প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। শুক্রবার মাঝরাতে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সাংসদ তথা ভগবানগোলার বিধায়ক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। জানা গিয়েছে, ক্যানসারে ভুগছিলেন ইদ্রিশ আলি। বিধানসভায় নিয়ে আসা হয় তাঁর মৃতদেহ। সেখানেই শোক জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী-বিধায়করা। ইদ্রিশ আলির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব হয়ে শেষ হল বিধানসভার শুক্রবারের অধিবেশন। শোক প্রস্তাব করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যক্ষ।
সূত্রের খবর, ক্যানসারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেধেছিল। অনেকদিন ধরেই বিধায়কের শরীর অসুস্থ ছিল। ইদানিং রাজনীতির জগতেও সক্রিয়তা কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিনই পার্ক স্ট্রিটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত বিধায়কের।
ইদ্রিশ আলির রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। তাঁর রাজনীতিতে আসা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি ভোটে লড়েন তৃণমূলের হয়ে। সেবার জয় পাননি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি ভগবানগোলা আসনে জিতে বিধায়ক হন।
মানবিকতা বলে আছে কিছু? অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের জন্য হাসপাতালে স্ট্রেচার না পেয়ে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ছেলে। অনুপায় হয়ে ৭৫ বছরের লিভারে ক্যানসার আক্রান্ত মাকে গায়ে দেওয়ার চাদরে শুইয়ে চার কোণা দু’জনে ধরে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে যান ছেলে ও রোগীর পরিজনেরা। এই অমানবিকতার ছবি বৃহস্পতিবার সকালে ধরা পড়েছে রাজ্যের প্রথম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রিষড়া থেকে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত বৃদ্ধা রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর পরিবার। কিন্তু অরিজিনাল আধার কার্ড না থাকায় ওই রোগীকে ট্রলি দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি জেরক্স কপি দেখিয়েও কাজ হয়নি। এসএসকেএমের তরফে জানানো হয় আধার কার্ডের জেরক্স কপির কোনও ভ্যালু নেই। এরপরেই অত্যন্ত নিরুপায় এবং অসহায় অবস্থায় রোগীর বাড়ির পরিজনেরা রোগীকে চাদরে পেঁচিয়ে হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে নিয়ে যান জেনারেল সার্জারি বিভাগে।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য এসএসকেএমে সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা নেই। সেখানে চিকিৎসা করাতে গেলেই বারংবার হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের।
রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম এই এসএসকেএম। কিন্তু চিকিৎসা করাতে এসে কেন বারবার রাজ্যের সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হবে সেখানে? যেখানে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু মাসের পর মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিন দখল করে থাকতে পারেন, রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রীর জন্য যেখানে বেড সংরক্ষিত থাকে, সেখানে সাধারণ মানুষ আধার কার্ড আনতে ভুলে যাওয়ার কারণে কেন এভাবে হয়রানি স্বীকার হতে হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে? তাহলে কি এসএসকেএম শুধুই প্রভাবশালীদের? সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম কি এতই কম? কেন এতটা অমানবিক এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ৬ মাস ধরে আটকে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা।অভিযোগ, সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেও মেলেনি চিকিৎসার টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বছর ২৬-এর কৌশিক বর্মন নামে এক যুবক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ধূপগুড়ির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। আর্থিক অবস্থা খুব বেশি সচ্ছল নয়। দরিদ্র পরিবারে মা বাবা ও দুই দাদাকে নিয়ে থাকতেন সে। কিন্তু এক বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় আরও বিপদে পড়ে যায় ওই পরিবার। এরপর জলপাইগুড়িতে চিকিৎসা না হওয়ায়, ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশীরা। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা-পয়সা দিয়ে চিকিৎসা জন্য বেঙ্গালুরু পাঠায় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
এরপর জলপাইগুড়িতে ফিরে বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের কেমো থেরাপি। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২ টো কেমোর সাহায্য পেলেও কিন্তু আরও কেমো দেওয়ার জন্য আবারও প্রতিবেশীদের কাছে টাকা চাইতে হয় ওই পরিবারকে। ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর থেকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এরপর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ফের অপারেশন করতে হবে ওই ক্যান্সার আক্রান্ত যুবককে।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু আবেদন করার ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য পায়নি ওই পরিবার। যারফলে এখন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত বছর ছাব্বিশের কৌশিক বর্মনের চিকিৎসা। কবে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডের টাকা তাঁরা পাবে এবং কবে অপারেশন হবে সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
প্রয়াত হিথ স্ট্রিক। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী নাদিন তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের মৃত্যুর খবর নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই কোলন ক্যানসারে ভুগছেন এই ক্রিকেটার। একই সঙ্গে লিভারের একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। জুলাই মাসেই সেকথা জানা গিয়েছিল। এরপর কয়েকদিন আগেই খবর রটে যায় মৃত্যু হয়েছে হিথ স্ট্রিকের। যদিও তার কিছু পর পুরো বিষয়টিই ভুল বলে জানা গিয়েছিল।
প্রয়াত কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড (Bangla Band) ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস (Tapas Das)। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যানসারে। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাপিদার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। রবিবার শেষ হল তাঁর লড়াই। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন মহীনের অন্যতম ঘোড়া।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকাশ্যে আসে এই খবর। মারণরোগে ভুগছেন তাপস। ‘বাপিদা’র অসুস্থতার খবর শোনামাত্রই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান শহরের সঙ্গীতশিল্পীরা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তৈরি করা হয় তহবিল। ‘ফসিলস’ থেকে ‘বর্ণ অনন্য’, শিল্পীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে একাধিক কনসার্টের আয়োজন হয় শহরেই। পরে অবশ্য তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল শিল্পীর।
সোমবার আমেদাবাদের রং হতে চলেছে ল্যাভেন্ডার। আইপিএলের ম্যাচে সোমবার বিশেষ জার্সি পরে মাঠে নামছে গুজরাত টাইটান্স। তারজন্য রবিবার থেকেই নতুন রঙে সেজেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। যুবরাজ সিং থেকে নীল আর্মস্ট্রং। সঞ্জয় দত্ত থেকে মণীশা কৈরালা। সব ক্যানসারজয়ীদের এই ল্যাভেন্ডার জার্সি গায়ে সম্মান জানাতে চলছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। একইসঙ্গে এদিন ম্যাচ থেকে ওঠা অর্থ দান করা হবে ক্যানসার নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনেও। উল্লেখ্য ক্যানসারকে জয় করেই এই আইপিএলে গুজরাত দলে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড।
গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হারলেও, এই আইপিএলে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাতে সিলমোহর বসাতে চান হার্দিকরা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে গুজরাত। তাই এদিনের ম্যাচের তেমন কোনও গুরুত্ব নেই।
কারণ, এই আইপিএল থেকে কার্যত ছিটকেই গিয়েছে হায়দরবাদ। এই ম্যাচ জিতলেও তাদের প্লে-অফ খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও মাক্রামরা চাইছেন এই ম্যাচে গুজরাতকে হারিয়ে শেষবেলায় দু পয়েন্ট কুড়িয়ে নিতে।
জিভের উপরও গজাতে পারে চুল, এমনটাও কখনও ভেবেছেন কি? হয়তো অনেকই মনে করতে পারেন, এমনটা কখনও সম্ভনই নয়। কিন্তু এবারে এমনটাই ঘটেছে এক মহিলার সঙ্গে। সব চিকিৎসকদের কাছে গেলেই জিভ দেখাতে গেলে প্রথমেই জিভ দেখাতে বলে। জাপানের এক মহিলা চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন, সেখানেও সেই চিকিৎসক জিভ দেখতে চাইলে হতবাক চিকিৎসক। জিভ খুলতেই দেখেন তাতে চুল। তবে কেন এমন ঘটে?
জানা গিয়েছে, ৬০ বছর বয়সী সেই বৃদ্ধা রেকটাল ক্যান্সার বা মলদ্বারের ক্যানসারে আক্রান্ত। ফলে গত ১৪ মাস ধরে নানা রকম চিকিৎসার পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে 'মিনোসাইক্লিন' নামে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই অ্যান্টিবায়োটিক থেকেই এই রকম রোগের উৎপত্তি। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল কেস রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কেমোথেরাপির খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে এই ওষুধ দেওয়া হলে তাঁর উপর উল্টো প্রভাব পড়ে ও 'ব্ল্যাক হেয়ার টাং' নামক রোগ দেখা যায়।
এরপরেই চিকিৎসকরা তাঁকে সেই অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া বন্ধ করে ও অন্য চিকিৎসা করা হয় তাঁকে। এরপর তা ধীরে ধীরে তাঁর জিভ ঠিক হতে থাকে।
বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের (Kartik Aaryan) ভক্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সিনেমার পর্দায়, অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কার্তিক আরিয়ানকে সকলেই একগাল হাসি নিয়ে দেখেছে। উল্লাস ছাড়া যেন কার্তিককে ভাবতেই পারেন না নেটিজেনরা। বাবা-মায়ের প্রতি কার্তিক আরিয়ানের ভালোবাসার কথাও সকলেই জানেন। সেই কার্তিক আরিয়ানের অতীতে যে কী কষ্ট লুকোনো ছিল তা এতদিন কেউই জানতেন না।
এইবার প্রকাশ্যে এল অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার সময়। প্রাণাধিক প্রিয় মায়ের শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ ক্যানসার। কীভাবে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে আজ সুস্থ হয়েছেন তাঁর মা, কীভাবে ছেলে হিসেবে অভিনেতাকে এবং পরিবারকে লড়তে হয়েছে, সেকথা নিজের সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান।
৫ মে নিজের সামাজিক মাধ্যমে কার্তিক তাঁর মা, মালা তিওয়ারির অসুস্থতা নিয়ে লিখেছিলেন, 'ক্যানসার চুপি চুপি আমাদের পরিবারকে নষ্ট করে দিতে চেয়েছিল। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আশাহত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ধন্যবাদ আমার মায়ের মতো সৈনিকের সহ্য ক্ষমতা, ইচ্ছে শক্তি এবং হাল না ছাড়ার ক্ষমতাকে। আমার ক্যানসারকে সাহসে পরিণত করেছিল।'
বেশিরভাগ ক্যানসার (Cancer) রোগীই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। সেইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক তরুণীর। ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়ের চিকিৎসার সময় অস্ত্রোপচারের করে জিভের ৯০ শতাংশ বাদ গিয়েছিল ইংল্যান্ডের (England) এক তরুণীর। তারপর থেকে কথা বন্ধ। জানা গিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সি জেমা উইকসের ছ’বছর ধরে জিভে এক ধরনের অস্বস্তি হচ্ছিল। জিভের উপরে সাদা ক্ষত দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পরে এই ঘটনায় চিকিৎসক (Doctor) জানায়, ওই মহিলার জিভে ও গলায় ক্যানসার হয়েছিল। এমনকি অস্ত্রোপচার করে জিভের একাংশ কেটে বাদ দিতেও হয়েছিল ওই মহিলার।
এই চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের পর পরই কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তরুণী। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টায় তরুণীর বাহু থেকে টিস্যু নিয়ে নতুন জিভ তৈরি করে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচারের পরেও তরুণীকে কোনও কথা দেখেন না চিকিৎসকরা। কিন্তু মেয়ে ও বরকে দেখে আবার কথা ফুটল ওই মহিলার মুখে।
স্বর ফিরে আসার পর এক সাক্ষাৎকারে জেমা বলেন, ‘‘আমি নিজেই আমার স্বর চিনতে পারি না। তবে ধীরে ধীরে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অস্ত্রোপচারের পর পর লোকে আমার কথা বুঝত না, তবে এখন লোকে আমার কথা বুঝতে পারে।’’
প্রাক্তন ক্রিকেটার ও রাজনীতিক নভজোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) বর্তমানে জেলে। এমন সময়েই ক্যান্সার ধরা পড়ল তাঁর স্ত্রীর। প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নয়, একেবারে স্টেজ টু ক্যান্সারে (Cancer) আক্রান্ত সিধুর স্ত্রী নভজোৎ কৌর (Navjot Kaur)। এতদিন পাশে ছিলেন স্বামীর। কিন্তু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি। হতাশ হৃদয়ে স্বামীর উদ্দেশে টুইটারে লিখলেন নিজের মনের কথা। সেই চর্চায় এখন সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত ৩৪ বছর আগের একটি পথ দুর্ঘটনার মামলায় সিধুকে এক বছরের জেলের সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তিনি। সিধুর স্ত্রী টুইট করে লেখেন, 'সে এমন এক অপরাধের জন্য জেলে রয়েছেন, যে অপরাধ সে করেইনি। যারা জড়িত রয়েছে তাঁদের ক্ষমা করো। প্রত্যেকদিন তোমার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি, তোমার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়ে। বরাবরের মতোই তোমার কষ্ট দূর করতে চাইছি, তোমার কষ্টের ভাগীদার হয়ে।'
নভজোৎ কৌর আরও হৃদয়বিদারক লেখা লেখেন তাঁর মারণ রোগের কথা লিখে। তিনি লিখেছেন, ' তোমার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম, দেখলাম বারংবার ন্যায় তোমাকে প্রত্যাখ্যান করছে। সত্য ক্ষমতাশালী কিন্তু তা বারংবার তোমার পরীক্ষা নিচ্ছে। কলিযুগ। মাফ করো, তোমার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। আজ ছুরি চলবে আমার উপর। কাউকে দোষ দেওয়ার নেই, কারণ সবই ঈশ্বরের পরিকল্পনা। যথাযথ।'
ক্যান্সার আক্রান্ত বাবাকে দেখতে গিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারলেন না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষর্থী। হাবড়া হাটথুবা হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ মিস্ত্রি। সূত্রের খবর, অভিজিতের বাবা পাঁচ দিন ধরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। আর সেখানেই গিয়েছিল ছেলে অভিজিৎ মিস্ত্রি। সোমবার হাসপাতাল থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় প্রায় দু'ঘণ্টা। আর সেই কারণেই এ বছরের ইতিহাস পরীক্ষায় বসা হলো না অভিজিৎ মিস্ত্রির।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা হাটথুবা হাইস্কুলের ছাত্র অভিজিৎ। পরীক্ষার সিট পড়েছিল জয়গাছি শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যায়তন স্কুলে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিজিৎ মিস্ত্রির বাবা অজিত মিস্ত্রি ক্যান্সারে আক্রান্ত আর সেই কারণেই কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেখানে বাবাকে দেখা করতে গিয়ে ট্রেনের সমস্যার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বেশি দেরি করে ফেলে সে, আর বোর্ডের নিয়ম অনুসারে এক ঘন্টার বেশি দেরি করলে সে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। সেই কারণে গেটের সামনে এসে ভেঙে পড়েন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিজিৎ মিস্ত্রি।
স্থানীয় অভিভাবকরা এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বোর্ডের কর্তাদের অনুরোধ করেন ছেলেটির মানবিক দিক দেখে যাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে হাবরা শ্যামাপ্রসাদ বিদ্যায়তন স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি এবং সিএন-এর বুম হাত দিয়ে সরিয়ে দেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, 'কিছুটা মানবিক হলে হয়তো ছাত্রের এক বছর নষ্ট হতো না।'
মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer Survivor) হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden)। তারপরেই ঘোষণা ক্যান্সারমুক্ত ইউএস প্রেসিডেন্ট (US President)। শুক্রবার একথা জানান বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কেভিন ও কোনর। তিনি জানান, বুকের ভিতর একটি মাংসপিন্ডের বায়োপসি রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর্কটরোগে আক্রান্ত। তারপরই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অশীতিপর প্রেসিডেন্টের বুক থেকে চামড়ার একাংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়েছে। এখনও চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন। বাইডেনের চিকিৎসক এ-ও জানান, অন্য প্রাণঘাতী ক্যানসারের মতো প্রেসিডেন্টের শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছিল, বাইডেনের বয়স।
প্রত্যেকদিন ইন্টারনেটে ভাইরাল (Viral Video) হয়ে চলেছে বহু ঘটনা। কেউ কেউ মারণরোগ ক্যান্সারের (Cancer Treatment) সঙ্গে কীভাবে লড়াই করছেন, সেই বিষয়টি ভাগ করে নেয় সকলের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ নিজেদের প্রিয়জনের এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করেন সামাজিক মাধ্যমে। তেমনই তুরস্কের (Turkey Hospital) এক হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপের ভিডিও নেটিজেনদের মন কেড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের একটি বেলুন দিয়ে সাজানো ব্যাটারিচালিত গাড়ি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সেই গাড়িতে চেপে চিকিৎসা রুমে যাবেন তারা। তুরস্কের ক্যাসেরি শহরের একটি হাসপাতালের এই মনমুগ্ধকর ভিডিও চোখে জল এনে দিয়েছে নেটিজেনদের।
(VIDEO) Turkish hospital gives children electric cars to drive to cancer treatment
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 1, 2023
At a hospital in Turkish city of Kayseri, children with cancer can get on mini battery-operated cars, instead of a stretcher, to go to their treatment room pic.twitter.com/0GjmsKeTac
এরিক্স হাসপাতালের কণিকা অ্যাসোসিয়েশান এবং শিশুরোগের অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান মুসা কারাকুরুকচু নামে এক চিকিৎসকের আবেদনে আন্দুলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকের দাবি,'মোট ৬টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি শিশুদের দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছুক বাচ্চারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা এমআরআই স্ক্যানের সময় আনন্দ সহকারে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন গাড়ি চালিয়ে।' আন্তরিকতায় ভরা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার 'ভুয়ো খবরের' মাঝেও মন জোগাচ্ছে নেটিজেনদের।
প্রসূন গুপ্ত: সাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর লেখনিতে হাস্যরস রাখতেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। তাঁর নাটক 'লক্ষণের শক্তিশেল'-এ আছে কিছু মজাদার সংলাপ। লক্ষণ নাকি শক্তিশেল বাণে জ্ঞান হারানোর পর রামচন্দ্রের বানর সেনারা ক্রন্দন অর্থাৎ কান্না শুরু করেন। যেহেতু তারা বাঁদর অতএব কান্নার সঙ্গে কলাও খেতে থাকে। এই কারণে চালু কথা আছে 'ক্রন্দন ও কলা ভক্ষণ'। এবার নাকি সেরকম কিছু ঘটছে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের জীবনে। তিনি নাকি মানসিক ভাবে বিধস্ত। তাই সব কাজ ছেড়ে তিনি সারাদিন মদ্যপান করছেন এবং কাঁদছেন। কিন্তু হয়েছে কি?
কিম উন জং, একটি নাম এবং বংশানুক্রমে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি 'ওয়ার্কার্স পার্টির' সর্বময় কর্তা। এর আগে ছিলেন তাঁর বাবা কিম জং-ইল। মুখেই সোশালিজম বা কমিউনিস্ট দল। আসলে চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে রাজ কায়েম করেছে এই পরিবার। এই দেশে হাজারো নিয়ম। কেউ অনুমতি ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে পার্টি যদি বোঝে তবে অনুমতি মিলবে। খেলাধুলা, সংস্কৃতি, শিক্ষা সর্বত্রই চলে কিমের মর্জি। দলের বাইরে বা কিমের বাইরে কোনও অপছন্দের কাজ করলে মৃত্যু অনিবার্য। সর্বদা তটস্থ থাকে আম নাগরিক।
তার মধ্যে অর্থসংকট প্রবল, খাদ্য সামগ্রীতে টান ইত্যাদি তো আছেই। মোটের উপর আতঙ্কে বাস করে সে দেশের নাগরিক। এই কিম ক্ষমতায় আসে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে। বয়স এখন মাত্র ৩৯ বছর। শিক্ষা অজানা, জীবনযাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের হার মানায়। নিজস্ব অসংখ্য বাড়ি এবং প্রতিটি প্রাসাদসম। ১০০-র উপর অত্যাধুনিক গাড়ি, নিজস্ব বিমান। খাওয়া-দাওয়ায় রোজ খরচ কয়েক হাজার টাকা।
ইংল্যান্ডের হুইস্কি, জার্মানির রুটি, ব্রাজিলের কফি, সুইৎজারল্যান্ডের মিষ্টি ইত্যাদি। সঙ্গে আমেরিকার সিগারেট-চুরুট। স্ত্রী থাকলেও তাঁকে দেখভালের জন্য কয়েক ডজন মহিলা পরিচারিকা। স্ত্রীয়ের পরিচর্যায় ব্যাঘাত ঘটলেই হাজত বাস। সেই কিম জং উন নাকি এখন অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে এক অদ্ভুত রোগ নাকি বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। কেউ বলছে ক্যান্সার কিন্তু সম্পূর্ণও গোপন থাকছে তথ্য। এই অসুস্থতার জন্য তাঁর মদ্যপান বেড়ে গিয়েছে এবং যুক্ত হয়েছে প্রাণ হারানোর ভয়ে কান্না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধুমপান এবং মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। শুধু খবরের স্বার্থে এই তথ্য পরিবেশনা
তাঁর পরিবারের (Dutt Family) একাধিক সদস্যদের বিয়োগের সঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ক্যানসার থাবা বসিয়ে সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) পরিবারে দাগ রেখে গিয়েছে। মা যকৃতের ক্যানসারে মারা গিয়েছেন। মস্তিষ্কের ক্যান্সারে প্রয়াত প্রাক্তন স্ত্রী রিচা শর্মা! এমনকি নিজের যখন ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন যথেষ্ট নিস্পৃহ হয়েছিলেন বলিউডের সঞ্জুবাবা। ভেবেছিলেন, এই তো সুযোগ, মৃত্যু এলে আসুক!
২০২০ সালে শমশের ছবির শুটিং চলাকালীন সঞ্জয় জানতে পারেন তাঁর ক্যানসার হয়েছে। একটুও বিচলিত হননি, কাজ করছিলেন চুপচাপ। তারপর ছবির প্রচারে এসে নিজমুখেই জানিয়েছিলেন, মারণরোগ আবার বাসা বেঁধেছিল কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। চিকিৎসকের কাছেও যেতে চাননি। যদিও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত দায়িত্ব নিয়ে সব কিছুর ব্যবস্থা করান। প্রাণে বাঁচেন সঞ্জয়।
সেই সময় করোনা আবহ, লকডাউন। সঞ্জুবাবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট বলছে ক্যানসার। শুনে কিছুক্ষণ থমকে যান তিনি, তারপরই আবার সপ্রতিভ। পরে দফায় দফায় আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা। এক্সরে রিপোর্টে দেখা গেল, ফুসফুসে অর্ধেক জলে ভর্তি। পরিবারের আশা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারই।
এরপরের গল্প সবারই জানা। মারণ রোগ সেরে ফিরে এসে কেজিএফ-২-র শুটিং। এখন আবার স্বাভাবিক জীবনে বলিউডের মুন্নাভাই।