আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরজিৎ সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি। এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
১২ দিনে সাড়ে ৪ কেজি ওজন কমেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সাড়ে ৬৯ কেজি থেকে এখন তাঁর ওজন ৬৫ কেজি, এই দাবি করেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতীশি মারলেনা। ডায়বেটিক এক রোগীর জন্য এত কম সময়ে এতটা ওজন কমা, শরীরে নানা জটিলতা আনতে পারে। এভাবেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক জটিলতার সম্ভাবনায় আশঙ্কা প্রকাশ আতীশির। কটাক্ষের সুরে তাঁর মন্তব্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ঢুকিয়েছে বিজেপি। ক্রমেই তাঁর শারীরিক সংকট তৈরি হচ্ছে, অভিযোগ আতীশির।
যদিও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ আতীশির দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেরকম কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। ওকে যখন তিহাড়ে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ওজন ছিল ৬৫ কেজি, যা এখন একই আছে। পয়লা এপ্রিল তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে সব স্বাভাবিক রয়েছে। কোর্ট নির্দেশে বাড়ির খাবার খেতে পারছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই আপের তোলা অভিযোগ খারিজ করেছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। আতীশি যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখন তাঁর কাছে পৌঁছল আইনি নোটিশ। বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ কাপুরের আইনজীবী এই আইনি নোটিশ পাঠান। আতীশির বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং সাজানো বিবৃতি দিয়ে ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ তোলা হয়েছে আইনি নোটিশে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। গরুপাচারকারী মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলও রয়েছেন এই একই জেলে।
তিহাড় জেলে সোমবার বিকেলেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, তিহাড় জেলের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি। তার আগে গোটা সেল স্যানিটাইজ করিয়েছেন জেল সুপার। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়েও জরুরি বৈঠক করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
তিহা়ড় জেলে প্রথম রাত কাটালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মশার নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে লোহার গারদ। জেল সূত্রে খবর, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মেডিটেশন করেছেন কেজরিওয়াল। তার পর নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস। সকাল ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়। ব্রেকফাস্টে দেওয়া হয়েছিল রুটি এবং চা। সেটি খেয়েছেন তিনি। তারপরে দুপুর বারোটায় তাঁকে মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া হয়। তারপরে বিকেল ৩টের মধ্যে সব বন্দিদের নিজের নিজের সেলে ফিরতে হয়।
তারপরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সব বন্দিদের রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধে সাতটার মধ্যে যে যার নিজের সেলে চলে আসেন। তবে তিনি যদি যান অন্যান্য কয়েদিদের মতো টেলিভিশন দেখতে পারেন। ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সব বন্দিদের জন্যই জেলে টেলিভিশন দেখার বন্দোবস্ত রয়েছে। কেজরিওয়াল ছাড়াও আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির আরও তিন নেতা জেলে রয়েছেন। সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিং এবং মণীশ সিসোদিয়া।
জেল থেকে মুক্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ইডি হেফাজতে অবশ্য থাকছেন না তিনি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল দিল্লির আদালত। জানা গিয়েছে, আপ সুপ্রিমোকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
দিল্লির তিহাড় জেলে রাখা হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আজ, সোমবারই তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলে কেজরিওয়াল তিনটি বই নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। ভগবত গীতা, রামায়ণ এবং নিরজ চৌধুরীর লেখা How PM Decides।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে গতকাল ইন্ডিয়া জোট দিল্লিতে বিশাল সভা করেছে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী। কেজরিওয়ালের স্ত্রী দাবি করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিংহ। তিনি সঠিক সময়ে বেরিয়ে এসে কাজ করবেন। তাঁকে আটকে রাখতে পারবে না মোদী সরকার। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে আদালতে কিংপিন বলে দাবি করেছে ইডি। ৯ বার ইডির সমন এড়ানোর পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভোটের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। এক যোগে সব রাজনৈতিক দল কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই মতো সকাল থেকেই প্যাটেল চক এলাকায় জোড়ো হতে শুরু করেছিলেন আপ নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিসও। কর্মসূচি শুরু হতেই রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। প্রতিবাদকারীদের আটকাতে শুরু হল ধরপাকড়। দিল্লি পুলিসের হাতে আটক হলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।
আবগারি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর থেকেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরি। জেলে বসেই সরকার চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিল্লি পুলিস সূত্রে খবর, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিস। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তাঁকে ন'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি হেফাজতেই কেটেছে রাত। সকাল হতেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই, শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। রাতে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০,০০০ টাকা পেয়েছে মাত্র তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।
এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে দিল্লিতে উত্তেজনা সামাল দিতে আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে আম আদমি পার্টি।
জানা গিয়েছে, ইডি সকালে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে আদালতে পেশ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তারপরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরো জেরাটি লিখিত হবে এবং তার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে দিল্লির রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুনলেন না কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি। সেটি তিনি স্পেশাল বেঞ্চে রেফার করে দিয়েছেন। কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি জামিনের আর্জি নিয়ে সাত সকালেই হাজির হয়েছিলেন।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এই কাণ্ডে গ্রেফতার কবিতার সঙ্গে মামলার শুনানি করা হবে স্পেশাল বেঞ্চে। এদিকে সকাল থেকে ইডির দফতরে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে কেজরিওয়ালকে। সকালে মেডিকেল টিম গিয়ে কেজিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে।
ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হচ্ছে কেজরিওয়ালের জেরার যাবতীয় তথ্য। আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির রাউস অ্যাভিিনউ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতেই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিল আম আদমি পার্টি। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়। কিন্তু রাতে আদালত বসেনি।
সকালে তড়িঘড়ি তাই আপ আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছিল। কিন্তু প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেটি শুনতে রাজি হননি। তিনি ৩ বিচারপতির স্পেশাল বেঞ্চে সেটি রেফার করে দেন। এখন সেখান সেই বেঞ্চ কি নির্দেশ দেয়। এদিকে কেজরিওয়ালকে হাতে পেরে তৎপর ইডি। আজ আদালতে কেজরিওয়ালকে হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লি। আম আদমি দফতরের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি সেই মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনও রকম জমায়েত হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদিকে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে আম আদমি পার্টি।
ফের ইডির তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির নোটিশ এড়ালেন কেজরিওয়াল। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে, লোকসভার নির্বাচনর আগেই কি গ্রেফতার হতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবারও তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও তিনি তলব এড়িয়ে ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই নোটিশ 'বেআইনি' এবং 'অবৈধ'।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এরপর এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে ইডি। এর আগে ১২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। আজও তাঁর ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করার সম্পূর্ণ ইচ্ছা আছে। কিন্তু যে নোটিশটি তাঁকে পাঠানো হয়েছে সেটি বেআইনি এবং অবৈধ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাকে গ্রেফতার করার জন্যই এই নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচার করতে না পারেন। তিনি আরও লিখেছেন আগের চিঠিতে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেগুলির কোনও উত্তর ইডি না দিয়ে ফের নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার কার্যে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। একাধিকবার ইডির তলব এড়ানোর জন্য ইডি পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার।
ফের একবার ইডির তলব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। আজ অর্থাৎ সোমবার দিল্লি আবগারি মামলায় ইডি ফের তলব করল আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামী ২১ ডিসেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছে। জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই ইডির সমন হাতে পেলেন কেজরিওয়াল।
এর আগেও দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেসময় দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন এড়িয়ে যান তিনি। বিধানসভা ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে যাবেন বলেই কেজরীওয়াল ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, কেজরীওয়াল তাঁকে তলব করার ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন। ফলে এবার কি তিনি সমনে সাড়া দেবেন নাকি ফের হাজিরা এড়িয়ে যাবেন, এটাই এখন দেখার।
প্রসূন গুপ্তঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দিল্লিতে। রবিবারেই পৌঁছে গিয়েছেন রাজধানীতে। দুটি বিষয়ে তাঁর দিল্লি আগমন। প্রথমত, মঙ্গলবার 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক এবং বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার। সকলের নজরেই এই দুটি দিন রয়েছে।
জোটের চিত্র এই মুহূর্তে একেবারেই পাল্টিয়ে গিয়েছে। ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে জাতীয় কংগ্রেসের ভাবনা এক রকম ছিল যে তাঁরা হয়তো জিততে চলেছেন, কিন্তু তিন রাজ্যে তাদের পরাজয় হয়েছে। কাজেই বেশ চাপের মুখে জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস পার্টি। এই তিন রাজ্যে জিততে পারলে জোটের বৈঠকে অনেকটাই প্রাধান্য নিয়ে তারা দাবি রাখতে পারতো, কিন্তু ফল সম্পূর্ণ উল্টে যাওয়াতে এবারে তাদেরই অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেই ধারণা।
কেন্দ্রীয় স্তরের জোট এর আগে অনেকবার হয়েছে। ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে জোট যা হয়েছিল বা সরকার তা একেবারেই অসম। চরম ডানপন্থীরা সঙ্গে বামপন্থীদের জোট। টেকেও নি। ফের জোট হয়েছিল ১৯৮৯-এ। রাজীব গান্ধীর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি ও বামেদের সাহায্য নিয়ে জনতা দল যে জোট করে সরকার গড়েছিল তাও টেকেনি। এরপর ১৯৯৬ থেকে ৯৮ অবধি একটা জোট হয়েছিল, সেটিরও গঙ্গা প্রাপ্তি হয়েছিল। কিন্তু এরপরে টানা ১৬ বছর এনডিএ এবং ইউপিএ জোট সরকার চালিয়েছিল। যদিও ওই দুই সরকারে প্রাধান্য ছিল প্রথমে বিজেপির পরে কংগ্রেসের।
এবারে বর্তমান মোদী সরকার যথেষ্ট শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে জোট কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে অনেক জটিলতা রয়েছে, সাম্প্রতিক ৫ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস জিততে পারলে কিন্তু এই জোটের এক প্রকার শক্তি বাড়তো। হয় নি তা। এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার ফর্মুলা দিয়েছেন যে, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাদের ইচ্ছার উপরে এলাকা ভিত্তিক জোট হবে। বিষয়টি সমর্থন করেছেন স্তালিন, শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, হেমন্ত সোরেন, অখিলেশ যাদব বা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই ফর্মুলাতে চললে এই রাজ্যে কংগ্রেসের বরাদ্দ দুটি আসন। তেমনই দিল্লির ৬টি আসনের মধ্যে কেজরিওয়াল হয়তো ৪/৫ টি আসন চাইবে। সে যাই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য ভূমিকা যে নেবেন তা স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়।
বড় ধাক্কা আপ শিবিরে (AAP)। সিবিআইয়ের পর এবার দিল্লি আবগারি দুর্নীতি (Liquor Policy Case) মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
সোমবার আবগারি মামলায় জামিন দেওয়া হয়নি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সুুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল তা আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর পাশাপাশি ইডিকে এই মামলার তদন্তের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই এই মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর এই নির্দেশের পরই দেখা গেল, ইডি তলব করল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে।
নয়াদিল্লির (New Delhi) সিভিল লাইন এলাকায় তৈরি করা হয়েছে দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের (Arvind Kejriwal Residence) বাসভবন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নতুন বাসভবন তৈরি নিয়ে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। এবারে এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতেই সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যেই সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
সরকারি অর্থ খরচ করে কেজরিওয়াল নিজের জন্য বাংলো তৈরি করেছেন বলে একাধিকবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছে বিজেপি। দিল্লির উপরাজ্যপাল বি কে সাক্সেনার কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল বাংলো সংস্কারে ৪৫ কোটি খরচ হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনীত সাক্সেনা মুখ্যসচিবকে এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। এর পর বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হল তদন্ত করার।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত সরকারি তথ্য দিল্লি প্রশাসনের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টির দাবি, কোনও ভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় দিল্লি সরকার। তাদের পালটা অভিযোগ, বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।
শনিবার দিল্লির 'নীতি আয়োগ' বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের (CM) গরহাজিরের সংখ্যা বাড়ল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পথেই গেলেন আরও সাত মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), পঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত মান, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, তেলাঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, রাজস্থানের অশোক গেহলট এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে জানা যায়, রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবে না বৈঠকে। এরপরেই কেজরীওয়াল ও ভগবন্ত মানও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না জানিয়ে দেন। 'গরহাজির'মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় একে একে যোগ দেন কেরল, রাজস্থান, বিহারও। বৈঠকে না যাওয়ার কারণ হিসাবে 'অন্য কর্মসূচির' কথা জানিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। গেহলট 'শারীরিক অসুস্থতার' কারণ দেখিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২১টি বিরোধী দল।
প্রগতি ময়দানের নিউ কনভেনশন সেন্টারে বসছে নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হবে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে কীভাবে উন্নত ভারতে পরিণত করা যায় এবং এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মে মাস থেকেই আগামী বছরের লোকসভা (Loksabha) ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi)। বসে নেই বিরোধীরাও। তার প্রমাণ, মঙ্গলবার কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। নবান্নে তিনি দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, দুই মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী ঐক্যের প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক। রবিবারই দিল্লিতে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতায় যাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেখা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে নবান্ন সূত্রে এই বৈঠক নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সম্প্রতি কলকাতায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। তার আগে দেখা করেছেন নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে।
শনিবারই কর্নাটকে সিদ্ধারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে ১৭ দলের বিরোধী জোটকে। সেখানে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আবার হাত মিলিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও।
আজ অর্থাৎ রবিবার দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) তলব করেছিল সিবিআই। কথা মত রবিবার দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে, দিল্লির সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন আপ কর্তা কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, আবগারি দুর্নীতিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। ইডির সূত্রে খবর, কেজরিওয়ালের একসময়কার ছায়াসঙ্গী এই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কেজরিওয়াল ঘনিষ্ঠ মণীশ সিসৌদিয়াকে জেরা করে কেজরিওয়ালের নাম পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তিহাড় জেলে থাকাকালীন সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করে ইডিও। এ বার এই মামলায় সিবিআই জেরার মুখে পড়তে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিছু দিন আগেই জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে আম আদমি পার্টি। তারপরেই আবগারি দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছিলেন তিনি।