Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Anubrata

Custody: ২০ অগাস্ট পর্যন্ত অনুব্রতর সিবিআই হেফাজত, একাধিক অসুস্থতা, কোর্টকে জানালেন তৃণমূল নেতা

আগামি ২০ অগাস্ট অর্থাৎ ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ধৃত বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আবেদন না করলেও, সিবিআই হেফাজত কমানোর পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি আদালতকে বলেন, 'যতটা সম্ভব কমানো হোক তাঁর মক্কেলের সিবিআই হেফাজত। আমরা সহযোগিতা করতে রাজি।' এরপরেই ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।

এই মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন আছে। এদিন এই সওয়াল সিবিআইয়ের তরফে করা হয়েছে। পাশাপাশি ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এদিন এজলাসে বলেন, 'তাঁর ফিস্টুলার সমস্যা আছে। বুকে ব্যথা-সহ নানা শারীরিক ব্যাধি রয়েছে। তাই মহামান্য আদালত যাতে তাঁর দিকটা বিচার করেন।'

তবে এদিন বিকেলে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়, তখন এজলাসে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন পুলিসকর্মীরা। কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের বের করে ভিতর থেকে কোর্ট গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কোর্ট চত্বরে উপস্থিত পুলিস আধিকারিক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পরিবেশও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি এই শুনানি চলাকালীন।

2 years ago
TMC:দুর্নীতির ক্ষেত্রে তৃণমূলের জিরো টলারেন্স, মানুষকে ঠকালে প্রশ্রয় নয়: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল (TMC) প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।

তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ চেহারা হারিয়ে ফেলছে। সবার সঙ্গে নিরপেক্ষ ব্যবহার করুক তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এটুকু আশা আমরা করতেই পারি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলের কারও বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে কেউ অভিযুক্ত হলে, সেই তৎপরতা দেখা যায় না।' এই অভিযোগ তোলার সময় তিনি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধারের প্রসঙ্গ তোলেন। এবং একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এভাবেও ঘুরিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

তাঁর দাবি, 'বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা কর্তার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিরোধী দলনেতাকে ডাকাডাকি নেই, তাঁর বিরুদ্ধে কোণও কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নেই। শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। কিন্তু ইডি, সিবিআই কেউই তাঁদের তদন্তের আওতায় আনছে না।'

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও জানান, বিচারব্যবস্থা, মাননীয় বিচারপতি সবার প্রতি আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই বিচারব্যবস্থা পদক্ষেপ নেবে। তৃণমূলের তরফে আগামি দুই দিন সিবিআই-ইডির নিরপেক্ষতা চেয়ে এবং কেন্দ্রের সরকার দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার দাবিতে জেলায় জেলায় মিছিল করবে দল। এদিন জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সমীর ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তাঁরা জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? যথা সময়ে সংবাদ মাধ্যম জানতে পারবে। দলনেত্রী এবং শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হবে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং   সমীর চক্রবর্তী। দুর্নীতিতে কেউ অভিযুক্ত হলে তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করবে না। এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই দুই নেতা।

2 years ago
Anubrata Kajal: 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না'

অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিতর্কিত পোস্ট তৃণমূল নেতা কাজল শেখের (Kajal Seikh)। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ফেসবুক ওয়ালে (Facebook Wall) দেখা গেল একটি বিতর্কিত পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না।' পাশাপাশি তিনি লিখেছেন 'দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়'।

বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই নেতা কাজল শেখকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেলেও দুজন চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই পরিচিত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর কাজল শেখের এহেন ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

উল্লেখ্য, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত বিজেপি। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিজেপির কর্মী-সমর্খকরা অনুব্রতর অস্ত্রেই তাঁকে কটাক্ষ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোথাও চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজানো চলছে, কোথাও বিলি হচ্ছে নকুলদানা, গুড়বাতাসা। কোথাও আবার অনুব্রতকে দেখলেই আওয়াজ উঠছে গোরু চোর, গোরু চোর।

কিন্তু দলের মধ্যেই যেভাবে তির্যক মন্তব্য এল, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলেই অনেকে মনে করছেন।

2 years ago


Vote: পঞ্চায়েতের আগে অনুব্রত গ্রেফতার, কতটা ক্ষতি তৃণমূলের?

বার দশেক তলব করার পরেও বীরভূমের 'মুকুটহীন শাহেনশা' অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে যাননি। কেন যাননি, সে প্রশ্ন নিয়ে দ্বিমত আছে। কেউ বলছে চিরকাল রাজ্য পুলিসের উপর দাপট দেখানো অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন সিবিআইও বোধহয় একই গোত্রের। ভাবেননি যে তাঁকে বাড়ির থেকে তুলে আনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর বোঝা উচিত ছিল গত বিধানসভা ভোটের পর ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ নেতাদের এই সিবিআই কিন্তু ভোরবেলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। অতএব তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে এমন ধারণাটাই ভুল ছিল। অন্য মত বলছে অনুব্রত হয়তো হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার আশংকায় সিবিআই দফতরে যাননি। কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন অনুব্রতর মতো প্রভাবশালী ক্ষমতাবান নেতার গ্রেফতারে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তৃণমূল?

এই বিষয়ে নিয়েও দ্বিমত আছে। একদল বলছেন, যথেষ্ট ক্ষতি হল, কারণ হিসাবে তারা বলছে, এই অনুব্রতর দাপটে সিপিএম বিজেপি বীরভূমে একঘাটে জল খেত। ২০১১ থেকে ২০২১ এর মধ্যে যত নির্বাচন হয়েছে অনুব্রত প্রমাণ করেছেন তিনি অপরাজেয়। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়েও তাঁকে আটকানো যায়নি। ঘরে বসে ভোটযুদ্ধের অপারেশন চালিয়েছিলেন।  দুঃসময়ে অর্থাৎ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পর্যন্ত বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি। দুটি আসনেই বড় জয় এসেছিল তৃণমূলের। এছাড়া বিধানসভা বা পঞ্চায়েত তো ছিলই। কাজেই তাঁর গ্রেফতারে বীরভূমে শক্তি হারালো তৃণমূল। তারা বলছে পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষণ শেঠ বা উত্তর ২৪ পরগনার মজিদ মাস্টারের দানা ছাঁটার পর দুই জেলাতেই সংগঠনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিপিএম-র। এঁরা কেউই ঈশ্বর প্রেরিত দূত ছিলেন না।

অন্য একটি তৃণমূল গোষ্ঠীর মতে কেউ আইনের জালে পড়তেই পারে কিন্তু দলটি চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অতএব চিন্তার কিছু নেই। সত্যিই কি তার উত্তর দিতে পারবে আসন্ন মানিকতলা উপনির্বাচন এবং তারপরে পঞ্চায়েত নির্বাচন?

2 years ago
Celebration: অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বাজল চড়াম চড়াম ঢাক, চলল নকুলদানা বিলি

শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডল। নকুলদানা, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক- এমন সব ডায়লগে একটা সময় ভোটের বাজার গরম করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সেই সব ডায়লগ নিয়ে বাজার গরমের পাশাপাশি বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। আজ সেই নেতা সিবিআইয়ের জালে। 

তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উল্লাস বিজেপির। আসানসোল কোর্ট মোড়ে অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা নকুল দানা বিতরণ করলেন পথচলতি মানুষ ও বাসযাত্রীদের। পাশাপাশি শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপি নেত্রী।

বর্ধমানের কার্জন গেটেও উল্লাস বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিজয় উল্লাসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সামের নেতৃত্বে কার্জন গেট চত্বরে ঢাক বাজিয়ে বিজয় উল্লাস। পথ চলতি সাধারণ মানুষকে করানো হল মিষ্টিমুখ। দেওয়া হল গুড়, বাতাসা ও নকুলদানা।

অনুব্রতর গ্রেফতারে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে। সেখানে বাজল চড়াম চড়াম ঢাক। বিলি করা হল গুড় বাতাসা, নকুলদানা। বৃহঃস্পতিবার সকালেই বীরভূমের বাহুবলি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পথচলতি মানুষ থেকে স্থানীয় দোকানদারদের বিলি করা হল গুড়বাতাসা ও নকুলদানা। 

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কেশিয়ারি মোড়ে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর রাস্তায় আসা সাধারণ মানুষজনদের নকুলদানা এবং বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিন পা্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন চোর চোর বলে।

অনুব্রতর গ্রেফতারিতে উৎসবের আমেজ গেরুয়া শিবিরে। গুড় বাতাসা, নকুলদানা বিলি করে মেদিনীপুর শহরের রিং রোডে উৎসব পালন জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। কেষ্টর গ্রেফতারির খুশিতে মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানকেও গুড় বাতাসা খাওয়ালেন বিজেপি কর্মীরা। একসময় গুড় বাতাসা আর নকুলদানার নিদান দিয়েছিলেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। রীতিমতো গুড় বাতাসা বিলি করে উৎসবে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা। শুধু গুড় বাতাসাই নয় সঙ্গে রয়েছে নকুলদানাও। এদিনের এই কর্মসূচি থেকে শাসকশিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানাও করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।



2 years ago


ED IPS: কয়লা পাচারে এবার ইডি স্ক্যানারে বাংলার ৮ আইপিএস, দিল্লিতে তলব জ্ঞানবন্ত সিং, তথাগত বসুদের

কয়লা-কাণ্ডে (Coal CAse) এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা (IPS in Bengal)। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। ইডি যখন তদন্তের গতি বাড়াতে কয়লা পাচার-কাণ্ডে কোমর বাঁধছে, তখন গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে চলেছে তল্লাশি।

বুধবার অনুব্রতকে দশমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এ নিয়ে মোট ৯ বার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরেই এদিন সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতির বোলপুরের বাড়ি ঘিরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই।

2 years ago
Anubrata Reax: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরবে, অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিক্রিয়া সুকান্তের

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি (arrest) ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সাপ বেরোবে। তদন্ত (investigation) হওয়া প্রয়োজন। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিজের দরকারে ব্যবহার করেছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

অন্যদিকে, যদি কেউ ভুল বা অন্যায় করে থাকে, দল তার পাশে থাকবে না। দলের তরফে এমন স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। পাশাপাশি তিনি বলেন , আই আইনের পথে চলবে। 

প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় নিজের গড়েই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, শারীরিক পরীক্ষার পর আজ আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে তাঁকে। এদিন সকালে সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি ৯ বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।  অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়। বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর। তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।  

2 years ago
Anubrata CBI: অবশেষে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল

অবশেষে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি নবারই হাজিরা এড়িয়েছেন। 

এবার অনুব্রতর বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI)। আজ সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।  অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়।বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর।তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের ভিড়। রয়েছে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।  

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারির আশঙ্কা করে এবার সুপ্রিম দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর ছিল। 


2 years ago


Anubrata: মধ্য রাতে বোলপুরে সিবিআই, কেন হাজিরা এড়াচ্ছেন প্রশ্ন করতে পারেন অনুব্রতকে

সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরা এড়ানোর পরেই আরও তত্পর সিবিআই(CBI)। বুধবার গভীর রাতে(night)  উচ্চপদস্থ  সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল বোলপুর পৌঁছয়। একাধিকবার হাজিরা এড়ানোয় পরবর্তী পদক্ষেপ (next step)ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক সারেন তাঁরা ।  সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি(house) যেতে পারেন।  সূত্রের খবর, মোট ৫টি গাড়িতে(car) সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতে বোলপুরে এসে পৌঁছন৷ এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে ও  দু’টি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে এসেছে । বোলপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের গেস্ট হাউস(guest house) রতনকুঠিতে উঠেছেন সিবিআই কর্তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে(central force) সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সিবিআই  আধিকারিকরা। জানা গেছে প্রায় ৩০ জনের বেশি সিবিআই কর্তারা  এসেছেন বোলপুরে।

গরু পাচার মামলায় নতুন করে তল্লাশির সম্ভাবনা উছঠে আসছে।  যে গেস্ট হাউসে সিবিআই আধিকারিকরা আছেন সেখানে এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বোলপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে বেরোবেন সিবিআই আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, বুধবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হলেও দশম বারের জন্য তিনি এই হাজিরা এড়িয়ে যান।  অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি পৌঁছননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের কাছে ১৪ দিনের সময়ও চেয়ে নেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি সূত্রের খবর, যে চিকিৎসা করাতে তিনি দক্ষিণ ভারতে যেতে পারেন।

অন্যদিকে , অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানোয় ক্ষুব্ধ অ্যা সোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস চিকিৎসক সংগঠন। সংগঠনের তরফে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মুখ্য সচিব ছাড়াও,এই চিঠিটি স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।


2 years ago
SC: গ্রেফতারি রুখতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অনুব্রত, 'একপক্ষ যাতে শোনা না হয়', পাল্টা সিবিআই

বারবার সিবিআই হাজিরা এড়াচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেন্দ্রীয় সংস্থার (CBI) সমন বারবার এড়ানোয় এবার গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। এই আশঙ্কায় আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে এই আবেদন করতে চলেছেন রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডল। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁকে জেরা করতে পারে, কিন্তু কোনওভাবেই যাতে গ্রেফতার না করে। এই আবেদনই শীর্ষ আদালতের কাছে রাখছেন অনুব্রত মণ্ডল।

এদিকে, তৃণমূল নেতাকে জমি ছাড়তে নারাজ সিবিআই। আইনি পথে তাঁকে আরও কোণঠাসা করতে কোমর বাঁধছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করছে সিবিআই। সেই ক্যাভিয়েটে সিবিআই অভিযোগ করবে, তদন্তে অসহযোগিতার করছেন তৃণমূল নেতা। তাই যাতে একপক্ষ শুনে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যাতে কোনও নির্দেশ না দেয়।

অপরদিকে, চিকিৎসার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দিলেন শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের পরিচালন সভাপতি মলয় পিট। দেশের বিখ্যাত সার্জেন জে এস রাজকুমারের কাছে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও এই পরামর্শের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। কোথায় সেটা অপারেশন করলে ভালো হয়, তার আলোচনার জন্য শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভাপতি মলয় পিটকে বাড়িতে ডেকে পাঠান অনুব্রত। তখনই এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  এমনকি বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা চাইলে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মলয়বাবু।

2 years ago


Anubrata: অনুব্রতর বাড়িতে কেন হাসপাতালের টিম? প্রভাব খাটানো নিয়ে ফের শোরগোল

ফের অসুস্থতার (Illness) কথা জানিয়ে এবার দশমবারের জন্য সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি ফের দু সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে খবর। তবে এবার অসুস্থতাকে ঢাল করতে গিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন অনুব্রত। এদিন আরও মারাত্মক বিষয় সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের (CBI) হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখনও নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন।

এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তখনই তিনি বুঝে গেলেন, এসএসকেএমে তাঁর আর কোনও প্রভাব কাজ করছে না। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের গড় বোলপুরের বাড়িতে। আর এখানে আসার পরই খাটাতে শুরু করেন তাঁর প্রভাব।

সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারকে তিনি নির্দেশ দেন, তাঁর বাড়িতে টিম পাঠিয়ে চিকিত্সা করানোর জন্য। চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারী অকপটে স্বীকারও করেছেন যে, তিনি হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন টিম নিয়ে। চন্দ্রনাথ মণ্ডল ছুটিতে ছিলেন। এমনকী ছুটিতে সুপারও (Super)। সেই অবস্থাতেই সুপার তাঁকে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিত্সকের টিম পাঠানোর কথা বলেন। ওই চিকিত্সক তখন সুপারকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আসতে বলুন। সরকারি হাসপাতালের টিম কেন কারও বাড়িতে যাবে? সুপার এর উত্তরে জানিয়ে দেন, সরকারি হাসপাতালের কোনও প্রেসক্রিপশনের দরকার নেই। সাদা কাগজে লিখলেই হবে।

এরপর আসে অনুব্রতর পালা। সেখানেও চাপ। তাঁরই কথামতো ওই চিকিত্সক লিখে দিলেন ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা। যদিও ওই চিকিত্সকই একান্তে স্বীকার করেছেন, অনুব্রতর কলকাতায় যাওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে।

2 years ago
BJP: 'এক কাপড়ে অনুব্রতকে তুলে আনুক', সরব শুভেন্দু, খোঁচা সুজনেরও

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এবং সিপিএম (BJP, CPM) একযোগে কটাক্ষ করেছে বীরভূমের (Birbhum TMC) তৃণমূল সভাপতিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'ব্যাগ গুছোতে দেওয়ার দরকার নেই। এক কাপড়ে তুলে আনুক সিবিআই। এর আগে ৮-৯ বার ডেকেছিল, উনি হাজিরা এড়িয়েছেন।'

আক্রমণাত্মক সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি জানান, চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন। বালি, পাথর পাচার করে টাকা নিয়েছেন। শ্রীঘরে যেতে তো হবেই। একসময়ের দাপট। বিরোধীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দাও, পুলিসের গায়ে বোমা মারো। সিবিআইয়ের উচিৎ কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া।

এদিকে, সোমবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে এসএসকেম-এ চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তাঁকে ভর্তি রাখার দরকার নেই। এমনটাই সেদিন জানিয়েছে সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিম। তারপর এসএসকেম থেকে চিনার পার্কের বাড়ি হয়ে বোলপুরের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার আবার তাঁর বাড়ি গিয়ে বুধবার হাজিরা দেওয়ার নোটিস ধরিয়েছে সিবিআই প্রতিনিধি। সেই মুহূর্তেই আবার অনুব্রতর বোলপুরের বাড়িতে হাজির মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন। এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন?

2 years ago
Bolpur: অনুব্রতর বাড়িতে মেডিক্যাল টিম, 'উপরতলার নির্দেশে এই কাজ', জানান বোলপুর হাসপাতালের সুপার

অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উপরতলার নির্দেশে এই কাজ করতে হয়েছে। সিএনকে টেলিফোনে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। 

ঠিক কী হয়েছিল?

গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের আগামিকাল তলব করেছে সিবিআই। ইমেইলের পাশাপাশি বোলপুরের বাড়িতে আজ সমন দিয়ে গেল সিবিআই। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে রয়েছে অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন-সহ ১১ জনের নাম। 

সূত্রের খবর, এদিন হাসপাতাল ছেড়ে একের পর এক চিকিত্সক বোলপুরে বীরভুমের তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসেন। অনুব্রতের বাড়িতে এসে পৌঁছন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ৪ জনের একটি মেডিক্যাল টিম। এর মধ্যে রয়েছেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী নামে এক চিকিৎসক। সূত্রের খবর, অনুব্রতের দীর্ঘ দিন ধরে অর্শের সমস্যা রয়েছে। ফিশচুলার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন। 

এদিন এসবের চিকিৎসা করাতে কেষ্টর বাড়িতেই গিয়েছে মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে হাসপাতালে শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানেই প্রভাবশালী তত্ত্বের প্রশ্ন তুলে তৈরি হল রাজনৈতিক বিতর্ক। তবে কি নিজের গড়ে গিয়ে তিনি শক্তি প্রদর্শন করলেন? যার জন্যই চিকিত্সকের দল তাঁর বাড়িতে বাধ্য হয়ে সটান উপস্থিত হলেন? যদিও বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু টেলিফোনে জানিয়েছেন, যে সব চিকিত্সক কর্তব্যরত ছিলেন না তাদের পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। 

তবে কলকাতা যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই অনুব্রত মণ্ডলের। জানাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। আপাতত বেড রেস্টে থাকার পরামর্শই দিলেন তাঁরা।

 উল্লেখ্য,সোমবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। প্রশ্ন উঠছে দশম বারের সমনে কি যাবেন অনুব্রত? উত্তরের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।


2 years ago


Anubrata: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে দশম তলব সিবিআইয়ের

নিজাম প্যালেসে(Nizam palace) অনুব্রত মণ্ডলকে দশম তলব। সূত্রের খবর, ইমেইল করে তলবের চিঠি(letter) দিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারকাণ্ডে বুধবার সকাল ১১টায় সিবিআইয়ের দফতরে বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর বোলপুরের বাড়িতেও সিবিআিইয়ের তরফে হাজিরা নোটিস দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সিবিআইয়ের(CBI) তলবে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। গতকাল অর্থাত সোমবারই সিবিআই তলবে হাজিরা দেন নি তিনি। অসুস্থতার জন্য সোমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না, এ কথা রবিবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল(stable) বলে জানান এসএসকেএমের চিকিতসকরা(doctor)। ফলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলে জানান চিকিত্সকরা। 

প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, কিছুদিন ধরেই তৃণমূল দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতা বেড়েছে৷ তাই এসএসকেএম-এর যে মেডিক্যাল টিম তাঁর চিকিৎসা করছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ চিকিৎসকদের নির্দেশেই তাঁকে সোমবার এসএসকেএমে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসা হয়৷ তবে দাপুটে নেতার বারবার সিবিআই তলব এড়ানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। 

2 years ago