গৌতম আদানি-কাণ্ডে (Goutam Adani) সরগরম সংসদের বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) দ্বিতীয় দিন। সাম্প্রতিক শেয়ার বাজার পরিস্থিতি এবং এফপিও থেকে আদানি গোষ্ঠীর সরে আসা প্রসঙ্গে আলোচনা দাবি করে বিরোধী শিবির। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল, এতেই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি হয়ে গিয়েছিল লোকসভা-রাজ্যসভার বাজেট অধিবেশন।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি গঠনের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদে এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম এবং শিবসেনা-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনের আগে বিরোধীদের মন্তব্য, 'এটা শুধু একটি শিল্পগোষ্ঠীর সম্পদ মূল্য কমে যাওয়ার প্রশ্ন নয়। এর জেরে দেশবাসীর সঞ্চয় বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। কারণ, ওই সংস্থার মাধ্যমে এলআইসি বা স্টেট ব্যাঙ্কের তহবিল বিনিয়োগ হয়েছে। ঋণ হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনভর উপার্জনের সঞ্চয় রয়েছে।'
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদের বিরোধীরা একজোট হয়েছিল। তাদের আলোচনার বিষয়, আদানির বিরুদ্ধে ওঠা আমেরিকার সংস্থার অভিযোগ নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা করতে হবে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে হয় বৈঠক। তাতে যোগ দিয়েছিল, তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ, ডিএমকে, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি-সহ বামদলগুলিও।
এবার বাজেটে মধ্যবিত্তদের যেমন সুরাহা দিয়েছে মোদী সরকার, তেমনভাবেই বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। সেই তালিকায় একদম উপরে আছে সিগারেট। ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়ে সিগারেটের উপর ১৬ শতাংশ কর আরোপ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে স্মার্ট ফোনের যুগে মানুষের হাতে আরও বেশি করে ফোন তুলে দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোবাইলের যন্ত্রাংশের উপর চাপানো অন্তঃশুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে কমবে মোবাইলের দাম। একইভাবে টিভির যন্ত্রাংশের অন্তঃশুল্কেও ছাড় দিয়েছে সরকার। ফলে টিভির দামও কমবে। কিন্তু যারা একটু সৌখিন, তাঁদের কাছে হেঁশেলের জন্য দুঃসংবাদ। রান্নাঘরের ইলেকট্রিক চিমনির দাম বাড়বে। বাজেটে চিমনির অন্তঃশুল্ক বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করেছে মোদী সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়তে চলেছে রুপোর দাম। রুপোর উপরে বসানো অন্তঃশুল্কের পরিমাণ বেড়েছে এই বাজেটে।
এদিকে, কমবে ক্যামেরার লেন্সের দামও। লেন্সের উপর চাপানো শুল্ক কমিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি কমবে শিশুদের দেশি খেলনার দাম। বাজেটে খেলনার উপর শুল্কে ছাড় পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, যারা এই মুহূর্তে সাইকেলের উপর নির্ভরশীল, তাঁদের জন্য সুখবর। দেশি সাইকেলের দামও কমবে বাজেটের পর। দেশে তৈরি সাইকেলের উপর কর কমিয়েছে সরকার।
কিন্তু বিদেশী ই-ভেহিকেল বা ইলেকট্রিক গাড়ির দাম বাড়বে। এই গাড়ির উপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কমছে দেশে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ির দাম। কাঁচামালের উপর চাপানো শুল্ক কমানো হয়েছে।
অপরদিকে, কমছে হিরের দামও। বাজেটে হিরের উপর চাপানো শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমনকি বাজেটের পর সস্তা হবে লিথিয়াম ব্যাটারি। ব্যাটারির দাম বেশ খানিকটা কমতে চলেছে শুল্ক ছাড়ের জেরে।
এছাড়া ইমিটেশন গয়নার দাম, প্ল্যাটিনাম ধাতুর যাবতীয় গয়নার দাম বাড়ার সঙ্গে কিছুটা বাড়তে পারে সোনার দামও। এমনকি, আমদানিকৃত রবারের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার। ফলে বাড়তে চলেছে টায়ার টিউবের দাম।
মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-এ (Union Budget 2023) বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman)। নতুন কর কাঠামো বুধবার ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বেতনভুকদের কাছে যে কাঠামো যথেষ্ট সাশ্রয়ী। নগদ অর্থের সংস্থানও করতে পারবেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি, এমনটাই দাবি অর্থনীতিবিদদের। জানা গিয়েছে, বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড়। পাশাপাশি আয়কর ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর (Income Tax) দিতে হবে, যা আগের তুলনায় ২৫% কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হত ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন একজন বেতনভুক।
জানা গিয়েছে, ০ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে আয় করলে কোনও কর দিতে হবে না। ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা হলে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। বাৎসরিক আয় ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে ২০ শতাংশ। বছরে আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তা হলে ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে কর। এভাবেই নতুন কর কাঠামো ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রসূন গুপ্ত: পয়লা ফেব্রুয়ারি মানেই বাজেট, মোদী সরকারের এটাই দস্তুর। এবার বাজেটে ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুক্ত হস্তে এগোবে সরকার। আপাতত বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণায় কিছুটা তারই পূর্বাভাস। বাজেট প্রাথমিক ভাবে এই প্রকার:
১) কৃষি প্রধান ভারতবর্ষ কাজেই সর্বাধিক ভোটারও কৃষিকাজে লিপ্ত। সুতরাং কৃষি সমস্যা সমাধানে দৃঢ় পদক্ষেপ ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের
২) নতুন প্রতিশ্রুতিতে কৃষি উন্নয়নে, ঘোষণা নির্মলার
৩) সদ্য করোনা বাতাবরণের পর ওষুধ উৎপাদনে জোর ছিল সরকারের এবারে ওষুধ উৎপাদন গবেষণায় জোর
৪) দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সিং কলেজ খোলার ঘোষণা
৫) শিশু শিক্ষাই প্রতিশ্রুতি,কাজেই তৈরি হবে ডিজিটাল লাইব্রেরি
৬) পশুপালন এবং মৎস্য চাষে নতুন বরাদ্দ
৭) আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি
৮) রেলে নতুন বরাদ্দ হচ্ছে
৯) শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জানানো হলো ৩৮ হাজার ৩৮০ শিক্ষক নিয়োগ হবে
১০) কর্ণাটক রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য, ৫,৩০০ কোটি টাকার সাহায্য দেওয়া হবে
১১) ডিজিটাল ক্ষেত্রে প্যান কার্ডকেই মূল পরিচয়পত্র ধরা হবে
আগামী কয়েক বছরে ট্যাক্স থেকে মূল্যহ্রাসের বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য না থাকলেও আভাস রয়েছে। এই বাজেটের লক্ষ্যই হচ্ছে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকেন্দ্রিক চমক। আগামী বছর লোকসভা ভোট কাজেই আগামী বছর বাজেট হবে অনির্দিষ্ট।
এ বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভার ভোট এবং এরপর মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা-সহ ৯ রাজ্যের ভোট। এই রাজ্যগুলির অধিকাংশই বিজেপির দখলে। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে বিজেপির লক্ষ্য ছত্রিশগড়, রাজস্থান দখল নেওয়া, যেখানে বর্তমানে কংগ্রেস সরকার। অবশ্য একইসঙ্গে ধরে থাকা রাজ্যগুলিতেও ফিরতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। কর্ণাটক সরকারের কাজে ওই রাজ্যের মানুষ খুশি নয়, সে কারণেই তাদের ৫,৩০০ কোটি টাকা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলো সরকার।
সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Finance Minister) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023)। দ্বিতীয় মোদী সরকারের পূর্ণাঙ্গ এই বাজেট বক্তৃতার দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। বুধবার সকাল থেকেই শেয়ার বাজার সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এদিন রাষ্ট্রপতির থেকে বাজেট বক্তৃতার অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Union Cabinet) বৈঠক বসে। সেখানেই অর্থ মন্ত্রকের তৈরি করা বাজেটে সিলমোহর বসানো হয়। প্রান্তিক এবং জনজাতি মানুষের উন্নয়নে এই বাজেটে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এদিন বক্তৃতার শুরুতেই এমনটাই জানান অর্থমন্ত্রী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির শহরগুলোয় পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটাতে বিশেষ জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এযাবৎকাল বাজেটে ঘোষিত প্রকল্প এবং বরাদ্দ এক নজরে।
ভারতে (India) আগামী এক বছরেও আশা নেই অর্থনীতির গতিবৃদ্ধির (Economic growth)। আশঙ্কা গত তিন অর্থবর্ষের মধ্যে আগামী বছরে অর্থবৃদ্ধির হার আরও নীচে নামতে পারে, এমনই পূর্বাভাস দিল আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট (Financial survey report)। করোনা অতিমারি (Corona epidemic) এবং ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) জেরে মূল্যবৃদ্ধির হার (Inflation rate) ৬.৮ শতাংশে পৌঁছনোর প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে, এমনটা কিন্তু স্পষ্ট আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী। বুধবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে পূর্বাভাস, আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবর্ষে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে প্রায় ৬.৮ শতাংশ হতে পারে। আনুমানিক গড় বৃদ্ধির হার হতে পারে প্রায় ৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ, গত তিনটি অর্থবর্ষের মধ্যে বৃদ্ধির হার সর্বনিম্নে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশে পৌঁছনোর প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। মূলত, করোনা অতিমারির পাশাপাশি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরেই এই প্রভাব। প্রসঙ্গত, বর্তমান অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) আর্থিকবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ এবং গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
এদিন সংসদের যৌথ অধিবেশনে সেন্ট্রাল হলে এক নতুন ভারত তৈরির বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, '২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যেমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত।' এমনকি,দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের উন্নতির উপরও মঙ্গলবার জোর দিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রধান।
মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি (President of India) দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি এদিন সকালে একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মাধ্যমে সংসদ ভবনে পৌঁছন। গত জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যসভা এবং লোকসভা সদস্যদের যৌথ সভায় রাষ্ট্রপতি মুর্মুর এটিই প্রথম ভাষণ।
কনভেনশন অনুযায়ী, বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের পরপরই সেন্ট্রাল হলে দুই কক্ষের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানে এক ভারত তৈরি করার বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি।
দ্রৌপদী মুর্মু জানান, বর্তমান সময়ে ভারতের আত্মবিশ্বাস সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে ভারতকে। ভারত বিশ্বকে সমাধান খুঁজে দিচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যেমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনা। আত্মনির্ভর ভারত আরও এগিয়ে যাবে আগামী দিনে। এছাড়া স্বনির্ভরতার উপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের উন্নতির উপরও জোর দিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রধান। এমন একটি দেশ গড়বে যেখানে যুব ও মহিলারা সমাজ ও দেশকে পথ দেখাতে সামনে দাঁড়াবে।। অমৃতকালের ২৫ বছরের সময়কাল স্বাধীনতার স্বর্ণযুগ এবং একটি উন্নত ভারত গড়ার সময়।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল পর্যন্ত সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সবথেকে বড় পরিবর্তন ঘটেছে তা হল প্রত্যেক ভারতীয়র আস্থা শীর্ষে রয়েছে এবং ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে। দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে ছিল না আপ এবং টিআরএস। জানা গিয়েছে, শ্রীনগর থেকে বিমান বিলম্ব করায় অধিবেশনে থাকতে পারেননি কংগ্রেস সাংসদরা।
আচমকাই সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Union finance minister) নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। বেলা ১২টা নাগাদ নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (AIIMS) ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ৬৩ বছরের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হাসপাতালের একটি প্রাইভেট কেবিনে ভর্তি ছিলেন। তিন দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অর্থমন্ত্রী।
তবে ঠিক কী কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নির্মলা, তা জানা যায়নি। পরে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকস্থলীতে সংক্রমণ রয়েছে তাঁর। তাই তাঁকে অবজারভেশনে রাখা হয়, বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল। ডাক্তারের পরামর্শে তিন দিন পর বাড়ি ফিরছেন।
যদিও সোমবার জানা গিয়েছিল, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এইমসের প্রাইভেট ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং ভালো আছেন। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩-র ১লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের কথা নির্মলা সীতারমনের। তার কার্যত এক মাসে আগে এমস-এ নিয়ে আসা হয়েছিল অর্থমন্ত্রীকে। আগেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আসন্ন বাজেট জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে রেখেই হবে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তিনি বাজেটে দেখবেন।
নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) বাজেট বক্তৃতা (Budget Speech) মোতাবেক অক্টোবরে পেট্রোল-ডিজেলে (Petrol-Diesel) লিটার প্রতি ২ টাকা অতিরিক্ত শুল্ক বসার কথা। কিন্তু উৎসব আবহে সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল মোদী সরকার। নভেম্বরে জ্বালানিতে অতিরিক্ত ২ টাকা করে কর বসবে। সম্প্রতি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। পেট্রোল-ডিজেলে অতিরিক্ত কর ধার্য হবে আগামী পয়লা নভেম্বর। প্রসঙ্গত, গত বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা জানান, ইথানল ও বায়ো-ডিজেলহীন পেট্রোল-ডিজেলে ১ অক্টোবর থেকে ২ টাকা অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক ধার্য হবে।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি আমদানিকারক দেশ। আখের নির্যাস অর্থাৎ ইথানল ১০ শতাংশ হারে পেট্রলে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে একদিকে আমদানির উপর নির্ভরতা কমে, তেমনই কৃষকদেরও বাড়তি আয়ের পথ খোলে। এদিকে, একটা সময় লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল জ্বালানির দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা পরবর্তী প্রভাবে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গিয়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম।
কিন্তু গত কয়েকমাস স্থিতাবস্থা বজায় রেখে একজায়গায় দাঁড়িয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং জ্বালানি প্রসঙ্গে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে সম্প্রতি মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।