Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

CGO

Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে আরও তৎপর ইডি, শেখ আলমগীর ও শিবু হাজরার করানো হল স্বাস্থ্য পরীক্ষা

সন্দেশখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর আলমগীর শেখ এবং শেখ শাহজাহানের অন্যতম সহযোগী শিবপ্রসাদ হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে নিয়ে আসা হল।

সূত্রের খবর, শেখ আলমগীর বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণ মানুষদের হুমকি দিয়ে বেড়াতেন। এমনকি শেখ আলমগীর শিবু হাজরার সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ মানুষের অর্থের অপব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, শিবু হাজরা কন্ট্রাক্টরদের হুমকি দিতেন। কন্ট্রাক্টরদের একপ্রকার বাধ্য করতেন এসকে এসটি ব্রিক ফিল্ড থেকে ইট কিনবার জন্য।

অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের নাম করে তার সহযোগী শিবু হাজরা জমি দখল, অগ্নিসংযোগ, খুন, চাঁদাবাজি, হুমকি দিতেন সাধারণ মানুষদের। এই শিবু হাজরা বেনামি সম্পত্তিতে জড়িত ছিলেন। শিবপ্রসাদ হাজরা শিব এন্টারপ্রাইজের মালিক। এই শিব এন্টারপ্রাইজ এর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে দেখা গিয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণের অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ জমি দখলের বলে ধারণা তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণেই শেখ আলমগীর, শিবু হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে জমি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। 

3 weeks ago
ED: হাজিরা এড়ালেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ, সিজিও-তে হাজির প্রতিনিধি

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা।  বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।

যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। সেকারণেই বুধবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তবে মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, যদি তাঁকে সশরীরে ডাকা হয় ইডির তরফে তাহলে তিনি অবশ্যই হাজিরা দেবেন। আপাতত নিজের বোলপুরের বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরের খবর তো সবারই জানা। এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে একের পর এক নেতা- কর্মীর নাম দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে তাতে আখেরে যে শাসকদলের মুখ পুড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

a month ago
CGO: রেশন দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর

রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।

সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।

2 months ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়-এর ইডি হেফাজত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিওতে প্রসন্ন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই অভিযুক্ত। নিয়ম মোতাবেক শুক্রবারও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সিজিও নিয়ে আসা হল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়কে। মূলত প্রথমে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির ঘটনায় মিডলম্যান হিসেবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। কিন্তু গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। যদিও তার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি দেখে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি অভিযোগ উঠে আসে যে সিবিআই-এর গ্রেফতারির পরও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির এই মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাতেই বৈভব ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রসন্ন রায়ের? টাকার যোগানটাই বা তাকে দিত কে? প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারই তথ্য সন্ধানে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশি দলিল, শতাধিক এটিএম ও ৭০টি প্যানকার্ড। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ছিল প্রসন্ন রায়ের অফিসের বেতনভুক কর্মীদের নামে। মূলত ইডির হাতে উঠে আসে প্রসন্নর একাধিক সম্পত্তির নথি ও তথ্য প্রমাণ। প্রসন্ন রায়ের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই সব নথির উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বুধবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রসন্নর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

কিন্তু আদালতে প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। বরং ইডির তরফে আদালতে প্রসন্ন রায়ের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১০০টি কোম্পানির তথ্য প্রমাণ পেশ করতে দেখা যায় এদিন। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডলম্যান প্রসন্নর ৯৭টি সম্পত্তির হদিশ এবং ৭০ কোটি টাকার হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে আপাতত ইডি হেফাজতেই প্রসন্ন। এখন  ইডির প্রশ্নবাণে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্যের সন্ধান মেলে সেটাই দেখার।

2 months ago
ED: দুর্নীতির 'মাধ্যম' শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর এক্সপোর্ট সংস্থা, সিজিওতে হাজিরা অরুণ সেনগুপ্তের

রেশন বন্টনে দুর্নীতির সূত্র ধরে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে ইডির হাতে। সেই দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহজাহান। সময় যত এগিয়েছে ততই তার একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। ইডির স্ক্যানারে এসেছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তল্লাশি হয়েছিল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও। ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তের বিরাটির বাড়ি ও ফার্মেও হানা দেয় ইডি। খোঁজ মেলে ব্যবসায়ীর নিজস্ব এক্সপোর্ট সংস্থা ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির। দুর্নীতির তদন্তের খাতিরে আজ, মঙ্গলবার ইডি দফতরে এলেন অরুণ সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশেষ করে মাছ বিক্রির বিল সহ ব্যাঙ্কের একাধিক নথি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। সোমবার তলব করা হলেও এদিন অরুণ তনয়া ও ব্যবসায়ীর আইনজীবী উপস্থিত হন ইডি দফতরে।

তদন্তে জানা গিয়েছিল, ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির কর্ণধার অরুণ সেনগুপ্ত। এই কোম্পানি মূলত চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানি মারফত বাইরের দেশে ব্যাবসায়ীর মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত বলে সূত্রের খবর।অরুণ সেনগুপ্তের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে বিদেশে মাছ চালানোর কিছু বিল হাতে এসে পৌঁছলেও সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আপাতত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কবে থেকে সম্পর্ক? রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোনওভাবে এই ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর। সপ্তাহের শুরুতেই এবার রেশন দুর্নীতির এই রহস্য কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার।

2 months ago


ED: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তকে সিজিওতে তলব ইডির

রেশন বন্টন দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে ময়দানে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে ইডি। একদিকে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, প্রতিদিন শাহজাহান ও তার শাগরেদদের একের পর এক দুষ্কর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। রেশন বন্টন দুর্নীতির গতি বাড়াতে শহর তোলপাড় ইডির তল্লাশিতে। শুক্রবারই ফেরার শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা রুজু করে কলকাতা ও শহরতলির ছয়টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি হয়েছিল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও। শাহজাহানের অসাধু কারবারের তদন্তে নেমে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ব্যবসায়ী অরূপ সোমের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। দুর্নীতির তল পেতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তের বিরাটির বাড়িতে ও ফার্মে হানা দেয় ইডি। খোঁজ মেলে তার নিজস্ব এক্সপোর্ট কোম্পানিরও। সোমবার সেই ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির ডিরেক্টর অরুণ সেনগুপ্তকে সিজিওতে হাজিরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির।

প্রসঙ্গত, অরুণ সেনগুপ্তের এই কোম্পানির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শাহজাহান সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরও। তদন্ত বলছে শেখ শাহাজাহানের থেকে মাছ কিনতেন অরুণবাবু। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানি দিয়ে বাইরের দেশে এই মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত। শুক্রবারের তল্লাশিতে বিদেশে মাছ চালানের কিছু বিল হাতে এসে পৌছলেও সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আপাতত শেখ শাহাজাহানের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কবে থেকে সম্পর্ক? রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোনও ভাবে এই ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এবার ব্যাবসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে সোমবার সিজিওতে অরুণ সেনগপ্তের পৌছনোর পর এই দুর্নীতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।

2 months ago
ED: সিজিওতে বিশ্বজিৎ দাস, ইডি হেফাজতে ধৃত ব্যবসায়ী

রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে সম্প্রতি নাম উঠে এসেছিল ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশির পর  গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। আদালতের নির্দেশ মাফিক আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই থাকবেন শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। গত শুক্রবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে পেশ করার সময় একাধিক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে তিনিই জানিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তিনি নির্দোষ। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দাবি করেছিলেন, ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে চিনলেও ঘনিষ্ঠতা ছিল না তাঁর সঙ্গে। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিশ্বজিৎবাবুর নিজেকে দোষহীন প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা আদৌ ধোপে টেকেনি তা সহজেই অনুমেয়।

প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ-এর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। জানা গিয়েছিল, শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে তাঁর এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও। বিশ্বজিতের নিজস্ব দফতরে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা গিয়েছিল, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কারবারও করতেন বিশ্বজিৎ দাস। দুর্নীতির একাধিক প্রমাণ মিলেছিল যার বাড়িতে সেই ব্যবসায়ীর একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্যে সন্দেহ যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রবিবার ফের রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিয়ে আসা হয় ইডির দফতরে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের জেরার মুখে শঙ্কর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আর কোন কোন সত্য বেরিয়ে আসে এখন সেটাই দেখার।

3 months ago
Shankar Adhya: শঙ্করের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কোম্পানির হদিশ, সিজিওতে তলব মলয় আঢ্যকে

রেশন বন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পরই ইডির জালে ধরা পড়েছেন দুর্নীতির আরেক রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই দুর্নীতির শিরোমণি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শঙ্কর। সেই তথ্যের সন্ধান আগেই পেয়েছিল ইডি। এবার তদন্তের গতি বাড়াতেই শঙ্করের ফরেন এক্সচেঞ্জ মানি কোম্পানির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যে কোম্পানি থেকে ভারতীয় মু্দ্রা বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিময়ে করা হত RBI মারফত। ধৃত শঙ্কর আঢ্যের সেই মুদ্রা বিনিময়ের কারবার সংক্রান্ত নথি জোগাড় করতেই এবার RBI কে চিঠি ইডির।

তবে দুর্নীতির শিকড় যে আরও গভীরে তা বুঝতে বাকি নেই ইডিরও। তাই দুর্নীতির নয়া মোড়ের সন্ধানে শঙ্করের ভাই মলয় আঢ্যতে হাজিরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি ও শঙ্করের ব্যবসায়িক তথ্য নিয়ে মলয় আঢ্যকে সিজিওতে তলব ইডির।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের রেশনবন্টন দুর্নীতিকাণ্ডে একে একে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এবং পরবর্তীতে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। দিন যতই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশিতে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। আগামী সোমবার মলয় আঢ্যের পেশ করা নথি ও তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রেশন বন্টন দুর্নীতির রহস্যে নতুন আর কোন কোন রাঘব বোয়ালের নাম জড়ায় এখন সেটাই দেখার।

3 months ago


Sheikh Shahjahan: ৫ দিনের মধ্যেই দিতে হবে হাজিরা! শেখ শাহজাহানের বাড়িতে নোটিশ আটকে দিল ইডি

সন্দেশখালির ঘটনার ১৯ দিন পার। কিন্তু এখনও অধরা সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। এবারে তাকে হাজিরার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৯ জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।

দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে। খোঁজ মিলছে না সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ করেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। এরপরই 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহান শেখকে হাজিরার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাড়িতে কেউ না থাকায় আজ সমনের নোটিশ বাড়ির দেওয়ালে আটকে দিয়েছে ইডি। ২৯শে জানুয়ারি, সকাল ১১টার মধ্যে সিজিওতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়িও ইতিমধ্যেই সিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 'নিখোঁজ' শেখ শাহজাহান ২৯ জানুয়ারি ইডির সামনে হাজিরা দেয় কিনা, সেদিকে তাকিয়েই সারা বাংলা।

3 months ago
ED: 'ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করুন', সন্দেশখালি নিয়ে সিজিওতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ বার্তা ইডি

সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে সিজিওতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। গত শুক্রবারের এই ঘটনাকে অনেকেই নজির বিহীন বলেও মতামত জানিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইডির অ্যাক্টিং ডিরেক্টর রাহুল নবীন। তাঁর সঙ্গে সোমবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন সকলেই।

প্রথম দফর বৈঠক শেষে ইডি অধিকর্তা বলেন, "ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করুন।" কোথাও অভিযানে গেলে ব্যাকআপ টিম যাতে রাখা হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে সিআইএসএফ-কে। পাশাপাশি বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, এনআইএ ও আয়কর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক হয়। শাহজাহানের সীমান্তপারের যোগ খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ, সীমান্ত এলাকায় অভিযানে গেলে বিএসএফের সহযোগিতা কীভাবে নেওয়া হবে, অভিযানের সময় বাড়তি বাহিনী ইত্যাদি নিয়ে বৈঠকে আলোচনায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সিজিও কমপ্লেক্সে এই তৎপরতা দেখেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ফের কি তবে রাজ্যের স্কুল নিয়োগ, পুর নিয়োগ, রেশন দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে  বিভিন্ন জায়গায় ইডি হানা দেবে?

4 months ago


CGO: '৬ হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছি, ডাকলে আবার আসবো,' সিজিও থেকে বেরোলেন অভিষেক

মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই ইডির দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে তলব করে ইডি। ইডির দেওয়া সময় অনুযায়ী দুপুর ১১ টা ৫ মিনিটে ইডির দফতরে এসে পৌঁছান তিনি। এরপর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, '৬ হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছি, প্রয়োজনে আবার ডাকবে বলা হয়েছে। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।

6 months ago
Abhishek: সকাল ১১টা বেজে ৫, সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

ইডি (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জন্মদিনেই তাঁকে সমন পাঠান ইডি। এর পর বুধবারই জানানো হয় যে, তিনি বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বেরোন অভিষেক। এর পর ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান।

6 months ago
Amit Dey: 'বাকিবুরকে চিনি, কিন্তু পছন্দ করতাম না', ফের ইডি দফতরে বালুর আপ্তসহায়ক

জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও দেবপ্রিয় মল্লিকের পর এবারে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে (Amit Dey)। সোমবার সকাল ১১টা ১৯ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি। সেখানে তাঁর হাতে এক নথি দেখা যায়। তাঁকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির কিছু নথি নিয়ে এসেছেন তিনি।

আজ অর্থাৎ সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে ইডি দফতরে প্রবেশ করতেই জানান, তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তাই তিনি আজ তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে এসেছেন। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে আরও জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পুরনো বাড়ি কলেজ স্ট্রিট চত্বরে, আমিও ওই এলাকার ছেলে। আমি ব্যবসা করতাম, পরবর্তীকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে চাকরি দেন। চাকরি করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না কারণ আমার পৈত্রিক ব্যবসা আছে। তারপরেও রাজনৈতিক চাপে আমি চাকরি করতে বাধ্য হই।'

তিনি আরও বলেন, 'দফতরের বেশকিছু কাজ আমি দেখতাম তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা আমার জানা ছিল না। মন্ত্রীর ঘরে কে আসবে, কে যাবে সমস্ত বিষয়টা দেখতেন অভিজিৎ দাস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে আর্থিক লেনদেনের সমস্ত হিসেব পাওয়া যাবে। আমি শুধুমাত্র মন্ত্রীর আজ্ঞাবহ ছিলাম। আমার বিশ্বাস উনার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনেই আজ্ঞাবহ ছিলেন।'

বাকিবুরের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অমিত দে জানান, 'বাকিবুরকে চিনি, কিন্তু আমি বাকিবুরকে পছন্দ করতাম না। ২০১৬ সালের অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে আমি ওই জায়গায় নিযুক্ত হই। তখন আমার ওপর কিছু নির্ভর করত না। মন্ত্রীর ঘরে বাকিবুররা সরাসরি ঢুকতেন। আর শুধু মন্ত্রীর ঘর কেন পুরো দফতরের অফিসারদের ঘরে বাকিবুররা যাতায়াত করতেন।'

অমিত দে আরও বলেন, 'ইডি আমাকে তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রীর যাবতীয় ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, আমি যতটা জানি তা জানিয়েছি। আমি মন্ত্রীর নির্দেশ মত কাজ করতাম। আমার হাত দিয়ে কোনদিন কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমি অভিজিৎ কেউ কোনদিন টাকা পয়সা নিতে দেখিনি। মন্ত্রীর সম্পত্তি এবং কোম্পানি সম্পর্কে আমি ওয়কিবহাল নই।'

6 months ago


Jyotipriya: 'একটি চিঠি জমা করতে এসেছিলাম', জ্যোতি কন্যার পর এবারে ইডি দফতরে বালুর দাদা

রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) এবারে ইডির (Enforcement Directorate) স্ক্যানারে রাজ্যর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয়। সেই মতই সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিভিন্ন নথি নিয়ে সল্টলেকের ইডি দফতরে পৌঁছে যান দেবপ্রিয় মল্লিক। তবে পরে ১১টা ১৪ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি। রবিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী। আর এবারে ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা।

জানা গিয়েছিল, আজ ইডি দফতরে জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিককে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রেশন দুর্নীতি, সরকারি কর্মী না হয়েও পিএসসি-র সদস্য হওয়া- সার্বিক বিষয়গুলি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু ইডি দফতরে যাওয়ার পরই কিছুক্ষণ বাদে বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের বললেন, 'একটি চিঠি জমা করতে এসেছিলাম। এই চিঠির ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় ও ইডি জানেন, আমি জানি না।' রবিবার ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শনী মল্লিক একাধিক নথি নিয়ে আসলেও তদন্তকারী আধিকারিক না থাকায় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ফলে আজ ফের তাঁর আসার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে মন্ত্রী কন্যার অ্যাকাউন্ট-এ কীভাবে কোটি টাকা এলো তারই খোঁজ করছেন ইডি আধিকারিকরা।

অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা উন্নত হওয়ার জন্য তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রতিদিন রাতে একজন করে ইডি আধিকারিক থাকছেন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তণ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে হাসপাতাল থেকে ইডি হেফাজতে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

6 months ago
Jyotipriya: নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতি কন্যা, প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন প্রিয়দর্শিনী

রবিবার ইডি দফতরে (Enforcement Directorate) হাজিরা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ফলে তাঁকে রীতিমতো বিরক্ত হতেও দেখা যায়। এমনকি সাংবাদিকদের ধাক্কা দিতেও দেখা গেল। তবে ইডি দফতরে গেলেও কয়েক মিনিটের পরই তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

রবিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছে যায় জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রিয়দর্শিনী। এদিন ব্যাংক সহ একাধিক নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা। জানা গিয়েছে, আজ ইডি দফতরে তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরেই বেরিয়ে যান তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সম্বন্ধে কিছু নথি চেয়ে জ্যোতি কন্যাকে ডাকা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।

তবে আজ ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে না পারলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় প্রিয়দর্শিনীকে। কিন্তু তাঁদের কোনও প্রশ্নের উত্তর তো দেননি। বরং বিরক্তি প্রকাশ করেন ও মেজাজ হারিয়ে অবশেষে নিজের গাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।

6 months ago