বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। একের পর এক মৃত্যু হয়েই চলেছে বিনোদন জগতে। আদিত্য সিং রাজপুত, বৈভবী উপাধ্য়ায়, নীতেশ পাণ্ডের পর এই ভোজপুরী (Bhojpuri) পরিচালক সুভাষচন্দ্র তিওয়ারি (Subhash Chandra Tiwari)। ভোজপুরী ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক হোটেলের রুম থেকে। তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, পরিচালক সুভাষচন্দ্র এক ছবির শ্যুটিং-এর জন্য উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রায় তিরুপতি হোটেলে তাঁর টিমের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। পুলিস সুপারইনটেন্ডড যশবীর সিং বলেছেন, 'হোটেলের কর্মীরা তাঁর ঘরের দরজা ভাঙতেই তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর দরজায় অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি উত্তর না দেওয়ায় তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা হয়। এরপরই তাঁকে মৃত অবস্থা দেখা যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর করা হবে।'
ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবের মৃত্যুর কিনারা এখনও হয়নি। চলতি বছরে ২৬ মার্চ আত্মহত্যা করেন তিনি। পেশায় ভোজপুরী সিনেমার নায়িকা ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে একইরকম জনপ্রিয়তা ছিল আকাঙ্খার। তাঁর মৃত্যুতে এক লহমায় শোকস্তব্ধ হয়ে যায় সিনেমা জগৎ। আগের দিন রাতেও পার্টি করেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে নাচের ভিডিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কী কারণে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি, সেই রহস্য অজানা থেকে গিয়েছে।
এরই মাঝে তাঁর পুরোনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। সেই ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে কেবল সমর সিং।' প্রসঙ্গত আকাঙ্খার মৃত্যুর পর তাঁর মা এই সমর সিংকেই তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন। তাঁকেও নাকি আকাঙ্খা একই কথা বলেছিল। এই সমর সিংয়ের সঙ্গেই আকাঙ্খা সম্পর্কে থাকার কথা বলেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরে সমর সিংকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
আকাঙ্ক্ষার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলছে। নেটিজেনরা জানতে চাইছেন, 'তাহলে কী আকাঙ্খা তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলেন?' আরও এক নেটিজেন প্রশ্ন তুলছেনা , 'আকাঙ্খার মৃত্যু কি সত্যিই আত্মহত্যা? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?'
ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবে (Akanksha Dubey) প্রয়াত। রবিবার বারাণসীর হোটেল রুমে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আকাঙ্খার মা মধু দুবের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী সঞ্জয় সিং ও সমর সিং। ২৫ মার্চ প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী। শনিবার রাতে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন আকাঙ্খা। সেখানে তাঁকে দেখে হাসিখুশি মনে হলেও রাতে তিনি আবারও একটি লাইভ করেন। সেই ভিডিওটি বিষণ্ণ ছিলেন অভিনেত্রী সেই স্ক্রিনশটও ছড়িয়ে পড়ে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর হেয়ার স্টাইলিস্ট।
অভিনেত্রীর হেয়ারস্টাইলিস্ট রাহুল এবং রেখা মোরে বলেন, ২৫ মার্চ একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন আকাঙ্খা। সেখানে তিনি বেশ হাসিখুশি ছিলেন। হেয়ার স্টাইলিস্ট আরও জানান, 'লায়েক হু মে নালায়ক নেহি' সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য রবিবার সকাল ৭টায় তৈরী হওয়ার কথা ছিল আকাঙ্খার। কিন্তু তিনি মেকআপ রুমে না পৌঁছালে প্রোডাকশনের এক ব্যক্তি তাঁকে ডাকতে যান। ডাকাডাকিতে সাড়া না মিললে মাস্টার কি দিয়ে দরজা খুলে দেখা যায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। হেয়ার স্টাইলিস্ট বলেন, 'আকাঙ্খা তাঁর সহকর্মীদের যত্ন নিতেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁরাও।' ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিস।
রবিবার দুপুরে শোকের ছায়া নামল অভিনয় জগতে। প্রয়াত (Death) ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবে (Akanksha Dubey)। বারাণসীর একটি হোটেলে তাঁর মৃতদেহ (DeadBody) উদ্ধার হয়েছে। ২৫ বছর বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, টিকটকেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ১৮ ঘন্টা আগে অর্থাৎ শনিবার রাতে তিনি শেষ ভিডিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। ভিডিওতে চোখে-মুখে অবসাদের ছায়া নেই। তিনি যে আর কিছুক্ষণ পরেই থাকবেন না তাও বোঝার উপায় নেই। সেই ভিডিওতে তাঁকে বেলি ডান্স করতেও দেখা যায়। ভক্তরা বিশ্বাস করতে পারছেন না আকাঙ্খা আর নেই।
এক মাস আগেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে সামাজিক মাধ্যমে সহ অভিনেতা সমর সিং'এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে শিলমোহর দেন। 'মেরি জং মেরা ফ্যায়সলা' ছবি দিয়ে সিনেমার জগতে হাতেখড়ি করেন। খ্যাতি অর্জন করেন, 'মুঝসে শাদি করোগি', 'সাজন' সিনেমার হাত ধরে। রবিবারেই থেমে গেল তাঁর জীবনযাত্রা। প্রাথমিকভাবে পুলিস অভিনেত্রীর মৃত্যুকে 'আত্মহত্যা' বলেছেন।আকাঙ্খার মৃত্যুর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।