ফের টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি(ED)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা-সহ সোনা এবং হিরের গয়নাও। যার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে এই টাকা ও গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, নাগপুরে সিতাবুলদি থানায় একটি এফআইআর-এর(FIR) ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছরের ২২শে জুলাই কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। কিন্তু এবার মুম্বাই থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
অভিযানে গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি নগদ টাকা, গয়না উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা এবং হিরের গয়নাও। তার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় মুম্বই এবং নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই পরিমাণ নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এমনকি তদন্তকারীরা জানায়, পঙ্কজ এবং তাঁর সহযোগীরা মিলে একটি ‘পন্জি স্কিম’ চালাতেন। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের তাঁরা ঠকাতেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই নগদ টাকা এবং গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, গত ৩ মার্চ মুম্বই এবং নাগপুরের ১৫টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পঙ্কজ মেহাদিয়া, লোকেশ জৈন, কার্তিক জৈন নামে ৩ ব্যক্তির বাড়ি এবং অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনায় ওই ৩ ব্যক্তিই অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। নগদ টাকা এবং গয়নার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষা দুর্নীতিতে কলকাতায় সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি।
বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট, ফের দক্ষিণ কলকাতায় নগদ উদ্ধার (cash Seize)। এবার গড়িয়াহাট রোডে (Gariahat) একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার এক কোটি টাকা (One Crore Rupees)! এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, গুণ্ডা দমন শাখা এবং এসটিএফ-র অভিযানে এই নগদ উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান। আটকদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত একজনের নাম দুলাল মণ্ডল, তাঁর বাড়ি বেলগাছিয়া রোডে। অপরজনের নাম মুকেশ সারস্বত তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। মুকেশের থেকে কলকাতার যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটের একটি ঠিকানা মিলেছে। এত টাকা কী কারণে গাড়িতে রাখা ছিল, সেই সংক্রান্ত বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ এই দু'জন। তাই গড়িয়াহাট থানায় তাঁদের গ্রেফতার করে সিআরপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
বুধবার বালিগঞ্জের এক রিয়াল এস্টেট সংস্থায় অভিযান চালিয়ে এক কোটির বেশি নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। কয়লা-কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে অর্থ উদ্ধার। সেই নগদ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খাস কলকাতায় এক গাড়িতে কোটি টাকা উদ্ধারে চাঞ্চল্য।
এবার হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে উদ্ধার ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার জিনিস। যার মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আরপিএফ (RPF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরপিএফের একটি দল হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে তখনই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তল্লাশি চললে, তাঁর ব্যাগ খুলতেই বেড়িয়ে আসে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও কিছু সোনার জিনিস। এরপরই ওই ব্যক্তিকে তাঁর যাবতীয় জিনিসের কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে সে কোনওরকম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই এই বিষয়ে কলকাতার আয়কর অফিসের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়।
আরপিএফ সূত্রে আরও জানা যায়, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ভিকি কুমার। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বুধবার আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে এবং উদ্ধার হওয়া যাবতীয় টাকা ও সোনা তুলে দেয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে।