বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। সোমবার সকালে ওই দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হলে জয়পুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশাখা দে ও গৌতম দে। বাড়ি ওন্দা থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, জয়পুরের জঙ্গলে দম্পতির মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। পাশেই পড়ে ছিল বিষের বোতল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেয়েই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিন সকালে ওন্দা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন দম্পতির ছেলে অপূর্ব দে। অপূর্ব দে র দাবি, রবিবার সামান্য পারিবারিক অশান্তি হয়। এরপরই বাবা ও মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়ে পুলিসে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন অপূর্ব দে।
পরিত্যক্ত খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার সময় ধস। মৃত্যু যুবকের। নাম কার্তিক বাউরি। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। শনিবার বাগুলি এলাকার পরিত্যক্ত নর্থ ব্লক খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটতে নামেন বছর ৩৬-র যুবক কার্তিক বাউরি। সেই সময় আচমকাই ধস নামে।
সূত্রের খবর, এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক বাসিন্দা বিকল্প উপার্জনের জন্য বেছে নেন পরিত্যক্ত খনিকে। বেআইনি ভাবে কয়লা তোলেন। নিয়ম , খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পর সেটি ঘিরে দিতে হয়। প্রবেশ রুখতে পরিত্যক্ত খনির মুখে বসাতে হয় গাছ। রাখতে হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। এর মধ্যে কোনওটাই কি ছিল বড়জোড়ার কয়লা খনিতে?
একটা মৃত্যু অসংখ্য প্রশ্ন তোলে। সেই সব প্রশ্ন নিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কিন্তু যে প্রাণ ঝরে যায়, তা কি আর ফিরবে কোনওদিন? কোনওদিন কি হবে সমস্যার সমাধান।
রাতের অন্ধকারে পরপর পাঁচটি দোকানের তালা ভেঙে চুরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া ও হুগলি সীমানা লাগোয়া কোতুলপুর থানার চেকপোস্ট বাজারে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চেকপোস্টের অদূরে পরপর দোকানে চুরি হওয়ায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চুরির প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ও হুগলি জেলার গোঘাট থানার সীমানায় রয়েছে খাটুল চেকপোস্ট বাজারে একের পর এক দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। আজ, শুক্রবার সকালে দোকান খুলতেই এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারের অদূরেই রয়েছে খাটুল চেকপোস্ট। সেখানে সারাদিন রাত পুলিস মোতায়েন থাকে। বাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিস থাকা সত্ত্বেও বারংবার চুরির ঘটনা ঘটছে চেকপোস্ট বাজারে। অভিযোগ, পুলিস ও প্রশাসনের উদাসীনতার কারনেই বারংবার এই ঘটনা ঘটে চলেছে। অবিলম্বে চেকপোস্ট বাজারে প্রতিরাতে পুলিস টহল দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে চলন্ত বাসের মধ্য়ে স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন স্ত্রীও। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মল্লেশ্বরের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বর্তমানে আহত দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে মালদহের হবিবপুরের বাসিন্দা নমিতার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার অলকাধড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ সিংহবাবুর। তাঁদের একটি মেয়েও হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে সহ নিখোঁজ হয়ে যান নমিতা। এরপর নমিতার শাশুড়ি সিমলাপাল থানায় লিখিত অভিযোগে জানান ময়ূরেশ্বরের যুবক শেখ ঔরঙ্গজেব তাঁর পুত্রবধু নমিতা ও নাতনিকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে।
গতকাল, মঙ্গলবার বিশেষ সূত্রে নমিতার স্বামী সৌরভ খবর পান খাতড়া আদালতে প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন নমিতা। এরপর থেকেই নমিতাকে অনুসরণ করতে শুরু করে তাঁর স্বামী সৌরভ। নমিতা তাঁর মেয়ে ও প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরগামী বাসে উঠলে কেরানীবাঁধ এলাকায় সেই বাসে উঠে পড়ে তাঁর স্বামীও।
অভিযোগ, চলন্ত বাসের মধ্য়েই সৌরভ হাতে ছুরি নিয়ে ঔরঙ্গজেবের উপর হামলা চালায়। তাঁকে আটকাতে গেলে আহত হন নমিতাও। ঘটনার পরই বাস থেকে নেমে রাতের অন্ধকারে চম্পট দেয় সৌরভ। ঘটনায় হতচকিত বাস চালক বাস ঘুরিয়ে সোজা বাঁকুড়া সদর থানার উদ্দেশ্য়ে রওনা দেয়। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত সৌরভের খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে পুলিস।
বড় অবলীলায় ভরা সভা থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয়া। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট ভাল পরিবেশ নাকি রয়েছে এই বাংলাতেই। ঠিক যেমন ডিগ্রিধারীদের জন্য চপশিল্পের অনুপ্রেরণা। আর বাস্তবের ছবিটা কী বলছে? বাস্তবে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা। আর তাতেই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্য়ে বাসা বাঁধে ওঁরা। আর সেই আশাতেই কাজের খোঁজে দালাল ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বাঁকুড়ার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কিন্তু সেখানে গিয়েই ধাপ্পা। নাম কে ওয়াস্তে বেতনের বিনিময়ে প্রায় ক্রীতদাসের ভূমিকায় বঙ্গ সন্তানের দল। আধপেটা খাবার। সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় যোগাযোগের একমাত্র সম্বল মোবাইলটাও।
ভিনরাজ্যে আটকে বাড়ির ছেলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে প্রশাসন, সব দরজায় কড়া নেড়েও সুবিধে হয়নি কোনওটাতেই। অবশেষে ময়দানে নামে লাল ঝাণ্ডার দল। সিটুর বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছোতেই হুলুস্থুলু শুরু দুই রাজ্যে।
কখনও মৃত্যু। কখনও নিখোঁজ। কখনও প্রাণ টুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। কম পয়সায় পরিযায়ী শ্রম লুফে নিলেও সব রাজ্যেই ওঁরা অবাঞ্ছিত। ভিনরাজ্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা না হয় তোলাই থাকল। সরকারই বা কী ভাবছে নিজের রাজ্যের শয়ে শয়ে বেকার যুবক যুবতীদের জন্য়। বছরে একবারের শ্রমিক মেলার চাকচিক্যে মুছবে কড়া বাস্তবটা। নিজের দায়িত্ব থেকে এইভাবেই মুখ ফিরিয়ে নেবে সরকার?
সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম বাদল নাথ (৬৫)।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বাদল নাথ। সেই সময় জাতীয় সড়কের তারাপুর মোড়ের কাছে পিছন দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা দেয়। ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতরভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মেজিয়া ব্লক প্রথম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
তারপরই বিক্ষোভের আঁচ উপচে পড়তে থাকে জাতীয় সড়কে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দিনের পর দিন পথ দুর্ঘটনা বাড়লেও পথ দুর্ঘটনায় এড়াতে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকার মানুষ।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের 'অ্যাকশন মোডে' ইডি। শহরের একাধিক জায়গায় সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাগুইআটিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি ঢুকতেই একেবারে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের মতো মোবাইল ছুঁড়ে দিলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। পাঁচিল টপকে মোবাইল উদ্ধার করলেন ইডি আধিকারিকরা।
কয়েকমাস আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেসময় বিধায়ক প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মোবাইলটি বাড়ির পুকুরে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। ইডিও নাছোড়, সেই মোবাইলটি পুকুর থেকে খুঁজে বের করে আনে। প্রমাণ লোপাট করতেই বিধায়ক মোবাইলটি জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেছিল ইডি।
যদিও মোবাইল জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির হতে গ্রেফতার হতে জয়েছিল বিধায়ককে। এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের নামে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকিবুর নয়, এই ফ্ল্যাটে থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। সেই মোবাইলদুটিই উদ্ধার করেছে ইডি। তার একটির ব্যাক কভারে ৫০০ টাকা নোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোবাইলটি উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলতেই ব্যাক কভারটি খুলে ৫০০ টাকার নোটটি বেরিয়ে এসেছিল। সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর কীর্তি দেখে ইডি দাবি করেছে তথ্য লোপাট করতেই তিনি মোবাইলটি ফেলে দিয়েছেন। কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও একযোগে চলছে তল্লাশি।
বাগুইআটি ছাড়াও নিউআলিপুরের একটি বহুতলে এবং সল্টলেকের আইবি ব্লকে চলছে ইডি অভিযান। ইডির ৮ থেকে ১০টি টিম এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ৮ নম্বর সদরস্ট্রিটের একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এছাড়া পার্কস্ট্রিটেও একটি বাড়িতে চলছে ইডি অভিযান।
ঘটনার প্রায় মাস ঘুরতে চলল। এখনও খোঁজ নেই সন্দেশখালির বেতাজ 'বাদশা' শেখ শাহজাহানের। তবে অন্তরালে থেকেই ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও পুলিস এখনও শাহজাহানের খোঁজ পায়নি। এমনকি ইডির ডাকেও সাড়া দেননি প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। এই পরিস্থিতিতে এবার ইডির নজরে শাহজাহানের সম্পত্তি। শেখ শাহজাহানের ১০ বছরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত আর্থিক লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। শুধু শাহজাহান নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিতেও নজর ইডির।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবারই অমিত শাহের কাছে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রীয়স্তরে এই বিষয়ে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই আর্জিও তিনি জানিয়েছেন বলে খবর। এরপরেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্তে গতি বাড়াল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ে নেমে পড়লেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে এই তৃণমূল নেতা।
মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে এই তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া যায়। আর এরপরেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। তদন্ত তো দূর, রীতিমত মার খেয়ে ফিরতে হয় কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। গত কয়েকদিন আগেও সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়ি যায় ইডি। তালা ভেঙে ঢুকে চলে তল্লাশি। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতার চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও খবর। আর তাতে কোন সময় কত টাকা পড়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই টাকার উৎস কি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।
থানা চত্বর থেকে উদ্ধার হল এক পুলিস কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ওই পুলিস কর্মীর নাম হরেন্দ্র নাথ বাউরী। নিছক আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্য়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ছাতনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে হরেন্দ্রনাথ বাউরী নামের ওই পুলিস কর্মীকে দেখতে না পেয়ে তাঁর সহকর্মীরা খোঁজ শুরু করেন। এরপর ছাতনা থানা চত্বরে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের সিলিং থেকে হরেন্দ্রনাথ বাউরী-র ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর সহকর্মীরা। পুলিস কর্মীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যায় ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই পুলিস কর্মী তা নিয়ে দ্বন্ধে রয়েছে গোটা পুলিস মহল। গোটা ঘটনার আসল কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
রবিবার ছুটির দিনেও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবারে ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট এবং একটি অফিস, পাশাপাশি চিনারপার্কের একটি অফিসে এই মামলার তদন্তে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডির আধিকারিকরা।
রবিবার সকাল সকাল ইডির হানা নিউটাউন এবং চিনারপার্কে। জানা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযান শহরের এই দুই জায়গাতে। নিউটাউনের গ্রিনউড কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছয় ইডি, সঙ্গে পাশে থাকা অফিসেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামে এক ব্যক্তির, যিনি ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাশাপাশি, এই একই মামলায় চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি অফিসেও তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস এভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। তবে অফিস বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় নিউটাউন এবং চিনারপার্কের এই আবাসন ও অফিস থেকে কী উদ্ধার হয় এবং তদন্তের গতিবিধি কোন দিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।
হাতির হানায় ফের মৃত্যু। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাঁকুড়ায় হাতির হানায় মৃত্য়ু হল এক যুবতীর। গতকাল অর্থাৎ বুধবার মাঝরাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের হরিচরণডাঙ্গা এলাকায় হাতির হানায় প্রাণ যায় বছর চব্বিশের মামনি ঘোড়ুই-এর। গত মঙ্গলবার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দী এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে পরপর দু'জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে যান মামনি ঘোড়ুই। সেই সময় আচমকা একটি হাতি মামনির উপর হামলা চালায়। হাতিটি শুঁড়ে তাঁকে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মেরে প্রায় ত্রিশ ফুট টেনে নিয়ে যায়। হাতির হামলায় গুরুতর আহত হন মামনি। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় হাতিটি।
এরপর আহত ওই যুবতীকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। একের পর এক হাতির হানায় মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানা মিশ্র পাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তরুন মিশ্র (৪৩)। বাড়ি মিশ্র পাড়ার এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওন্দা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মৃত ওই যুবকের ঘাড়ে ও পেটে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই যুবক। তারপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় সানার পুকুরের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের জলে ওই যুবককে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর খবর দেওয়া হয় ওন্দা থানার পুলিসকে। ইতিমধ্য়ে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। তবে কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিস।
বিদায়ের বাদ্যি বেজেছে। রক্ত, মাংসের মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি পাঠাতে যতটা কষ্ট, বোধহয় তার চেয়েও বেশি বিষাদ জড়িয়ে টুসু বিসর্জনে। শরতে নয় মকরে দেবী নিরঞ্জনে কাঁদে বাঁকুড়া। মকর সংক্রান্তির আড়মোড়া ভাঙা কুয়াশা ঢাকা ভোরে মন ভাঙা গানে গমগম করে ওঠে লাল মাটির দেশ।
টুসু ওদের কাছে কোলের মেয়ে, ওদের খুকি। লক্ষ্মীরূপী টুসুই শোনে মনের কথা। গোটা পৌষমাস মায়ায়, আদরে সেই মেয়েকে জড়িয়ে রাখার পর মকর সংক্রান্তির ভোরে চোখের জলে চৌদল নিয়ে কাছেপিঠের নদী কিংবা পুকুর ঘাটে রওনা দেয় গ্রামের ৮ থেকে আশি। গানে গানে ব্যক্ত করে কন্যা বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। টুসু নিরঞ্জনে ফাটে বুক।
ঠুনকো সম্পর্কের যান্ত্রিক এই দুনিয়াতেও লালমাটির মানুষরা পারে কেবলমাত্র বিশ্বাস, ভালোবাসা, স্নেহ সম্বল করে আরাধ্যের সঙ্গে জুড়ে থাকতে। টুসু বিসর্জনের দুঃখ মোছে কনকনে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা। মকরের ওই বহ্নি শিখা শেখায় অপেক্ষা করতে। আবার গোটা একবছর ধরে মেয়ের জন্য চিড়া, মুড়ি জোগাড় করবে রাঢ় বাংলার মাটির মানুষরা। পৌষের জন্য আবার ৩৬৫ দিন সবুর করবে ওরা।
লরির সঙ্গে ছোটো গাড়ির সংঘর্ষ। দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ির চালক ও আহত আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির দীপক কুমার জানা (৪০)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানা এলাকায়। বর্তমানে আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি ছোট গাড়ি করে চালকসহ মোট ছয় জনা বাঁকুড়া এসেছিল পিকনিক করতে। শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মুকুটমনিপুর পিকনিক করে বিষ্ণুপুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই বাঁকাদহ চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সামনের দিক থেকে আসা একটি পণ্য বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় ছোট গাড়িটি। রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পণ্য বোঝাই লরিটি।
এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বিষ্ণুপুর থানার পুলিস আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোট গাড়িচালক ৪২ বছরের দীপক কুমার জানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর আহত ২ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি দেখে পাঠানো অন্যত্র। সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্কুলে রয়েছে কম্পিউটার। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয়, হয় না ব্যবহার। আবার কোথাও কোথাও খোলা আকাশের নীচেই চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্বাস্থ্যবিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর এমনই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পাঠানো রিপোর্টে। সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৮ ও ৯ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার সরকারি প্রাইমারি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ গুলি ঘুরে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। যেখানে এরকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি তা জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
এ প্রসঙ্গে স্কুলগুলির নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত বেহাল দশার অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের।
এই রিপোর্টের বিষয়ে সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর দাবি, এই রিপোর্টে গেরুয়া প্রভাব রয়েছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আমাদের মনে হয়েছে, সেই পর্যবেক্ষণের অধিকাংশই গেরুয়া প্রভাবিত। তাঁরা খালিয়ে পায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলেছে। কিন্তু জানে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জামা ও জুতো দেয়। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল রান্নার কথা বলেছে। কিন্তু মিড ডে মিলের শেড তৈরির জন্য ফান্ড আটকে রেখেছে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমিত ক্ষমতা দিয়েই স্কুলে রান্নার জন্য শেড তৈরি করবে।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, 'যিনি বলেছেন, তিনি না জেনে বলেছেন। কারণ শিক্ষা হচ্ছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ বিষয়। সেখানে রাজ্য আগে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ সই করবে, করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নাম রেকমেন্ড করবে, কী প্রয়োজন সেটা বলবে, তখন পাবে। কাজে এটা কোনও প্রশ্নই আসছে না। এটা একটা ভুল ব্যাখ্যা।'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, রাজ্য সরকারের জন্যই আটকে রয়েছে পিএম ঊষা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।