এক মহিলা ভক্তকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল এক গুরুর বিরুদ্ধে। সন্তানহীন দম্পতি সন্তানের আশায় ওই সাধুর কাছে যান। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হল ওই গুরুকে। ওই ধৃত গুরুর নাম বৈরাগ্যনন্দ গিরি (Vairagyanand Giri)। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ১৭ জুলাই ওই সাধুর কাছে যান। দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করেও সন্তান সুখ পান না। বৈরাগ্যনন্দের কথা জানতে পেরে তাঁর কাছে যান। তিনি একটি যজ্ঞের কথা বলেন। যজ্ঞ করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেই মতো যজ্ঞের দিন ওই মহিলাকে প্রসাদের নাম করে কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে দেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। তারপর ওই অভিযুক্ত গুরু তাঁকে ধর্ষণ করেন।
গত সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। প্রথমে লোক জানাজানির ভয়ে, লজ্জায় অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। পরে সাহস জুগিয়ে থানার দারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার তাঁকে গোয়ালিয়র থেকে গ্রেফতার করে ভোপালে নিয়ে আসে পুলিস।