'আমি কোন কথা যে বলি! কোন পথে যে চলি!' গানের লাইনটি ভীষণ ভাবে সার্থক এ ক্ষেত্রে, যেখানে বাংলা ভাষা প্রয়োগ নিয়ে বাঙালিরা কেত দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন? কারণ, জানেন সারাদিনে আমরা যা বলি তার মধ্যে কত শতাংশ বাংলা?
চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি। চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ। চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগীজ।
একটু দামী খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দী আর দাম গ্রীক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা, বার্গার বা চকোলেট অর্ডার দেওয়ার সময় কখনও কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরা আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসী ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেওয়া মশলাটা আরবি।
মশলাতে দেওয়া মরিচটা ফারসি! বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসী। ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইটালিয়ান। আর যদি দারোয়ান কে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি। এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ফারসি। ফলমূলে আনারস পর্তুগিজ, আতা কিংবা বাতাবিলেবুও। লিচুটা আবার চীনা, তরমুজটা ফারসি, লেবুটা তুর্কী। পেয়ারা-কামরাঙা দুইটাই পর্তুগীজ। পেয়ারার রঙ সবুজটা কিন্তু ফারসি। ওজন করে আসল দাম দেওয়ার সময় মাথায় রাখবেন ওজনটা আরবি, আসল শব্দটাও আসলে আরবি। তবে দাম কিন্তু গ্রীক, আগেই বলেছি।
ধর্মকর্মেও একই অবস্থা। মসজিদ আরবি দরগাহ/ঈদগাহ ফারসি। গীর্জা কিন্তু পর্তুগীজ, সাথে গীর্জার পাদ্রীও। যিশু নিজেই পর্তুগীজ। কেয়াং এদিকে বর্মিজ, সাথে প্যাগোডা শব্দটা জাপানি। আর, মন্দিরের ঠাকুর হলেন তুর্কী। আর কি বাকি আছে? ও হ্যাঁ। কর্মস্থল! অফিস আদালতে বাবা, স্কুল কলেজে কিন্ডারগার্ডেনে সন্তান। বাবা নিজে কিন্তু তুর্কী, যে অফিসে বসে আছেন সেটা ইংরেজি, তবে আদালত আরবি, আদালতের আইন ফারসি, তবে উকিল আরবি। ছেলে যে স্কুলে বা কলেজে পড়ে সেটা ইংরেজি, কিন্তু কিন্ডারগার্ডেন আবার জার্মান! স্কুলে পড়ানো বই কেতাব দুইটাই আরবি শব্দ। যে কাগজে এত পড়াশোনা সেটা ফারসি। তবে কলমটা আবার আরবি। রাবার পেনসিল কিন্তু আবার ইংরেজি! পুরো স্ট্যাটাস মনে না থাকলে অন্তত এটা মনে রাখবেন যে মন শব্দটা আরবি। শব্দের কেচ্ছা-কাহিনী এখানেই খতম। তবে কেচ্ছাটা আরবি, কাহিনীটা হিন্দি, উভয়ের খতমটা আরবিতে। মাফ চাইলাম না বা সরি বললাম না, কারণ মাফটা আরবি আর সরিটা ইংরেজি।
(সোমনাথ পাঠকের পাতা থেকে)
এবারে বাংলাদেশি অভিনেতার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন টলিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে আরও একটা বাংলা রহস্য রোমাঞ্চে ভরা সিরিজ। তবে, ভারত নয়, প্রযোজনায় কিন্তু বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওপার বাংলার সিরিজে অভিনয় করবেন সোহিনী সরকার। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভকে। 'কিশমিশ', 'দিলখুশ'-এর মতো রোম্যান্টিক সিনেমার পর একেবারে প্রেম বর্জিত সিরিজ বানাতে চলেছেন পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়। ফলে দর্শকদের এক নতুন জুটি উপহার দিতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, সিরিজের নাম 'লহু'। তবে এই সিরিজ বাংলাদেশের ওয়েব প্ল্যাটফর্ম 'চরকি'তে দেখা যাবে। আগামী ১৮ নভেম্বর থেকেই শুটিং শুরু হবে। কলকাতা ছাড়াও শিলংয়ের বেশ কিছু জায়গায় শুটিং হবে বলে জানা গিয়েছে। একদিকে যেমন অন্যরকম গল্পে কাজ করতে পেরে সোহিনী বেশ উচ্ছ্বসিত। তেমনি সিরিজে কাজ করতে পেরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরিফিন।
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত 'অন্তহীন' ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল শর্মিলা ঠাকুরকে। তারপর আর কোনও বাংলা ছবিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। একেবারে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। এমন কিংবদন্তি, গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীকে সিনেমার পর্দায় দেখতে না পেয়ে ভক্তরা মনে করেছেন তাঁর কথা। খুশির খবর, আবারও সিনেমায় ফিরছেন শর্মিলা (Sharmila Thakur)। তাও ১৪ বছরের 'বনবাস' কাটিয়ে। এই খবর নিয়ে জল্পনার কিছু নেই। শহর কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী নিজে একথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে শর্মিলা ঠাকুর তো ছিলেনই, উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, তিনি এই ছবিতে অভিনয় করবেন, একইসঙ্গে সিনেমাটি সহ প্রযোজনাও করবেন। ছবিতে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। মূলত মা মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই এই সিনেমা। তবে সিনেমা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানাননি তাঁরা। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারকাদের দিক থেকে উত্তর এসেছে, 'পরিচালক এই বিষয়ে কিছু বলতে বারণ করেছেন।'
সিনেমাটি পরিচালনা করবেন, পরিচালক সুমন ঘোষ। যদিও তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন না। লাদাখে মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমা 'কাবুলিওয়ালা'-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমার জন্য আপাতত রেইকি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে, শর্মিলা ঠাকুরের জন্মদিনেই শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং।
বুধ ও বৃহস্পতিবার, এই দু'দিন ধরেই উদযাপন করা হল রাখি বন্ধন উৎসব (Raksha Bandhan)। আর এই উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কেও (Swastika Mukherjee)। তবে তিনি কাউকে রাখি পরাননি, তাঁকেই রাখি পরিয়েছেন তাঁর 'ফাল্গুনী দা'। তাঁর হাতে দেখা যায় এক অন্য রকমের রাখি। ফুলের রাখি স্বস্তিকার হাতে বাঁধা, তাঁর 'ফাল্গুনী দা'-এর সঙ্গে ছবিও তুলে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। কিন্তু এই খুশির মুহূর্তের মধ্যেই দুঃখের খবর দিলেন তিনি। তিনি সেই ছবির ক্যাপশনেই জানালেন, খুব শীঘ্রই তাঁর এক অপারেশন হতে চলেছে। আর এর জন্যই ব্লাড টেস্টের রক্ত নিতে এসেছেন তাঁর 'ফাল্গুনী দা'। তবে এই ক্যাপশনের পরই অনুরাগীরা তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কী হয়েছে তাঁর, প্রশ্ন স্বস্তিকা ভক্তদের।
অভিনেত্রী যে অসুস্থ, তা আগে তিনি জানাননি। রাখির জন্য ছবি পোস্ট করতে গিয়ে সেখানেই পুরো ব্যাপারটা জানিয়েছেন তিনি। রাখি পরার পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, 'ফাল্গুনী দা' তাঁর রক্ত নিতে এসেছেন। কারণ রক্ত পরীক্ষা করতে হলেই ওনার ডাক পরে। SRL ডায়গনিস্টিকস-এ কাজ করেন তিনি। আর তিনিই ফুলের রাখিটি তাঁকে পরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'আমার সামনের সপ্তাহে একটা অপারেশন হবে, তাই আজকে রক্ত নেওয়ার জন্য এসেছিলেন বাড়িতে। ঢুকেই বললেন, আগে হাত টা দাও তো দিদিমনি, আমি বললাম তুমি যে কিসব বাঁধো রক্ত নেওয়ার আগে ওটা বাঁধবে না? বললেন আগে রাখী টা পরাই, এমন দিনে তোমার কাছে এলাম, তুমি একা একা থাকো, সামনে একটা পরীক্ষা, কত সাহস তোমার, বাবা আছেন কিন্তু, সব ভালো হবে।'
আর এরপরই জানা যায়, তাঁর অস্ত্রোপচার হতে চলেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁর অপারেশন হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। কমেন্টেও তাঁকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, তাঁর কী হয়েছে? কিন্তু তাতে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
সৌমেন সুর: বাংলার সুদীর্ঘকালের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, বাংলাতেই শুরু হয়েছিল ভারতের নবজাগরণ। রাজা রামমোহন রায় প্রথম নবচেতনার উদ্বোধন করেছিলেন। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র 'বন্দেমাতরম' মন্ত্র দিয়ে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এরমধ্যে সিপাহী বিদ্রোহ, নীলচাষ বিদ্রোহ, স্বাধীনতার আকুতিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে বাঙালি সেদিন পরাধীনতার জ্বালাকে প্রকাশ করেছিল।
১৯০৫ সাল। লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করতে চাইলেন। বাঙালি প্রতিবাদ জানালো। সভা, সমিতি, মিটিং, মিছিলের প্রতিবাদ আরও গর্জে উঠল। এখান থেকে বাংলার মুক্তি সংগ্রাম শুরু। কবিরা কবিতা রচনা করলেন, ও দেশাত্মবোধের গান। অন্যদিকে স্বদেশী আন্দোলনের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন জননায়ক। বহু মানুষকে তিনি স্বদেশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে তিনি 'রাখি' পরিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৪২-৪৩ সাল পর্যন্ত বাংলার মুক্তি সংগ্রামের দ্বিতীয় ধাপ। মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন, লবণ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন বাঙালি দেশ প্রেমিকের সহযোগিতায় এক অন্য মাত্রা নেয়। ১৯৩০ সালে অবিভক্ত বাংলায় চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। তৈরি হয় স্বদেশী সরকার। ১৯৩৯ শে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু। গান্ধীজীর সঙ্গে নেতাজির মতের অমিল হয় নেতাজি দেশ ছাড়েন। ছাড়লেন কংগ্রেস। ১৯৪২ এর ৯ই অগাস্ট গান্ধীজী 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ডাক দিলেন। পরের দিনই মহাত্মা গান্ধী সহ অনেক নেতার কারাবরণ হয়। শুরু হয় দেশ জুড়ে গণ বিপ্লব। তমলুকে মাতঙ্গিনী হাজরা ব্রিটিশ পুলিসের গুলিতে নিহত হন। প্রথম শহীদ হন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। ওদিকে দেশের পূর্ব সীমান্তে নেতাজীর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান। একেবারে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ।
স্বাধীনতা লাভের জন্য বাঘা যতীন, বিনয়-বাদল- দীনেশ, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, মাতঙ্গিনী, রাজবিহারী বসু, চারুচন্দ্র বসু,কল্পনা দত্ত, সুশীল সেনগুপ্ত, বসন্ত বিশ্বাস, এমনকি আরও কত বিপ্লবী বাঙালি নিজের প্রাণকে আহুতি দিয়েছিলেন তার অন্ত নেই। ১৯৪৭ সাল স্বাধীনতা এলো। তবে এই স্বাধীনতার অন্যতম দুই শরিক বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভাগ করে দিল চতুর ইংরেজ। এ এক নজির বিহীন অপমানিত ইতিহাস। অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বলতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য। এবং এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সিংহভাগই বাঙালি।
বাংলা সিনেমা জগৎ ইদানিং পিরিয়ড ড্রামার দিকে ঝুঁকছে। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হবে তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'দেবী চৌধুরানী' (Devi Chowdhurani)। খবর আরও ছিল, মূল চরিত্রে দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাওয়ার কথা সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বং দর্শনা বণিককে। তবে খবর শোনা গিয়েছিল অতটুকুই। এরপর সিনেমার প্রগতি নিয়ে অন্ধকারেই ছিলেন দর্শক।
সম্প্রতি পরিচালককে এই নিয়ে প্রশ্ন করে হলে তিনি জানান, 'সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে এখন। এটি বৃহত্তর মাপের পিরিয়ড ড্রামা তাই যথার্থ পরিকল্পনা এবং রিসার্চ প্রয়োজন। কোনও পরিচিত জায়গায় এই সিনেমার শ্যুটিং হবে না।' পরিচালক আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই দেবী চৌধুরানী সারা ভারতে মুক্তির জন্য প্রস্তব পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নাকি ভাবনা চিন্তাও করছেন।পরিচালকের মতে, দেবী চৌধুরানী বাংলা সিনেমা জগতের উদাহরণ হতে চলেছে।
বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য। প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলা নিতেই হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বড় সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন।
বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে যে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে, সেগুলি শুনবে কমিশন। কমিশনের মাধ্যমে বিশেষ গাইডলাইনও প্রকাশ করা হবে। কমিশনের সদস্যদের নামও শীঘ্রই জানানো হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়াতেই হবে। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
এছাড়া, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করছে রাজ্য। উল্লেখ্য, প্রায়ই বেসরকারি স্কুলগুলিতে কখনও ফি বৃদ্ধি কখনও আবার সিলেবাস-পরীক্ষা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার এদিকটা দেখবে শিক্ষা কমিশন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। তবে এই কমিশনে বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) জন্ম এলাহাবাদে। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। এরপর মুম্বই সিনেমা জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে তাঁকে শুধুমাত্র 'অভিনেতা' তকমাতেই সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। অমিতাভ বচ্চন মানে জীবনবোধ। বাবা ছিলেন কবি হরিবংশ রাই বচ্চন এবং মা ছিলেন সমাজ সংগ্রামী তেজী বচ্চন। ছোট থেকেই তাঁর পড়াশোনা গভীর। যেকোনও বিষয়ে অমিতাভর দখল কতটা, তো বোঝা যায় তাঁর বক্তব্যে।
অভিনেতার সঙ্গে কলকাতা ও বাঙালির একটি যোগসূত্র রয়েছে। তিনি বিয়ে করেছেন বাংলার মেয়ে জয়া ভাদুড়ীকে। তাই বাঙালি, বাঙালি সংষ্কৃতি এবং বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। অভিনেতা এক সভায় বাঙালির গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে নিজের মন্তব্য করেছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
ভিডিওতে বিগ বি-কে বলতে শোনা গিয়েছে, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হয়ে উঠেছেন। যেখানে তাঁর আসল নাম ঠাকুর। ঠাকুরবাড়ি তাঁর কলকাতার বাসভবন, তাঁর নামেই পরিচিত। একই উদাহরণ অনুসরণ করে, ভারতীয়রা যদি এভাবে উচ্চারণ গুলিয়ে ফেলেন, তাহলে শ্যাম্পেইনকে, চাম্পাগনি বলা উচিৎ। কিন্তু আমরা ভারতীয়। আমরা তা করি না। আমরা ২৫০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনেও সম্মান এবং সহ্য ক্ষমতা দেখিয়েছি।'
করণ জোহার পরিচালিত সিনেমা 'রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি' (Rocky Aur Rani Ki Prem Kahani) সিনেমাহলে মুক্তি পেতে চলেছে শুক্রবার, ২৮ জুলাই। এই সিনেমা দিয়ে বেশ কিছু বছর পর পরিচালনায় ফিরতে চলেছেন করণ। তাই স্বভাবোচিত 'ধামাকেদার' সিনেমার ধরনেই আবদ্ধ থাকতে চেয়েছেন তিনি।সিনেমার চিত্রনাট্যের বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রের সাংস্কৃতিক বিভেদকে। এই সিনেমায় দুই মূল চরিত্র, রকি রানধাওয়া এবং রানী চট্টোপাধ্যায়। বোঝাই যাচ্ছে, একজন পাঞ্জাবি আরেকজন বাঙালি। তবে সিনেমায় বাঙালি সংস্কৃতির চিরাচরিত চিত্রায়ন নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে কী বললেন চূর্ণী গাঙ্গুলি (Churni Ganguly)?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চূর্ণী বলেন, 'এমন কিছু রীতি রেওয়াজ রয়েছে যা বাঙালি সংস্কৃতিতে লালিত হয়েছে। তবে যদি বিশুদ্ধভাবে বাঙালি হিসেবে একটি পরিবারকে তুলে ধরতে হয় তাহলে তাহলে সেই রীতি রেওয়াজকে রাখতেই হবে। আমার মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেখে রণবীরের দাদু বলে সম্বোধন এই বিষয়ে ভালো করেছে। আজও অনেক বাঙালি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ঝুলতে দেখা যায়।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'যখন কোনও কোনও বাঙালি পরিবারের চিত্রায়ন করতে হয়, তখন কিছু গোঁড়া বিষয় তুলে ধরতেই হয়। সেসব আসলে ঠিক গোঁড়া নয়। আমার মতে এইসব খুব জরুরিভাবে ভীষণ বাঙালি। আমরা এখনও কোনও বিয়ে বাড়িতে লেহেঙ্গা পরি না। আমরা এখনও শাড়িতেই আটকে রয়েছি।'
প্রসঙ্গত চূর্ণী গাঙ্গুলি এই সিনেমায় রানী চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ আলিয়া ভাটের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও একজন বাঙালি অভিনেতাকে দেখা যাবে রানীর বাবার চরিত্রে। তিনি টোটা রায় চৌধুরী। কিছুদিন আগেই কলকাতায় এই সিনেমার জমিয়ে প্রমোশন করে গিয়েছেন কলাকুশলীরা। এবারে শুধু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষা।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াও মদন মিত্রর (Madan Mitra) 'কালারফুল' দিক সকলেরই চেনা। তিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি সাদা পাঞ্জাবি-সাদা পাজামার রাজনীতিতে আবদ্ধ রাখতে চাননি নিজেকে। বরং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি, বিনোদন জগতেও তাঁকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর দু তিনটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এতদিন তাঁকে বড় পর্দায় বক্তব্য দিতে দেখা গিয়েছিল। এবার দেখা যাবে অভিনয় করতে।
ঠিকই শুনেছেন। মদন মিত্র এবার ডেবিউ করতে চলেছেন অভিনয় জগতে। সিনেমার নামে উঠে এসেছে তাঁর বিখ্যাত সংলাপ, 'ওহ লাভলি'। পরিচালকও নতুন নন। সাথী, নাটের গুরু, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদের মতো জনপ্রিয় ছবির পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। এই সিনেমা একেবারে 'ফ্যামিলি ড্রামা'। সিনেমায় দেখা যাবে খরাজ মুখোপাধ্যায়, লাবনী সরকারের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
তবে সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে নবাগত অভিনেতা ঋক চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি আবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে রাজনন্দিনী পালকে। প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে সন্তু (ঋক চট্টোপাধ্যায়)। গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে গিয়ে সে প্রেমে পড়বে নিধির (রাজনন্দিনী পাল)। সেখান থেকেই মোর নেবে গল্প।
পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মদন মিত্রর অভিনয় তিনি খুবই খুশি। লাবনী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অভিনয় করেছেন মদন। ছবিতে তাঁর চরিত্রের গুরুত্ব অনেকটা।
আবারও দুর্গাপুজোয় নিজের ছবি নিয়ে ফিরতে চলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। ২০১৯ সালের দুর্গাপুজোয় শেষবার মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত পরিচালিত 'গুমনামী'। তারপর করোনা কাল শুরু হয়। এর মাঝে আর পুজোয় আসেনি সৃজিতের সিনেমা। ২০২৩ এর দুর্গাপুজোয় 'দশম অবতার' (Dasham Avtaar) নিয়ে বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। ২০ জুলাই, বৃহস্পতিবার বাগবাজারের বসু বাটিতে হয়ে গেল সিনেমার লোগো লঞ্চ।
তবে তিন বছর পর ছবি নিয়ে পর্দায় আসছেন পরিচালক। তাই তিনি একটু সাবধানী। সৃজিত তাঁর অন্যতম হিট সিনেমা 'বাইশে শ্রাবণের' নস্টালজিয়া ছুঁয়ে দশম অবতারের চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সিনেমার মোশন লোগো লঞ্চে পরিচালক বলেছেন, 'বাইশে শ্রাবণ যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে শুরু হবে দশম অবতারের গল্প।'
এই ছবিতে থাকবেন বাইশে শ্রাবণের অফিসার প্রবীর রায়চৌধুরী এবং ভিঞ্চি দা সিনেমার অফিসার বিজয় পোদ্দারকে। আজ এই দুই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে মোশন লঞ্চে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল বাইশে শ্রাবণের প্রবীরের চেহারায়। এদিকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছে বিজয় পোদ্দারের রূপেই। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত এবং অভিনেত্রী জয়া এহসান।
ছবিতে গানের দায়িত্বে থাকবেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, রূপম ইসলাম এবং অনুপম রায়। বাইশে শ্রাবণের হিট গানগুলির পর এর সিক্যুয়েল দশম অবতারের গান নিয়েও প্রত্যাশা বাড়ল দর্শকদের। ছবির শ্যুটিং হতে চলেছে কলকাতার আনাচে কানাচে। ইতিমধ্যেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় রেইকি করে শ্যুটিংয়ের জায়গাও ঠিক করে ফেলেছেন। শুক্রবার, ২১ জুলাই থেকে শুরু হবে সিনেমার শ্যুটিং। সিনেমা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পুজো পর্যন্ত।
বাংলা সিনেমা একেবারে জমজমাট। আন্তর্জাতিক দাবা দিবসে শুরু হয়ে গিয়েছে আরও এক আসন্ন বাংলা সিনেমার শ্যুটিং। প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের পরের সিনেমা 'দাবাড়ু' (Dabaru)। সেই সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে। দাবা খেলার গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্য শেখর গাঙ্গুলির জীবনী কেন্দ্র করেই তৈরী হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য। এই সিনেমার প্রত্যেকটি ঘুটি সন্তর্পণে সাজাতে তৈরী হয়ে গিয়েছেন পরিচালক পথিকৃৎ বসু।
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্পণ গুপ্ত। পর্দার 'পোস্ত'-কে মনে আছে? সেই ছোট্ট অর্ঘ্য বসু এখন ক্লাস নাইন। কিশোর অভিনেতা সূর্য শেখর চক্রবর্তীর ছোটবেলার চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। দাবাড়ুর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ঋতুপর্ণা। অন্যদিকে চিরঞ্জিতকে দেখা যাবে দাবাড়ুর শিক্ষকের চরিত্রে। পর্দায় তিনিই দাবাড়ুকে দাবা খেলার কৌশল শেখাবেন।
সিনেমায় আরও অনেক কচিকাচাকে দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। সিনেমার চিত্রগ্রহণ করবেন মধুরা পালিত। সব ঠিকঠাক থাকলে, চলতি বছরের শেষের দিকেই দেখা যাবে 'দাবাড়ু'। ছবির প্রযোজক শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল খেলা-কেন্দ্রিক কোনও সিনেমা বানাবেন। 'দাবাড়ু' তাঁদের সেই স্বপ্নই পূরণ করছে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chattopadhyay) পরিচালিত ওপেন টি বায়োস্কোপ (Open Tee Bioscope) সময়ের দলিল। মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই থেকে উত্তরণ এক ঝাঁক নতুন তারকার। ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লম্বা রেসের ঘোড়া, সেই কদর বোধহয় অনিন্দ্য বুঝেছিলেন। উত্তর কলকাতার গলিতে বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত বন্ধুত্বর গল্প। বয়ঃসন্ধিতে মন নাড়া দিয়ে ওঠা নির্ভেজাল প্রেমের গল্প নিপুণ হাতে বুনেছিলেন অনিন্দ্য। তাই তো ওপেন টি বায়োস্কোপ অনেকে মনে যত্নে সাজিয়ে রেখেছেন।
সিনেমার অন্যতম অভিনেতা ঋদ্ধি এবং সুরঙ্গনার বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল 'ওপেন টি বায়োস্কোপের' সেট থেকেই। রিল লাইফের প্রেম রিয়েল লাইফেও গড়িয়েছে। ঋদ্ধি একাধিকবার বলেছেন, ওই সিনেমাই তাঁদের সম্পর্কের, তাঁদের কেরিয়ারের অন্যতম বুনিয়াদ। এবার সেই সিনেমা নিয়েই নতুন খবর শোনালেন তারকারা। টেলিভিশনের পর্দায় সিনেমাটি দেখা গেলেও এতদিন কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যেত না। এবার ওটিটি-প্রেমীদের জন্য সুখবর।
সিনেমার কলাকুশলীরা জানিয়েছেন ওপেন টি বায়োস্কোপ দেখা যাবে ওটিটির পর্দায়। শনিবার অর্থাৎ ৩ মে থেকে সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ওটিটিতে। আবারও সিনেমার নস্টালজিয়ায় ভাসতে চলেছে দর্শকেরা। আরও একবার দর্শকেরা ফিরে যাবেন ছোটবেলায়। আবারও বন্ধুদের বলবেন, 'বন্ধু চল, বলটা দে।' বন্ধুর টিমে বন্ধুর পাশে থাকার আশ্বাস দেবেন আবারও দর্শকেরা।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জাদুকর 'বনফুল' অর্থাৎ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukhopadhyay) তাঁর পরের ছবি তৈরী করছেন। সিনেমার নাম, 'একটু সরে বসুন'। মুখ্য চরিত্র গুড্ডুর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে (Ritwick Chakraborty)। এছাড়াও বাদবাকি চরিত্রে দেখা যাবে, অভিনেত্রী পাওলি দাম, ঈশা সাহা এবং পায়েল সরকারকে। বনফুলের গল্পকে বর্তমান সময়ের পটভূমিকায় ফেলে কমেডির মোড়কে তৈরী হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য।
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র গুড্ডু সংস্কৃত নিয়ে স্নাতকত্তর পাশ করেও বেকার। পাড়া প্রতিবেশীর গঞ্জনা শুনে তিতিবিরক্ত হয়ে সে কলকাতায় দাদা-বৌদির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গুড্ডুর পিছু পিছু কলকাতায় আসে পিউ। এই পিউ এবং গুড্ডুর প্রেম জমছিল মফস্বলে থাকতে। পিউর কলকাতায় আসার কারণ গুড্ডুর উপর নজর রাখা। এদিকে কলকাতায় এসে মফস্বলের ছেলে শহুরে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। মোহময়ী চাকরি এজেন্টের ইশারায় তাঁর জীবন হয়ে ওঠে ঘটনাবহুল। অন্যদিকে মফস্বলের প্রেম, সব মিলিয়ে নতুন কিছু রান্না করতে চলেছেন কমলেশ্বর।
গুড্ডু এবং পিউ ছাড়াও এই সিনেমায় ফটকেদা, নতুন ভাই, রোকেয়া, মহিমা, জোগেন চরিত্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে। বর্তমানে শহরের নানা জায়গায় সিনেমার শ্যুটিং চলছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সিনেমার মুক্তির দিন নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি। তবে ছবি নিয়ে বেশ উৎসাহী দর্শক।
বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Sruti Das)। বর্তমানে তাঁকে এখন 'রাঙা বউ' ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে। তিনি এখন টলিউডে (Tollywood) খবরের শিরোনামে। জানা গিয়েছে, সুদীপ্তার পর তিনিও নাকি খুব শীঘ্রই বিয়ের (Wedding) পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তবে কবে ও কার সঙ্গে, এই নিয়ে বেশ কৌতুহল তাঁর অনুরাগীদের মনে। বিয়ে ছাড়াও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জীবনের কঠিন সময়ের কথা সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁকে এখন এক জনপ্রিয় সিরিয়ালে দেখা গেলেও তাঁর কেরিয়ারের প্রথম শুরুটা কিন্তু আদৌ সহজ ছিল না। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রুতি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি জানিয়েছেন, লাল শাড়ি পরা একটি ভিডিও কীভাবে তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কাটোয়ায়। সেখান থেকে কীভাবে কলকাতায় এসে বাংলা ধারাবাহিকে একের পর এক কাজ করে চলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে ছোট থেকেই তাঁর গায়ের শ্যামলা রংয়ের জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। ফলে অডিশনের পথটাও খুব একটা সহজ ছিল না। তবে একাধিকবার অডিশন দেওয়ার পরে তাঁকে লাল শাড়ি পরে ভিডিও বানিয়ে তা অডিশনের জন্য পাঠাতে বলে। এরপরেই তাঁর জীবন যেন বদলে যায়। তাঁকে দেখা যায় 'ত্রিনয়নী' নামক ধারাবাহিকে। এরপর তাঁকে 'দেশের মাটি'-তেও দেখা গিয়েছে। আর এখন 'রাঙা বউ'-এ।
অন্যদিকে তাঁর বিয়ে নিয়েও বর্তমানে জল্পনা তুঙ্গে। পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, পরের বছর শীতকালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। তবে স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে তাঁর বয়সের তফাৎ অনেকটা হওয়ায় এই নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে তাঁরা এই এসব তোয়াক্কা না করেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এখন অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন 'রাঙা বউ'-এর বিয়ে দেখতে।