রবিবার ছুটির দিনেও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবারে ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট এবং একটি অফিস, পাশাপাশি চিনারপার্কের একটি অফিসে এই মামলার তদন্তে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডির আধিকারিকরা।
রবিবার সকাল সকাল ইডির হানা নিউটাউন এবং চিনারপার্কে। জানা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযান শহরের এই দুই জায়গাতে। নিউটাউনের গ্রিনউড কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছয় ইডি, সঙ্গে পাশে থাকা অফিসেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামে এক ব্যক্তির, যিনি ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাশাপাশি, এই একই মামলায় চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি অফিসেও তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস এভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। তবে অফিস বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় নিউটাউন এবং চিনারপার্কের এই আবাসন ও অফিস থেকে কী উদ্ধার হয় এবং তদন্তের গতিবিধি কোন দিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।
শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'
এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
ভরসার পোস্ট অফিসেই জালিয়াতির ফাঁদ? গ্রাহকদের কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে। একটু একটু করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন পোস্ট অফিসে। কিন্তু সেই পোস্ট অফিসেই জালিয়াতির ফাঁদে পড়তে হবে তা হয়তো ভাবেননি গ্রাহকরা। বুধবার দিশেহারা গ্রাহকেরা জলপাইগুড়ি মেইন পোস্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিটেণ্ডেন্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু পাকড়াও করবেন কাকে? তিনি যে আগেই আত্মহত্যা করেছেন। তাহলে কীভাবে মিলবে অসহায় মানুষগুলোর সঞ্চিত টাকা? একরাশ ক্ষোভ প্রতারিত গ্রাহকদের।
প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ, পোস্টমাস্টারের কাছে গরিব অসহায় মানুষরা টাকা জমা করতেন। একরকম ভুল বুঝিয়ে উপভোক্তাদের টাকার স্লিপের বদলে দেওয়া হতো সাদা চিরকুট। এত টাকা দিয়ে কী করতেন পোস্টমাস্টার? জানা গিয়েছে, ক্রিকেট জুয়ায় আশক্ত ছিলেন অভিযুক্ত পোস্টমাস্টার। তবে কি সাধারণ মানুষের টাকা তছরূপ করে নিজের খেলার নেশা মেটাতেন?
জানা গিয়েছে, মৃত পোস্টমাস্টার স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির ছেলে। তবে কি ক্ষমতার বলেই এই জালিয়াতি? যদিও প্রতারিতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অর্চনা রায়।
বুধবার যে পোস্টঅফিসের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠেছিল, বৃহস্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও কোনও কর্মীর দেখা নেই সেই পোস্ট অফিসে। তবে কি ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছে সবাই? শুধু সাধারণ মানুষই নয় প্রতারিত হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যও। জেলা বিজেপি সম্পাদক নিতাই মণ্ডল ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, বাবার ক্ষমতার জেরেই এই কাজ করেছে ছেলে। আদৌ কি মানুষগুলো তাদের টাকা ফেরত পাবে, প্রশ্ন থাকছেই।
আজ ইডির তলবে নির্ধারিত সময়ের মিনিট ১৫ আগেই বেলা পৌনে ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল ইডি। টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধে ৫.৩৫ মিনিট নাগাদ তৃণমূল সাংসদ বেরোলেন সিজিও থেকে।
নুসরত বেরোতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা, উড়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন। তবে সেসবে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে এক কথায় ছোট্ট উত্তর দিয়েই অভিনেত্রী গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান ইডির দফতর থেকে। হলুদ সালোয়ার কামিজে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন নুসরত, হাতে ছিল ফাইল।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালেই নুসরতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর কথায়, দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে। সে মুখ্যমন্ত্রী হোক বা রাজনীতিবিদ অথবা কোনও অভিনেতা বা তারকা।
ফ্ল্যাট প্রতারণা-কাণ্ড মামলার শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন বসিরহাটের সাংসদ। আলিপুর পুলিস কোর্টে চলা মামলার শুনানিতে সশরীরে উপস্থিত না থেকে বারবার আইনজীবীকে পাঠান নুসরত। এরপরই আদালত জানায়, আইনজীবী নয় বরং সশরীরে আসতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রীকে। এরপরেই জজ কোর্টের দ্বারস্থ নুসরত। যদিও আদালতকে তিনি বলেছেন, সাংসদ হিসেবে সামাজিক বেশ কিছু দায়বদ্ধতা ও পারিবারিক কারণে আসতে পারছেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি বছর ৪ঠা ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, নুসরত জাহান কতটা প্রভাবশালী, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানা এবং আদালতে মামলা দায়ের হয়। আদালত, পুলিসকে তদন্ত চালানোর পাশাপাশি লালবাজারকেও চিঠি পাঠায়। সেই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা, কেন অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেনি কলকাতা পুলিস? এরপরেই লালবাজারের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে গড়িয়াহাট থানা। তদন্তে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং অভিযোগকারীদের বয়ান খতিয়ে দেখে নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের সত্যতা সামনে উঠে আসে। এরপরই নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। এখন প্রশ্ন, নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও পুলিস কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তাই এই মামলায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন মামলাকারী তথা প্রতারিতরা। এবিষয়ে কী বলছেন মামলাকারীরা।
এদিকে, প্রতারিত তথা মামলকারীদের তরফের আইনজীবী জানান, কোর্ট নথিতে নুসরত জাহান আমাদের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি উনি যেহেতু সাংসদ, তাই আদালতে না এসে শুনানি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই আবেদন করছেন নুসরত জাহান। তিনি যা কিছু কিনেছেন বা করেছেন, সব নিজের টাকায়, এমনটাই কোর্ট নথিতে বলেছেন উনি। আবার নুসরতের আইনজীবীর দাবি, নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আমার মক্কেলের সশরীরে হাজিরার উপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বললে নুসরত জাহান নিশ্চয় সশরীরে এসে সহযোগিতা করবেন জানান তাঁর আইনজীবী সরিতা সিনহা।
এখন জোর চর্চা, শহরের প্রবীণ নাগরিক, যাঁরা মাথার ছাদ পেতে সারাজীবনের পুঁজি ঢেলেছিলেন অভিযুক্ত সংস্থায়, তাঁরা এখন প্রতারিত। আর টাকা ফেরত পেতে আদালতে আসছেন অহরহ। আবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়াচ্ছেন নুসরত জাহান! তাহলে কি সেই প্রভাবশালী তকমাই ঘুরেফিরে আসছে এই মামলাতেও, এই প্রশ্নই উঠছে।
পুলিশের জালে বিশ্বভারতীর ছাত্রী। আর্থিক প্রতারণার দায়ে ঈশিতা শীল নামে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন চিটফান্ড সংস্থার পর্দা ফাঁস হয় বোলপুরে। ওই সংস্থার নাম 'এসএস কনসালটেন্সি'। অভিযোগ ইতিমধ্যেই ওই সংস্থা বাজার থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা তুলেছে। প্রতারিতদের দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয় হয় চিটফান্ড সংস্থার কর্ণধার শুভ্রনারায়ণ শীল নামে এক যুবককে। এরপরেই পুলিশ জানতে পারে শুভ্রনারায়ণের সঙ্গে এই প্রতারণার ঘটনায় জড়িত তাঁর বোন ঈশিতা।
ভাইবোন দু'জনেই বাজার থেকে টাকা তুলে দামি গাড়ি, মোবাইল সহ একাধিক বহুমূল্য জিনিস ব্যবহার করতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে গুরুপল্লী থেকে অভিযুক্তের বোনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইডি তাঁকে তলব করবে না। সম্প্রতি টলিউডের এক পার্টিতে এই দাবি করেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। কিন্তু তাঁর এই দাবি ভুল প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগামী মঙ্গলবার নুসরত জাহানকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হল।
এর আগে কলকাতায় রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করেছেন নুসরত। তাতেও আপাতত শেষরক্ষা হল না। মূলত বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে, ফ্ল্যাট দুর্নীতির তদন্তে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
এদিকে, নুসরতের ওই কোম্পানির মালিক জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে নুসরতকে কোনও লোন দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইডির কাছে গিয়ে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিতরা। সেই তদন্তেই এবার ডেকে পাঠানো হল বসিরহাটের সাংসদকে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, নুসরতের মামলা নুসরতকেই লড়তেই হবে।
তাঁকে ইডি ডাকবে না। গত বুধবার ফ্ল্যাট প্রতারণার ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুলে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে ছিলেন। এবার এই দাবি করলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে নিজের অবস্থানে এখনও অনড়।
এই ঘটনায় এবার নুসরত পাশে পেয়েছেন যশ দাশগুপ্তকেও। তারকা সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেতা জানিয়েছেন, কে কী বলছেন, তাতে কিছু যায় আসে না। এই ব্যাপারে আদালত কী বলবে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের রায় শোনার পরেই এই ব্যাপারে তাঁরা নতুন করে কিছু বলবেন।
সম্প্রতি ইডির কাছে গিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা দাবি করেছিলেন ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। গত সোমবার ইডির দফতরে গিয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার পরের দিন নুসরতকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে দলের সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই ব্যাপারে আদালত কিছুই বলল না, তার আগেই সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে সবকিছু বলে দেওয়া হল। এই ব্যাপারে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নুসরতের লড়াই, নুসরতকেই লড়তে হবে।
অভিযুক্ত সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার দাবি করেছিলেন নুসরত জাহান। এবার, সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিং। রাকেশ জানিয়েছেন, নুসরত তাঁদের সংস্থা থেকে কোনও লোন নেয়নি। অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে নুসরত ফ্ল্যাট কিনেছেন। অভিনেত্রীর দাবি শুনে তিনি রীতিমত স্তম্ভিত।
রাকেশের আরও দাবি, নুসরত তাঁদের সংস্থায় যুক্ত হওয়ার আগেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়ে একটি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সংস্থার চুক্তিও হয়। পরে নুসরত তাঁদের সংস্থার ডিরেক্টর হন। এবং পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটি কিনে নেন।
রাকেশের দাবি, পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটটির দাম ছিল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা। তাঁদের সংস্থার তরফে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়। নুসরত ওই সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর বাকি ৫৮ লক্ষ দিয়ে নিজের নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। তারপর রাকেশের সংস্থাকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শোধ করার জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে লোন নিয়ে নুসরত বাকি টাকা দিয়ে দেন।
নুসরত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘‘যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি। ২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ব্যাঙ্কের নথিও আমার কাছে আছে।" দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু এই দাবি কার্যত অস্বীকার করায় এবার পাল্টা চাপে পড়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
সিবিআই (CBI) আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার (Cheat) অভিযোগ। পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেবে বলে রাজারহাটের (Rajarhat) বাসিন্দার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। হাওড়া থেকে গ্রেফতার ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক। পুলিস জানিয়েছে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শুভজিৎ বারুই। সূত্রের খবর, গত ২৫ মার্চ রাজারহাটের বাসিন্দা বিপ্লব অধিকারী, রাজারহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিপ্লবের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই ভুয়ো অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে চিনার পার্কে একটি হোটেলে গিয়ে শুভজিৎ বারুই নামে ওই ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় অভিযোগকারীর। অভিযোগ ধৃত শুভজিৎ, নিজেকে সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে, পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, সিবিআই পরিয়চয়েই বিপ্লবের থেকে ধাপে ধাপে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত। এরপর দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেয়নি অভিযুক্ত। অবশেষে রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিপ্লব।
বিপ্লবের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে রাজারহাট থানার পুলিস। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে সোমবার হাওড়া থেকে শুভজিৎ বারুইকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে রাজারহাট থানার পুলিস। এছাড়া ধৃতের থেকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ফোর্স ট্রাস্টের নামে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
টাওয়ার (Tower) বসানোর নামে প্রতারণার (Cheat) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) ১ ব্যক্তি। রবিবার নারায়ণপুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম ঋজু পাল। শনিবার রাতে ওই যুবককে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে নারায়নপুর থানার পুলিস। রবিবার ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নামী কোম্পানির মোবাইল টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন লোকের থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করত এই ব্যক্তি।
পুলিস সূত্রে খবর, কালি পার্কের বাসিন্দা শঙ্কর রায় নামে এক ব্যক্তি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে নারায়নপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন যে, একটি ফোন নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয় বাড়িতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য। মাসে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে ভাড়া বাবদ। তারজন্য বিভিন্ন কাগজপত্র ও ফি বাবদ প্রায় দেড় লক্ষ দিতে বলা হয়। এরপর অনলাইনে টাকা দেওয়ার পর, যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ওই প্রতারক। প্রতারিত হয়েছেন জেনে নারায়নপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শঙ্কর রায়।
এরপর নারায়নপুর থানার পুলিস তদন্তে নেমে গতকাল বনগাঁ থেকে ঋজু পাল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ, রবিবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে। ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে নারায়নপুর থানার পুলিস। এই চক্রের সাথে কে বা কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করবে নারায়ণপুর থানার পুলিস। পাশাপাশি কোথায় থেকে এই চক্র চালানো হতো তারও তদন্ত করছে পুলিস।
বসিরহাট সীমান্তে রাজ্য সরকারের (Goverment) নাম ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Cheat) অভিযোগ। হাতেনাতে পাকড়াও (Arrest) প্রতারক। শনিবার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতর নাম স্বপন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ, কালার টিভি, খাট ও আলমারি-সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কম দামে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করতেন অভিযুক্ত। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাকিমপুর গ্রামের ঘটনা। প্রতারক বছর ৬৩-এর স্বপন চট্টোপাধ্যায় হাবড়ার মোদক পাড়ার বাসিন্দা। বেশ কয়েক মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে ফ্রিজ, কালার টিভি, ওয়াশিং মেশিন, খাট ও আলমারি-সহ সামগ্রী কম পয়সায় দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন গ্রামবাসীদের থেকে।
পুলিস জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা, ৫০০০ টাকা পর্যন্ত তুলেছেন। প্রায় ১৫০ গ্রামবাসীর কাছ থেকে এই টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। শনিবার হাকিমপুর গ্রামে অভিযুক্ত টাকা আনতে গেলে, গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় এবং স্থানীয়রা তাঁর কাছ থেকে উপযুক্ত নথি দেখতে চান। যদিও তিনি বৈধ কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে, ডায়রিতে নামের তালিকা তৈরি করে, তার পাশে গ্রামবাসীদের পাসপোর্ট ছবি লাগিয়ে, এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন প্রতারক। শনিবার তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়।
প্রেমের টানে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পাড়ি ভারতে (India)। কিন্তু এখানে এসেই যে প্রতারিত হবেন, তা জানতেন না বাংলাদেশী এক যুবতী। প্রথমে বিয়ে (marriage) ও তারপর শারীরিক অত্যাচারের (physical abuse) পর আর কোনও পথ না পেয়ে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর একটাই দাবি, ন্যায় বিচার দেওয়া হোক।
বাংলাদেশের শরীয়তপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী। নির্যাতিতা জানান, গত দু'বছর আগে তাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার চাঁদা গ্রামের বাসিন্দা রহমাতুল্লাহ মল্লিকের সঙ্গে। প্রথমে কথা বলা ও অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের। আর সেই টানেই ওই যুবতী বাংলাদেশ থেকে সোজা চলে আসেন ভারতে। এমনকী রহমাতুল্লাহ মল্লিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হন। তবে এরপরই জানতে পারেন তাঁর স্বামী অর্থাত্ রহমত উল্লাহ মল্লিক আগে থেকেই বিবাহিত। ঘটনার পর রহমাতুল্লাহ মল্লিক ওই যুবতীকে জানান, তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হতেই একটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। আর এরপরই ঘটে যায় বিপত্তি।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক রয়েছেন। যা জানতে পেরেই প্রতিবাদ করতে যান তিনি। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরেই ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। গত ২৯ শে অক্টোবর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিতাড়িত ওই বাংলাদেশী মহিলা। এখন ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।