লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় সাফল্য় পেল নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। গভীর রাতে টহলদারির সময় আগ্নেয়াস্ত্র সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পুলিস দেখামাত্র পালিয়ে যায় দু'জন। তল্লাশি চালিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি পিস্তল রামদা, হাসুয়া, কুড়ুল সহ নগদ ১৫ হাজার ৩০০ টাকা। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হলেন সফিকুল গাজি (৩৫), সঞ্জীব চক্রবর্তী (৩১) এবং প্রদীপ বিশ্বাস (৩০)।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতীদের দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিস। এরপর নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোদালিয়া এলাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারির পর দুষ্কৃতীরা জানান, বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে বাগানের গাছ কাটা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ কাজ করত তারা। আর এই সুযোগেই কোন বাড়িতে কোথায় কী আছে লক্ষ করত। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় চুরি ছিনতাই এর মত একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিসের সফলতায় আনন্দিত এলাকাবাসীও।
চা বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর জীবনের উত্থান গল্প হার মানাবে কোনও হিট সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। লোকসভা নির্বাচনের আগে আজ, বুধবার বারাসতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি শোনালেন তাঁর জীবনের অজানা কিছু অধ্যায়।
এদিন বিজেপির মহিলা মোর্চা আয়োজিত নারী বন্দন দিবসের মুখ্য অতিথি হিসাবে বারাসতের সভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। নারীশক্তি সম্মান সমাবেশের মঞ্চ থেকেই বিরোধীদের তোলা তাঁর পরিবার নিয়ে যেমন সব কটাক্ষের জবাব দিলেন। তেমনই আবেগতাড়িত হয়ে নিজের জীবনের কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। মোদী বলেন, 'আজকে আপনাদের সামনে আমি একটা সত্যি কথা বলছি, যা আগে কখনও আমি কোথাও বলিনি। আমি সংঘের প্রচারক হিসাবে জীবন কাটিয়েছি। আমি খুব ছোটো বয়সে ঘর থেকে একটা ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পরিব্রাজকের জীবন বেছে নিয়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। কিছু খোঁজার চেষ্টা করছিলাম।'
জীবনের কঠিনতম সময়গুলির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মোদী বলেন, 'আমার কাছে কখনও এক পয়সাও ছিল না। মাথার উপর ছাদ ছিল না। শুধু আমার কাঁধে ঝোলা ছিল। কিন্তু আপনারা জেনে খুশি হবেন, কোনও না কোনও মা-বাবা, কোনও বোন, আমাকে প্রশ্নটা করেই ফেলত, বাবা তুমি কি কিছু খেয়েছো? আমি একদিনও অভুক্ত থাকিনি। আমি আজ বলছি, সালের পর সাল আমি পরিবার ছেড়ে ছিলাম। তাই আমি বলি, এটাই আমার পরিবার।'
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে বঙ্গে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাসতের 'নারীশক্তি সম্মান সমাবেশ' সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ল প্রধানমন্ত্রীর। সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলায় উঠবে, এমনটাই বললেন তিনি।
বুধবারও মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধনের পর তিনি বারাসতে আসেন। আর এদিন মোদীর সভায় উপস্থিত হন সন্দেশখালির মহিলারা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেন সেদিকেই মুখিয়ে ছিলেন সকলে। আর কাউকে নিরাশ না করে তৃণমূলকে তীব্র তোপ দাগলেন তিনি।
মোদি বললেন, “বাংলার মা বোনেদের সঙ্গে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে যে কারও মাথা নিচু হয়ে যাবে। এই ঘটনা মাথা নত করে দেয়। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে এই সরকারের কিছু এসে যায় না। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এসব কিছু সত্ত্বেও সব জায়গায় মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছেন তৃণমূল নেতারা। আর ওই নেতাদের উপর ভরসা রয়েছে দলের। কিন্তু বাংলার মা-বোনেদের উপর ওদের ভরসা নেই। ওরা দুষ্কৃতীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে সবসময়।” এর পরই মোদি বলেন, “পুরো বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে”, মন্তব্য মোদির।
সন্দেশখালির মতোই বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন তিনি।
মঙ্গলবারই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বুধবার তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। ইতিমধ্যে বারাসতের সভাস্থলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে 'নারীশক্তি সম্মান সমাবেশ'-এ বাংলার মা, বোন, ভাইদের প্রণাম জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মোদীজি।
লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। ১লা মার্চ বাংলায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের পর এবার বারাসতে জনসমাবেশে উপস্থিত হন তিনি। এদিন তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকালেই নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হল হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট। দেশে এই প্রথম গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটল মেট্রো।
বারাসতের সভামঞ্চ থেকে এদিন মোদীজি এদিন গলা চড়িয়ে বলেন, 'ওরা জানতে চায় মোদীর পরিবার কোথায়? দেশের কোণা কোণা থেকে মানুষ সভাস্থলে এসেছেন। এটাই তো আমার পরিবার। বাংলার সকল মা, বোনেরা আমার পরিবার। মোদীর সমস্ত জীবন এই পরিবারের জন্য সমর্থিত। আমার জন্য বাংলার মা-বোন দুর্গার মতো পাশে দাঁড়ায়।'
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির মহিলাদের কথা যাতে জাতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়,তার ব্যবস্থা সভাস্থলে রাখা হয়েছে বলেও খবর বিজেপি সূত্রে । সেই কারণে ভার্চুয়ালি 6 হাজার জায়গা থেকে মহিলাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে । এছাড়া সভাস্থলের আশেপাশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে জায়েন্ট স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার লাইভ সম্প্রচার তুলে ধরা হবে বলেও জানা গিয়েছে । অর্থাৎ, মোদির জনসভা সফল করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
চোখের ইঞ্জেকশন দিতে দেরি হওয়ায় মৃত্য়ু হল রোগীর। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে। রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠেছে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্ত চিকিৎসক হল অসিত কুমার চক্রবর্তী, অনির্বাণ দাস।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩রা মার্চ এই ঘটনাটি ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের রেহেনা বিবি। বারাসতের একটি বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসার হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয় রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে। তারপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে শোকজ করে একুশ দিনের মধ্যে জবাব তলব রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের। একুশ দিনের মধ্যে জবাব না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
শিক্ষা দুর্নীতিতে নতুন প্রতারণার ফাঁদ। শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে উঠেছে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা। এবিষয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ জানালেও মেলেনি কোনো সমাধান। যার ফলে বুধবার ইডি দফতরে বেশ কিছু প্রতারিতরা অভিযোগ করতে যায়।
প্রতারিতদের অভিযোগ, মিতা মুখার্জি নামে বারাসতের এক বাসিন্দা যিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম করে প্রদীপ বিশ্বাস নামে এক ব্য়ক্তিকে দিয়ে টাকা তোলাতেন। জানা গিয়েছে, ওই প্রদীপ বিশ্বাস বিভিন্ন বেকার যুবকদের ফোন করে বলতো তার এক দিদি আছে মিতা মুখার্জি যিনি বিধানসভায় চাকরি করে।
এরপর যারা চাকরি করতে চাইত তাদের থেকে টাকা নেওয়া হত। এমনকি টাকা নেওয়া পর ভুয়ো জয়েন্ট লেটার দেওয়া হয়েছিল। সেই ভুয়ো জয়েন্ট লেটার নিয়ে যখন যাওয়া হয় তখন সবাই বুঝতে পারে পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক একটা প্রতারণার ছক। এরপর টাকা ফেরত চাইতেই মিতা মুখার্জি বলে টাকা চাইলেই মেরে দেবো। এই ঘটনায় বারাসত থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিস প্রতারিতদের তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এবার বারাসত সরকারি মেডিক্য়াল কলেজের নবাগত ছাত্রছাত্রীদের উপর হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কলেজ ক্যান্টিনে আক্রান্ত মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতভর মেডিক্য়াল কলেজ বয়েজ হোস্টেলে চলে ছাত্রদের বিক্ষোভ।
অভিযোগ, শনিবার রাতে মেডিক্য়াল কলেজের ক্যান্টিনে বসেছিল দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিক্যালের ছাত্র। তার পিছনেই বসেছিল মেডিক্য়াল কলেজের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা মহিলার স্বামী। যদিও তিনি মেডিক্য়াল কলেজের সঙ্গে কোনভাবেই যুক্ত নয়। ওই যুবক ক্যান্টিনে বসে থাকা অবস্থায় সে সময় বিরক্তি অনুভব করায় ওই ছাত্র ওই ব্যক্তিকে কেন ওখানে বসে আছে সেটাই জিজ্ঞেস করে। আর তাতেই ওই ছাত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ে সদ্য তৈরি হওয়া বারসত সরকারি মেডিক্য়াল কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। বারাসত মেডিক্য়াল কলেজের বয়েজ হোস্টেলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। অভিযুক্তের সঠিক শাস্তির দাবি করেন। এমনকি বারাসত মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিযোগ, মেডিক্য়াল কলেজের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁদের পক্ষ থেকে কোনোরকম সদর উত্তর পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক যুক্ত পানীয় জলের সমস্য়ায় ভুগছিলেন এলাকাবাসী। বারংবার বিভিন্ন দফতরে জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। অবশেষে সমস্য়া সমাধানের উদ্য়োগ নিলেন বারাসত সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। শনিবার সকালে এসে উপস্থিত হলেন বারাসতের কদমগাছিতে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রিজার্ভেসন পাইপ লাইন উদ্বোধন করলেন তিনি। এদিন শুরু হল পনোরো হাজার মানুষের বাড়িতে আর্সনিক মুক্ত পাইপ লাইন বসানোর কাজ।
এদিন কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়তে দেখা গেল খোদ সাংসদকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্য়ায় ভুগছিলেন কদমগাছি এলাকার বাসিন্দারা। তাই তাঁরা যাতে আর্সেনিক মুক্ত জল পান করতে পারে সেই ব্য়বস্থাটাই শুরু করেছেন। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে কদমগাছিতে এসে রিজার্ভেসনের জন্য় আর্সেনিক মুক্ত পাইপলাইন উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে পনোরো হাজার মানুষের বাড়িতে পাইপ লাইনের ব্য়বস্থাও করেন তিনি।
এই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি, কদম্বগাছির অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবীর। তিনি সাংসাদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের এই উদ্য়োগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, অবশেষে এলাকাবাসীর বহুদিনের সমস্য়ার সমাধান করলেন তিনি। নিজ হাতে তুলে নিলেন সেই দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, আর্সেনিক যুক্ত জল পান করার ফলে শরীরে একাধিক রোগের বাসা বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মানুষ এই জল পান করায় অনেক মানুষের চর্ম রোগ পর্যন্ত হয়েছে। অনেকবার বিডিও অফিসে জানানো হলেও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহন করা হয়নি। তবে অবশেষে সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের উদ্য়োগে উদ্বোধন করা হল রিজার্ভেসন পাইপ লাইনের কল।
বারাসতের আমডাঙার আড়খালিতে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় চুরি হচ্ছিল। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন এলকাবাসী। চুরি করার অভিযোগে ঘরে আটকে ওই যুবকের ওপর চলে গনধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, দিনদিন যেন এলাকায় বেড়েই চলেছে নেশাগ্রস্থদের সংখ্যা। সেই জন্য় নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে চুরি। এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চোর সন্দেহে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আমডাঙ্গা থানার পুলিস।
রাজ্য়ে আবারও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল এক যুবকের। হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সরিফুল ইসলাম (২৪)। দেগঙ্গার কুমরুলী গ্ৰামের বাসিন্দা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির বদলে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করা আছে। পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান সরিফুলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে সরিফুলের মা ও বোন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়। তারপর সুস্থ হওয়ার আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় সরিফুল নিজেই। শনিবার তাঁর জ্বর আসলে প্রথমে তাঁকে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্তের রিপোর্ট করালে এনএসওয়ান পজিটিভ আসে বলে পরিবারের দাবি।
রবিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় সরিফুল ইসলামের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গির সমস্ত রিপোর্ট আটকে রেখে দিয়ে মৃত দেহ দেওয়ার সময় ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে মৃতুর কারণ হিসেবে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করায় ক্ষোভ মৃত যুবকের পরিবার পরিজনদের। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে যুবকের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার।
আচমকা রেশন দোকানে এসে হানা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। শনিবার উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযানে খাদ্যমন্ত্রী বারাসতের বিভিন্ন রেশন দোকানে গিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের সমস্ত সমস্যা সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন তিনি। একই সঙ্গে রেশন ডিলাররা সঠিক পরিমাণে রেশন সামগ্রী দিচ্ছে কিনা তা নিয়েও খোঁজখবর নেন গ্রাহকদের থেকে। উপভোক্তদের তরফে বেশ কতগুলো অভিযোগও খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আসে। সেগুলো নিয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন।
বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে এক রেশন দোকানে একজন উপভোক্তা অভিযোগ করেন যে দুয়ারের রেশনের তালিকা নির্দিষ্ট জায়গায় টাঙানো থাকে না। তাতে সমস্যায় পড়েন উপভোক্তারা। খাদ্যমন্ত্রী এই কথা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গেই দোকানদারকে নির্দেশ দিয়ে দেন, যেন সমস্ত দোকানের দুয়ারে রেশনের তালিকা সঠিক জায়গাতেও টাঙানো থাকে।
বারাসত নতুন পুকুরের অন্য একটি রেশন দোকানে অভিযোগ যে, রেশন দেওয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রেশন দোকানদার। খাদ্যমন্ত্রী রেশন দোকানদারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তদন্ত করে সাংবাদিকদের জানান আসলে নন পিডি আইটেম। কিছু সামগ্রী আছে রেশন দোকানে বিক্রি করা যায়। সেই জিনিসের জন্যই উনি টাকা নিয়েছিলেন। তাই উপভোক্তাদের সঙ্গে দোকানদারের যাতে কোনও বিবাদ না হয় সেজন্য নন পিডি আইটেমের আলাদা তালিকা তৈরি করে দোকানে লাগানোর নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
বারাসত ভিআইপি জোনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্রমশ যেন পরিণত হয়েছে ডোবায়। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের তিতুমির বাসস্ট্যান্ড হয়ে কোর্ট বা জেলাশাসকের দফতরে যাওয়ার এটাই প্রধান রাস্তা। নিত্যদিন বহু মানুষের যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু রাস্তার এমন বেহাল দশা হওয়ায় ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলছে যাতায়াত।
জল-কাদা পেরিয়ে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়ছে নিত্যযাত্রীরা। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা কেন? বর্ষাকাল চলে গেলেই রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে। এমনটাই আশ্বাস বারাসত পুরসভার পুরপ্রধানের। এত উন্নয়নের পরেও কেন অভিযোগের পাহাড় জমছে? তবে কি কোথাও খামতি থেকে যাচ্ছে?
এবার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। একদিকে যখন এত প্রতিশ্রুতি মিলছে। তখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন? কেন সব অভিযোগ ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মধ্যে বচসা। সেই ঝামেলা গড়াল দুই পরিবারের মধ্যে। যার জেরে প্রাণ হারালো (Death) এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বারাসত (Barasat) থানার পুঁইপুকুর ক্ষুদিমার পল্লী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই শিশুর মধ্যে গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর বাপ্পা সর্দার নামে একজন এসে একটি বাচ্চাকে মারধর করতে থাকে। সেইসময় বাচ্চাটির দাদু পানু মণ্ডল ঠেকাতে গেলে তাঁকেও বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, বাপ্পা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর বুকে, পেটে,মুখে, পিঠে কিল, ঘুষি মারতে থাকে বৃদ্ধকে। এমনকি সকলে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামাতে পারেননি। পাড়ারই একজন ছেলে বাপ্পাকে চেপে ধরলে, বাপ্পা তাঁকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পানু মণ্ডল। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তবে শেষ পাওয়া খবর, অভিযুক্ত বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ভারতেও অর্থ (Money) তছরুপ (Fraud) করার অভিয়োগ উঠল এক বেসরকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু বাংলাদেশী গ্রাহকদের নয় ভারতেও হাজার হাজার গ্রাহকের থেকে কোটি কোটি অর্থ সংগ্রহ করেছে এই সংস্থা। জানা গিয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ছত্রিশগড়, মহারাষ্ট্র, অসম সহ বহু রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল এই সংস্থা। এই ঘটনায় আর্থিক তছরূপের কারণে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।
সূ্ত্রের খবর, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের আরিফবাড়ী এলাকায় ভুঁইফোর এই সংস্থায় বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ দেখায় এই বিষয়ে। বিনিয়োগকারীদের দাবি, শুধু বারাসত এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বিনিয়োগকারী থেকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার বেশি তছরূপ করেছে সংস্থার দুই সিইও প্রণয় দে এবং জহিরুল ইসলাম। বারাসতের একাধিক হোটেল এই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমে এই সংস্থাকে নিয়ে বিভিন্ন খবর সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই আর্থিক তছরূপের ঘটনাটি জনাতে পারে বিনিয়োগকারীরা। এরপরেই টনক নড়ে তাঁদের। তারপর থেকেই বারবার বিনিয়োগের টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
তাই এই ঘটনায় রবিবার সংস্থার সিও প্রণব দে-র হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিনিয়োগকারীরা। যদিও এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ তাঁরা কি নেবে সেটা এখনও জানা যায়নি। তাঁদের অনুমান সংস্থার দুই সিইও ইতিমধ্যেই পালিয়ে গিয়েছে।
খুনের হুমকি দিয়ে প্রথমে ধর্ষণ, এরপর তার ভিডিও করে হুমকি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ। এই অভিযোগ পেয়েও কার্যত নীরব ছিল দত্তপুকুর থানার পুলিস। এবার এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত। বুধবার রাতে বারাসত মহিলা পুলিস থানার পুলিস ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার এই অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সূত্রের খবর, দেগঙ্গার এক গৃহবধুর সাথে কর্মসূত্রে যোগাযোগ হয় দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছীর বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের। আর্থিক অনটন থাকায় নির্যাতিতা হাফিজুলের কারখানায় কাজ করতে শুরু করে। প্রথমে সুযোগ পেয়ে হাফিজুল তার বাড়িতে ওই গৃহবধূকে ডেকে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন, এছাড়া এ ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরেই ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়েন। এরপর জুন মাসের ১৩ তারিখ অভিযুক্ত হাফিজুলের বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এরপর হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েও দত্তপুকুর থানার পুলিস তেমনভাবে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। অভিযোগ প্রথমে দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছি ফাঁড়িতে, এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস অপেক্ষা করার পর দত্তপুকুর থানার পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতার পরিবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জুলাই মাসের ২৯ তারিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতার পরিবার, এরপর সংশ্লিষ্ট ওই অভিযোগ বারাসত মহিলা পুলিস থানার অধীনে এনে তদন্ত শুরু করে পুলিস। এরপর ই গতকালতার বুধবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
যদি এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এমন গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিসের তদন্তে এতদিন সময় লাগলো? কেন এই অভিযুক্ত কে ধরতে বা গ্রেফতার করতে দেড় মাস সময় লাগল? যদিও তার সাফাই হিসেবে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ' অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের অভিযোগে তদন্ত করতে পুলিসের সময় লাগে।' কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিসের এত সময় লাগল! সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।