মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
মাছ চুরি করা নিয়ে অশান্তি। আর তার জেরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার গোতানের কামারহাটি গ্রামে।
জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। মন্ত্রীর বাড়ির পুকুর থেকে মাছ চুরি করার অভিযোগ ওঠে আদিবাসী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এদিকে তাঁকে পালটা মারধর করার অভিযোগও ওঠে ওই পুকুরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে পালটা মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির কাচ, বারান্দা ও দরজা ভেঙে দেয় একদল জনতা।
সোমবার ওই আদিবাসী যুবককে মারধর করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় আরামবাগ হাসপাতালে। এরপর সোমবার রাতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলেও মঙ্গলবার ফের তাঁরা জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অভিনেতা গৌরব মন্ডল (Gourab Mandal) টলিউডের ধারাবাহিক জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁকে আর টলি পাড়ায় তেমন দেখা যায় না। গৌরবের সামাজিক মাধ্যম দেখলে স্পষ্ট তিনি আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছেন। এই পথে গৌরবের সঙ্গী তাঁর প্রেমিকা তথা বাগদত্তা চিন্তামণি ডায়ানা (Chintamani Diana)। বিদেশিনী ডায়ানা মজেছেন কৃষ্ণনামে। তাই পশ্চিমি সংস্কার ভেঙে ভারতীয় সংস্কারে নিজেকে মুড়ে ফেলেছেন তিনি।
অভিনেতা গৌরব এবং ডায়ানা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ছবি ভিডিও আপলোড করে থাকেন প্রায়শই। সম্প্ৰতি এক ভিডিওতে গৌরবকে অন্য মেজাজে দেখা গেল। বাগদত্তার সামনে বসে গৌরব হারমোনিয়ামে সুর তুলেছেন। একইসঙ্গে গাইছেন, উত্তম কুমারের লিপে জনপ্রিয় গান, 'কে প্রথম কাছে এসেছি।' পাশে বসে একমনে গান শুনছেন বিদেশিনী চিন্তামণি। মাঝেমধ্যে আবার গৌরবের সুরে সুর মিলিয়েছেন তিনিও।
কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে বাগদান সেরেছেন গৌরব এবং চিন্তামণি। বর্তমানে এই জুটি নেটিজেনদের খুব পছন্দের। তাঁরা বারংবার বলেছেন, 'আমরা নিজেদের রাধা-কৃষ্ণ ভাবি না। আমরা তাঁদের সন্তান এবং আমাদের আত্মা তাঁদের সেবাতেই নিয়োজিত থাকবে।'
একটা দুর্ঘটনা, তাতে রেলের ক্ষতি কত ? শুক্রবারের ঘটনার হিসাব-নিকেশ কষতে বসে রেল কর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ২৪ কোটি টাকার ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় রেল। ওড়িশায় বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এটা প্রাথমিক রিপোর্ট বলেই দাবি করা হয়েছে। দিন যত বাড়বে, খরচ আরও বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আধুনিক কোচ সম্বলিত দুই সুপারফার্স্ট ট্রেন। তার সঙ্গে রয়েছে মালগাড়ি। দুটি ট্রেনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। সঙ্গে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি ধাক্কা লেগেছে মালগাড়ির ক্ষেত্রে।
এদিকে, রবিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের আশা প্রকাশ করে দাবি করেছেন, আগামী বুধবার থেকে বালেশ্বরের উপর দিয়ে যেতে পারবে কলকাতায় থেকে দক্ষিণ ভারত ও পুরীগামী ট্রেন। শনিবারই এই ঘটনার জন্য সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেই প্রাথমিক রিপোর্টে দায়ী করেছিল রেল। রবিবার কার্যত তাতেই সিলমোহর বসালেন রেলমন্ত্রী। দাবি করলেন করমণ্ডল দুর্ঘটনার মূল কারণ, এবং এর পিছনে কারা, তাদের চিহ্নিত করাা গিয়েছে। তবে, এর থেকে বেশি আর কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে জানিয়েছেন, রিপোর্ট খুব দ্রুতই পেশ করা হবে। এদিনও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
রবিবার সকালেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেল দাবি করে খুব তাড়াতাড়ি হলেও মঙ্গলবারের আগে লাইন মেরামতির কাজ শেষ হবে না। তাও তারা চেষ্টা করছে দ্রুত এই কাজ শেষ করতে। বেলায় ফের ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। গোটা এলাকা ঘুরে তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। কারণ, দিনরাত এক করে রেলের এক হাজারের বেশি শ্রমিক লাইন মেরামতির কাজ করেছেন।
ফের অশান্ত রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাতভর আতঙ্ক (Panic) কাটিয়ে এখনও থমথমে হুগলির (Hoogly) রিষড়া। জারি ১৪৪ ধারা। পুলিসের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়াতে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকাই একদল দুস্কৃতী রিষড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। স্টেশনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি রিষড়ার ৪ নম্বর রেল গেটে অশান্তি হয় বলে খবর। যার জেরে হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে ওই লাইনে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।
সোমবার রাত ১০টা থেকে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির কারণে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রিষড়া স্টেশন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একটি আপ ব্যান্ডেল লোকালকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত ১টার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ায় ঘোষণা করা হয় বর্ধমান শাখায় আপাতত ট্রেন চলবে না। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করে দেওয়া হয়। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় এবং রেলের তরফ থেকেও কোনও স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ।
সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। তাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। হাওড়ার পর এবার হুগলি। হুগলির রিষড়াতে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিস বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এ ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার কি করে ঘটছে? বিজেপির তরফে পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বরাবর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর হুগলির ঘটনায় বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন জমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও খবর, পুলিসের বিরুদ্ধে একতরফা আচরনের অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে হুগলির রিষড়ায় ধরণায় বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে ধরনার আগেই সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিস।
এবার দুষ্কৃতী তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষা পেল না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। বিদ্যালয় (school) জুড়ে রাতভর দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবারের দুপুরে বিদ্যালয় চত্বর সরজমিনে তদন্তে যান স্বয়ং দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়। ঘটনাটি দাসপুর (Dashpur) থানার সুরতপুর শ্রী অরবিন্দ শতবার্ষিকী বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষক (teacher) শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ঢুকতেই দেখা যায় বিদ্যালয়জুড়ে ভাঙচুরের ছবি। নোটিস বোর্ড, মেয়েদের শৌচালয়, বিদ্যালয়ের বাগান সব জায়গাতেই ভাঙচুর, তছনছ কাগজপত্র। বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অমিত বাবু জানান, 'তাঁদের প্রাথমিক অনুমান বুধবার রাতের অন্ধকারে এই তাণ্ডব চালিয়েছে কেউ বা কারা।' স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে রাতে এই বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছিল কয়েকজন বহিরাগত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই কাজ তাদের হতে পারে।
এদিকে, ঘটনার পরই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে দাসপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় বিদ্যালয়ে গিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। দ্রুত ওই দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিস। তবে রাতদুপুরে এমন দুষ্কৃতী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: ঠিক কী চাইছেন এখনও সেই চিত্রটি পরিষ্কার জানাচ্ছেন না ভারতীয় বোর্ডে প্রাক্তন হতে চলা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অপসারিত হয়ে যে প্রবল অপমানিত তা কিন্তু বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে কিছুটা অভিমানের সুরে জানিয়েছেন। সৌরভ অপমানিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সেই গ্রেগ চ্যাপেল জমানা থেকে চলছে। জীবনের প্রথম বিদেশ ট্যুরে গিয়েছিলেন ১৯৯২-তে এবং মাত্র একটি ম্যাচ খেলিয়েই আজহারউদ্দিন পত্রপাঠ তাঁকে ভারতীয় দল থেকে ছেঁটে ফেলেন।
ফের জগমোহন ডালমিয়ার কল্যাণে ১৯৯৬-তে ভারতীয় দলে ফেরেন। এই সময়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। ২০০৪-০৫ অবধি তাঁকে দল থেকে সরানো যায়নি। বেটিং কেলেঙ্কারিতে যখন ভারতীয় দল বিধস্ত, তখন অধিনায়ক হয়ে হাল ধরেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের সেই তিনিই দলের কোচ করে নিয়ে আসেন গ্রেগ চ্যাপেলকে। গ্রেগ এসেই তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেন। নেপথ্যে ফিটনেস সমস্যা। ফের এক বছরের মধ্যে কামব্যাকও করেন এবং ২০০৭-০৮ অবধি খেলেন।
ওই সময়ে তিনি যে অবসর নেন তার পিছনেও বোর্ডের তৎকালীন শ্রীনিবাসন লবি এবং এমএস ধোনির চাপ ছিল বলেই সংবাদ। ২০০৮-এ শুরু হয় আইপিএল, এবার তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নতুন ইনিংস শুরু করেন। এবার আইপিএল-র দু'বছর বাদে কেকেআর মালিক শাহরুখ খান তাঁকে বসিয়ে দেন। তিনি পুনে দলে যোগ দিয়ে আরও দু'বছর খেলেন।
এরপর জগমোহন ডালমিয়া যখন সিএবি প্রেসিডেন্ট, তখন সৌরভ সম্পাদক পদে আসীন হন। ডালমিয়ার মৃত্যু এবং বাংলার মসনদে রাজনৈতিক পালাবদল। মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়ে সৌরভকে সিএবি প্রেসিডেন্ট করেন। এরপরের ইতিহাস আবার বিজেপির সঙ্গে প্রিন্স অফ কলকাতার সখ্যতা বাড়া। তিনি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জোর চর্চা অমিত শাহের কল্যাণে তিনি নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে শীর্ষ আসনে। যদিও ক্রীড়া মহলের একাংশ তাঁকে যোগ্যতম বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরে। তবে শাহরা চেয়েছিলেন একুশের ভোটে সৌরভ বাংলায় তাঁদের দলের মুখ হোন। এমন একটা গুঞ্জন তৈরি হয়। সৌরভ বুদ্ধিমান, নানা বাহানা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত যেকোনও ভাবেই হোক পূর্বের তাঁর জীবনের একাধিক ঘটনাপ্রবাহের মতো একপ্রকার তাঁকেও বিদায় দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশাসক সৌরভ এবার কিছুটা ক্ষিপ্ত। তাঁর সামনে অবশ্য বিকল্প কিছু নেই। তিনি সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়ে রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডে ফিরতে পারেন, যেমন এক সময়ে তাঁর মেন্টর ডালমিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু ডালমিয়ার পিছনে নাকি সুভাষ চক্রবর্তীর মতো নেতার হাত ছিল।
এবার সিএবি-তে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বরূপ দে। যার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জোর চর্চা। এই বিশ্বরূপ দে এখন তৃণমূলের কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। ফলে প্রশাসক হিসেবে সৌরভকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় ফিরতে গেলে মমতার আশীর্বাদ যে দরকার, তা একপ্রকার স্বীকার করছেন অনেকেই। সেখানে কি এবার তাঁকে কিছু দিতে হবে? ফের শুরু হয়েছে চর্চা।
গরু পাচার মামলার তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই (CBI)। বুধবার বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত ঘনিষ্ট ব্যাবসায়ী মলয় পিটের ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক কলেজে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে মলয় পিটকে দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সিবিআই সূত্রে খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি মলয় পিটের কাছ থেকে পেয়েছেন সিবিআই অধিকারীরা। আগামী দুদিন তদন্তের স্বার্থে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক (bank) অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি চালাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ১০ নাগাদ সিবিআই-এর প্রতিনিধি দল বের হয় বোলপুরের রতন কুঠির অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে। সূত্রের খবর, আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ছাড়াও আর এক অফিসার রয়েছেন এই প্রতিনিধি দলে।
জানা যায়, আসানসোল গিয়ে বিশেষ সংশোধনাগারে যাবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখানে গিয়ে জেল হেফাজতে থাকা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। বুধবার তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ রাজিব ভট্টাচার্য এবং ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে নথি পেয়েছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বুধবার রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাইস মিল ব্যবসায়ী তৃণমূল নেতা রাজিব ভট্টাচার্য জানান, অনুব্রত স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৬৬ লক্ষ টাকা নিউটাউনের ওই হাসপাতালে দিয়েছিলেন। অনুব্রত কথাতেই সেই টাকাটা তিনি দিয়েছিলেন। যে টাকা আজও তিনি ফেরত পাননি।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিট সিবিআইকে জানান, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ চালু করার সময় ৯ কোটি টাকা কম পড়ে। সে কথা অনুব্রতকে বলা হয়, এরপর সেই টাকা দিয়েছে কলেজ চালু করার জন্য সাহায্য করেছিলেন অনুব্রত।
মূলত, এই দুই বিষয়ে আসানসোল (Asansol) জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। অন্যদিকে, আজ ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) জেল থেকে না বেরনো পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। তাকে বীরের মতো বের করে আনতে প্রস্তুত হন। আর দলনেত্রীর (Mamata Banerjee) এই বার্তা কানে যেতেই শুক্রবার স্বমেজাজে বীরভূম তৃণমূলের (Birbhum TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, চিরকাল কেউ জেলে থাকে না। নিশ্চয় ছাড়া পায়, আমিও ছাড়া পাব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার পাল্টা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, সেটাই শেষ কথা। উনার উপর কোনও কথা হয় না। আমি চোর না ডাকাত আমাকে ধরে রাখবে।'
এরপরেই তাঁকে নিয়ে কনভয় রওয়ানা দেয় বিধান নগর আদালতের উদ্দেশে। ২০১০ সালের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তাঁকে এমপি-এমএলএ আদালতে তোলা হলেও বেকসুর খালাস পান অনুব্রত। স্বমেজাজেই আদালত থেকে বেড়িয়ে তিনি জানান, সত্যের জয় হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টর শরীর এমনিতেই খারাপ। তার মধ্যে বগটুই হল, ওকে একটা ধাক্কা দিল। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে আটকাতে পারেন? ভাবছেন কেষ্টকে ধরে রেখে দু'টো লোকসভা আসন বেশি পাবেন, সে গুড়ে বালি! কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। ওকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন।
এবারও জামিন পেলেন না বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আরও ১৪ দিন তাঁকে জেল (jail) হেফাজতে পাঠানো হল, এমনটাই পুলিস (police) সূত্রে খবর। আজ থেকে ১৪ দিন অর্থাত্ ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকছেন তৃণমূল নেতা। কোর্টে খারিজ অনুব্রতর আইনজীবীর করা 'অসুস্থতা' যুক্তি। বুধবার সিবিআই সূত্রে জানানো হয়, "জামিন হলে গরু পাচার মামলার তদন্ত হবে না।" এদিকে, কোর্ট থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে ঢোকার মুখে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল নেতা। 'মলয় ঘটককে সিবিআই-এর (CBI) হেনস্থা অন্যায়', সংশোধনাগারে ঢোকার মুখে প্রতিক্রিয়া দেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে, এদিন সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে জানান, "এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। সেই সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই।" অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী ফারুখ রজ্জাক জানান, "সিবিআই-এর তরফ থেকে যা প্রমাণ নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই।
প্রসঙ্গত, বুধবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে।
তাঁর ১০০-র বেশি বেনামী সম্পত্তির নথি গত বুধবার বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। এই সব সম্পত্তির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বেনামী সম্পত্তির নথির অধিকাংশই মিলিছে মনীষের কোঠারির বাড়ি ও অফিস থেকে। সেই সব সম্পত্তির বর্তমান মালিকানা যাঁর নামে রয়েছে, তার আগে সেই সম্পত্তি কার নামে ছিল? কীভাবে কেনা হয়, সেই যাবতীয় তথ্য তল্লাশি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বোলপুরে এই মূহুর্তে রয়েছে সিবিআইয়ের পাঁচটি টিম।
আবারও টাকা উদ্ধার (Cash)।হাওড়ার পর এবার দুর্গাপুর থেকে উদ্ধার হল ৩৬ লক্ষ টাকা।শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস।ধৃতের নাম মূল চাঁদ।সে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে হাওড়া আসছিল।
দুর্গাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে যায় মূল চাঁদ, হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করছিল। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় রেল পুলিস তাঁকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করে।ব্যাগ তল্লাশি করে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে টাকা রয়েছে।
তৎক্ষনাৎ রেল পুলিশ মূল চাঁদ নামে ওই ব্যক্তিকে জিআরপির(GRP)হাতে তুলে দেয়।রাতে তাঁকে নিয়ে আসা হয় অন্ডাল জিআরপিতে।ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের নিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে তলব করা হয়।তারা টাকা গোনার মেশিন নিয়ে আাসেন।
মেশিনে টাকা গুনে দেখা যায় ৩৬ লাখ টাকা আছে। গ্রেপ্তার করা হয় মূল চাঁদকে।পুলিসি জেরায় ধৃত মূল চাঁদ জানিয়েছে তাঁকে টাকা ভর্তি ব্যাগ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।পুলিস টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে।শনিবার সকালে ধৃত মূল চাঁদকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করে পুলিস।
অন্ডালের (Andal) পর, এবার লাউদোহা। ফের কয়লা উত্তোলনের জন্য ইসিএলের (ecl) বিস্ফোরণ। সেই বিকট শব্দের কম্পনে বাড়িতে ধরল ফাটল (cracked)। এবার লাউদোহার সিরসা রুইদাস পাড়া, ফাটল ধরা পড়েছে রাস্তাতেও (road)। ঘর ছেড়ে এখন আতঙ্কে বাইরে রাত কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ঘটনার পর এখন এলাকার মানুষ পুনর্বাসন চাইছেন। অভিযোগ, পাট্টা আছে, খাজনাও দেন। তা সত্ত্বেও আজ তাঁরা বঞ্চিত, কেউ খোঁজ রাখে না। তবে এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনৈতিক রং। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর সাফাই বিজেপির সঙ্গে যুব তৃণমূলের একাংশ কাজ করতে দিচ্ছে না এই এলাকায়। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরের অন্ডালের বহুলা কোলিয়ারি এলাকার বাদ্যকর পাড়াতে কয়লা উত্তোলনের জন্য ইসিএলের প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। ধসের কবলে চলে গিয়েছিল একটি আস্ত পুকুরও। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ফের ইসিএলের বিস্ফরণের জন্য বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটলের ঘটনা।
জানা যায়, গত তিনদিন ধরে বিস্ফোরণে প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুধু বাড়ি নয়, রাস্তাও ফাটলের শিকার এই ঘটনায়। স্থানীয়রা জানান, এরপর বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। আতঙ্কে এখন প্রাণ বাঁচাতে গোটা লাউদোহা থানার শিরসার বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দারা গ্রামের একটি আটচালায় আশ্রয় নিয়েছেন।অভিযোগ, ভোটের সময় সবাই আসে ভোট চায় পুনর্বাসনের কথা বলে, কিন্তু ভোট হয়ে গেলেই যে যার মতো করে নেতারা পালিয়ে যায়। খোঁজ রাখে না কেউ। আর তাঁরা রয়ে যান সেই সমস্যাতেই। অবিলম্বে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ।
তবে এপ্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা লাহার যুক্তিটা ছিল অদ্ভুতুড়ে। যুব তৃণমূলের একটা অংশ বিরোধী বিজেপির সঙ্গে থেকে দলের সঙ্গে বেইমানি করছে। ফলে তাঁর কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। দলের লাউদোহা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ঘটনার দায় ইসিএলের বলে পাল্টা দাবি করেছে। ঘটনার পর তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বাড়ি থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। বিচারপতির নির্দেশ মেনে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা সুকন্যার। টেট পাস না করেও প্রভাব খাটিয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির অভিযোগ ওঠে সুকন্যা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। তারপরেই অনুব্রত কন্যা (Daughter) সহ ৬ জনকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Highcourt) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ। এই ছয় জন হলেন, অনুব্রত-কন্যা, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদি, অর্ক দত্ত, সুমিত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। বুধবার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফিক্সড ডিপোজিটের কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তবে ক্যাশ নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই এফডি-গুলির হদিশ পেয়ে তদন্তে নামে।
সিবিআই সূত্রে খবর, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে গরু পাচারের টাকা নিজের মেয়ে ও পরিবারের সদ্যদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে দেওয়া হত একটা পার্সেন্টেজ টাকা। পার্সেন্টেজ নির্ভর করত কত টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হচ্ছে তার ওপর এবার সেই সকল অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররাও সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এরপরই বোলপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপরই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির হদিশ পান সিবিআই আধিকারিকরা।
বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি (Anubrata Mandal) ঘিরে এখনও সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে, দলীয় নির্দেশ মেনে রাস্তায় নামল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। অন্যদিকে পথে নেমে সুর চড়াল বিরোধীরা।
এরই মধ্যে ফের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারি (Chandranath Adhikari)। তিনি জানান, "বৃহস্পতিবার সকালবেলা সিবিআই-এর তিনজন অধিকর্তা এসেছিলেন আমার বাড়ি। এসে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন। শুরু থেকে শেষ অবধি একই বয়ান আমি দিয়েছি। আমার বয়ান একটি সাদা কাগজে লিখে নেন তাঁরা। তারপর আমাকে ভয়েস রেকোর্ডিং-য়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়। আমি সংবাদমাধ্যমকে যা যা রেকোর্ডিং দিয়েছি, সেসব তাঁদেরও দিয়েছি। এরপর খুব বেশি সময় নয়, আধ ঘণ্টার মত কথা বলে আমার সঙ্গে তাঁরা চলে যান।" তবে এদিন তিনি আরও জানান, রাজনীতি নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও মন্তব্য নেই। কারণ, তিনি একজন চিকিত্সক, সরকারি কর্মী। তবে এই সমস্ত ঘটনার পর সুপার কোনও যোগাযোগ করেননি তাঁর সঙ্গে, জানান চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।