Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

CalcuttaHighCourt

Court: 'পার্থর দেহরক্ষীর ঘনিষ্ঠদের জেরায় বিলম্ব কেন?', সিবিআইকে প্রশ্ন ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের

২০১৪ টেট (TET) মামলার তদন্তে আদালতে ধমক খেল সিবিআই (CBI)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ যে ১০ জন চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জেরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ আদালতের। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঁদের কারও মেধাতালিকায় নাম ছিল না। এমনটাই আদালতে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাই এই ১০ জনকে জেরা করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল সংক্রন্ত যে নথি জমা দিয়েছে, তা কার্যকরী নয়। শুনানিতে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশে বলেন, ১৭ অগাস্ট বোর্ড প্যানেল সক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু যে দশ জনের বিরুদ্ধে প্যানেলে নাম না থাকা সত্বেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, তা বোর্ডের আজকের জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট নয়। মোট নম্বর-সহ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত ব্রেকআপ-সহ কে কত নম্বর পেয়েছে, তা জানতে চায়। তাই এবার মামলারকারীর আইনজীবী ও বোর্ডের আইনজীবীরা এক সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বসবেন। প্যানেলে ওই দশ অভিযুক্তর ব্রেকআপ-সহ নম্বর খতিয়ে দেখে যাচাই করবে। দেখা হবে সত্যিই পাস না করে তারা চাকরি পেয়েছে কিনা।'

বিচারপতি জানান, ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডের অফিসে উভয়পক্ষকে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঠিক কী হয়েছে এদিনের শুনানিতে --

#২০১৪ টেটের ভিত্তিতে যে দুটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল তার মেধাতালিকা আদালতে পেশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

#২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিকের মেধাতালিকা পেশ 

#চার ব্যাগ নথি পেশ পর্ষদের

#দু'টি ব্যাগ ২০১৬-র এবং দুটি ব্যাগ ২০২০-র

# নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা পেশ করা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে এই তালিকার এই মামলায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই: বিচারপতি

# সব নথি পর্ষদে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি। 

# যদিও আদালতের নির্দেশ ছাড়া আজকে পেশ করা নথি নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট 

# এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কোন নথিই নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট

#গত ১৭ অগাস্ট মেধাতালিকা পেশের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

# আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের যে ১০ ঘনিষ্ঠ পাশ না করে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের নথি যাচাই হবে

# মামলাকারী এবং পর্ষদের আইনজীবীরা পর্ষদের অফিসে বসে এঁদের নথি যাচাই করবেন

# ১৬-ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে

# নথি যাচাই করে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা বানাবেন মামলাকরির আইনজীবীরা। নথি সই করবেন পর্ষদের সচিব

# পরবর্তী শুনানি ২১ শে সেপ্টেম্বর। 

এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। ২ জন আসেনি। এদিন আদালতকে এমনটাই জানায় সিবিআই 

2 years ago
Police: 'ঘুষখোর' সাব-ইনস্পেক্টরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে ডিজিকে নির্দেশ হাইকোর্টের

লক্ষ টাকা ঘুষ (Bribe) না দিলে মাদক মামলায় (False Case) ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি। নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার এসআইয়ের (SI) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা। সেই মামলায় অভিযুক্ত এসআই চন্দন সাহাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি দুর্নীতি দমনে আইনে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্য পুলিসের ডিজিকে দিয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

জানা গিয়েছে, সাব ইন্সপেক্টর চন্দন সাহার বিরুদ্ধে ঘুষ চেয়ে হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন চাপড়ার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, ওই পুলিস অফিসার তাঁর থেকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছেন। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। আদালতে দায়ের মামলার স্বপক্ষে অভিযোগকারী ফোনের কথোপকথন সংক্রান্ত একটি রেকর্ডিং জমা দেন।

এরপর ওই ফোন রেকর্ডিংয়ের ফরেন্সিক সত্যতা যাচাই করতে দেখতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সিআইডির এডিজি আদালতকে জানান, মামলাকারীর দাবি সত্যি। এরপরই বৃহস্পতিবার শুনানিতে ওই সাব ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ ডিজিকে দেয় বেঞ্চ।

2 years ago
Arunava: 'উনি কেন এমন করছেন জানি না', অরুণাভ ঘোষ প্রসঙ্গে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার বচসায় জড়িয়েছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ (Arunava Ghosh) এবং হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সেই বাগযুদ্ধ সর্বজনবিদিত। এবার অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'উনি কেন এমন করছেন জানি না। দেখি কী করা যায়!'কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আদালতে (High Court) হাজিরা নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজ্যনীতি। সেই সময়েও বেশকিছু বিষয়ে এজলাসেই তরজায় জড়িয়েছিলেন বিচারপতি এবং আইনজীবী ঘোষ। সেই তরজার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।

সেই প্রসঙ্গে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'অনেকেই বলেন, আমি আইনের এ,বি,সি জানি না। আমি কেন সেকশন ১৬৫-এর কথা বলি? এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সব থেকে মজার বিষয়, আমি পোর্টব্লেয়ারের এক কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মীকে চাকরি ফেরত পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটা অর্ডার দিয়েছিলাম। সেই অর্ডার উনি (পড়ুন অরুনাভ ঘোষ) একটি মামলার জন্য রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন।  আমার এজলাসেই সেই রেফারেন্স টেনেছিলেন। সেই সময় যখন আমি লেবার কোর্টের মামলা নিতাম।' 

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অরুনাভ দার সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাও কেন উনি আমার সাথে এমন করছেন আমি জানি না। লোকজনও নিয়ে আসছেন।

দেখি কী করা যায় ভাবছি!

শুক্রবারও একটি মামলার শুনানিতে সেকশন ১৬৫ এর বিষয়টি উঠে আসে। তারপরেই আদালতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য সেকশন ১৬৫-তে উল্লেখ আদালত প্রয়োজনে সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারে।

2 years ago


Mamata: আমিও আইনজীবী, যেকোনও মামলার জন্য আদালতে যেতে পারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা

আদালত গণতন্ত্রের পিলার, সাধারণ মানুষের পিলার। আম জনতা বিচার পেতে আদালতে আসেন। ন্যায়বিচার কখনও একপক্ষ হয় না, ন্যায়বিচার নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যখন সব জায়গা থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন আদালতে বিচার চাইতে আসে। আদালত, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের স্তম্ভ। কখনই যাতে এদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ভবন সম্প্রসারণের একটি অনুষ্ঠান এদিন আয়োজিত হয়েছে নব মহাকরণে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্য বিচারপতিরা। ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।

সেই অনুষ্ঠানেই এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আমি নিজে আইনজীবী। যে কোনও মামলায় আদালতে চলে যেতে পারি। মানবাধিকার সংক্রান্ত একাধিক মামলায় আমি সওয়াল-জবাবও করেছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র মেম্বারশিপ কার্ডও আছে আমার কাছে।

প্রধান বিচারপতির প্রতি তাঁর অনুরোধ, 'প্রায় তিন-চার বছর প্রচুর মামলা ঝুলে রয়েছে। সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পদক্ষেপ নিক হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাড়ানো হোক মহিলা বিচারপতির সংখ্যা।' এমনকি, মামলার শুনানিতে মিডিয়া ট্রায়ালে যাতে কান না দেন মহামান্য বিচারপতিরা। এই অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকেও মিডিয়া ট্রায়াল না করার আবেদন করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনের স্থান সংকুলানের জন্য নব মহাকরণের প্রথম থেকে নবমতল ভবন সম্প্রসারণের স্বার্থে হাইকোর্টকে তুলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আইন দফতর, পূর্ত দফতর এবং হাইকোর্ট সচিবালয়ের সমন্বয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সবপক্ষকেই ধন্যবাদ জানান তিনি।

2 years ago
SSC Court: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 'দখল' হয়ে থাকা ইউনিয়ন রুমের তালা ভাঙতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyamik Board) দখল হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন রুম (Union Room) ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার বিধাননগর কমিশনারেটকে এই নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের ইউনিয়ন রুম দখল করছে নব্য তৃণমূল ইউনিয়নের সদস্যরা। সেই রুমে তালা ঝুলিয়ে দখল করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন রুম ফেরত চেয়ে হাইকোর্টের দরবার প্রাক্তন তৃণমূল ইউনিয়নের। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পুলিসকে তালা ভেঙে ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচতলার ইউনিয়ন অফিস আগে তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পড়ে সেই সংগঠন অরাজনৈতিক হয় এবং পর্ষদ পরিচালনার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। এখন তৃণমূলের আরও একটি সংগঠন 'ওয়েস্টবেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন'-এর ব্যানারে সেই ইউনিয়ন রুম দখল করতে চায়। 

এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও বাঁধে। কোনওভাবেই সেই রুমের দখল নিতে না পারায় পাঁচতলার ৪০৯ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার সূত্রেই এদিন ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্মচারী সমিতির অফিসে কয়েকজন কর্মচারী শাসক দলের কিছু নেতা, বিশেষ করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে দাবি করে নির্বাচিত সদস্যদের বাইরে বের করে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির মদতে সেই ঘরে তালা লাগিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে চাবি রাখে। তাঁরা নাকি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রীর আশীর্বাদধন্য। এমন দাবি করা হয়ে থাকে। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে নির্বাচিত সংগঠনের সভাপতি হাইকোর্টে মামলা করলে মহামান্য আদালত বিধাননগর পূর্ব থানাকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন।'

2 years ago


Puja: ক্লাবগুলোকে পুজো অনুদানের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা, রাজ্যকে বিঁধলেন দিলীপও

দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) ক্লাবপ্রতি ৬০ হাজার টাকা (Puja Donation) সরকারি অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিল। এই সংগঠনের আইনজীবী পারমিতা দে'র দায়ের করা আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বুধবার এই আবেদনের উপর দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতে দরবার করে ওই সংগঠন। জানা গিয়েছে আগামি শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সমালোচনায় সরব বিরোধী দলগুলো। বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই যে নেতারা ধরা পড়ছে, এত বড় দুর্নীতি ধরা পড়ছে, এটা চাপা দেওয়ার জন্য এই নাটক। টাকা ঘুষ বাড়িয়ে দিয়েছেন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার। পুজো করো নাচো, গান গাও ফুর্তি করো আমরা আছি। কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে মানুষ ভিখারি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ যেন দুর্নীতির দিকে না তাকায়। এসব নিয়ে যেন ব্যস্ত থাকে তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'

2 years ago
Howrah: 'কোর্ট অর্ডার থাকলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি', এবার ক্ষুব্ধ প্রতিমা দত্ত

দিন দুয়েক আগে রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) নিয়ে ঘুরিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার সিবিআই প্রসঙ্গে সেই সুরই শোনা গেল নিহত তৃণমূল নেতা তপন দত্তর (TMC Leader Killed) স্ত্রীয়ের কণ্ঠে। বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু চার মাস পেরোলেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কেউ প্রতিমা দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেন নিহত তপন দত্তর স্ত্রী।

ক্যালকাটা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ছয় মাসের মধ্যে আমার স্বামীর খুনের ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশের পর চার মাস কাটলেও সিবিআইয়ের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু এই কোর্ট অর্ডার বার করতে আমার ১২ বছর সময় লেগেছে।'

তিনি জানান, দিলীপ দা হয়তো ঠিক বলেছেন। মানুষের মনেও একটু চিন্তা আছে। অনুব্রত মণ্ডলের মতো হাওড়ার নেতারাও বিত্তশালী। মূলত আমার যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা হয়তো সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছে। একবারও কেউ ভাবছে না যে ১২ বছর লড়াই করে একজন কোর্ট অর্ডার বের করেছে। অন্তত তাঁর সঙ্গে এসে কথা বলি। কিন্তু কেউ প্রয়োজন মনে করেনি।

প্রতিমা দত্ত বলেন, '১২ বছর ধরে আমি মামলাটাকে জীবিত করে রেখেছিলাম। আমার ধারণা ছিল সিবিআই হয়তো বিষয়টি গুরুত্ব দেবে। কিন্তু ১২ বছর আগের এক খুনের কোনও প্রত্যক্ষ তথ্য প্রমাণ নেই। আছে শুধু পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ এবং নথি। আরও দেরি করলে সেই তথ্য প্রমাণও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই সিবিআই ঠিক কে চাইছে বুঝতে পারছি না।'

2 years ago
Court: ১৭ বিরোধী নেতানেত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে মামলা, সোমবার পর্যন্ত পিছলো শুনানি

১৭ বিরোধী নেতার (Opposition Leader) সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে করা মামলার (PIL) শুনানি পিছলো। আগামি ২৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার শুনানিতে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্য জানান। আগেও তাঁরা সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও জানাবেন। তবে বিজেপির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) সময় চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশ আবেদনকারী সুজিত গুপ্তকে দিয়েছে আদালত।

ইতিমধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে চলছে। সেই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা দিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। এই আবহে বিরোধী ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।

এই তালিকায় নাম আছে সিপিএম-র মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাঁর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নামও আছে তালিকায়।  

2 years ago


TMC: 'তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর, এই প্রচার অপমানজনক', সরব ফিরহাদ, ব্রাত্য, মলয়রা

পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'  

এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'

তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।

সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।

ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।

এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,

চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের।  সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?' 

ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো। 

রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।

রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।

এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।


2 years ago