বাগুইআটির (Baguiati) দুই পড়ুয়া খুনের (murder) রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অপহরণ করে খুন। বাগুইআটির ছায়া বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা। রবিবার ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মল্লারপুরের পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। গলাকাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর পুলিস তদন্ত নেমে তাঁর বন্ধু সলমনকে গ্রেফতার (arrest) করে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে সমস্তটাই স্বীকার করে নিয়েছেন সলমান।
জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করবে বলে যান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন। রাতে তাঁরই নম্বর থেকে বাড়িতে ফোনও যায়। চাওয়া হয় ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। পরিবার শনিবার রাত থেকেই টাকা জোগাড়ের সঙ্গে পুলিসকে খবর দেয়। এরপরই রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ।
পুলিস সূত্রে খবর, প্রচুর টাকা লোন থাকার কারণে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন সলমান। সলমান গত সপ্তাহেও এইভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন সালাউদ্দিনকে নিজের আয়ত্তে এনে মুক্তিপণ চাইবেন। কিন্তু সেইদিন তা সম্ভব না হওয়ায় শনিবার ঘটনাটি ঘটায়।
যেভাবে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে। তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, পেশাগত খুনি নয় শেখ সলমান। প্রচুর পরিমাণে লোন ছিল অভিযুক্ত শেখ সলমানের। সেই লোন এর টাকা আদায়ে অপহরণ করে ব্যবসায়ীর ছেলেকে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত শেখ সলমানের মা ভাবতেই পারছেন না তাঁর ছেলে এই কাজ করতে পারে।
মৃতদেহ উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। রবিবার সাত সকালে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃত ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে। তার নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন, বয়স ১৯ বছর। শেখ সালাউদ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন। শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকার কারণে প্রত্যেক সপ্তাহে তিনি বাড়ি আসতেন এবং সোমবার ফের কলেজের যেতেন ও ।
সৈয়দ সালাউদ্দিন মল্লারপুরের সুমনা পল্লীর বাসিন্দা। তবে এই সপ্তাহে সে বাড়ি না আসার কারণে তার মা ফোন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, রবিবার আসবেন। এরই মধ্যে শেখ সালমান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে সে বের হয় আর সন্ধ্যার পর সালাউদ্দিনের বাবার কাছে ফোন আসে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা এবং তার পরিবারের সদস্যরা টাকা জোগার করা সহ তৎপরতা শুরু করেন এবং পুলিসকে খবর দেন। রাতেই জানানো হয় ইলামবাজারে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ওই যুবক কলেজ পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেল থেকে না বেরনো পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। তাকে বীরের মতো বের করে আনতে প্রস্তুত হন। আর দলনেত্রীর (Mamata Banerjee) এই বার্তা কানে যেতেই শুক্রবার স্বমেজাজে বীরভূম তৃণমূলের (Birbhum TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, চিরকাল কেউ জেলে থাকে না। নিশ্চয় ছাড়া পায়, আমিও ছাড়া পাব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার পাল্টা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, সেটাই শেষ কথা। উনার উপর কোনও কথা হয় না। আমি চোর না ডাকাত আমাকে ধরে রাখবে।'
এরপরেই তাঁকে নিয়ে কনভয় রওয়ানা দেয় বিধান নগর আদালতের উদ্দেশে। ২০১০ সালের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে এমপি-এমএলএ আদালতে তোলা হলেও বেকসুর খালাস পান অনুব্রত। স্বমেজাজেই আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি জানান, সত্যের জয় হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টর শরীর এমনিতেই খারাপ। তার মধ্যে বগটুই হল, ওকে একটা ধাক্কা দিল। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে আটকাতে পারেন? ভাবছেন কেষ্টকে ধরে রেখে দু'টো লোকসভা আসন বেশি পাবেন, সে গুড়ে বালি! কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। ওকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন।
১২ বছরের পুরনো মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তথ্য-প্রমাণের অভাবে এই মামলার ১৪ অভিযুক্তকে খালাস করেছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১০-র মে মাসে হওয়া এই বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছিল। তারপরই মামলা রুজু করে মঙ্গলকোট থানা। অনুব্রত মণ্ডল-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়। এই ১৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে মামলা চলতে থাকে। সেই চার্জশিটে নাম ছিল কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শাহনওয়াজ শেখের।
গত সপ্তাহেই তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধান নগরের ময়ূখ ভবনের আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিনও সকালে তাঁকে আসানসোল থেকে বিধাননগর নিয়ে আসা হয়। মাঝে শুধু একবার ৫ মিনিটের জন্য গাড়ি দাঁড়ায় শক্তিগড়ে। এদিকে, এই রায় প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বসু ঠাকুর জানান, সত্যমেব জয়তে। মহামান্য কোর্ট আমার মক্কেলকে বেকসুর খালাস করেছে। ২০১০ সালে মঙ্গলকোটের গ্রামে উনার ভাবমূর্তি খারাপ করতে নাম জড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আদালতে পুলিস অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ।'
একইকথা শোনা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। তিনি জানান, সত্যের জয় হয়েছে। ২০১০ সালে আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, সেটা প্রমাণ হল।
হাওড়া (Howrah) ডিভিশনের রসুলপুর ও শক্তিগড় (Saktigarh) স্টেশনে কাজের ফলে ট্রেন (train) বাতিল। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশন থেকে বেশ কিছু ট্রেন সোমবার থেকে আগামী ১৩-ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। পুজোর মুখে এভাবে ট্রেন বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বীরভূমের ব্যবসায়ীদের একাংশ।
পুজোর আগে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বা ব্যবসার কাজে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু মানুষ রিজার্ভেশন করে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার সেসব যাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বীরভূম লাইনের ময়ূরাক্ষী ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সিউরি, দুবরাজপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
ট্রেন যাত্রীরা জানান, ময়ূরাক্ষী, হূল এই সমস্ত ট্রেন সরাসরি হাওড়ায় পৌঁছয়। কিন্তু এই সমস্ত ট্রেনগুলি বাতিল হওয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর যা আরও বাড়বে। তবে রবিবার এমন খবর আচমকাই পেয়ে দীর্ঘক্ষণ স্টেশন চত্বরেই কাটাতে হয় বহু যাত্রীদের।
তৃণমূলের হাতে প্রাক্তন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে চাঞ্চল্য নানুরে। জানা গিয়েছে, মৃতের (dead) নাম বসির শেখ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বীরভূমের (Birbhum) নানুরের সাঁতরা গ্রামে। অভিযোগ, শুক্রবার বাসাপাড়া এলাকায় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় একদল যুবক মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ভর্তি করলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বসির শেখের বাড়ি নানুর থানার সাঁতরা গ্রামে। তিনি একজন তৃণমূলকর্মী ছিলেন। তবে বছর দুয়েক আগেই তৃণমূল দল ছেড়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। কেন তিনি রাজনৈতিক দল ছেড়ে দিলেন, সেই নিয়েই বারবার তাঁকে বিভিন্ন সময় পুলিসি কেসও দেওয়া হয়। আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা করিম খানের সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে অশান্তি হয়। এরপর থেকে তিনি গ্রাম ছাড়া। শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানে আস্তানা নেয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে সেখান থেকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে এসে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসীরা মঙ্গলকোট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করলে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে নানুর থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। শনিবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই গ্রামে বালি, গরু পাচার মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের। আর তাঁর বাড়ি লাগোয়াই এই বসির শেখের বাড়ি।
প্রতিবছরই বর্ষার সময় ম্যালেরিয়া (Malaria) থাবা বসায় এরাজ্যে। তবে এই বছর যেভাবে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে। বিশেষ করে মে-জুন মাসে রাজ্যের ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। আর এতেই যথেষ্ট উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। বিগত দু-মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল দ্বিগুণেরও বেশি।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর গোটা দেশের ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সাম্প্রতিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০১ জন। আর তার পরের দুমাসে অর্থাৎ মে-জুন মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০৬৮ জন। ফলে ওই দুমাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৪৬৭ জন। পাশাপাশি এই রিপোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো হয়েছে।
এরই মধ্যে আবার নতুন করে স্ক্রাব টাইফাসের (Scrub Typhus) আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সূত্রের খবর, সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (hospital) স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু একজনের। চলতি সপ্তাহে মৃত্যু (death) সংখ্যা বেড়ে হল ২। জানা যায়, হাসপাতালের তরফ থেকে এই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ক্রনিক অসুখের মত ছড়িয়ে পড়ছে শাসক দলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।। যত দিন যাচ্ছে দলের মধ্যেই ক্ষোভ লাভার মতই বেরিয়ে আসছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়ছে দল। দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ছাপার অক্ষরে খোলা চিঠি দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকে।
এই চিঠি পোস্টারের আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে। প্রশ্নটা স্পষ্ট, সেদিনের সেই দিন আনি দিন খাই মানুষগুলি কীভাবে কয়েক বছরের মধ্যে কুবেরের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলল? সেই সব নেতাদের জন্যই যে দলের ক্ষতি হচ্ছে তাও বলা হয়েছে এই চিঠিতে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরিমল সৌ সহ আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান দলের নীচু তলার কর্মীরাই এই পোস্টার লাগিয়েছে। যদিও এ সবই ঘোলাজলে মাছ ধরার প্রবণতা বলে সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি। যদিও ওয়াকিবহাল মহল বিষয়টিকে বিশ্লেষন করছেন একটু অন্যভাবে। সম্প্রতি রাজ্য উত্তাল হাজার দুর্নীতির অভিযোগে, একদিকে যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ইডির ব়্যাডারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অপরদিকে গরুপাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।
এতদিন মানুষের মধ্যে যে প্রশ্ন গুলি দেখা দিয়েছিল, তার উত্তর এবার একে একে সামনে আসছে। মুখ খুলছে বঙ্গবাসী। তারই বহিপ্রকাশ দুবরাজপুরের এই খোলা চিঠি। তৃণমূল নেতারা সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আর তাই মানুষ আজ তাদের তৃণমূলের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে জবাব চাইছে। প্রতিক্রিয়া স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার। পোস্টারগুলি ইতিমধ্যেই যত্ন সহকারে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু তার মধ্যেই গোটা বিষয়টিই দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে দুবরাজ পুর সহ গোটা জেলায়। অস্বস্তিতে শাসকশিবির।
ঠিকাদারদের(contractor) কাছ থেকে তোলা(money) তুলে না দেওয়ায় অনুব্রত মণ্ডল জেল(jail) খাটিয়েছিলেন তৃণমূল নেতাকেই । এবারে প্রকাশ্যে এল সেই সত্য। যিনি সামনে আনলেন তিনি বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত রূপপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদা। এই নেতাকেই অনুব্রত মণ্ডল জেল খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোলা তুলতে চাপ দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বীরভূমেরই তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি।
কাজি নুরুল হুদা জানিয়েছেন, একদিন বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডল তাকে বলেন পঞ্চায়েতে যে কাজ হচ্ছে সেই কাজের ১৩ শতাংশ টাকা সরিয়ে ৪ শতাংশ পার্টি অফিসে, ৬ শতাংশ পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং বাকি তিন শতাংশ নিজে রাখার জন্য। কিন্তু এই প্রস্তাবে কাজি নুরুল হুদা রাজি হননি এবং তিনি অনুব্রত মণ্ডলের থেকে বারবার এইভাবে চাপ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেন। অঞ্চল সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তার বাড়িতে বিশাল পুলিস পাঠানো হয় এবং তাকে ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি তাঁর।
আরও জানান,তাদের মাদক সংক্রান্ত একটি মামলা দেওয়া হয় । এই ঘটনায় এক বছর তারা দুজনে জেল খাটেন বলে জানিয়েছেন এবং তারপর জেল থেকে বেরিয়ে এলেও এখন বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এই কাজি নুরুল হুদাই দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রথম দিকে তিনি কংগ্রেস করতেন এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকার অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২১ অবধি শান্তিনিকেতনের রূপপুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন কাজি নুরুল হুদা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি (Anubrata Mandal) ঘিরে এখনও সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে, দলীয় নির্দেশ মেনে রাস্তায় নামল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। অন্যদিকে পথে নেমে সুর চড়াল বিরোধীরা।
এরই মধ্যে ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারি (Chandranath Adhikari)। তিনি জানান, "বৃহস্পতিবার সকালবেলা সিবিআই-এর তিনজন অধিকর্তা এসেছিলেন আমার বাড়ি। এসে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। শুরু থেকে শেষ অবধি একই বয়ান আমি দিয়েছি। আমার বয়ান একটি সাদা কাগজে লিখে নেন তাঁরা। তারপর আমাকে ভয়েস রেকোর্ডিং-য়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়। আমি সংবাদমাধ্যমকে যা যা রেকোর্ডিং দিয়েছি, সেসব তাঁদেরও দিয়েছি। এরপর খুব বেশি সময় নয়, আধ ঘণ্টার মত কথা বলে আমার সঙ্গে তাঁরা চলে যান।" তবে এদিন তিনি আরও জানান, রাজনীতি নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও মন্তব্য নেই। কারণ, তিনি একজন চিকিত্সক, সরকারি কর্মী। তবে এই সমস্ত ঘটনার পর সুপার কোনও যোগাযোগ করেননি তাঁর সঙ্গে, জানান চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
যাঁর নামে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, আজ কিনা তাঁর চোখে জল!ভোট আসলেই বীরভূমের (Birbhum) বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) সামলাতে কাল ঘাম ছুটত পুলিস থেকে শুরু করে কমিশনের কর্তাদের। কখনও প্রকাশ্যে পুলিসকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন তো, আবার কখনও গাঁজা কেসে জেলে ঢোকানোর। আজ সেই দাপুটে নেতা একেবারে নির্বাক। কার্যত ভেঙে পড়লেন বীরভূম জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতে নিজাম (Nizam) প্যালেসে নিয়ে আসার পথে দৌর্দণ্ড্যপ্রতাপ নেতার এহেন অবস্থা লেন্সবন্দি হল। যা দেখে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অনেকেই।
গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার বীরভূমের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আগামী ১০ দিন তাঁকে সিবিআই হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পেয়েছে তাঁকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুব্রতকে সিবিআইয়ের গাড়িতে করে কলকাতার নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে ধনেখালিতে যানজটে আটকে যায় গাড়ি। একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি থেকে বেরোলেই অনায়াসে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যেত। কোনও বাধা বিপত্তি ছাড়াই তিনি পৌঁছে যেতেন গন্তব্যে। একাধিকবার কলকাতায় এসেছেন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পরে কলকাতায় ফিরতে গিয়ে বেগ পেতে হল অনুব্রত মণ্ডলকে। গোটা জাতীয় সড়কে কার্যত গাড়ি বন্দী হয়ে থাকতে হল দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সভাপতিকে। জাতীয় সড়কে প্রায় এক ঘন্টা আটকে ছিলেন তিনি। এরপর স্থানীয় পুলিসের সহযোগিতায় কনভয় ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আর ফেরার পথে কিছুক্ষণের জন্যে পালসিটের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে দাঁড়ায় সিবিআইয়ের গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের দিকে ছুটে যান সাংবাদিকরা। একাধিক প্রশ্ন করা হলেও একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি। কেবল ক্যামেরায় ধরা পড়ল অনুব্রতের চোখের জল। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। সাড়ে সাত ঘণ্টা পর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মধ্যরাত ২ টো ৪৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তারপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে টানটান উত্তেজনার শেষে গ্রেফতার হন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই আধিকারিকেরা একেবারে বাড়ির ভিতরে দোতলায় অনুব্রতর ঘরে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করিয়ে গ্রেফতার করেন।
সূত্রের খবর, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়া তাঁর জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তাঁর ফোন রেকর্ড থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক তথ্য। যা এখন সিবিআইয়ের হাতে। জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলার একাধিক তথ্য এখন সিবিআইয়ের কাছে। সেই সব বিষয়কে সামনে রেখেই আজ থেকে আগামী কয়েকদিন লাগাতার জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিতর্কিত পোস্ট তৃণমূল নেতা কাজল শেখের (Kajal Seikh)। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ফেসবুক ওয়ালে (Facebook Wall) দেখা গেল একটি বিতর্কিত পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না।' পাশাপাশি তিনি লিখেছেন 'দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়'।
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই নেতা কাজল শেখকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেলেও দুজন চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই পরিচিত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর কাজল শেখের এহেন ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
উল্লেখ্য, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত বিজেপি। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিজেপির কর্মী-সমর্খকরা অনুব্রতর অস্ত্রেই তাঁকে কটাক্ষ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোথাও চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজানো চলছে, কোথাও বিলি হচ্ছে নকুলদানা, গুড়বাতাসা। কোথাও আবার অনুব্রতকে দেখলেই আওয়াজ উঠছে গোরু চোর, গোরু চোর।
কিন্তু দলের মধ্যেই যেভাবে তির্যক মন্তব্য এল, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলেই অনেকে মনে করছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এবং সিপিএম (BJP, CPM) একযোগে কটাক্ষ করেছে বীরভূমের (Birbhum TMC) তৃণমূল সভাপতিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'ব্যাগ গুছোতে দেওয়ার দরকার নেই। এক কাপড়ে তুলে আনুক সিবিআই। এর আগে ৮-৯ বার ডেকেছিল, উনি হাজিরা এড়িয়েছেন।'
আক্রমণাত্মক সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি জানান, চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন। বালি, পাথর পাচার করে টাকা নিয়েছেন। শ্রীঘরে যেতে তো হবেই। একসময়ের দাপট। বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দাও, পুলিসের গায়ে বোমা মারো। সিবিআইয়ের উচিৎ কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন। এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন?