সন্দেশখালি ঘটনায় ক্ষোভের আঁচ বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারী সহ ৬ জনকে সাসপেন্ড করল বিধানসভার অধ্য়ক্ষ। মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে বিধানসভার বাইরে বিজেপির বিক্ষোভ। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, বঙ্কিম ঘোষ, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডলকে সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। শনিবার পর্যন্ত চলবে এই সাসপেন্ড।
'সন্দেশ খালি সঙ্গে আছি' লেখা টি-শার্ট পরে সদনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা। আর সেই টি-শার্ট শুভেন্দু অধিকারীকে খোলার নির্দেশ দিলেন স্পিকার।
শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে তৎপর পুলিস। নিউ টাউন সংলগ্ন আর্ট কলেজের সামনেই বিশাল পুলিস মোতায়েন। শুভেন্দু অধিকারী এই রাস্তা দিয়েই আসার কথা রয়েছে। আর এখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকানো হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ভাঙরে অশান্তির সময় এই আর্ট কলেজের সামনেই আটকানো হয়েছিল বিধায়ক নওশাদকে।
প্রসূন গুপ্তঃ একটা সময়ে বিধানসভাও রাজনৈতিক মানুষের একটা দর্শনীয় স্থান ছিল। ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই অনুমতি লাগলেও তা পেতে দেরি হতো না যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকতো। সে দিন গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের বারবেলায় রাজ্য বাজেট, কাজেই তৎপরতা চোখে লাগার মতো।
বহুদিন বাদে বিধানসভায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এই প্রতিবেদকের। কিন্তু বোঝার ভুলে সাত সকালে গিয়ে জানলাম বাজেট বিকেল ৩টেতে এবং তার আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনটিই হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলার বিধানসভা সেই আগের মতোই রয়েছে পটভূমি পরিবর্তন তেমন কিছু বোঝা গেলো না। কিন্তু নিরাপত্তার কড়াকড়ি এতটাই যে মাছি গলার উপায় নেই। প্রশাসন যেমন মিডিয়ার বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে, তেমন বিরোধীরা যাতে বিধানসভার মূল প্রবেশদ্বারে হৈচৈ করতে না পারে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাধারণত বিধানসভার মূল দরজার উল্টোদিকে সাংবাদিকদের বসার জন্য প্রেস কর্নার রয়েছে। নিয়ম হয়েছে, ওই প্রেস কর্নারের বাইরে এসে গেটের সামনে ছবি তোলা যাবে না। ভিতরেও ক্যামেরা নেওয়া যাবে না। আইপিএস এবং অসংখ্য পুলিস নিশ্ছিদ্র করে রেখেছে প্রবেশ পথ। উপযুক্ত প্রেস কার্ড না থাকলে ঢোকা যাবে না বিধানসভায় সে তিনি যিনিই হন না কেন। নেতারা সাধারণত সঙ্গীসাথী নিয়ে যে কোনও জায়গায় যান। বিধানসভাতেও তারা প্রবেশ করতে পারেন। এবারে নিয়ম হয়েছে, একমাত্র গাড়ির চালক ও আপ্ত সহায়ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না।
অনেকদিন বাদে এসেছি বলে বিধানসভার মার্শাল ডেকে পাঠালেন। প্রশ্ন করলাম, এতো কড়াকড়ি কেন? তিনি জানালেন, এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী থাকলে সিকিউরিটিতে জোর দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু আজ আবার বাজেট। সম্প্রতি দিল্লিতে পার্লামেন্টে কিছু মানুষ কোনও এক বিজেপি সংসদের দেওয়া পাস নিয়ে ঢুকে পরে নিরীহ পটকা ফোটায়, তাতেই নাকি সারা ভারতের বিভিন্ন বিধানসভা ও মন্ত্রী মহলের অফিসে নিরাপত্তা অত্যন্ত কঠিন করা হয়েছে।
শেষে জানলাম বিরোধীরাও নাকি যা খুশি আন্দোলন করার করতে পারে, কিন্তু মূল প্রবেশ দরজার সামনে অর্থাৎ রাস্তায়। বিধানসভা আজ সাধারণের প্রবেশের বাইরে থাকা এক স্মারক ভূমি।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আর বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তাল বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিলে, অধ্যক্ষ তা পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ করা হয়।
এরপরেই বিজেপি বিধায়করা হাতে কালো পতাকা নিয়ে, পুলিস মন্ত্রী ধিক্কার লেখা পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। বিরোধীদের মতে, এ রাজ্যের সরকার নারী নির্যাতনের মত নৃশংস ঘটনাকে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মনে করে না। এরই সঙ্গে অধিবেশন শুরু থেকেই বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের বিশেষ দলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আগেই এনেছে। মঙ্গলবার ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব খারিজের পর, একই ভাবে, অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও দেখা গেল নারী নির্যাতনের মুলতুবি প্রস্তাব পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দিলেন না স্পিকার।
মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে, সেই আলোচনা খারিজ করেন বিধানসভার স্পিকার। এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পাল্টা স্লোগান তুলতে ছাড়েন না শাসক দলের মহিলা বিধায়করাও। এসব দৃশ্য দেখার পর, এই ঘটনা শোনার পর সাধারণের মনে প্রশ্ন জাগছে, আদৌ কি সত্যিই মহিলারা সুরক্ষিত এ রাজ্যে? নাকি শাসকের ঘটনা চাপা দেওয়ার প্রবণতা মহিলাদের দিন দিন অসুরক্ষিত করে তুলছে?
এ নিয়ে অধিবেশন কক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে। একদিকে নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা না করতে দেওয়ার জন্য বিজেপি বিধায়করা যখন স্লোগান তোলেন, তখন পাল্টা স্লোগান তুলতে দেখা যায় শাসক দলের মহিলা বিধায়কদেরও। তবে, এই নিন্দনীয় ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং বিধানসভার স্পিকারকে কালো পতাকা দেখানো যথার্থ বলেই মনে করছে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
প্রসূন গুপ্ত: উত্তর ভারতের গোবলয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত রাজ্যে এখন শুধুই গেরুয়া রং। রবিবাসরীয় সারাদিন বিজেপির কেটেছে জয়ের আনন্দে। যদিও ব্যতিক্রম তেলেঙ্গানা থাকলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে পর্যদস্তু করে বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছিল রাজস্থান এবং ছত্রিশগড়। যদিও ৫ বছর আগে অবধি মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড় দীর্ঘদিন ধরে তাদেরই কব্জায় ছিল। কিন্তু ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই রাজ্যের ক্ষমতা হারায় বিজেপি। পরে অবিশ্যি মধ্যপ্রদেশ তারা দখল করে নেয়। রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর অন্তর শাসন বদলালেও অন্য দুই রাজ্য কিন্তু বিজেপির ছিল একসময়ে। যাই হোক না কেন সমর সংগ্রামে কংগ্রেসকে পরাজিত করে এখন তিন রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি। এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে গুজরাত সহ গোবলয়ে তারা অপ্রতিরোধ্য। কংগ্রেসের সান্তনা পুরস্কার একমাত্র তেলেঙ্গানা। এরই মধ্যে আরও একটি রাজ্যে ভোট হয়েছিল। মিজোরাম। উত্তরপূর্ব ভারতে প্রতিটি রাজ্যই ছিল বিজেপি অথবা তাদের এনডিএ জোট সঙ্গীদের হাতেই। সকলের অপেক্ষা ছিল মিজোরাম কি ফের এনডিএর হাতে যাচ্ছে?
এতদিন মিজোরামে ক্ষমতায় ছিল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট সঙ্গী বিজেপি। এবারের ভোটে পরাস্থ হলো তারা। ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরাম উত্তর-পূর্ব ভারতের এক প্রান্তে থাকা মনিপুরের পাশেই। সোমবার ছিল এই ছোট্ট রাজ্যের ভোট গণনা। সকাল থেকেই গণনায় এগিয়ে ছিল সরকারি দল এমএনএফ কিন্তু বেলা গড়াতে দেখা গেলো তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জেডপিএম বা জোরাম পিউপলস মুভমেন্ট তাদের পিছনে ফেলতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল হয়,
এমএনএফ - ১০
বিজেপি - ২
জেডপিএম - ২৭
কংগ্রেস - ১
কাজেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তারাই সরকার গড়তে চলেছে। অবিশ্যি এনডিএর পরাজয়ের অন্যতম কারণ মনিপুরের রক্তাক্ত জাতপাত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম দাবিদার লালুভুওমা ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন। এই সপ্তাহেই নতুন সরকার শপথ নেবে বলেই খবর।এই জেডিপিএম দলটির বয়স মাত্র ৫ বছর এবং অনেকটা আপ পার্টির ধাঁচের দল।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই বেশ উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই বয়কট করল বিজেপি। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী ও বিধায়করা রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি বিধায়করা সেখানে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়ের অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের মুহূর্ত থেকেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে 'চোর-চোর' স্লোগান তোলেন বিজেপির বিধায়করা।
কয়েকদিন আগেই গত ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমাবেশ। ঠিক সেই দিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী, প্রত্যেককে দেখা গিয়েছিল কালো পোশাক পরে বিধানসভায় হাজির হতে। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছিল। সোমবার পাল্টা বিজেপির বিধায়করাও কালো ব্যাচ পরে, চোর চোর স্লোগান দিতে দিতেই অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। রাজ্য সরকারের একাধিক দুর্নীতির প্রতিবাদেই এমন পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা বনাম রাজ্য সরকারের দুর্নীতি। এই মুহূর্তে এই ইস্যুতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা'র অভিযোগে তলব করা হল বিজেপির (BJP) আরও ৩ বিধায়ককে। মঙ্গলবার ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল লালবাজার। প্রথম এফআইআরে নাম থাকা ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারে ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখা।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ যায় লালবাজারে। প্রথম এফআইআর-এ নাম থাকা ১১ জনের মধ্যে এবার আরও তিন বিজেপি বিধায়কদের তলব করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যাঁদের লালবাজারে ডাকা হয়েছে, তাঁরা হলেন চন্দনা বাউরি, মিহির গোস্বামী, মালতী রাভা রায়।
শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে আবারও নাটকীয় পরিস্থিতি। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধরনাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন বিজেপি বিধায়করা। তার পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গান তাঁরা। গোটা কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় বিধানসভা চত্বরে। উল্লেখ্য, গত তিন ধরে ওই আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশেই ধরনায় বসেছিল তৃণমূল। শুভেন্দুর কথায়, চোরেদের জন্য ওই স্থান অপবিত্র হয়েছে। তাই গঙ্গাজল ধুইয়ে স্থানটি পবিত্র করছেন তাঁরা।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। একদিকে রাজ্যের শাসক শিবিরের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধরনা, অন্যদিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির পাল্টা ধরনা কর্মসূচি বিজেপির। যাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। চোর পাল্টা চোর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তোলে তৃণমূল শিবির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীদের এফআইআর-এর ভিত্তিতে ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ৩ দিন ধরে চলা তৃণমূলের ধরনাস্থল গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি। শুক্রবার সকালে বিধানসভার বাইরে দেখা যায় মাথায় গামছা-কলসি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শুভেন্দু ও বাকি বিজেপি বিধায়করা। ওই জায়গার পবিত্রতা ফেরাতে গঙ্গাজল নিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। সেই জল আম্মেদকর মূর্তির পাদদেশে ঢেলে চলে পবিত্রতা অভিযান। এর পর গামছা দিয়ে মূর্তির ফলক মুছতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তার পর ওই জায়গায় ফুল ছড়িয়ে দেন তাঁরা। চোরেরা আম্বেদকরের মূর্তিকে অপবিত্র করেছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।
বুধবার বিধানসভায় বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পাস হয়। বিরোধী বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে বিধানসভায় সহজেই এই বিল পাস করিয়ে নেয় বাংলার শাসকদল। এদিন বিধানসভায় বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা রয়েছে। তাঁদের ভাতা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরাই বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের অনেক বিধায়ক রয়েছেন, যাঁদের মাটির বাড়ি, কোনও সম্পদও নেই। পাশাপাশি, এক লক্ষ কৃষকের জন্য ২,৮০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রেখেছেন বলেও জানান। বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, বেতন বাড়িয়েছি, বেশ করেছি। সুযোগ পেলে আবার বাড়াব।
এদিন বকেয়া ডিএ-র জন্য বামেদের ঘাড়ে দোষও চাপান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ডিএ বকেয়া রেখেছিল বামেরা। আমাদের সরকার পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে ধাপে ধাপে ৯০ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, বকেয়া ডিএ নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এ নিয়ে রাজপথে নেমে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচিও তাঁরা পালন করেছেন। বিষয়টির জল গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত।যদিও এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বাংলার সরকারের। তাদের সাফাই, সরকারের ভাঁড়ার শূন্য। তাই ইচ্ছে থাকলেও কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার মেলা, খেলার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করছে। কিন্তু কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই বলা হয়, টাকা নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সরকারের ভাঁড়ার শূন্য হলে বিধায়কদের বেতন, ভাতা বাড়ানো হচ্ছে কি করে ? নাকি দল ধরে রাখার জন্য বিধায়কদের খুশি রাখতেই এই পদক্ষেপ ? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে চলতি অধিবেশনে অধিবেশন কক্ষে থাকতে পারবেন না তিনি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। স্পিকারের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সাসপেনশন মোশন আনেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। সেই প্রস্তাবে সম্মত হন স্পিকার। পালটা বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিজেপি।
এদিন প্রথম দফায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিজেপি। দ্বিতীয় অর্ধে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই অনেককে গ্রেফতার করছে। তৃণমূল বলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” তখনই শাসকদলের বিধায়করা বিরোধিতায় সরব হন। এর পরই দলবদল করা বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মন্তব্য করেন শংকর। যা বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
আজ, শনিবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন (Rajasthan Assembly Election 2023)। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। কিন্তু তার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় বিজেপি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভোটের দিনই প্রচার করে ভারতের নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করারও দাবি বিজেপির।
রাহুল গান্ধীর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জানা গিয়েছে, ভোট শুরুর ঠিক আগে এক্স প্ল্য়াটফর্মে একটি পোস্টে রাজস্থানে দলের জনমুখী প্রকল্প ঘোষণার কথা তুলে ধরে রাজস্থানের ভোটারদের সরাসরি কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা লেখেন সাংসদ রাহুল গান্ধী। ভারতের নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করে পোস্ট করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
বিজেপি অভিযোগ করেছে, রাজস্থান নির্বাচনের প্রচারপর্বের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা লঙ্ঘন করেই আজ তাঁর দলের হয়ে প্রচার করা হয়েছে। তাই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ লঙ্ঘনের অভিযোগে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিজেপি।
গ্রেফতার হলেন বি এন পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। একই সঙ্গে একাধিক বি এন পি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। বি এন পির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল ঢাকা। আর তার জেরেই গ্রেফতার করা হয় আলমগীরকে।
সামনের বছরের গোড়াতেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ডাক দেয় বি এন পি। সেই সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা। সেখানে যোগ দেন প্রায় ১০ হাজার বি এন পি সমর্থক। তাঁরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছিলেন। তারপরেই পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ৭৫ বছর বয়সী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়।
খবর পাওয়া গিয়েছিল, শনিবার রাত থেকেই একাধিক বিএনপি নেতার বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি এবং স্থায়ী কমিটিরর সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়ি ঘিররে রাখে পুলিশ।
এদিকে আলমগীররের বাড়ি থেকে সিসিটিভি ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী রাহাতারা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ডিভাইইস নিয়ে যায়। এবং একই সঙ্গে আলমগীরকেও নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এবারে রান্নার গ্যাস পাওয়া যাবে মাত্র ৪০০ টাকায়! এমনটাই ঘোষণা করা হল দেশেরই এক রাজ্যে। সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানায় (Telangana) এমনটা ঘোষণা করেছেন খোদ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrasekhar Rao)। চলতি বছরের নভেম্বরেই তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2023), তার আগেই রান্নার গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৯৩ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা দেওয়ার ঘোষণাও করলেন তিনি।
আগামী মাসেই বিধানসভা নির্বাচন। ফলে জোরকদমে শাসক ও বিরোধী দল প্রচার শুরু হয়েছে। একদিকে বিরোধী দল বিজেপি যেমন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রচার শুরু করেছে, তেমনই মসনদ ধরে রাখতে জনদরদী প্রকল্পকেই হাতিয়ার করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকালে হাসনাবাদে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেন কেসিআর। সেখান থেকেই কে চন্দ্রশেখর রাও ঘোষণা করেন, বিআরএস পুনরায় সরকার গঠন করলে রাজ্যবাসীকে ৪০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ৯৩ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা দেওয়া হবে। আবার রাজ্যের বিপিএল-ভুক্ত ৯৩ লক্ষ পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেসিআর। এছাড়াও তেলেঙ্গানার দলিত পরিবারদের ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সকাল সকাল ভোট দিলেই পাওয়া যাবে পোহা ও জিলিপি! এমনটাই ঘোষণা করা হল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরে (Indore)। অবাক হচ্ছেন তো, তবে এটাই সত্যি। চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2023)। সবকটি আসনে সেদিনই নির্বাচন হবে। ফলে সেদিন সকাল ৯টার মধ্যে যে ভোট দিয়ে আসবেন তাঁকেই সকালের জলখাবারে দেওয়া হবে পোহা ও জিলিপি। তবে আশ্চর্যের এটাই যে, এই ঘোষণা কোনও রাজনৈতিক দল থেকে করা হয়নি। এই উদ্যোগ নিয়েছে এক ফুড হাব '৫৬ দোকান।'
ইন্দোরের বিখ্যাত ফুড হাব '৫৬ দোকান।' এই ফুড হাবের তরফেই ঘোষণা করা হয় যে, ১৭ নভেম্বর যাঁরা সকাল ৯টার মধ্যে ভোট দিয়ে আসতে পারবে, তাঁদের ৫৬ দোকানে গেলেই ফ্রিতে পোহা ও জিলিপি খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ভোট দিতে উৎসাহ দেওয়া জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
'৫৬ দোকান ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনেটর প্রেসিডেন্ট গুঞ্জন শর্মা বলেন, "স্বচ্ছতার দিক থেকে ইন্দোর দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। আমরা চাই, ভোটদানের ক্ষেত্রেও আমাদের শহর শীর্ষে থাকুক। সেজন্যই যাঁরা ভোট দেবে তাঁদের বিনামূল্যে পোহা ও জিলিপি দেওয়া হবে।" আরও জানানো হয়েছে, ১৭ নভেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত এই অফার থাকবে। যাঁরা আঙুলের ভোটের কালি দেখাতে পারবে, তাঁদেরই এই জলখাবার ফ্রিতে দেওয়া হবে। ৯টার পর যাঁরা আসবেন, তাঁদের খাবারেও ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুজোর মুখেই বসতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়ার দিনঅর্থাৎ ১৬ অক্টোবর বসবে অধিবেশন। দুপুর ১২টা নাগাদ অধিবেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, পুজোর মুখে তড়িঘড়ি কেন এই অধিবেশন?
জানা গিয়েছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক-মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর করতে বিলে সংশোধনী আনতে হবে। বিল সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত বেতন পাবেন না বিধায়ক-মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিজেই উথ্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আলোচনার পরই শুধুমাত্র বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পেশের জন্যই একদিনের বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
কোন কোন বিলে সংশোধন আনা হবে ?
জানা গিয়েছে, দু'টো বিলে সংশোধন আনা হচ্ছে। একটা হল মন্ত্রীদের বেতন সংক্রান্ত বিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২। আর বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত বিলটি হল দ্য বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (মেম্বারস এমোলুমেন্টস) অ্যাক্ট, ১৯৩৭। তবে, এর আগে পুজোর মধ্যে কখনও বিধানসভায় অধিবেশন ডাকা হয়নি। সেক্ষেত্রে এবার অধিবেশন বসলে তা নজিরবিহীন হবে। দ্বিতীয়ার দিন বিল পাশ হয়ে গেলেও সেটা পুজোর আগে আইনে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
পুজোর আগে বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিল পাস করানোর জন্য এই অধিবেশন ডাকা হচ্ছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের অধিবেশন সোমবার বসার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিবেশন ডাকার জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন ডাকার ফাইল পাঠাচ্ছেন পরিষদের মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় বিল আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর আগেই বিধায়কদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেইকারণে সোমবার বসতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন।
সূত্রের খবরম দুটি বিলে সংশোধনী আনা হবে একদিনের এই অধিবেশনে। একটি হল The Bengal Legislative Assembly (Members emoluments) Act 1937। এই বিলটি হল বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর জন্য। অপরটি হল West Bengal Salaries And Allowances Act 1952। এই বিলটি মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর জন্য।