বাংলার একাধিক জেলায় হঠাৎই নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড! এমন অভিযোগ উঠতেই মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-সহ কেন্দ্রীয় সরকার ডার্টি গেমস খেলছে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ইতিমধ্যে আধার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপরেও আধারকে ইস্যু বানিয়ে হাওয়া গরম করছেন মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। সংখ্যালঘু, তফশিলি তাস খেলে কি ভোটের আগে হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। মতুয়া সম্প্রদায়কেও পাশে টানার চেষ্টায় মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সন্দেশখালি-কাণ্ডে ভোটের আগে ব্যাকফুটে শাসক দল। তাই কি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে হাওয়া গরম করছেন মুখ্যমন্ত্রী, উঠছে প্রশ্ন।
আধার-কাণ্ডে বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে, নবান্ন থেকে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই দাবি খোদ সামাজিক মাধ্যমে করছেন বিরোধী দলনেতা। তারপরেও কেন এত চড়া সুর মুখ্যমন্ত্রীর, বিরোধী মহলে উঠছে প্রশ্ন। সন্দেশখালি-কাণ্ডে কি পায়ের তলায় মাটি সরেছে শাসক দলের? তাই কি আধার নিয়ে সোচ্চার হয়ে পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, এই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই ইস্যুতে অভিযোগ আবার গুরুতর। তাঁর দাবি, ভোট পাগল মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের জন্য উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। নথি তুলে তাঁর দাবি, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। টাকা দিয়ে এই কাজ রাঁচি থেকে করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গুরুতর অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। এই কাজে রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারের ভূমিকাও দেখছেন শুভেন্দু। মমতার প্রতিশ্রুতি আধারের বিকল্প কার্ড দেবে তাঁর সরকার। এই ঘোষণাকেও তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।
এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় সন্দেশখালি ইস্যুতে। জাতীয় এসসি কমিশনের পর জাতীয় মহিলা কমিশনও বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মুখ খুলেছেন। যদিও সন্দেশখালিকে গুরুত্বহীন বানাতে চক্রান্ত, বিরোধীদের উসকানি দাবি করে আসরে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসক দলের নেতারা। তাই কি ঘুরিয়ে আধার কার্ডকে ইস্যু বানিয়ে ভোটার থুরি মানুষের মন জয়ের চেষ্টা, উঠছে প্রশ্ন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো নীল আলোযুক্ত গাড়ি নিয়ে চুরির অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার সল্টলেকে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই গাড়িটিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সল্টলেকের ইই-ব্লকের বাসিন্দা মহেন্দ্রনাথ সরকার বিধান নগর পূর্ব থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে তিনটি জেনারেটর চুরি গিয়েছে। সেই চুরির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে বিধান নগর পুলিস।
এরপর অভিযোগকারীর বাড়ির ও বিধান নগরের বিভিন্ন জায়গার মোট ৩৭টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। তারপরেই নীল আলো লাগানো গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। রবিবার উল্টোডাঙার বাসন্তী দেবী কলোনি থেকে ওই গাড়ির ড্রাইভার তপন রায়কে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্ত বিমল ব্যাপারীর নাম জানতে পারে পুলিস। তারপর গ্রেফতার করা হয় বিমল ব্যাপারীকেও। আটক করা হয়েছে নীল আলো ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে। সূত্রের খবর, এই গাড়িটি নবান্নে ভাড়ায় দেওয়া রয়েছে। গাড়িটির মালিকের সম্বন্ধে খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিধান নগর পুলিস।
মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্য়াডমিট কার্ড না পাওয়ার কারণে এবছর পরীক্ষা দিতে পারল না প্রায় সাত জন ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার চান্দামারী প্রাণনাথ হাইস্কুলে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা দিতে না পারা ওই সাতজন ছাত্রী স্কুলে ফর্ম ফিলাপও করেছিল। অভিযোগ, অন্যান্য় ছাত্র-ছাত্রীদের অ্য়াডমিট কার্ড প্রদান করা হলেও ওই সাতজনকে অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। বারংবার স্কুলে যাওয়ার পর তাদের স্কুল থেকে বলা হয় অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়া হবে। কিন্তু আজ পরীক্ষা শুরু হলেও ওই সাত ছাত্রী হাতে পায়নি অ্য়াডমিট কার্ড। যার ফলে তারা এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে না পারায় থানার দারস্থ হয়।
পাশাপাশি, স্কুলের গাফিলতিতে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসা হলো না বাদকুল্লার বাসিন্দা এক স্কুল ছাত্রীর। সূত্রের খবর, বাদকুল্লার বপুজীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী পূর্ণিমা ঘোষ এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করে। অভিযোগ, ফর্মের জন্য স্কুলের তরফে টাকা নেওয়া হলেও ওই ছাত্রীকে দিয়ে কোনও ফর্মে স্বাক্ষর করায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে অ্য়াডমিট কার্ড না আসায় এবছর মাধ্য়মিক পরীক্ষায় বসতে পারল না ওই ছাত্রীর।
এদিকে আজ সকাল থেকে সব পরীক্ষার্থীরা নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে তখন পরীক্ষায় বসতে না পারার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে গরিব হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের ওই স্কুল ছাত্রী। জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বছর যখন এক স্কুল ছাত্রীর জীবন থেকে হারিয়ে গেল। তখন সমস্ত পরীক্ষা এক বছর পিছিয়ে গেলো ওই ছাত্রীর। এবিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
আর তিন দিন পরই ২রা ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে ২০২৪-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু এখনও পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পায়নি বহু পড়ুয়া। আর তাই মোটা টাকার ব্যাগ হাতে করে প্রধান শিক্ষকদের মঙ্গলবার হাইকোর্টে আসতে নির্দেশ দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। সোমবার বাগুইআটি জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয় এবং অশোকনগরের সূর্য মৌলানা আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী অ্যাডমিট কার্ড হাতে না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের একটি হাইস্কুলের ৮ জন ছাত্রও অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয়।
বিষয়টি শুনেই প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, 'আগামীকাল মোটা টাকার ব্যাগ হাতে করে হাইকোর্টে আসতে হবে প্রধান শিক্ষকদের। না হলে পুলিস দিয়ে তাঁদের আদালতে আনাব। সেটা নিশ্চয়ই ভালো দেখাবে না।' এছাড়াও বিচারপতি বসু বলেন, 'বিপ্লব করার বেলায় এই প্রধান শিক্ষকদের জুড়ি মেলা ভার। অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে তাঁরা উদাসীন।'
যেসব মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড হাতে না পাওয়ায়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, সেই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মঙ্গলবার আদালতে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি মোটেই ভালো ভাবে নিচ্ছে না হাইকোর্ট। পড়ুয়াদের সমস্ত অভিযোগ শুনে এদিন পর্ষদের কাছে ওই ছাত্রছাত্রীদের অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার কারণ জানতে চান বিচারপতি বসু। পর্ষদের আইনজীবী জানান, স্কুলের তরফে সঠিক নথি না দেওয়ায় পর্ষদ অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করেনি। এতেই চটে যান বিচারপতি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় ওই ৩ স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এজলাসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলাগুলোর শুনানি রয়েছে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একইভাবে নির্ধারিত সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু না করায় মালদহের একটি স্কুলকে মোটা টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি বসু। প্রধান শিক্ষকের পকেট থেকেই জরিমানার অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এমনটাই হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
বর্ষশেষের দিনে শহরের বুকে ফের দুর্ঘটনা। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বিড়লা মন্দিরের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আর এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগও। গাড়ির সামনের অংশ পুরো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকাল ৬টায় বিড়লা মন্দিরের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে ফুটপাতের উপর উঠে গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগ। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় বিড়লা মন্দিরের কাছে একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মারে, এরপর ফুটপাতে উঠে যায়। জানা গিয়েছে, দুটি বিলাসবহুল গাড়িতে ফিরছিল বন্ধুরা। তার মধ্যে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িতে ছিল ৪ বন্ধু। এই ঘটনার পরে ৪ বন্ধুই অন্য গাড়িতে চেপে চলে যায়। গাড়ি চালাচ্ছিল সেই ৪ বন্ধুরই একজন। বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বালিগঞ্জ থানার পুলিস। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে তারা। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা তা জানার চেষ্টা চলছে। তীব্র গতির কারণে দুর্ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। ছুটির দিনে সকালে শহরে এমন দুর্ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এবারে হাওড়া কার্নিভাল নিয়েই শাসকদলের অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে! কার্নিভাল নিয়ে প্রথম বারের জন্য সেজে উঠেছিল হাওড়া। কিন্তু বুধবার গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি ও হাওড়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দ্বন্দে মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয় কার্নিভাল। আর এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দেগঙ্গা থেকে ঐক্যের বার্তা দিলেন খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঠিক তার পরেই ফের উল্টো ছবি হাওড়ায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনেই রীতিমতো হাতাহাতি জড়িয়ে পড়লেন বিধায়ক-চেয়ারম্যান।
বেআইনি পার্কিং ফি নিয়ে বুধবার রাতে হাওড়ায় ক্রিসমাস কার্নিভাল ঘিরে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি ও হাওড়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর গোষ্ঠীর মধ্যে। যার জেরে সময়ের আগে বন্ধ হয়ে যায় কার্নিভাল। এরপরই আসরে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কিছুক্ষণ পরেই মনোজ তিওয়ারি ও সুজয় চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে করেন অরূপ বিশ্বাস। বার্তা আসে, সব মিটে গেছে।
উল্লেখ্য, ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং-সোমনাথ শ্যামের বাকযুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই তপ্ত ছিল বঙ্গ রাজনীতি। দেগঙ্গা যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী যেমন বার্তা দিয়েছিলেন হাওড়া নিয়ে তেমনই দেগঙ্গার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেও বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে। তিনি বলেন, 'আমি কোনও ঝগড়া অ্যালাউ করব না।' কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়াই সার। যখন দেগঙ্গার সভামঞ্চ থেকে বার্তা দিচ্ছেন তখনই উল্টো ছবি দেখা গেল হাওড়ায়। লোকসভার আগে কোন্দলের ঠেলায় আসরে নামতে হচ্ছে খোদ সুপ্রিমোকে। তারপরও কোন্দল থামছে কোথায়?
এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। আর এই কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরের চত্বরে নজর রাখলে দেখা যাবে ২৭ বছরে এক যুবতী গলায় দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার ও চোখে জল নিয়ে চেয়ে রয়েছেন পথ চলতি মানুষের দিকে। যুবতীর নাম ত্রিলোচনা। তিনি মুর্শিদাবাদ থেকে এসে ২৭ দিন ধরে হাসপাতাল চত্বরে অস্থায়ী ঠিকানা তৈরি করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন নিজের। মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল এ রোগের চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব নয়। তাই কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
এসএসকেএম হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পেয়েছেন ত্রিলোচনা, গলায় অস্ত্রপচারও করা হয়েছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই দীর্ঘ চিকিৎসা চালাতে গেলে তাঁকে শহর কলকাতার কোথাও থাকতে হবে। টাকার অভাবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেননি। স্বামীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের বাইরের চত্বরে ঠিকানা হয়েছে ত্রিলোচনা ভাস্করের।
ত্রিলোচনা মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দা। মুখে টিউমার হয়েছিল। সেই টিউমারের চিকিৎসা করতে যান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তারপর সেখান থেকে শিয়ালদহের আর আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ। সেখানে ভুল চিকিৎসার পর তিনি চলে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। অনেকটা সুস্থ হয়েছেন কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। যতদিন না সুস্থ হয়ে উঠছেন ততদিন হয়ত তাঁকে এই এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে এভাবেই দিন কাটাতে হবে। আর কলকাতার হাসপাতালগুলি বাইরের চত্বরে এভাবেই দিন কাটাছেন হাজারও ত্রিলোচনা, শুধু অপেক্ষা করছেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল একই পরিবারের দুইজনের। ঘটনায় গুরুতর আহত আরও তিনজন। শনিবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাপড়া থানার পুলিস। চাপড়া থানার পুলিস গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের একটি শিশু ও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত দুজন হল অন্য প্রামাণিক (১) এবং ঝর্ণা প্রামানিক (৫০)। বাড়ি তেহট্ট থানার এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ কলকাতা থেকে তেহট্টে চারচাকা গাড়ি করে ফিরছিলেন দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই পরিবার। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারচাকা গাড়িটি চাপড়া থানার চারাতলা এলাকায় একটি গাছে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির সামনের অংশ। ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় গাড়িতে থাকা একটি শিশু সহ এক মহিলার। বর্তমানে বাকি তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে ফের মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন বাম সরকার ১ কোটি জাল রেশন কার্ড তৈরি করেছিল। সেই ১ কোটি জাল রেশন কার্ডের ভোট পেতে বামেরা। তাঁর সরকার এসে এই ১ কোটি জাল রেশন কার্ড বাতিল করেছে। সেটা করতে ৭-৮ বছর সময় লেগেছে।
রেশন দুর্নীতি বাম আমলে হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি কিছুই নিইনি তাও আমি চোর।' রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশের সম্মান নষ্ট হোক সেটা তিনি চান না সেকারণে চুপ করে রয়েছেন। রেশন দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে সিঙ্গুরের কথা টেেন এনেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন সিঙ্গুর আন্দোলন শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। তারপরেও সেখানকার বাসিন্দারা চাল পান।
নাম না করে মোদী সরকারকে এদিন নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, যাঁরা আসল চোর তাঁরা পুলিসের মুখে আটা ছুড়ছেন। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি আটা দুর্নীতিও প্রকাশ্যে এসেছে। এতে আবার রাজ্য পুলিসেরর নাম জড়িয়েছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রী এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, একশো দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। কাজ করেও দিনমজুররা অর্থ পাননি। আবাস যোজনার বকেয়া দেয় না কেন্দ্র। উলটে জিএসটির নাম করে সব ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে টাকার পাহাড় মিলেছিল। সেই ঘটনায় অর্পিতার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের গাড়ি থেকেও পুলিশ লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের তেলিপুকুর সাবওয়েতে একটি গাড়ির ডিকি থেকেও কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা উদ্ধার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, একটি চারচাকা গাড়ির ডিকিতে থাকা একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। বর্ধমানের তেলিপুকুর এলাকায় পুলিশের নাকা চেকিং চলছিল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ফ্লাইওভারের নীচে সাবওয়েতে বর্ধমান-আরামবাগ রোডের তেলিপুকুর মোড়ে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়।
চারচাকা গাড়ির ডিকি খুলতেই টাকা ভর্তি কয়েকটি ব্যাগ নজরে আসে পুলিশের। গাড়ির আরোহীরা পুলিশকে এত টাকার কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে পুলিশের দাবি। জানা গিয়েছে, গাড়িতে চালক ও দু’জন মহিলা সহ মোট পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ধমান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, চারচাকা গাড়িটি বর্ধমান-আরামবাগ রোড ধরে তেলিপুকুর হয়ে বর্ধমান শহরে ঢুকছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনই বলা সম্ভব নয়। গাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয় নাকা চেকিংয়ের সময়। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সূত্রের খবর, আটকদের বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বেশ কয়েকটি ধানকল আছে।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিও দিয়েছিলেন। সেই চিঠি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, অবশেষে ওই চিঠির জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো জবাবি চিঠির বিষয়টি জানান তিনি। ইতিমধ্যে ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাঠিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যদিও ওই চিঠিতে ঠিক কী বলা হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি রাজ্যপাল।
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে প্রথমে দিল্লিতে ধরনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কলকাতাতে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেন তিনি। অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন তিনি।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৬ নভেম্বর বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপের।
নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী ১৬ নভেম্বর ফের পঞ্চায়েত, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ব্লক প্রেসিডেন্ট, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে মিটিং করবেন তিনি। বেলা ১২টার সময় বৈঠক হবে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দিলে আন্দোলন বৃহত্তম পর্যায়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।
চুল (Hair Care) নিয়ে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। দিনরাত চুলের পরিচর্যা করছেন, ঘনঘন চুল আঁচড়াচ্ছেন, কিন্তু তাতেও চুল ঝরেই যাচ্ছে। তবে কি চুল ঘন ঘন আঁচড়ানোর জন্য চুল ঝরে যাচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, চুল একাধিকবার আঁচড়ানোর জন্যও চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, চুল একাধিকবার আঁচড়ে নিলেই চুল ভালো থাকবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একেবারেই ভুল ধারণা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দুবারের বেশি চুল আঁচড়ানোর কোনও দরকার নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে, আর রাতে শোয়ার আগে আঁচড়ালেই যথেষ্ট। ভেজা চুল আঁচড়ানোর সময় খুব সাবধান থাকতে হবে, ভেজা চুলের গোঁড়া আলগা থাকে। তাই চুল ঝরার সম্ভাবনা বেশি, আগে তলার দিক আঁচড়ে নিয়ে তারপর গোড়া আঁচড়াতে হবে। তবে ভেজা চুল না আঁচড়ানোই বেশি শ্রেয়।
পঞ্চমী থেকে রোজই সারা রাত মেট্রো চলেছে কলকাতায়। এবার রেড রোড কার্নিভালের দিনও বিশেষ পরিষেবা দেবে কলকাতা মেট্রো।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, কার্নিভ্যালের দিন ২৩৪টির পরিবর্তে ২৫২ মেট্রো চলবে। রাতের শেষ মেট্রোর সময়ও বাড়ানো হয়েছে।
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে ১০টা ৫৮ মিনিটে। আবার কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশে মেট্রো মিলবে রাত ১১টায়। দমদম এবং সুভাষ থেকে দুদিকের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।
পুজোর (Durga Puja) আর মাত্র ৭ দিন বাকি, ফলে হাতে মাত্র আর এক সপ্তাহ। আর এর মধ্যেই ফিরে পেতে চান হারিয়ে যাওয়া জেল্লা? কিন্তু কী করে সম্ভব, এই নিয়ে চিন্তায় তো! তবে এই নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। আজ থেকেই শুরু করুন ত্বকের যত্ন। ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও।
ত্বক পরিচর্যার প্রাথমিক তিনটে ধাপ হল ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং। আর এর কথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু প্রতিদিন মেনে চলে না কেউই। কিন্তু এবারে এই অভ্যাসই পরিবর্তন করতে হবে। এই সাতদিন নিয়মিত ত্বকের ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করা শুরু করুন। প্রথমে নিজের পছন্দ মতো ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এর পর গোলাপজল, গ্রিন টি, হোয়াইট ভিনিগারের মতো প্রাকৃতিক টোনার ব্যবহার করতে পারেন। তার পর ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বক পরিষ্কার করার পর একটা প্রাকৃতিক ফেস প্যাকও লাগাতে পারেন। তা করতে পারলে আরও ভালো হয় ত্বকের জন্য।
তবে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না, এই কদিন শাক-সবজি, ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য। আর পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিনের রুটিন এভাবেই নিয়মিত মেনে চলুন। আর সাত দিনের মাথায় দেখুন ম্যাজিক।