Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Bank

Bankura: সরকারি হাসপাতালে চাকরির বিনিময়ে টাকা আত্মসাতে এবার কাঠগড়ায় দুই গ্রুপ-ডি কর্মী

সময় যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি নামক কেঁচো থেকে আরও বেশি করে বেড়িয়ে পড়ছে কেউটে। এবার চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) আত্মসাতের অভিযোগ গ্রুপ-ডি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের করা ভিডিওতে (video) প্রকাশ্যে এসেছে রাজেশ গুপ্তার টাকা নেওয়ায় ছবি। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল।

শুধু তাই নয়, স্ট্যাম্প পেপারে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি করছেন ওই কর্মী সেই কাগজও সামনে এসেছে। রাজেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে সোনামুখীর এক গ্রুপ ডি কর্মী অশোক মুখীর। তাঁরও টাকা নেওয়ার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে পুরো বিষয় অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্ত। বাকি আর একজন অভিযুক্তের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে (hospital) চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।। প্রায় বছর পাঁচ আগে রাজেশ গুপ্তা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক বেকার যুবকের কাছে মোটা টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরির লোভে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই গ্রুপ ডি কর্মীর হাতে পৌঁছে দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। দফায় দফায় এই টাকা দেওয়া হত বলেই অভিযোগ অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের।

সরকারি চাকরি করে রয়েছে ক্ষমতা, সেই বিশ্বাস করেই রাজেশের হাতে টাকা দিয়েছে চাকরীপ্রার্থীরা। কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তাও স্ট্যাম্প পেপারে স্বীকারোক্তি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজেশ। বিষ্ণুপুর থানা এলাকা ছাড়াও পাত্রসায়ের এলাকার যুবকরাও রয়েছে টাকা দেওয়ার তালিকায়।

সূত্রের খবর, রাজেশের এক সঙ্গী অশোক মুখী যিনি সোনামুখী হাসপাতালে কর্মরত। অভিযোগ, এই দু'জনে মিলেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে বেকার যুবকদের কাছ থেকে। টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দু'জনের কাছে দরবার করেও টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। এরপর বিষ্ণুপুর থানাতে অভিযোগ জানানো হলে পুলিসের তরফ থেকে অভিযুক্তকে থানায় ডেকে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলা হলেও সেই টাকা আজও ফেরত পায়নি চাকরি প্রার্থীরা, এমনটাই অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত উল্টে সংবাদ মাধ্যমকে হুমকির দিতে থাকেন। 

2 years ago
Bankura: ১০ লক্ষ টাকার জন্য আসানসোলের ব্যবসায়ীকে খুনের পর বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেলল দুষ্কৃতীরা

আসানসোলের (Asansol) এক ব্যবসায়ীকে খুন (murder) করে হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দী করে বাঁকুড়ার (Bankura) জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা। নৃশংস এই ঘটনায় বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার পুলিস গ্রেফতার (arrest) করেছে দুই অভিযুক্তকে। জানা যায়, টাকা আদায় নিয়ে ব্যবসায়িক ঝামেলা, আর তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের (police)। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে শালতোড়া থানার পুলিস।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে বাঁকুড়া শালতোড়া থানার ঝগড়াডিহি এলাকায় হাত পা বাঁধা কার্টুনবন্দী এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে শালতোড়া থানার পুলিস। মৃতদেহ দেখেই পুলিস অনুমান করে, খুন করে ফেলা হয়েছে এই মৃতদেহ। বাঁকুড়া জেলা বিভিন্ন থানা এলাকায় মিসিং ডায়রির কেস কোথাও রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। পরে পুলিস জানতে পারে আসানসোলের হীরাপুর থানায় বৃহস্পতিবার এক ব্যবসায়ীর মিসিং ডায়রির রয়েছে। সেই ব্যবসায়ীই এই উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি কিনা তা জানার কাজ শুরু হয়। এরপর পুলিস জানতে পারে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ ওই নিখোঁজ ব্যবসায়ী সইদ মহম্মদ তৌফিক নিমডাঙা জামুড়িয়ার বাসিন্দা। 

ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিস বিভিন্ন নথি উদ্ধারের পাশাপাশি কার্টুন থেকেও বিভিন্ন তথ্য উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই হীরপুর থানা এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে গোলাম জিলামি ওরফে গোল্ডি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিসের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করে সে। আরও তথ্য জানতে শনিবার অভিযুক্ত গোল্ডিকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এরপর ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার বিস্তারিত পুলিসের হাতে উঠে আসে। 

এই ঘটনায় পুলিস সুপার জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত গোল্ডির সঙ্গে মৃত তৌফিকের। পুলিসি জেরায় গোল্ডি জানিয়েছে, তৌফিকের কাছে ১০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল তার। কিন্তু টাকা চাইলেও তিনি দিচ্ছিলেন না। তাই তৌফিককে খুন করা পরিকল্পনা করে গোল্ডি। বৃহস্পতিবার রাতে হীরপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে খাবারে বিষ মিশিয়ে তৌফিককে বেহুঁশ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপরে কাদের খান নামে আরও একজনের সহযোগিতায় তৌফিকের মৃতদেহ হাত পা বেঁধে কার্টুনবন্দী করে মোটর বাইকে চাপিয়ে গোপন পথ ধরে দামোদর নদ পেরিয়ে শালতোড়া ঝগড়াডিহি এলালায় রাস্তায় ধারে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় গোল্ডি ও কাদের।  

পুলিস ইতিমধ্যেই গোল্ডিকে ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল, এরপর এই তথ্য উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয় কাদের খানকেও। রবিবার কাদের খানকে তোলা হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে। ধৃতকে নিজেদের হেফজতে নিতে আদালতে আবেদন করছে পুলিস। 

2 years ago
Bankura: সন্ধ্যা নামতেই বাঁকুড়ার গ্রামে দাঁতালের হানা, রাতভর তাণ্ডবে দিশেহারা গ্রামবাসীরা

দিনের পর দিন হাতির (elephant) তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত দশটিরও বেশি বাড়ি (house) ও দোকানঘর (shop)। বন দফতর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিশেহারা গ্রামের মানুষ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির একটি গ্রাম।  

জানা গিয়েছে, গ্রাম লাগোয়া এলাকা থেকেই শুরু হচ্ছে জঙ্গল। সপ্তাহ দুই আগে অন্য জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক রেসিডেন্সিয়াল দাঁতাল হাতি এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে এখানে। দিনের বেলায় হাতিটি জঙ্গলের ভিতরে থাকলেও রাতের অন্ধকার নামলেই হাতিটি খাবারের খোঁজে হানা দিতে শুরু করে লোকালয়ে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একের পর এক বাড়ি। গতকাল রাতেও হাতিটি গ্রামে ঢুকে একটি ধানের আড়ৎ ও স্টেশনারি দোকানে হানা দেয়। ধান আড়তের দরজা ভেঙে, ধান খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে। পার্শ্ববর্তী একটি স্টেশনারি দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে হাতিটি। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই গা ঢাকা দেয় পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে। 

স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দিনের পর দিন গ্রামে ঢুকে একের পর এক দোকান ও বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালালেও হাতির হানা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। গ্রামবাসীদের সামান্য তেল ও হুলা দিয়েই দায় সেরেছে বন দফতর। এই পরিস্থিতিতে অসহায়ভাবে চূড়ান্ত আতঙ্কে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বন দফতর। 

2 years ago


Scam: সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কাঠগড়ায় অরূপ রায়, 'ভিত্তিহীন', বলছেন মন্ত্রী

এবার সমবায় ব্যাঙ্কের (Co Operative Bank) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কাঠগড়ায় রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Ray)। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা পড়া অতিরিক্ত হলফনামায় নিয়ম ভেঙে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার  পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একইসারিতে পড়লেন মন্ত্রী অরূপ রায়ও।

হাইকোর্টে দাখিল হলফনামায় অভিযোগ, সমবায়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছেন। ৫২টি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়েছে ১৩৪ জনের। একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে। এই ব্যাঙ্কে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আদালতে।

অতিরিক্ত হলফনামায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপোও অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পেয়েছেন সেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো। এখানেই শেষ নয় অতিরিক্ত হলফনামায় দাবি, কেন্দ্রীয় এই সমবায় ব্যাঙ্কের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও ব্যাঙ্ক সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাঙ্ক কর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে এবং ব্যাঙ্কের কর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

হলফনামায় অভিযোগ, ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জন নিযুক্ত হয়েছেন। যদিও এই অভিযোগকে অসত্য ভিত্তিহীন বলেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানান, প্রকৃত তদন্ত হোক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁরা শাস্তি পাবে।

2 years ago
Special 26: স্পেশাল ২৬! সিবিআই বেশে এসে ব্যাঙ্কে ডাকাতি

একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেও দেশব্যাপী চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। দিল্লিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ির পাশাপাশি বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের এক রাইস মিলে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক এই সক্রিয়তাকে কী কাজে লাগালো বাস্তবের স্পেশাল ছাব্বিশ (Special 26)? বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সাধারণ পোশাকে হুড়মুড়িয়ে ব্যাঙ্কে (Bank Dacoity) ঢুকে পড়ে এক দল লোক। ছুটির আগের সকালে ব্যাঙ্কে তখন বেশ ভিড়। সেই লোকেরা ঢুকেই ব্যাঙ্ককর্মী এবং গ্রাহকদের বলেন, 'আপনাদের মোবাইল আমাদের কাছে এখনই জমা দিন। আমরা সিবিআই। তল্লাসি অভিযান চালানো হবে ব্যাঙ্কে।'

ধোপদুরস্ত পোশাকে আসা লোকগুলিকে দেখে, ঠিক ছবির অক্ষয় কুমারদের মতো, কোনও ভাবেই বোঝার উপায় ছিল না ওঁরা সিবিআই নয়, ছদ্মবেশী ডাকাত! ফলে কারও সন্দেহ হয়নি। আর এত দ্রুততার সঙ্গে এবং নিখুঁত ভাবে ওঁরা নিজেদের তুলে ধরেছিলেন যে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব ছিল না। যেমনটা ওই স্পেশাল ছাব্বিশ ছবিতে বারবার করেছেন ছদ্মবেশী প্রতারকরা। 

চটপট মোবাইল ফোন নিয়ে ডাকাতের দল ব্যাঙ্কের ভল্টের যায়। সেখান থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং গয়না লুট করে। তারপর টাকা-গয়না নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায় দলটি। যাওয়ার সময় ফোনগুলি ব্যাঙ্কের গেটে ফেলে রেখে যায়। আর ব্যাঙ্কের মূল গেটের শাটার নামিয়ে দেয়। যেতে যেতে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা।

ব্যাঙ্ককর্মী এবং গ্রাহকদের যতক্ষণে ভুল বুঝতে পারে ততক্ষণে পগারপার ডাকাতের দল। এরপরই ব্যাঙ্কে হুলস্থুল। খবর যায় স্থানীয় থানায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে,  ডাকাতরা মোটরবাইক নিয়ে পালাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জামশেদপুর পুলিশ।


2 years ago


Bankura: শুনতে গল্প হলেও সত্যি! দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীয়ের বিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দিলেন যুবক

এ যেন এক আজব কাণ্ড! বাস্তব অনেক সময় সিনেমাকে (cinema) হার মানায়, আর আজ সেই কথা যেন প্রমাণ করে দিলেন এক যুবক। নিয়ে ফেললেন এমন এক সিদ্ধান্ত যা অবিশ্বাস্য। কিন্তু করলেন কী ওই যুবক? নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই দিলেন বিয়ে (marriage)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এই ঘটনা বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া থানার শালগাড়ার। যার জেরে পুরো এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপক চাঞ্চল্য। 

জানা যায়, বড়জোড়ার শালগাড়ায় নিজের স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী এবং জল দিয়ে সিঁদুর মুছে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রীকে। গ্রামেরই এক মন্দিরে এই বিয়ের সাক্ষী থাকলো গোটা গ্রাম। সত্যি এ এক নজিরবিহীন ঘটনা!

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শালগাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাখি বাগদির বিয়ে হয় আউসগ্রামের অভিরামপুরের প্রদীপ বাগদির সঙ্গে। ২০১৭ সালে তাঁদের বিয়ে হওয়ার পর বর্তমানে একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এদিকে রাখি শালগাড়া গ্রামেরই সুরেশ বাউরি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পর রাখির স্বামী তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তাঁর স্বামী। বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবু স্ত্রীর সেই প্রেমিকের সঙ্গে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। স্ত্রীর বিবাহ দিয়ে নিজের বাড়ি আউসগ্রামে ফিরে যান তিনি।

2 years ago
Bankura: অমানবিক! মৃত ছাগলের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে কুকুরদের মারার অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি

ফের অমানবিকতার চরম নিদর্শন বাঁকুড়ায় (Bankura)। কুকুরের কামড়ে একটি ছাগলের মৃত্যুকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। গৃহস্থের ছাগলের (Goat Dead) মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে নজিরবিহীন পন্থা অবলম্বন করলেন ছাগলটির মালিক। মৃত ছাগলের শরীরে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে মাঠে ফেলে দিয়ে কুকুর (Dog) গুলিকে মারার অভিনব উদ্যোগ নিলেন তিনি। তাঁর এই দুর্বুদ্ধি কাজও করল। মৃত ছাগলটিকে খেতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ এলাকার প্রায় ৮ থেকে ১০ টি কুকুর। একদিনের মাথাতে দুটি কুকুর মারাও (Death) যায়। বাকি কুকুরগুলির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোতুলপুরের বনমুখা গ্রামে। ঘটনার নিন্দা করতে ছাড়েননি কেউই। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীরা।

জানা গিয়েছে, বনমুখা গ্রামের স্বপন পাল নামে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছাগলকে কামড়ায় কুকুর। পরক্ষণে ছাগলটি মারা যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরে স্বপন বাবু ছাগলের মধ্যে বিষ দিয়ে মাঠে ফেলে দেয়। সেই মরা ছাগলটিকে প্রায় ৮ থেকে ১০ টি কুকুর খেতে থাকে। এই ঘটনাটি নজরে আসে মানুষ মানুষের জন্যে দলের মেম্বার ফিরোজ মোল্লার। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। পশুপ্রেমী মানুষেরা ওই অভিযুক্ত স্বপন বাবুর উপযুক্ত শাস্তির আবেদন জানান। 

বুধবার দুপুর নাগাদ কোতুলপুর থানাতে স্বপন বাবুর নামে অভিযোগ করা হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে কোতলপুর প্রশাসন। আটক করা হয় স্বপন বাবুকে। এদিন বিকাল নাগাদ কোতলপুর ওসি শুভাশিস হালদার তাঁর টিম নিয়ে বনমুখে যান। অসুস্থ কুকুরগুলিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এবং মৃত দুটি কুকুরকে নিয়ে আসা হয় পোস্টমর্টেমের জন্য। পুলিস সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার করা হবে  পোস্টমর্টেম।

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৪২৯ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা জরিমানা সহ দণ্ডিত হয় কিনা সেটা জানার জন্য অপেক্ষারত পশুপ্রেমীরা। 

2 years ago
Anubrata money: অনুব্রত ও ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশ

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটে ৫০ কোটির পর এবার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি  অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফিক্সড ডিপোজিটের (fixed deposit) কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত (seized)। তবে এবার ক্যাশ নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে (Nationalised bank) তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (bank account)) এই এফডি-গুলির হদিশ পেয়েছে সিবিআই।  

সূত্রের খবর, বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে রয়েছে। সেই সব অ্যাকাউন্ট এবং তার লেনদেন বন্ধের জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

উল্লেখ্য, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দেয় সিবিআই। এরপরই বোলপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। জানা গেছে, ওই ব্যাঙ্কে অনুব্রত ও তাঁর কন্যার অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিনই অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশের কাছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির হিসাব জানতে চায় সিবিআই। কারণ অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ অর্থ পাওয়া যায়নি। সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার নাম।

প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি গরু পাচারের? কোথা থেকে এল এত টাকা? তার উত্তর খোঁজার চেষ্টায় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

2 years ago


Anubrata: গরু পাচারের টাকা অনুব্রতর মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে? সিবিআই স্ক্যানারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই জালে অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকদের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু নয়া তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচার কাণ্ডে যে টাকা আসত তার লাভের একাংশ যেত বীরভূমের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে। এই টাকা দুভাবে দেওয়া হত। লোনের মাধ্যমে এবং নগদ টাকা হিসেবে। বেআইনি গরু পাচারের এই টাকা এনামুল এবং তার সহযোগীরা লোন হিসেবে দেখাত। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের দুই সংস্থার ব্যালেন্স শিট খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই তথ্য উঠে আসে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে। সিবিআই কর্তারা মনে করছেন ব্ল্যাক মানিকে হোয়াইট মানি করার জন্যই এই পথ বেছে নেওয়া হত।

অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়নি, কিন্তু তার বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণে ইতিমধ্যেই চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। এবার তাঁদের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও ১২ থেকে ১৫ জনের উপর সিবিআই নজর রেখেছে বলে জানা গিয়েছে। 

উল্লেখ্য, সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্টর হয়েই টাকা নিতেন তাঁর দেহরক্ষী। সেভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল। এই পরিস্থিতিতে, সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচার সহ বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন অনুব্রত। এবং সায়গল হোসেন তাঁর সহযোগী ছিলেন। এবার বেআইনি উপায়ে যে টাকা উপার্জন হয়েছে, তার হিসেব মেলাতে চাইছেন তদন্তকারীরা।


2 years ago
Bus: জ্বালানির দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি ভাড়া, বাঁকুড়া ডিপোয় বন্ধ পরিবহণ নিগমের ৭ রুটের বাস

লাভ তো দুরের কথা, বাস (bus) চালিয়ে উঠছে না খরচ। আর তার জেরে বাঁকুড়া (Bankura) ডিপো থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার (South Bengal State Corporation) ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হল। বন্ধ হতে পারে আরও কয়েকটি বাস, এমনটাই মিলেছে ইঙ্গিত। ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যধিক হারে বেড়েছে ডিজেলের (Diesel) দাম।  আর এই মূল্যবৃদ্ধিতেও বাড়েনি সরকারি বাসের ভাড়া। অন্যদিকে যাত্রীর সংখ্যাও তেমন নেই। আর তার জেরে সরকারি বাসগুলিতে প্রতিদিন বাড়ছে লোকসানের বহর। লাভের অঙ্ক দূরের কথা খরচই উঠছে না বাসগুলি থেকে। 

এই সমস্যায় আপাতত দূরপাল্লা-সহ ৭টি বাস বন্ধ করে দিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাঁকুড়া ডিপো। বাঁকুড়া-মালদা, বাঁকুড়া-ওমরপুর, বাঁকুড়া-লালগোলা, বাঁকুড়া - দুর্গাপুর এসি নন স্টপ-সহ বিভিন্ন সময়ে চলা ৭টি বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একদিকে যখন খরচ না ওঠায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ওই সংস্থার কর্মীদেরও বেতনে পড়েছে কোপ। 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, কর্মীদের বেতনও কেটে নেওয়া হয়েছে একটা বড় অঙ্কের টাকা। খরচ উঠছে না তাই বন্ধ করা হয়েছে বাসগুলি এমনটায় জানানো হয়েছে ডিপোর তরফে। দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুটের এতগুলি বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরাও। 


2 years ago