খুনের পরিকল্পনা, ক্যানিং (Canning) থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল (TMC) নেতা। গ্রেফতার (Arrest) করল ক্যানিং থানার পুলিস (Police)। তৃণমূল নেতা সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের দাঁড়িয়া গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ধৃত তৃণমূল নেতার নাম খলিল আলি মোল্লা। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি খলিল।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক, ১ রাউন্ড গুলি, ধারালো ভোজালি, ছটা মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা। পুলিস আরও জানায়, ধৃত তৃণমূল নেতা খলিলের বিরুদ্ধে আগেই একটা খুনের অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রাজু নস্করকে খুন করে বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছিল সে। তবে এদিন সে কাকে খুন করবে বলে পরিকল্পনা করেছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) থাকা সত্ত্বেও মিলছে না রোগীদের পরিষেবা। ক্যানিং (Canning) মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা একটি ব্লক হাসপাতালের থেকেও দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। হাসপাতালে ১০২-এর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী ও তাঁর পরিজনরা। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে মোটা টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হচ্ছে রোগীর স্থানান্তরের জন্য।
এক রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের শিশু হাসপাতাল বিভাগে ১৭ দিনের এক শিশু ভর্তি ছিল। তবে হঠাত্ ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে, জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তখন এই পরিস্থিতিতে ওই শিশুর পরিবার পরিজন ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের দ্বারস্থ হন। কিন্তু হাসপাতালে চত্বরে চার চারটে ১০২ অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা রোগীকে নিয়ে কলকাতায় যেতে রাজি হননি। একের পর এক নানা ধরনের অজুহাত দিয়েছেন তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তবেই রোগীকে স্থানান্তরিত করেন রোগীর পরিজনরা, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার। তাঁরা হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ক্যানিংয়ে (Canning) বিধায়কের নেতৃত্বে দেওয়াল লিখন তৃণমূলের (TMC)। রাজ্যে এখনও ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। কিন্তু তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু করল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ক্যানিংয়ের দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের হাত ধরে শুরু হল দেওয়াল লিখন। সঙ্গে দিনভর চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও। এদিন সকালে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক ক্যানিং এলাকার বেশ কয়েকটি দেওয়ালে দলের প্রতীক চিহ্ন নিজেই আঁকেন। পাশাপাশি প্রখর রোদ উপেক্ষা করে একটি মিছিলও করেন দলের কর্মীদের নিয়ে।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী বিধায়ক। রবিবার ভোটের প্রচার ও দেওয়াল লিখনের সময় বিধায়ককে রাস্তা ও জলের দাবিও জানানো হয় এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। এমনকি সেই দাবি দ্রুত মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দেন বিধায়ক।
এই বিষয়ে বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, "একটি রাস্তা উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীদের দেওয়াল লিখন ও প্রচার করতে দেখি। তারপরই আমি গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে কয়েকটা দেওয়াল লিখেছি। এমনকি দলের হয়ে গ্রামের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটও চেয়েছি।"
পুলিসের (Police) জালে জাল নোটের কারবারি। সোমবার রাতে ক্যানিং থানার চাঁদখালি মোড় থেকে নাজবুল মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিস। নকল (Fake Money) দশটি পাঁচশো টাকার নোট উদ্ধার হয়েছে তাঁর থেকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তালদি পঞ্চায়েতের চাঁদখালি মোড়ে অভিযান চালায় পুলিস। সেখান থেকে জাল টাকা-সহ হাতেনাতে পাকড়াও হয় নাজবুল। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে নকল দশটি পাঁচশো টাকার নোট উদ্ধার করে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। মঙ্গলবার নাজবুলকে আলিপুর আদালতে পাঠায় ক্যানিং থানার পুলিস।
তবে পুলিস সূত্রে খবর, টাকাগুলি কোথা থেকে নিয়ে এসে এবং কোথায় কোথায় এই টাকাগুলো ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে বলে খবর।
ক্যানিং থানার (Canning PS) অন্তর্গত গোলাবাড়ি বাজার এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Pargana) এই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি (Bombing and Firing) এবং শনিবার সকালেই উদ্ধার করা হয়েছে বোমা। এমনটাই স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল ব্লক সভাপতি শানু, অঞ্চল দেখাশোনার জন্য আসলে, ইটখোলা অঞ্চল উপপ্রধান খতিব সরদারের লোকজন এসে আচমকাই সেখানে বোমাবাজি করে ও গুলি চালায়। আর সকাল হতে না হতেই এখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা। স্থানীয় লোকজন ক্যানিং থানায় খবর দিলে, পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করেছে।
তবে খতিব সরদারের দাবি, 'তাঁর লোকজন এ কাজ করেনি, কারা করেছে তা তিনি জানেন না। গোলাবাড়ি এলাকায় এরকম বোমাবাজি নিয়ে তিনিও খুব আতঙ্কিত।' এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিস। এছাড়াও এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা এবং কারা জড়িত আছে ঘটনার সঙ্গে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ব্রিজ ও সাঁকোর (Bad Bridge Condition) বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত বিপদে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। বালুরঘাটের (Balurghat) মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে আত্রেয়ী নদীর খাড়ি। তার উপর রয়েছে লোহার ফুট ব্রিজ। বছর দুয়েক ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। শহরের ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাথে ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগকারী এই ফুটব্রিজ ভেঙে পড়েছে। সেই সমস্যা সংশ্লিষ্ট চারটি ওয়ার্ড-সহ শহরের নাগরিক।
একই দশা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের এক সাঁকোর অবস্থা। ক্যানিং পূর্বের মালিকধার কাঠের সাঁকোর বেহাল দশা। স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এবং এলাকাবাসীরা সমস্যায় পড়েছে। অভিযোগ, নজর নেই প্রশাসনের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। মেরামতি হয়নি কাঠের সাঁকো। কবে তৈরি হবে কাঠের সাঁকো এই অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে গ্রামবাসীরা। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মেইন গেটের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন খোদ অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা। তাদের দাবি, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক নয়। ফলে প্রতিনিয়ত হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে প্রসূতি মহিলাদের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল ক্যানিং থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, প্রতি ইংরেজি মাসের ৯ তারিখে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আসতে হয়। এদিন গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক-পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ফলে যাতে গর্ভবতী মহিলাদের কোনও অসুবিধা না হয়, তাই তাঁদের পরিবারের লোকজন আগের রাত থেকে হাসপাতালের সামনে লাইন দিয়ে রাখেন। এমনকি খোদ গর্ভবতী মায়েরাও ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। তবে সোমবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৭ই জানুয়ারি গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েগিয়েছে। এমনকি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্তানসম্ভবা মায়েদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আবার ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে হবে। ক্ষিপ্ত হয়ে হবু মায়েরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মেইন গেটের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাসপাতাল থেকে এই বিষয়ে আগে থেকে জানানো হয়নি। এমনকি ৭ই জানুয়ারিতেই যে তা হয়ে গিয়েছে তাও জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার পুলিস।
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এদিকে, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন স্ত্রী। রাগের বশে নিজের স্ত্রীকেই খুন (murder) করেন স্বামী, অভিযোগ মৃতার পরিবারের। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং (Canning) থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামের। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী রবিউল শেখকে গ্রেফতার (arrest) করেছে ক্যানিং থানার পুলিস (police)।
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী। এমনটাই অভিযোগ মৃত মহিলার পরিবারের। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ধর্মতলা গ্রামে রবিউল শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় উম্মে হানির। বয়স ২৫ বছর। প্রথম দিকে সব ঠিক থাকলেও বিয়ে প্রায় আট বছর পর অন্য মহিলার প্রেমে পড়েন রবিউল। স্বামী অন্য মহিলার প্রেমে পড়ায় প্রতিবাদ করতে থাকেন স্ত্রী। আর এই নিয়ে প্রায় সময়ই সংসারে লেগে থাকত অশান্তি। তবে পরিবারের দাবি, স্বামীর প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিস। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস দেহটির উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
পুজোর (puja) চাঁদা না দেওয়ায় ছেলেকে মারধর করার চেষ্টার অভিযোগ। এমনকি, বাবা বাঁচাতে আসলে তাঁকেও বাঁশ দিয়ে মারা হয় এমনই অভিযোগ। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং থানার ক্যানিং (Canning) হেরোভাঙ্গা রোডের রায়বাঘিনি মোড়ের।
জানা যায়, রায়বাঘিনি মোড়ের কাছে চাঁদা তুলছিলেন বেশ কিছু যুবক। সেই সময় দীপঙ্কর সর্দার ও তাঁর ছেলের দীপ সর্দার প্যান্ডেলের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। ক্যানিং থানার রায়বাঘিনি স্কুলের কাছে কয়েকজন যুবক চাঁদা আদায়ের জন্য তাঁদের ভ্যান আটকায়। তবে দীপঙ্কর ও দীপের অভিযোগ, যুবকদের বৃহস্পতিবার চাঁদা দেবে বলে তাঁরা জানান। কিন্তু তাঁদের কথা না শোনায় কয়েকজন যুবক দীপের উপর আক্রমণ করে, তখনই তাঁর বাবা দীপঙ্কর ঠেকাতে গেলে তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয়রা। স্থানীয়রাই দীপঙ্করকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পুজোর চাঁদা আদায় ঘিরে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শিক্ষকদের বদলি রুখতে ট্রেন (train) অবরোধ করে বিক্ষোভ স্কুল পড়ুয়াদের। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্যানিং (Canning) লাইনের যাত্রীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা শিয়ালদহ (Sealdah) দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে মঙ্গলবার সকালে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকশো পড়ুয়া (student)। ট্রেন অবরোধ (Train blockade) করে বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করে তারা। মূলত, স্কুল শিক্ষকদের বদলি রুখতে এই ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, এক সঙ্গে নারায়ণপুর অক্ষয় বিদ্যামন্দিরের পাঁচজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্কুলে মাত্র তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকছেন। যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ক্লাস নিতে সক্ষম।
এই অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বন্ধের মুখে পড়বে। তাই পাঁচ শিক্ষকের বদলি রুখতে গৌরদহ স্টেশানে এসে রেল লাইনে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়াতেই উপস্থিত হয় পুলিস।
হেরোইন (Heroin)-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ল এক পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) জীবনতলার। জানা যায়, ধৃতের নাম শওকত লস্কর। মঙ্গলবার রাতে জীবনতলা থানার মনসাপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয় তাঁকে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২১ গ্রাম হেরোইন। ধৃত তৃণমূল নেতাকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে পুলিসের (police) কাছে খবর ছিল নারায়ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শওকত লস্কর এলাকায় হেরোইন ব্যবসা করছে। কিন্তু পুলিস হাতেনাতে ধরতে পারছিল না। এরপর মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মনসা পুকুর এলাকা থেকে হেরোইন সহ হাতেনাতে ধরে ফেলে ধৃতকে।
যদিও এই বিষয়ে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সালাউদ্দিন সরদার, শওকতকে তাঁদের দলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই পরিবার। আমরা সমস্ত জায়গায় জানিয়ে রেখেছি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।"
যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের দিদি তথা ক্যানিং ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রহিমা লস্কর জানান, "রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার আমরা। আমাদের পরিবারের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।"
ক্যানিংয়ে (canning) প্রকাশ্যে তিন তৃণমূল কর্মী খুনের (murder) ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) হওয়া মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়। বুধবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুলিস সুপার পুষ্পা-সহ একাধিক পুলিস (police) কর্তা। প্রসঙ্গত, জুলাইয়ে প্রকাশ্যে তিন তৃণমূলকর্মীকে প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে খুন করার ঘটনার হইচই পড়েছিল শহর ক্যানিংয়ে।
পুরনো শত্রুতার জেরেই তিন তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল তদন্তে। তবে খুনের ঘটনায় এখনও রাজনৈতিক যোগসূত্র মেলেনি। পাশাপাশি তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বছর দেড়েক আগে রফিকুল গ্রেফতার হয় মাদক মামলায়। জেল থেকে বেরনোর পর বাদল নস্করের উপর হামলা চালায় সে। বাদল নস্কর তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মী। তখন বাদলকে বাঁচান পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি। তারপর থেকেই স্বপনের উপর রাগ ছিল রফিকুলের। আর তার জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান। স্বপনই ছিল মূল টার্গেট, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরাও।
এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের শুট আউট (shootout) ক্যানিংয়ে। আবারও এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে (canning)। শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটুয়ার মোড়ের কাছে জসিমুদ্দিন মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের (murder) চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হন ওই কর্মী, স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ক্যানিং এলাকায় থেকে চারজনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিস।
পুলিস (police) ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাজার থেকে নিজের মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন জসিমুদ্দিন। রাস্তার মাঝে পেটুয়া মোড়ের কাছে তাঁর পথ আটকায় সাইফুল ঘরামী ও তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাইফুল এলাকায় দুষ্কৃতী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে জসিমুদ্দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খতিব সর্দারের অনুগামী। এরপর আচমকাই তাঁকে রাস্তায় দাড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা এক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। গুলির শব্দে আশেপাশের মানুষজন বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঠিক এক মাস আগেও সকাল বেলায় ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনকে। বার বার ক্যানিং থানা এলাকায় এই শুট আউটের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট আতঙ্কে স্থানীয় মানুষজন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।