রাজ্যে এবার বোমার (Bomb) বলি ১২ বছরের শিশু। সূত্রের খবর, শৌচকর্ম (Toilet) করতে গিয়ে বোমা ফেটে মারা গেল ১২ বছর বয়সী এক কিশোর। সোমবার সকালে বনগাঁর (Bongaon) থানার বক্সি পল্লিতে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ওই কিশোর। তারপর তাঁরা বিকট আওয়াজ শুনতে পান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন শৌচালয়েই বিস্ফোরণ হয়েছে। দ্রুত ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই শৌচালয়ের মধ্যেই বোমা রাখা ছিল। তবে কে বা কারা ওই বোমা সেখানে মজুত করেছেন সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পুলিসি নিস্ক্রিয়তা নিয়েও অভিযোগ তাঁদের।
এর আগে মে মাসে রাজ্যে একাধিক বিস্ফোরণ হয়। এগরা, বজবজ, ইংরেজবাজারের মতো এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। ঠিক একইভাবে বনগাঁয় ফের বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় সিআইডির বোম স্কোয়াড এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। যদিও এ ঘটনায় তীব্র তরজা শুরু হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে।
একই রাতে পরপর দুটি মন্দিরের চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। বনগাঁ থানার অন্তর্গত দেবগড় এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। সোমবার মধ্যরাতে দুটি মন্দিরেই চুরি হয়েছে এমনটাই অনুমান এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে দেবগড় এলাকার বাসিন্দা ভক্ত বৈরাগী বলেন, 'আমাদের বাড়ির বহু পুরনো এই হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরটি আমাদের বাড়ির হলেও কিন্তু এলাকার সকল মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে।'
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎই দেখতে পাওয়া যায় মন্দিরের বারান্দায় একটি মোটা পেয়ারা গাছের কাঠ পড়ে আছে। তারপরে মন্দির ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় মন্দিরের একটি জানলা ভাঙা এবং ঠাকুরের কপালে মোট ছটি সোনার টিপ এবং আরেকটি সোনার টিকলিগুলি নেই। তারপরেই আমরা পুলিস প্রশাসনের কাছে খবর যায়।
পাশাপাশি অন্য একটি বাড়ির কালী মায়ের মন্দিরেও চুরি হয় এ বিষয়ে ওই বাড়ির সদস্যা নীলিমা বিশ্বাস বলেন, 'আমি সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে কর্মসূত্রে কলকাতায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমি মায়ের মুখ দর্শন করতে যাই। মন্দিরের পর্দা তুলেই দেখি কালী মায়ের মূর্তিটি মন্দিরের গ্রিলের সঙ্গে আটকে আছে। তারপর আমার সন্দেহ হওয়াতে আমি সবাইকে ডাকি এবং তারপর দেখতে পাই মায়ের সমস্ত গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। সোনার টিপ, সোনার ত্রিনেত্র এবং সোনার টিকলি চুরি হয়ে গিয়েছে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।' তিনি জানান, 'স্বাভাবিকভাবেই এখন ভয় লাগছে যারা কালী মাকে ভয় পায় না, তারা মানুষকে কীভাবে ভয় পাবে।'
গ্রামের লোকজনকে মারধর (Beaten) করে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। মঙ্গলবার চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছিল বাগদা (North 24 Parganas) থানার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর এলাকায়।অভিযুক্তদের মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চারজনের নাম গিতু রায়, ঝর্ণা রায়, তপতী রায় ও বন্দনা বিশ্বাস৷
জানা গিয়েছে, বাগদার কনিয়াড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দ পাপিয়া রায়ের সঙ্গে কয়েক বছর আগে পাশের বেলেটারা গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়৷যদিও বিয়ের আগে থেকেই হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা অনুপম বাগচীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাপিয়ার। এমনকি ওই মহিলার পরিবারের লোকজন তাঁর অমতেই বিয়ে দিয়েছিল৷ বিয়ের পর পাপিয়া প্রেমিক অনুপমের সঙ্গে পালিয়েও যায় একবার৷ তখন পুলিসই তাঁকে উদ্ধার করে নিয় আসে৷ তবে মাস দুয়েক আগে পাপিয়া ফের অনুপমের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে৷ এমনকি দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিল। বিবাহিত স্বামীকে ছেড়ে ওই মহিলা প্রেমিকের বাড়িতে এসে প্রায় দুমাস ধরে ঘর-সংসার করছিল। সেই কথা জানতে পেরেই মহিলার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন গাড়ি করে এসে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি স্থানীয়রা বাধা দিলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়।
অভিযোগ, ৯ই এপ্রিল তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গা গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িতে করে প্রেমিক অনুপমের বাড়িতে চড়াও হয়। স্নান করা অবস্থায় ওই মহিলাকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ জানান। এর পরেই তেঘরিয়া ও বেলেডাঙ্গার লোকজন হরিনগর গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালায় ও তাঁদের ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ, এই ঘটনায় ৭ জন মহিলা জখম হয়৷ যার ফলে হরিনগর বাওড়ের ধার পল্লী যুব সংঘের সম্পাদক বিপ্রজিত দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিসের ভূমিকা ছিল নিষ্ক্রিয়, এমনই অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় হরিনগর গ্রামের লোকজন দল বেঁধে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দারস্থ হন৷ এই বিষয়ে বিশ্বজিৎবাবু কথা বলেন পুলিসের সঙ্গে৷ এরপরই কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে বাগদা থানার পুলিস৷ পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷
তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ৩ জন যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর ঘটনা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার (Bangaon Police) পুলিস। অভিযুক্তদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা। তিনি রবিবার রাত আটটা নাগাদ বনগাঁ শহর থেকে স্কুটি করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ই এমন ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে বেশ কয়েক দিন ধরেই ফলো করছিল এক যুবক। তাঁর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে তাও ওই যুবক খুব উত্তপ্ত করত তাঁকে। তবে রবিবার রাত আটটা নাগাদ তিন অভিযুক্ত মুখে গামছা বেঁধে এসে তরুণীর পথ আটকায়। তারপরই অভিযুক্তরা তরুণীর গাঁয়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান ওই তরুণী৷ তারপরই তিনি বনগাঁ থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করেছেন ওই তরুণী।
বনগাঁয় জন্ম, বনগাঁয় বেড়ে ওঠা। ছোট থেকেই গানের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। বাবার কাছে গানে হাতেখড়ি। তারপর গানের সুরে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া। গানে গানেই বেড়ে উঠেছেন দেবস্মিতা রায় (Deboshmita Roy)। পড়াশোনা করেছেন বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। উচ্চশিক্ষা, দমদমের সরোজিনী নাইডু কলেজে। দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেওয়াজ করেছেন, এছাড়া যখনই ইচ্ছে হয়েছে সুর তুলেছেন গলায়। তাঁর বাবা একদিন এসে খবর দিলেন, 'ইন্ডিয়ান আইডলের (Indian Idol) অডিশন হবে দমদমে'। ২২ বছরের মেয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু।
বনগাঁ থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার জার্নি করে পৌঁছন দমদমে। গিয়ে দেখেন, মাথা গোনা যাচ্ছে না অডিশন দিতে আসা গাইয়েদের। যেন রাজ্য ভেঙে পড়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের অডিশনে। তবে নিজের উপর বিশ্বাস অটুট ছিল দেবস্মিতার। প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তবেই অডিশনের মূল কক্ষে প্রবেশ করার সুযোগ পান। প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হন। তবে পরীক্ষা তখনও বাকি ছিল। কলকাতাতেই প্রায় ৪ রাউন্ড অডিশন হয় ইন্ডিয়ান আইডলের। তারপরেই ডাক পান মুম্বই থেকে।
হাওড়া স্টেশন থেকে মুম্বইয়ের ট্রেন। স্টেশনে পৌঁছে দেখতে পান ট্রেন নেই। স্টেশনেই অনিদ্রায় রাত কাটে দেবস্মিতার। পরদিন সকালে ট্রেন ধরে মুম্বই পৌঁছন। সেখানে আরও এক রাউন্ড অডিশনের পর গোল্ডেন মাইক পেয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মূল মঞ্চে পৌঁছন দেবস্মিতা। বাংলায় থেকেছেন এতদিন, হিন্দিভাষীর রাজ্যে কথা বলবেন কীভাবে বঙ্গসন্তান! তা নিয়ে জড়তা ছিল। তবে মুম্বই গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সেই জড়তা কাটিয়ে ওঠেন। এরপর তাঁর বাকি যাত্রা সকলের দেখা। মুম্বইয়ের নাম করা শিল্পীদের, সুরের আবেশে মুগ্ধ করেছেন বাংলার মেয়ে দেবস্মিতা।
দুই দিন ধরে চলে ইন্ডিয়ান আইডলের গ্র্যান্ড ফাইনাল। বিচারক আসনে বসেছিলেন পরিচালক জুটি আব্বাস ও মাস্তান। উপস্থিত ছিলেন সংগীত পরিচালক ও গায়ক সেলিম মার্চেন্ট। ছিলেন পরিচালক ও সংগীত শিল্পী বিশাল ভরদ্বাজ ও তাঁর সহধর্মিনী বিশিষ্ট গায়িকা রেখা ভরদ্বাজ। ফাইনালে উত্তীর্ন হওয়া বাকি সংগীতশিল্পীদের সঙ্গে গানে গানে জোর লড়াই চলে। নিজের সুরের জাদুতে ফার্স্ট রানার আপের ট্রফি ছিনিয়ে আনেন দেবস্মিতা।
মুম্বইতে ইন্ডিয়ান আইডলের রানার আপ হয়ে বর্তমানে ফিরে এসেছেন নিজের প্রাণের জায়গা বনগাঁয়। সিএন-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দেবস্মিতা জানিয়েছেন, 'ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ পর্যন্ত যাওয়া খুব কঠিন। একটি গান গাওয়ার প্রস্তুতির জন্য মাত্র এক বেলা সময় পাওয়া যায়। চ্যাম্পিয়ান হতে না পারার আক্ষেপ নেই। এত কঠিন লড়াইতে ফার্স্ট রানার আপ হয়েই খুশি।'
দেবস্মিতার এই গানের যাত্রায় সবচেয়ে বড় খুঁটি তাঁর মা-বাবা। ছোট বেলা থেকেই মেয়েকে সমর্থন করে এসেছেন, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চেও মেয়ের পাশে থেকেছেন বাবা দেবপ্রসাদ রায় ও মা মিতা রায়। মেয়ের জয়ে গর্বিত তাঁরাও। দেবস্মিতার কথায়, 'দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মঞ্চে গান গাওয়া সহজ হয়ে উঠেছিল আমার মা-বাবার আশীর্বাদে।'
দেবস্মিতা আরও বড় স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর ইচ্ছে, বনগাঁয় নিজের গানের স্কুল খুলবেন। নিজের অর্জিত বিদ্যা ছড়িয়ে দেবেন সকলের মধ্যে। প্লে ব্যাক সিঙ্গার হতে চান দেবস্মিতা। একইসঙ্গে স্বাধীন সুরকার হওয়ার স্বপ্নও দেখেন। মুম্বইতে থাকাকালীন বাংলার দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন দেবস্মিতা। তাঁর জয়ে গর্বিত বনগাঁর মানুষ। জাতীয় মঞ্চে বঙ্গ সন্তানের এই জয়, বাংলারও গর্ব।
ফের মোটর সাইকেলের ভিতরে লুকিয়ে সোনা পাচারের(Gold Smuggling) চেষ্টা বানচাল করল বিএসএফ(BSF)। আটক করা হয়েছে দুই পাচারকারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর এলাকায়। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২টি সোনার বিস্কুট। যার বাজারমূল্য প্রায় ১.৫ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম জহির হোসেন মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে সোনার বিস্কুট ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। বিএসএফ কর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন জয়ন্তীপুর গ্রামের ফেন্স গেটের কাছে মোটরসাইকেল-সহ ধৃতদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। জওয়ানরা কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করলে দুজনেই ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
দু'জনকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে মোটর সাইকেলের সিটের নিচে কালো রঙের কাপড়ে মোড়ানো ৩টি প্যাকেট উদ্ধার করেন জওয়ানরা৷ যার ভিতরেই বিস্কুটগুলি রাখা ছিল৷ বিএসএফ তরফে আরও জানানো হয়, আটক হওয়া ২২টি সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় ২.৫৬৬ কেজি৷ ভারতে যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। শুক্রবার সোনা-সহ ধৃতদের পেট্রাপোলে শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ-র কর্মীরা।
প্রায় ৭০টি কচ্ছপ-সহ (extinct tortoise) ২ জনকে গ্রেফতার করা হয় বনগাঁ (Bongaon arrest) ধরমপুর বাজার থেকে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে আটক করে বারাসাত রথতলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার দুজনকেই বনগাঁ আদালতে তোলা হবে। বনগাঁ ধরমপুর বাজার থেকে প্রায় ৭০টি কচ্ছপ উদ্ধার করেন বন দফতর কর্মীরা। বন দফতর (Forest Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনগাঁ ধরমপুর বাজারে অভিযান চালান অফিসারেরা। ধরমপুর বাজার থেকে প্রায় ৭০টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে, যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকা।
রেঞ্জার অফিসার রাজু সরকার জানান, 'মূলত পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্তদের। এই বিভাগীয় কচ্ছপগুলি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপের শ্রেণীতেই পড়ছে। বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপ জাতীর বাংলা নাম তিল কাছিম। বিলুপ্তপ্রায় এই কচ্ছপকে বাড়িতে রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে এক দম্পতিকে। সোমবার দুজনকেই বনগাঁ আদালতে তোলা হবে।'
রেললাইন (rail line) পারাপারের রাস্তায় আচমকাই বেড়া লাগানোয় প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল থেকেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বনগাঁ-শিয়ালদহ (Bangaon-Sealdah) রেলপথের দত্তপুকুরে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই দত্তপুকুরে (Dattapukur) রেল অবরোধ করে বিক্ষোভে (protest) সরব হন স্থানীয়রা। এর জেরে হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। উত্তেজনা বাড়তেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রেল পুলিস (rail police)। রেল পুলিস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, ১০০ বছরের পুরোনো একটি গ্রাম। যেখানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা রেললাইন পারাপার করেই। নেই কোনও ব্রিজ। বারবার প্রশাসন থেকে স্থানীয় নেতৃত্বদের জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বেড়া দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই এই অবরোধ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এভাবে বেড়া দেওয়া হলে অসুবিধায় পড়তে হবে তাঁদের। এই রেললাইন দিযেই যাতায়াত তাঁদের। ওই বেড়ার কিছু অংশ খোলা রাখার দাবি করেছেন তাঁরা।
এদিকে, অবরোধের জেরে বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছিল।
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু (unusual death) ঘিরে উত্তেজনা গাইঘাটার (Gaighata) আমকোলায়। ঘটনায় অভিযোগের তির শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শোকস্তব্ধ বধূর পরিবার। জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে (marriage) হয়েছিল অর্পিতা ও রাকেশের। তাঁদের ১ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অর্পিতাকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে অত্যাচার করতেন। বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় অর্পিতাকে বাপের বাড়ি রেখে আসেন রাকেশ। এরপর পরিবারের লোকেরা প্রথমে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাঁকে রেফার করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে অর্পিতার মৃত্যু হয়। রাতেই হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে এসে সকালে তাঁকে দাহ করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই। এরপরই ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিস (police)। অর্পিতার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রাকেশ সম্প্রতি একটি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যা নিয়ে অর্পিতা এবং রাকেশের মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। অর্পিতার পরিবারের দাবি, বিষ খাইয়ে অর্পিতাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তার তদন্তে পুলিস।
আজ পুরসভার উপ নির্বাচন বেশ কিছু জায়গায়। তবে এই নির্বাচনকে ঘিরেই উত্তপ্ত বনগাঁ (Bonga)। বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে (BJP MLA Swapan Majumder) মারধর করার ছবি প্রকাশ্যে। স্বপন মজুমদারের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও মারধর করার অভিযোগ। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল পুলিসবাহিনী (police)। ঘটনায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বনগাঁ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষকে।
অন্যদিকে, বনগাঁ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপর নির্বাচনে কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠের সামনে হঠাৎই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পাপাই রাহা নামে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপির পক্ষ থেকে বাইরের লোক নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে এমএলএ এসেছেন, এমএলএ-র সঙ্গে আরও কিছু বাইরের লোক এসেছে ভোট করানোর জন্য, এমনটাই বলছেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু পাল্টা বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তন বলেন, "আমি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমি আসতেই পারি।"
সকাল থেকেই বেশ সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তারপরেই কুইক রেস্পন্স টিম এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যারা ভোটার একমাত্র তাদেরকেই ভোটদান কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকিদের বুথ ও এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁ।