মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ পরিণত হল শোকে। মেলায় ক্রেন ভেঙে মৃত্যু (Death) হল চার জনের। গুরুতর আহত এক শিশুকন্যা-সহ প্রায় ৯ জন। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) রানিপেট জেলায়। সেখানে একটি মন্দিরকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল মেলা। সেখানেই রবিবার রাতে ক্রেন (Crane) ভেঙে এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
জানা গিয়েছে, ক্রেন ভেঙে পড়ার সময় সেখানে প্রায় ১৫০০ দর্শনার্থী ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে পুন্নাই সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, আরাককোনাম সরকারি হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্রেন চাপা পড়েই চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পুলিস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেলেও একজনের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ক্রেনের একেবারে মুখে একটি মঞ্চ সাজানো হয়েছে আলো এবং ফুল দিয়ে। সেখানে রাখা হয়েছে দেবতার মূর্তি। আর মঞ্চের মধ্যে রয়েছেন ৮ জন। নিচ থেকে ভক্তরা মালা ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছেন। আর মঞ্চে থাকা সকলে সেই মালাগুলি দেবতাকে পরিয়ে দিচ্ছেন। হঠাৎ চিত্র বদলে গেল।
— Dripto Das (@DriptoDas) January 23, 2023
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্রেনটি। হইচই পড়ে যায়। সকলে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করেন। আর ভেসে আসে কান্নার শব্দ। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ক্রেনচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বিমানবন্দর মাদক চোরাচালানের ঘটনা একাধিকবার সামনে এসেছে। এছাড়াও সোনা, বিদেশী মুদ্রা পাচারের চেষ্টা বারবার হয়েছে। তবে এবার খানিকটা অন্যরকম ঘটনা প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দরে (Chennai Airport)। একটি ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল বিমানবন্দরে, আর তা খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ অভিবাসন দফতরের। কী ছিল ওই ব্যাগে?
ব্যাগের মধ্যে কোনও সোনা বা টাকা নয়, ছিল ৪৫টি ছোট অজগর। তিনটি মারমোসেট বাঁদর, তিনটি কচ্ছপ, আটটি কর্ন সাপ, যাদের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বিমানবন্দরে মালপত্র যেখানে চেক হয়, সেখানেই ব্যাগটি পড়ে ছিল। সন্দেহজনক লাগায় অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা ব্যাগটি খোলেন। তখনই উদ্ধারে হয় অজগর, বাঁদর, কচ্ছপ।
অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এই প্রাণীগুলি ব্যাঙ্কক থেকে আনা হয়েছিল। উদ্ধার করে সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেও চেন্নাই বিমানবন্দরে বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার হয়েছে। পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল তা স্পষ্ট। কারা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পূর্বাভাস সত্যি করেই তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্দাস (Cyclone Mandaus)। ঘণ্টায় ৮৫ কিমি বেগে দক্ষিণের এই রাজ্যের মল্লপুরমের কাছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আছড়ে পড়ে ভারী ঘূর্ণিঝড়। এই দুর্যোগের প্রভাবে সেভাবে প্রাণহানির খবর না মিললেও, প্রচুর সম্পত্তিহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাণহানি একদম শূন্য এটা বলা চলে না। একেবারে প্রাণহানি এড়ানো যায়নি। ঝড়ের কারণে চেন্নাইয়ের (Chennai) মাদিপক্কমে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা একজন মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্য। পাশাপাশি সইদাপেটে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে একই পরিবারের চার। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এখনও পর্যন্ত খবর, চেঙ্গলপাত্তুতে কয়েকশো গাছ উপড়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট জলমগ্ন। অন্যদিকে শহর চেন্নাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একশো মিলিমিটারের বৃষ্টি হয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন সূত্রে খবর, দুশোরও বেশি গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাতের মধ্যেই সেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মল্লপুরম, কোভালামে সমুদ্র তীরবর্তী বাড়ির ছাদ উড়েছে। দোকান, মৎস্যজীবীদের বেশ নৌকারও ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ কত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একদিনের সফরে বুধবার চেন্নাই (Chennai Visit) উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। তার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোরবি ব্রিজ-কাণ্ডে (Morbi Bridge Incident) মৃতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি কোনও সমালোচনা করতে চাই না। মানুষের জীবন রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সহমর্মী। আর কত মৃতদেহ পাওয়া যাবে জানি না। আমাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা কোনও সরকারের দায় নয়। কিন্তু যাদের গাফিলতিতে দুর্ঘটনা ঘটে, তাঁরা অবশ্যই অপরাধী।'
তিনি জানান, যারা এই ধরনের ব্রিজ বানায়, যারা বরাত পায় তাঁরাই অপরাধ করে। ভোটে ব্যস্ত থাকার জন্য গুজরাত সরকার দুর্গতদের সেভাবে সাহায্য করতে পারেনি। কিন্তু অসম্পূর্ণ ব্রিজকে, সম্পূর্ণ বলে চালিয়ে দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। আমার মনে হয় সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে বিচার বিভাগীয় কমিশন বানিয়ে যারা অভিযুক্ত, বিশেষ করে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এখন কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না। ওরা শুধু আম আদমিকে হেনস্থা করে। কিন্তু যারা আসল অপরাধী, তাঁদের এভাবে ছেড়ে রেখেছে।
মোরবি ব্রিজ-কাণ্ডের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সারা বাংলাজুড়ে দেড় হাজার ব্রিজ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ, অভিজ্ঞতা না থাকলে সেতু সংস্কার করা উচিৎ নয়। আমি এই ঘটনায় খুব ব্যথিত, রাজনীতি করতে চাই না। গুজরাত আমিও যেতে চাই কিন্তু বলা হবে রাজনীতি করছি। আমাদের একজনের দেহ ভিখারির মতো পাঠিয়ে দিয়েছে।'
গুজরাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরকিত্ব প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, 'পুরোটাই রাজনীতি। আমাদের এখানে এসব হতে দেব না। আমরা এখানে সবাই নাগরিক।'পাশাপাশি একদিনের চেন্নাই সফর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে চেন্নাই যাচ্ছি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের সঙ্গেও দেখা হবে। দু'জন রাজনৈতিক ব্যক্তি মুখোমুখি হলে রাজনৈতিক আলোচনাও হবে। ২০২৪-এ বিরোধী ঐক্য কী অবস্থায় রয়েছে, সব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারব।
সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে নভেম্বরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, মাসের শুরু দিকে আসছেন শাহ এবং শেষের দিকে আসবেন মোদী। আলোচ্য বিষয়, দুজনের কর্মসূচিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, শাহ ৫ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন। ওই বৈঠকে পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন নীতিশ কুমার। ফলে তাঁর সঙ্গেও দেখা হয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর।
'নমামি গঙ্গা' কর্মসূচি উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় আসার কথা নভেম্বরের শেষে। দিল্লিতে মোদী-মমতা বৈঠক হয়েছে মাসখানেক আগে। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় নানারকম চর্চা। এরপরে সম্ভবত এই কর্মসূচি হবে তাঁদের দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এর মধ্যেই ২ নভেম্বর মমতার চেন্নাই সফরও আছে। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই চেন্নাই যাচ্ছেন বলে খবর। চেন্নাই পৌঁছে প্রথমেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই চেন্নাইয়ের একটি ওষুধ কারখানার গুদাম। তবে সোমবারের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে চেন্নাই পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ উত্তর চেন্নাইয়ে অশোক নগর এলাকায় ওই বেসরকারি ওষুধ কারখানা সংলগ্ন গুদামে আগুন লাগে।
দমকল বিভাগ ঘণ্টা ছ’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও গুদামটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে গুদাম লাগোয়া কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেননি কারখানার কর্মচারী ও দমকলকর্মীরা।
আগুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দমকল প্রাথমিকভাবে মনে করছে, বাজির আগুন থেকেই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জনও একই অভিযোগ করেছেন। এদিকে, সোমবার ভোরেই অরুণাচল প্রদেশের নহারলগাঁওয়ের একটি বনবস্তিতেও বাজির ফুলকি থেকে বিধ্বংসী আগুন লাগে বলে অভিযোগ। এর আগে রবিবার রাতে মুম্বইয়ের ‘এ টু জেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট’-এর লোয়ার প্যানেলের একটি কারখানা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রথমে মহিলাকে অপহরণ (kidnap)। এরপর মহিলার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি থেকে বের করে দেওয়া। তারপর এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের (Chennai) কাছে তাম্বরাম-মাদুরাভোয়াল রাস্তায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সিতে করে এক বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি আটকায় এক যুবক। পরে আরও পাঁচজন এসে ট্যাক্সিটি ঘিরে ফেলে। এরপর জোরপূর্বক ও গাড়িতে উঠে মহিলার ওই বন্ধুর ওপর হামলা চালায়। এমনকি গাড়ির চালককে তাদের বলা স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে। না হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এরপর কিছুটা এগিয়ে মহিলার বন্ধুকে মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করলে মহিলাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এরপর মহিলাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর গয়না কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার ওই বন্ধু পুলিসে খবর দেন। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় গয়না। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৬৫, ৩৯৫, ৩৭৬ ডি, ৫০৬(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।