চলন্ত মোটর বাইকে হামলা চিতাবাঘের (leopard)। ঘটনায় জখম (injured) হলেন এক যুবক। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন আহত যুবকের কাকা। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটায় ঘটে। জানা গিয়েছে, নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগান থেকে ছাড়টণ্ডুতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সরিফুল ইসলাম ও তাঁর কাকা সাইরুল ইসলাম। সাইরুল ইসলাম বাইক চালাচ্ছিলেন। সরিফুল পিছনে বসে ছিলেন। সেই সময় চা বাগানের পাশে অন্ধকার রাস্তার ধার থেকে একটি চিতাবাঘ তাঁদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। সরিফুল ইসলাম বাইক থেকে পড়ে যান। সেই সময় চিতাবাঘটি তাঁর পায়ে কামড়ে দেয়।
সঙ্গে থাকা সাইরুল ইসলাম বাইকের হেডলাইটের আলো চিতাবাঘের চোখে ফেলে। এরপর জোরে জোরে হর্ণ বাজাতে থাকেন। এতেই ঘাবড়ে গিয়ে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। সাইরুল ইসলাম আহত সরিফুলকে তড়িঘড়ি সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল (hospital) সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সরিফুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।
ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত পাইলট। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা অরুণা চলের তাওয়াং জেলার। হেলিকপ্টারে থাকা অন্য এক আরোহী গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সেনা সূত্রে খবর, সীমান্তে রুটিন উড়ানের সময় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পাইলটকে উদ্ধার করে মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে কী কারণে কপ্টার ভেঙে পড়ল, তা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এমারজেন্সি, বিপর্যয় মোকাবিলা বা যুদ্ধ পরিস্থিতি, যেকোনও অবস্থার সঙ্গে লড়তে বহু বছর ধরে ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি-প্রযুক্তিও বদলেছে। কিন্তু এই দুই পুরাতন কপ্টারকে সেভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আপগ্রেড করা হয়নি। বায়ুসেনার কাছে মোট ১২০টি চেতক ও চিতা রয়েছে।
আজ, অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ৭২বছরে পা দিলেন। সকাল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিদেশ থেকেও আসছে শুভেচ্ছাবাণী। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন (Birthday) উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে দেশজুড়ে। গোটা দিনই ঠাসা কর্মসূচী প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর জন্মদিনেই নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya pradesh) কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই সেই চিতা এদিন খাঁচামুক্ত করলেন। পাশাপাশি হুডখোলা জিপে সওয়ার হয়ে ফটোশ্যুট করতে তাঁকে দেখা গিয়েছে।
প্রথমেই সরাসরি জঙ্গলে না ছেড়ে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য তারের বেড়ায় ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে ছাড়া হয়েছে এই আটটি চিতাকে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৭০ বছর পর ভারতে দেখা যাবে চিতার দৌড়।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi releases the cheetahs that were brought from Namibia this morning, at their new home Kuno National Park in Madhya Pradesh.
— ANI (@ANI) September 17, 2022
(Source: DD) pic.twitter.com/CigiwoSV3v
মোদী সরকারের দাবি, ভারতের অরণ্যে লুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। তবে, কেবল মাত্র ইরানেই এখনও পর্যন্ত এশীয় চিতার দেখা মেলে। ভারত সরকারের উদ্যোগে এখন যে চিতাগুলি নিয়ে আসা হচ্ছে, সেগুলি আফ্রিকার চিতা।বিশেষভাবে প্রস্তুত বি-৭৪৭ জাম্বো জেট বিমানে চিতাগুলিকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ চিতা। ২টি চিতা সম্পর্কে সহোদর। তারা নাকি সবসময় একজোট হয়েই শিকার করে। স্ত্রী চিতাগুলির বয়স দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। আর পুরুষ চিতাগুলি সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছরের। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ তাদের নিয়ে গ্বালিয়রে অবতরণ করে বায়ুসেনার বিশেষ ওই কপ্টার ‘চিনুক’।
উল্লেখ্য, ১৯৫০-এর দশকে ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় এই বন্য প্রাণী। ১৯৫২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে গত ৭ দশক ধরে চিতাহীন রয়েছে ভারত। তাই চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি করতে সুদূর আফ্রিকা থেকে আটটি চিতাকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে বলে জানিয়েছে।
সদ্যজাত চিতাশাবক (Cheetah Claf) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বানারহাট ব্লকের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে (Tea Garden)। ঘটনাকে ঘিরে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা ১০ নম্বর সেকশনে কাজ করার সময় নিকাশি নালা ও চা গাছের ঝোপের মাঝে তিনটি সদ্যজাত চিতাশাবকে দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বনদফতরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ১০ নম্বর সেকশনের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেয় শাবকগুলোকে।
জানা গিয়েছে, মা চিতাবাঘ এসে শাবকগুলিকে নিয়ে যাবে এমনটাই অনুমান বন দফতরের কর্মীদের। গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার বিশু দাস বলেন, 'সম্ভবত শাবকগুলি ২-৩ দিন আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে। চিতাশাবকগুলিকে নির্জন জায়গায় রাখা হয়েছে যাতে মা চিতাবাঘটি এসে অনায়াসে শাবকগুলিকে নিয়ে যেতে পারে। শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই এলাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। চিতাশাবকগুলোকে সুস্থ ভাবে মা চিতাবাঘের কাছে ফিরে যাক এমনটাই আশা বন দফতরের আধিকারিকদের।