২০২১-এর বিধানসভা ভোটে হাইপ্রোফাইল ভবানীপুর আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণনগরের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে চব্বিশের ভোট আবহেও তিনি চর্চায় ছিলেন। কিন্তু দুই দফায় বাংলার মোট ৩৮ আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। কোথাও নেই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষের নাম। এদিকে, রবিবার বাংলার জন্য বিজেপির দ্বিতীয় দফায় প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হতেই প্রায় ৫০টির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন রুদ্রনীল। পুরোটাই কাকতালীয়, না অন্য উদ্দেশ্য? সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কী বলছেন রুদ্রনীল ঘোষ, জানুন।
৭৭টি গ্রুপকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলছেন, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভালোবেসে তাঁকে একাধিক গ্রুপে জুড়েছেন। এই গ্রুপগুলোর সঙ্গে সরাসরি দলের কোনও সংযোগ নেই। প্রতি গ্রুপের কনটেন্টও কমবেশি প্রায় এক। তাই তিনি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সম্মান জানিয়েও গণহারে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। দলের অফিসিয়াল গ্রুপগুলোতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান রুদ্রনীল। কিন্তু তাতেও ধোঁয়াশা সরছে না, কোথাও কি ক্ষুব্ধ তিনি, এই প্রশ্নও উঠছে।
শিবপুরের ছেলে হয়েও একুশের ভোটে তিনি ভবানীপুরের মতো হেভিওয়েট বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। দলই তাঁকে সেই সুযোগ করে দিয়েছিল, তিনি সাধ্যমতো লড়াইও করেছিলেন। দলের দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করলেন রুদ্রনীল ঘোষ। ভোটের পরও তিনি এলাকায় ছিলেন এবং শারীরিক নিগ্রহেরও শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি, এই অভিযোগ তুললেন রুদ্রনীল ঘোষ। দলের প্রতি আনুগত্য বা সংকল্প থেকে তিনি এসব করেছেন, এমন সুরও ফুটেছে রুদ্রনীলের গলায়। একুশের ভোটের পর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন, এবার কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম চর্চায় ছিল। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি নয়, কেন? এবার সেই আসনে বিজেপির প্রার্থী অমৃতা রায়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, তাও দলের পছন্দের তালিকায় কেন তিনি? এসব প্রশ্ন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে।
'দল আমার ভালো লাগা দিয়ে চলে না, একটা দল চলে অ্যাজেন্ডার উপর।' কৃষ্ণনগরে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম না থাকা ঘিরে শুরু হওয়া চর্চায় এভাবেই জল ঢালতে চেয়েছেন তিনি। এমনকী, কৃষ্ণনগরের দলীয় প্রার্থীকে নিয়েও কৌশলী রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলছেন, সম্পূর্ণ দলীয় সিদ্ধান্ত। শুধু রাজনৈতিক পরিচিতির বাইরেও প্রার্থীপদে থাকা ব্যক্তির পিছনে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। সিএন-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে এই দাবি করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
তাঁর মতে, যাঁদের যোগ্য মনে হয়েছে, যাঁদের মানুষ চাইছে তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে। এখনও চার আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা বাকি, সেখানে কি নাম থাকবে রুদ্রনীল ঘোষের। তিনি বলছেন আশা তো রাখছি! মোটের উপর কৌশলী রুদ্রনীলের জবাব, তিনি বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু তিনি উত্তর খুঁজছেন কোন কোন যোগ্যতায় বাকিরা প্রার্থী, আর তাঁর অযোগ্যতা কোথায়? যাঁরা বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রার্থী, তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সাফ মন্তব্য, আগামিতে দলের পতাকা ধরেই লড়াই জোরদার হবে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইএর হাতে গ্রেফতার ৪ জন। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। এই ৭ জন হলেন আলী হোসেন ঘরামী, সঞ্জয় মন্ডল, সুকমল সদ্দার, মেহেবুব মোল্লা, আমিনুর শেখ, এনামুল শেখ এবং আইজুল শেখ।
এই ৭ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। এ বিষয়ে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের। বুধবার বসিরহাট মহাকুমা আদালত চত্বরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ সন্দেশখালি কেসের তদন্তে ও নথি সংগ্রহ করতে বসিরহাট আদালতে তারা আসেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷ পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ফারুক আকুঞ্জিকেও মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি? সিবিআই সূত্রে খবর, একদিকে যখন তাঁর ফাঁসির দাবিতে সরব ছিল সন্দেশখালি, তখন তিনি ছায়াসঙ্গী ফারুক আকুঞ্জির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেকারণেই সমগ্র বিষয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন এই সন্দেশখালি কাণ্ডের জল কতদূর গড়ায়, আর কোন কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।
সন্দেশখালির পথে 'দাবাং মোডে' সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট স্টেশন থেকে বাইকে করে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিসি বাধা এড়াতে সুকান্তর এই ফন্দি। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকরাও সন্দেশখালির পথে এগিয়ে যান।
হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে লোকাল ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি করে যেতে গেলে পুলিসের বাধা আসতো। এরফলে যানজট তৈরি হত। যদিও বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
সন্দেশখালিতে যে নৈরাজকতার শাসন এতদিন ধরে চলছিল, তার তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার। নারীদের অসম্মান। নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বেআইনি জমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির আজ, মঙ্গলবার এই অভিযান বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। এবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। তার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এদিন ঘোষণা করলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য এবার নতুন আবাস যোজনা চালু করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের সাফল্যও তুলে ধরেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, "করোনাকালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হলেও পিএম আবাস যোজনার কাজ চলেছে। আমরা প্রায় ৩ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে ওই প্রকল্পে আরও ২ কোটি বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়েছি আমরা। একই সঙ্গে নির্মলার ঘোষণা, দেশের এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পবিত্র দিনে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।"
গরীব, মহিলা, যুব সমাজ ও অন্নদাতা (কৃষক), সমাজের এই চার স্তরের মানুষের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর সরকার। কারণ, এদের উন্নতি না হলে কোনও সরকার এগোতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলার দাবি, গত ১০ বছরে সাধারণ নাগরিকদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও কর। গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। বাজেট ভাষণে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি।
কোন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দেশের সুরক্ষা? সংসদ ভবনের ধোঁয়া হামলার পর থেকেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। এর মাঝেই শঙ্কা ভারত-বাংলা সীমান্তের উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ নিয়ে। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিদেশে পাচারের অভিযোগে মুম্বই অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের হাতে গ্রেফতার কালিয়াগঞ্জের যুবক মুক্তা মাহাতো। অভিযোগ, দেশের গোপন তথ্য পাচার করেই মুক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করত সে৷ শুক্রবারই ধৃতকে তোলা হয় রায়গঞ্জ জেলা আদালতে৷
অভিযোগ, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিদেশে পাচারের ঘটনায় অ্য়াকাউন্টে হাজার হাজার টাকা ঢুকেছিল ধৃতের। এই ঘটনা জানতে পেরেই হুঁশ উড়ে যায় তদন্তকারীদের৷ কালিয়াগঞ্জের মত গ্রামীণ এলাকায় বসে কিভাবে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশের হাতে তুলে দিল অভিযুক্ত ওই যুবক! তা ভেবেই পাচ্ছে না তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা৷ বর্তমানে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধে ও জেহাদিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মোদি সরকার। তারই মধ্যে কয়েকদিন আগে সংসদে ঘটে অঘটন। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনায় কার্যত হতবাক জেলার মানুষ৷
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টে ধৃতের বিরুদ্ধে মামল রুজু হয়েছে৷ ভারতীয় কিছু গোপন নথি পাচারের অভিযোগ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পারে মুক্তা মাহাতোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে৷ মূলত মুম্বই ডক ইয়ার্ডে যে সমস্ত জাহাজ আনাগোনা করত সেখানে নজরদারি চালাত তারা। সেখানকার গোপন নথি বিদেশে পাচার করত৷ এই মামলাতেই ৩ দিনের টার্নজিট রিমান্ডে ১৮ ই ডিসেম্বর মুম্বাইর আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম৷
রোবটের (Robots) দুনিয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রোবটের হাতেই খেলেন চা, এমনকি কথাও বললেন। সেই ছবিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এই দৃশ্য গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদের। সেখানের সায়েন্স সিটির নেচার পার্কে আয়োজন করা হয়েছিল রোবট প্রদর্শনীর। আর সেই প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সেই প্রদর্শনীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোবটদের কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, 'ভাইব্র্যান্ট গুজরাট' কর্মসূচির ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্যে গুজরাটে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার দিনভর তিনি ঘুরেছেন সায়েন্স সিটিতে। মোদীর সঙ্গে এদিন ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। নিজের কর্মসূচির ব্যস্ততার মাঝেই গুজরাটের সায়েন্স সিটির রোবটিক্স গ্যালারি ঘুরে দেখেন। রোবটিক্স গ্যালারিতে সময় কাটানোর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে ও সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রোবটের হাত থেকে চা নিয়ে খাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে দুটি স্যান্ডউইচ, জলের বোতলও। এছাড়াও রোবটের নানান কর্মকাণ্ড দেখেন তিনি। রোবটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই ছবিগুলো বর্তমানে ভাইরাল।
এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও (WhatsApp) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)! মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণেশ চতুর্থীর পুণ্য লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে (WhatsApp Channel) যোগ দিয়েছেন। আর এই চ্যানেলে যোগ দিতেই হু হু করে বেড়ে চলেছে তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা। মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই পেরিয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ ফলোয়ার্স। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দেওয়ার জন্য চ্যানেলের লিঙ্কটিও শেয়ার করেছেন। তিনি তাঁর প্রথম পোস্টে নতুন সংসদ ভবনের ছবি শেয়ার করেছেন।
এতদিন দেখা গিয়েছে, প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-ইনস্টাগ্রাম, এক্স-এ রাজ করে চলেছেন মোদী। এমনকি অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের থেকেও সমাজমাধ্যমে বেশি ফলোয়ার্স মোদীর। এছাড়াও জনপ্রিয়তার নিরিখে একাধিকবার বিশ্বসেরার তালিকায় তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের ছাপিয়ে গিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছে। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় তাঁর জনপ্রিয়তা। আর এবারে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিতে সেটাই ফের প্রমাণিত হল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোদীর চ্যানেলে ফলোয়ার্স সংখ্যা হল ১০ লক্ষেরও বেশি। এমনকি তাঁর শেয়ার করা পোস্টেও রিঅ্যাকশন বেড়েই চলেছে। একেই হয়তো বলে মোদী ম্যাজিক!
ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্ধর্ষ ফর্মে টিম ইন্ডিয়া। ছন্দ ফিরে পেয়েছে টপ অর্ডার। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি। চার ব্যাটসম্যানই গত দুটি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। তার ফলও পেলেন তাঁরা। আইসিসি ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১০-এর মধ্যে ঢুকে গেলেন তিন ব্যাটসম্যান। কেরিয়ারের সেরা ব়্যাঙ্কিং শুভমান গিলের।
বুধবার আইসিসি ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশের মধ্যে দুই নম্বরে শুভমান গিল। আট নম্বরে বিরাট কোহলি। নয় নম্বরে উঠে এলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এক নম্বরে এখনও বাবর আজম। তাঁর পয়েন্ট ৮৬৩। শুভমানের পয়েন্ট ৭৫৯।
এশিয়া কাপে শুভমান গিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। রোহিতের সঙ্গে ১২১ রানের পার্টনারশিপ করেন বিরাট। এদিকে এশিয়া কাপে পরপর তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন রোহিতও।
ফের মেট্রো বিভ্রাট। কালীঘাট স্টেশনের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে রবীন্দ্র সরোবর থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো পরিষেবা। তার জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলছে স্বাভাবিক ভাবেই।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, কালীঘাট স্টেশনে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়ার ব্লক করে মেরামতের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই পরিষেবা ফের চালু হবে। এদিকে অফিস টাইমে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে থিকথিকে ভিড় স্টেশনগুলিতে। বাসেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অন্যদিকে বাইক ট্যাক্সির চাহিদা বাড়ায় অনেকেই বুক করতে পারছেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবার গিরীশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। যদিও সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করেন। সেদিনও ওই ঘটনার জন্য দীর্ঘক্ষণ মেট্রো চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।
বুধবার সোদপুর স্টেশন রোডে চিত্রশিল্পী ও তাঁর মা-কে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিস প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস-এর স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল। খড়দহের মুখার্জী রোডের বাসিন্দা জলি বিশ্বাসের অভিযোগ, ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছেন আবাসনের কমিটির সদস্য প্রাণগোপাল সাহা সহ অন্যান্য সদস্যরা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতারা।
জলি বিশ্বাস ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, শুরু হয় একের পর এক নিগ্রহ। অভিযোগ, ফ্ল্যাটের সামনে নোংরা আবর্জনা ফেলা রেখে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে আবাসনের কোনও বাসিন্দাই প্রাক্তন পুলিস কর্তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন না। আতঙ্কে গৃহবন্দি রয়েছেন জলি।
গত ২০২০ সালে মৃত্যু হয় প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসের। মৃত্যুর ৩ বছর পর আচমকাই আবাসন থেকে চাপ দেওয়া শুরু হল। খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আতঙ্কে গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন জলি বিশ্বাস ও তাঁর মেয়ে।
আবাসনে বসবাসেও নেই নিরাপত্তা? সামান্য আবাসন কমিটির সদস্য হয়েই এত বাড়বাড়ন্ত? নাকি মাথায় প্রভাবশালী হাত থাকার সুবাদেই এই সাহস? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস। খড়দহ থানার হস্তক্ষেপে এলাকার নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত হয়, সেটাই দেখার।
রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। যাদবপুরের ঘটনায় এবার আদালতে এই দাবি করল পুলিস। আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর সৌরভকে বাঁচানোর অনেক প্রমাণ পুলিসের হাতে রয়েছে। এমনকী ওই গ্রুপে নির্দেশ দেওয়া হত, সৌরভ সম্পর্কে পুলিস জিজ্ঞেস করলে কী বলতে হবে। গোটা ঘটনায় সৌরভকেই মূল চক্রী বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর এবার যাদবপুরের মূল হস্টেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় রোজ রাতেই হস্টেলের মধ্যে থেকে ডিজের শব্দে কান পাতা দায় হত। এমনকী, পড়শিদের অভিযোগ এই অত্যাচারের জেরে ছোটদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটল।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরের হস্টেলে এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল এখন রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতভর জেরা করা হয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন পড়ুয়াকে।
ফের হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) প্রতারণার খবর শিরোনামে। পরিশ্রম না করেই উপার্জন, এই লোভ দেখিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিতেই খোয়াতে হল লক্ষাধিক টাকা। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার (Noida) এক মহিলার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, তাঁকে বলা হয়েছিল ইউটিউব ভিডিওতে (Youtube Videos) লাইক করলেই মোটা টাকা উপার্জন হবে। কিন্তু সেই কাজ করেই একনিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে গেল ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপরই বুঝতে পারেন যে, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, নয়ডার সেক্টর ৬১-এর বাসিন্দা সেই মহিলা। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য এক মেসেজ পান। প্রতারকরা তাঁকে জানান, বিনা পরিশ্রমেই অর্থ উপার্জন করতে তাঁকে শুধুমাত্র কিছু ভিডিও লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে হবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপেও যোগ করা হয়। এরপর তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হয়। আবার তাঁকে বিশ্বাস করানোর জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপর নয়ডা পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কারা এই ঘটনার পিছনে তার তদন্ত করছে নয়ডা পুলিস।
অনলাইন প্রতারণার (Online fraud) শিকার মানুষ প্রায়ই হয়। গ্রাহকদের (Customer) অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কল (WhatsApp call) বা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। এর পর গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে হোয়াট্সঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা। তাদের তরফেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গ্রাহকদের জন্য তিনটি নম্বর থেকে ফোন এলে না ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নম্বরটিকে ‘ব্লক’ করে, সংস্থার কাছে ‘রিপোর্ট’ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মেটা সংস্থা জানিয়েছে, মূলত আন্তর্জাতিক কল-এর মাধ্যমেই গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে ফাঁসানো হয়। হোয়াট্সঅ্যাপে বহু সংখ্যক গ্রাহকের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দু-এক দিন পর পর ভুয়ো কল বা মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটে। প্রতারণার এই ঘটনা সব চেয়ে বেশি ঘটছে মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ভিয়েতনাম এবং ইথিওপিয়ায়। হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ দিয়েছেন, ফোন নম্বরের শুরুতে যদি ৮৪, ৬২ এবং ৬০ থাকলে তবে ভুলেও সেই ফোন তুলবেন না। পাশাপাশি ফোন কেটে দিয়ে নম্বরটিকে ব্লক করবেন।
পঠনপাঠনের গাফিলতি-সহ মিড ডে মিলের (Mid day meal) চাল চুরির অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা (Teacher)। তাই শিক্ষিকার বদলির দাবিতে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসাত সাউথ কাজীপাড়া বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। এই ঘটনার তদন্তে বারাসাত সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিআই, জেলাশাসক ও ডিপিএসসির কাছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকরা। তাই বিদ্যালয়ে এসেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বিক্ষোভরত অভিভাবকরা জানান, এর আগেও প্রাক্তন টিআইসি জোৎস্না রানী শীল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে চাল চুরির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমনকি পড়ুয়াদের ঠিকমতো পড়াশোনাও করানো হচ্ছে না। তাই শুক্রবার বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ।
দাবি, বিদ্যালয়ে ঠিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করান না এই শিক্ষিকা। তাই শিক্ষা দফতর থেকে অতি দ্রুততার সঙ্গে এই শিক্ষিকার অন্যত্র বদলি করানো হোক, এমনটাই দাবি তাঁদের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জোৎস্না রানী শীল বিশ্বাস।
গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে (Heat) যখন-তখন শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে। যার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। এই প্রখর রোদের তেজে সাধারণত মানুষদের হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) মত সমস্যা দেখা যায়। প্রচন্ড গরমের ফলে শরীর যখন খুব গরম হয়ে যায়, সেই অবস্থাকেই হিট স্ট্রোক বলা হয়। এই অবস্থায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি সঙ্গে সঙ্গে দেহের তাপমাত্রা না কমানো হলে বা তাঁর চিকিৎসা না করানো হলে তাঁর প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। সূত্রের খবর, গ্রীষ্মকাল (Summer) পড়তেই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন হিট স্ট্রোকে।
তীব্র সূর্যালোকে থাকার ফলে মানুষের হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় দেহের তাপমাত্রা প্রচন্ড বেড়ে যায়, বমি-বমি ভাব হয়, হার্ট রেট বেড়ে যায়, প্রচন্ড ঘাম হয়, এমনকি অজ্ঞানও হয়ে পড়েন মানুষ। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যুও হয়ে যায়।
ফলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কীভাবে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। সবসময় হাইড্রেটেড থাকতে হবে। সানস্ত্রিন ব্যবহার করতে হবে। তীব্র সূর্যালোকে হালকা রংয়ের ও ঢিলে ধরনের পোশাক পরতে হবে, সবসময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের প্রখর তেজ থেকে দূরে থাকাই ভালো, তবে যাদের বাইরে বেরোতেই হয়, তাঁদের এসব নিয়ম মেনে চলা উচিত।