Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AAP

Parineeti: পরিণীতিকে বিয়ে করছেন রাঘব চাড্ডা? এই দুয়ের ডিনার ডেট ঘিরে জোর জল্পনা

বৃহস্পতিবার রাতে সকলের নজর কেড়ে নেয় অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) ও 'AAP' নেতা রাঘব চাড্ডা। চুপিসারে নৈশভোজে (Dinner Date) গিয়েছিলেন দুজনে। সেখানেই শেষ নয়, পরের দিন লাঞ্চ করতেও যান তাঁরা। আর সেই ছবিই ধরা পড়েছে পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। শোনা যায়, তাঁরা দুজন (Raghav-Parineeti) নাকি পুরনো বন্ধু। দুজনেই বিদেশে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। যদিও রাঘব 'লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস'-এর প্রাক্তনী। কিন্তু তাঁদের এই 'ডেট'-এ যাওয়া, সকলের মনে নতুন করে প্রশ্নের সঞ্চার করেছে। তাঁরা কি এখনও কেবল ভালো বন্ধুই রয়ে গিয়েছেন? নাকি বন্ধুত্ব এগিয়েছে ভালোবাসার দিকে?

বুধবার রাতে রাঘব ও পরিণীতি গুরগাঁওয়ের হোটেলে গিয়েছিলেন ডিনার করতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের আরও একবার বান্দ্রার রেস্তোরাঁয় দেখতে পাওয়া যায়। পরিণীতি পরেছিলেন কালো ক্যাজুয়াল পোশাক, রাঘবকেও দেখা যায় ক্যাজুয়াল পোশাকে। আবার সাদা শার্টেও টুইনিং করেছিলেন পরিণীতি ও রাঘব। পড়াশোনা করতে গিয়ে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন দুজনে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী পরিণীতি। রাঘব চাড্ডাও রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির পঞ্জাবের সাংসদ। দুজনেরই পছন্দের বিষয় ভ্রমণ। দুজনে নাকি আন্তর্জাতিক ট্রিপ নিয়ে বহু আলোচনা করেন।

শুক্রবার সংসদ ভবনে ঢোকার মুখে রাঘবকে সাংবাদিকরা এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমাকে পরিণীতি নয়, রাজনীতির বিষয়ে প্রশ্ন করুন।' সাংবাদিকরা এতেও সন্তুষ্ট না হলে আপ নেতা বলেন, 'আমি ও পরিণীতি বিয়ে করলে আপনাদের নিশ্চয় জানাবো।' তবে এই সময় দেখার মতো ছিল রাঘবের চেহারা। স্মিত হাসিতে যেন সন্তুষ্টি, একই সঙ্গে লুকোতেও চাইছেন কিছু। নেটিজেনরা বলছেন এই রটনা যদি মিথ্যে হত, তাহলে রাঘব সরাসরি না বলে দিতেন। অর্থাৎ রাঘবের বক্তব্যে জল্পনার নিরসন হল না কিছুই। আরও যেন পালে হাওয়া লাগল।

সম্প্রতি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর ও সমাজবাদী পার্টির নেতা ফাহাদ আহমেদ বিয়ে করেন। বলিউড ও রাজনীতি কি আবারও হাত মেলাতে পারে? স্বরার পথেই কি হাঁটবেন পরিণীতি? এই সবই এখন জল্পনা। যদিও পরিণীতি এবং রাঘব কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে কথায় আছে না 'যা রটে, তার কতকটা তো বটে।'

one year ago
Rajasthan: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে রাজস্থানের হোটেলে তরুণীকে ধর্ষণ কমেডিয়ানের

চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের(Rape)অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান খয়ালী সহারনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে। বৃহস্পতিবার জয়পুরের(Jaipur)মানসরোবর থানায় খয়ালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে কৌতুকশিল্পীকে গ্রেফতার করে মানসরোবর থানার পুলিস(Police)। মানসরোবর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সন্দীপ যাদব বলেছেন, 'মহিলার দায়ের করা অভিযোগের পর কৌতুক অভিনেতার বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।' 

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কৌতুক শিল্পী আম আদমি পার্টির(AAP) কর্মী ছিলেন। এমনকি তিনি ‘ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ সিজন ২’ ও কপিল শর্মার শোয়েও অতিথি হয়ে এসেছিলেন। চলতি মাসের সোমবার চাকরি পাইয়ে দেবে বলে নির্যাতিতা তরুণীকে মানসরোবর এলাকার এক হোটেলে নিয়ে যান খয়ালী। সেখানেই এমন ঘৃণ্য কাজ করেন তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, শ্রীগঙ্গানগরের বাসিন্দা ওই মহিলা। মহিলাটি একটি ফার্মে মার্কেটিং এগজিকিউটিভ হিসেবে কাজ করতেন। তিনি অন্য এক মহিলার কাছে প্রায় এক মাস আগে একটি নতুন কাজের জন্য সাহায্য চায়। পরে সেই অন্য মহিলায় তাঁকে কমেডিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন।

তদন্তে পুলিস জেনেছে, খয়ালী হোটেলে দু’টি ঘর বুক করেছিলেন। একটি নিজের জন্য এবং অন্যটি দুই মহিলার জন্য। এরপর তরুণীর অভিযোগ, কমেডিয়ান নিজে মদ্যপান করেন এবং ওই দুই মহিলাকেও মদ্যপান করতে বাধ্য করেন। তারপরই অন্য মহিলাটি ঘর থেকে চলে গেলে সুযোগ বুঝে তরুণীকে ধর্ষণ করেন খয়ালী।

এই ঘটনায় পুলিস আম আদমি পার্টির মুখপাত্র যোগেন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে এই বিষয়ে যোগেন্দ্র গুপ্ত বলেন, 'আপ-এর লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। খয়ালী তাঁদের মধ্যে একজন। সে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার দায় পার্টি কেন নেবে?'

one year ago
MCD: মেয়র নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্র দিল্লি পুরসভা! আপ-বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি

দু'দলের (BJP And AAP Scuffle) কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র দিল্লি পুরসভা (Delhi Municipality)। আপ-বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতির জেরে স্থগিত পুরসভার মেয়র নির্বাচন (Mayor Election)। ফলে দেশের রাজধানী অঞ্চলে এবার নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে নাগরিক পরিষেবা।

দিল্লির পুর আইন বলছে, মেয়র-ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী নয়। আর সেই অঙ্কে ভর করেই কাউন্সিলর সংখ্যার হিসাবে অনেক পিছিয়েও মেয়র ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। ফলে তৈরি হয়েছিল গোলমালের আশঙ্কা। শুক্রবার অধিবেশনের সূচনায় বিতর্ক তৈরি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপালের এক মনোনয়ন। উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা সত্য শর্মাকে তদারকি স্পিকার মনোনীত করেন।

বিজেপি নেতা সত্য মেয়র ভোটের আগে শপথগ্রহণ করাতে গেলে বাধা দেন আপ কাউন্সিলররা। দিল্লির লেফটান্যান্ট গভর্নর আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই একাজ করছেন, অভিযোগ তুলেছিল আপ।

২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেলেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস।

one year ago


AAP: আপের টিকিটে ভোটে জিতে বিজেপি যোগের সম্ভাবনা গুজরাতের ৫ বিধায়কের

গুজরাত ভোটে (Gujrat Vote) প্রথমবার লড়ে আশাব্যাঞ্জক ফল আম আদমি পার্টির (AAP)। প্রবল বিজেপি হাওয়ার মধ্যেই আপের ঝুলিতে ৫ বিধায়ক। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, কেজরিওয়ালের দল কংগ্রেসের ভোট কেটে গুজরাতে বিজেপির পালে হাওয়া দিয়েছে। কিন্তু তাও নিজেদের দলের ৫ বিধায়ককে সম্ভবত ধরে রাখতে পারছে না আম আদমি পার্টি। সংবাদমাধ্যমে খবর, আপের পাঁচ জনই পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে পারেন। সেই সংবাদ প্রকাশ্যে হতেই শুরু জোর জল্পনা।

সদ্যসমাপ্ত গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টির মধ্যে পাঁচটি আসনে জিতেছে আপ। ৮০% আসনে জিতেছে বিজেপি, ৫০-র নিচে বিধায়ক সংখ্যা কংগ্রেসের। জানা গিয়েছে, আপের টিকিটে জেতা ৫ বিধায়কের মধ্যে তিন জন বিজেপিতে ছিলেন। নির্বাচনে টিকিট পাবেন না এই সম্ভাবনা জোরালো হতেই শিবির বদলেছিলেন। এ বার শোনা যাচ্ছে, আপের টিকিটে জিতে ফের বিজেপিতে যাওয়ার কথা নাকি ভাবছেন তাঁরা।

one year ago
MCD: আপের দখলে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, এবার হিমাচল-গুজরাতের ফলাফলের অপেক্ষা

পূর্বাভাস সত্যি করে দিল্লি পুরসভা বা দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (MCD) দখল আম আদমি পার্টির (AAP)। আপের পক্ষেই যাবে দিল্লি পুরসভা, দাবি করেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল হাতছাড়া বিজেপির (BJP)। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আপ দখল করেছে ১৩৪টি ওয়ার্ড, বিজেপির দখলে ১০৪টি ওয়ার্ড। কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন আর অন্যদের ঝুলিতে ৩টি আসন।

এদিন গণনা শুরুর প্রথম থেকেই গেরুয়া ঝড়ের আভাস ছিল। তবে বেলা গড়তেই কেজরিওয়ালের দলের দিকে যেতে শুরু করে ফল। একটা সময় ছিল বিজেপি আপের জোর টক্কর। তবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে অনেক আগেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যায় দিল্লির শাসক দল। বাকি সব ভোটের মতো দিল্লি পুরসভার ভোটেও ফল খারাপ কংগ্রেসের।


MCD নির্বাচনের ক্ষেত্রে AAP জয়ী হবে বলে ভোটের পর থেকেই আপের দিকে পাল্লা ভারি রেখেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা। যদিও ৭০%-র মতো বেশি আসনে কেজরিওয়ালের দলের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেশের দুই রাজ্যের ফল ঘোষণা। হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাতের ফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাত ফের বিজেপির দখলে থাকবে, এই ইঙ্গিত দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। হিমাচল প্রদেশে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা বৃহস্পতিবার ইভিএম খোলার।

one year ago


Gujrat: বিধানসভার যুদ্ধে চলছে প্রথম দফার ভোট, বিজেপি প্রার্থীকে মারধরে কাঠগড়ায় কংগ্রেস

গুজরাতে (Gujrat Assembly Election) চলছে প্রথম দফায় ৮৯টি আসনে বিধানসভার ভোট (Vote) গ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। গুজরাতের মোট ১৮২টি বিধানসভার আসনের মধ্যে প্রথম দফায় কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাত মিলিয়ে ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, ৭৮৮ জন প্রার্থীর (Candidate) ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

এই দফায় ভাগ্য পরীক্ষা ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানীর। বৃহস্পতিবার গুজরাতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও দফতর জানিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ১৪,৩৮২টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত। এই দফায় ভোট দেবেন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ভোটার। দ্বিতীয় দফায় উত্তর ও মধ্য গুজরাতের ৯৩টি আসনে ভোট হবে আগামী সোমবার, গণনা ৮ ডিসেম্বর।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে এই ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৮টি আসন। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জিতেছিল ৪০টি আসন। পরবর্তী সময়ে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও এ বার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টিও।

এদিকে, প্রথম দফার ভোটে গুজরাতেও ঝরল রক্ত। ভনসদার বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ওই আসনে পদ্ম প্রার্থী যখন ভোট কেমন হচ্ছে, নিজের কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন, তখনই তাঁর উপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, বুধবার রাতে পীযূষ প্যাটেল যখন ভনসদা আসনের ঝারি গ্রামে যান, তখন তাঁর গাড়ি ঘিরে এই আক্রমণ চলেছে। তাঁর মাথা ফাটানো হয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। পীযূষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অনন্ত প্যাটেল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। দলের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভনসদা থানায়।

one year ago
AAP: জেলেই ম্যাসাজ-মালিশ কেজরিওয়ালের মন্ত্রীকে! তিহার জেলের ভাইরাল ভিডিওয় শোরগোল

সাদা চাদর পাতা বিছানায় আয়েশ করে শুয়ে রয়েছেন তিনি। মাথায়, পায়ের তলায় নরম তাকিয়া। পাশে বালিশের উপর আবার রাখা রয়েছে টিভি রিমোট। কখনও আধবসে, কখনও আবার শুয়ে সেবা নিচ্ছেন। আবার ভালো না লাগলে এপাশ ওপাশ ফিরেও শুয়ে পড়ছেন কখনও কখনও। আবার মাঝেমধ্যে হাতে ধরা কিছু কাগজ নাড়াচাড়া করছেন, আবার কখনও সেগুলির উপর চোখ বোলাচ্ছেন। না, এটা কোনও পাঁচতারা হোটেলের বিলাসবহুল কামরা নয়। কিংবা কোনও স্পা (Spa) পার্লারও নয়। এই স্থান হল জেল! তাও যে সে সংশোধনাগার নয়, বরং দেশের অন্যতম কঠোর জেল হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে যেটিকে, অর্থাৎ দিল্লির (Delhi) তিহার জেল (Tihar Jail)। আর সেখানেই ধরা পড়েছে এই ভিডিও। তবে এই ঘটনার পর সমালোচনায় মুখর হয়েছে সব বিরোধী পক্ষই।

শনিবার সকাল থেকেই এক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ছোট একটি ঘর, তার এক কোণে রাখা গদিওয়ালা খাটে শুয়ে রয়েছেন যিনি, তিনি হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি (AAP) সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain)। জেলের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ধরা পড়েছে, বেশ মজায় শুয়ে রয়েছেন মন্ত্রী, আর এক ব্যক্তি তাঁর পা টিপে গা মালিশ করে দিচ্ছেন।

রীতিমতো পেডিকিওরের মত পায়ের পাতা মাসাজ করার পর্ব চলছে জেলের ভিতরেই! আর এই দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক আপামর সাধারণ মানুষ। অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। উল্লেখ্য, এর আগেও তিহার জেলের কিছু ঘটনা নিয়ে হয়েছিল জলঘোলা। সেখানে নাকি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয় আপ মন্ত্রীকে। এই গুরুতর অভিযোগ করেছিল দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপার অজিত কুমারকে। কিন্তু তারপরেও কি কোনও রকম হেলদোল নেই জেল কর্তৃপক্ষের?

ভিডিও সামনে আসতেই সবার আগে উঠছে এই প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, রাজধানীর শাসক দলের মন্ত্রী বলেই জেলের মধ্যেও এরকম পরিষেবা, তাহলে অন্যান্য কয়েদীদের ক্ষেত্রে কেন কষ্টের জেল জীবন? এরকম প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরাও। প্রসঙ্গত, বিপুল অঙ্কের আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয় আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে।


one year ago
Punjab: সিধু মুসেওয়ালার পর এবার পঞ্জাবে আততায়ীর গুলিতে নিহত শিবসেনা নেতা

সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala) পর এবার শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সুধীর সুরি, আততায়ীর গুলিতে পঞ্জাবে (Punjab) নিহত রাজনীতিবিদ। আর এই হত্যাকাণ্ডের (Assasination) পরেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে আপ (AAP Government) সরকারের অধীনে রাজ্যের পঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা। অমৃতসর শহরের এক প্রতিবাদ সভা চলাকালীন খুব কাছ থেকে এক আততায়ী সুধীর সুরিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বন্দুকও, এমনটাই অমৃতসর পুলিস সূত্রে খবর।  

প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে আততায়ী স্থানীয় ব্যবসায়ী। বহুদিন ধরেই টার্গেট নিহত শিবসেনা নেতা। পুলিস সূত্রে খবর, শিবসেনা নেতারা মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময়ই ভিড় থেকে এসে সুরিকে গুলি করে অভিযুক্ত। ওই মন্দির চত্বরে আবর্জনার মধ্যে দেবদেবীর ভাঙা মূর্তির খোঁজ মেলায় শিবসেনা নেতারা মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বসেন। এই বিক্ষোভ চলাকালীন এক পুলিস আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন সুরি। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অভিযুক্তর নাম সন্দীপ সিং।

যে জায়গায় গুলি চলেছে, সেটা একটি জনবহুল এবং আবাসিক এলাকা বলেও জানা গিয়েছে।

2 years ago


Border: পেট্রাপোলের পর এবার মহদীপুর সীমান্তে মিলবে 'সুবিধা অ্যাপ'-এর সুবিধা

ইতিমধ্যেই পেট্রাপোলে (Petrapole Border) চালু হয়েছে 'সুবিধা অ্যাপ' (Suvidha App) । সোমবার থেকে মালদহের (Maldaha) মহদীপুর সীমান্তে (Mahaidpur Border) এই অ্যাপ চালু করতে চলেছে মালদহ জেলা প্রশাসন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুকিং করতে হবে রপ্তানিকারকদের। এই অ্যাপ থেকে নির্দিষ্ট দিন এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে রপ্তানি কারককে। সেই দিনেই পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের যেতে পারবে নির্দিষ্ট নম্বরের লরি। এখন থেকে এইভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে সীমান্ত বাণিজ্য (Business)।

আর এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী এবং রপ্তানি কারকরা। মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, এক গাড়ি পাথর বাংলাদেশের রপ্তানি করে তিন হাজার টাকা লাভ হয়। সরকারকে যদি ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয় তাহলে ৭০০০ টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতি করে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। মালদহ জেলায় বহু মানুষ মহদীপুর সীমান্তে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সমস্যায় পড়বেন তাঁরাও।

মহদীপুর এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তপন দাস বলেন, মহদীপুরে পরিকাঠামো নেই। সরকারি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় অ্যাপ চালু হলে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরা। পরিকাঠামো তৈরি করে অ্যাপ চালু করা হোক।

আর এই অ্যাপ চালু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ইংরেজ বাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী বলেন, মহদীপুর একটা প্রতারণার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এই অ্যাপ ভুয়ো।

এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সবাইকে মানতে হবে। রাজ্য সরকার ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এসব বলছেন।

মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পার্কিংয়ের জন্য জায়গা চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। সরকারের অনুমতি পেলেই শুরু হবে পার্কিং তৈরির কাজ। পার্কিং হলে আর সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবসায়ীদের।

2 years ago
Delhi: ৫৮-৮ ভোটে দিল্লি বিধানসভার আস্থা জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল

৫৮-৮ ভোটে আস্থা ভোট (Trust Vote) জিতে দিল্লিতে সরকার টিকিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kajariwal)। যদিও ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে ৬২টি আসনে জিতেছিলেন আপ প্রার্থীরা। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৮ আসন। বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোট ৪ জন বিধায়ক আপের (AAP) পক্ষে ভোট দেয়নি। এই মিসিং লিঙ্ক দিল্লির শাসক দল আপকে ভাবালেও আপাতত স্থিতিশীল কেন্দ্রশাসিত এই রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা।  

সম্প্রতি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। আবগারি দুর্নীতি-কাণ্ডে এই সিবিআই তদন্ত। তারপর থেকে দিল্লিজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। হয়তো বা উলটে যেতে পারে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। আম আদমি পার্টির অভিযোগ ছিল, বিধায়ক কিনে দিল্লির সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করতে চাইছে বিজেপি।

তাই তড়িঘড়ি আস্থা ভোট ডেকে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

2 years ago


AAP: কোন সমীকরণে গুজরাত ভোটে লড়ছে আপ, নেপথ্যে কি বোঝাপড়া?

প্রসূন গুপ্ত: কংগ্রেস দাবি করেছে আপ পার্টি নাকি পরোক্ষে বিজেপিকে সাহায্য করছে। কারণ যথেষ্ট সংগঠণ না থাকা সত্বেও তারা গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সর্বত্র প্রার্থী দিচ্ছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ভোট কেটে আপ পরোক্ষে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিচ্ছে। গুজরাতে এবারে নাকি পরিবর্তনের হওয়া। এই কারণে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী পরিবর্তন হতে চলেছে বলে দাবি কংগ্রেসের।

আপ পার্টির সত্যিই ভূমিকা কি? এটা এমন একটি পার্টি যারা গান্ধীবাদী নয়, মার্ক্সবাদী নয়, নয় হিন্দুবাদী। তবে এরা কার আদর্শে দল চালাচ্ছে? আপ পার্টির জন্মই হয়েছিল দিল্লিতে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে, তীব্র দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন পরিচালিত করে। তারা বলেছিল রাজনীতির নেতাগিরি নয়, তারা আসল জনগণের দল অর্থাৎ আম আদমির পার্টি। আন্না হাজারের হাত ধরে তাদের চলা শুরু হয়েছিল, কিন্তু আন্নার হাতও তারা ছেড়ে দেয় দ্রুত।  এরপর দিল্লিই বিধানসভা নির্বাচনে শীলা দীক্ষিত-সহ কংগ্রেসকে হারিয়ে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে বিধানসভায় আসে। কিন্তু তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসই আপকে সমর্থন করে দিল্লির মসনদে বসায়।

বেশিদিন টেঁকেনি সেই সরকার। এরপর ফের ভোট, এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। কিন্তু রহস্যের বিষয় এই যে ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭টি আসন দখল করে বিজেপি। ফের পরের বিধানসভা ভোটে ৭০ আসনের মধ্যে ৬৩ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে কেজরিওয়ালের দল। কিন্তু ফের ২০১৯-এর নির্বাচনে একটিও আসন পায়ে না তারা লোকসভায়। এরপরে কংগ্রেসকে সরিয়ে তারা পাঞ্জাব দখল করে। গোয়া, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে পর্যন্ত আসন পায় আপ।

এবারই প্রশ্ন ওঠে তবে কি আগামীতে আপই বিজেপির বিকল্প? ইতিমধ্যে ওই দলের দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা আসে। মানুষের কাছে তারা বার্তা দেয় যে তারা ভয়ঙ্কর বিরোধী শক্তি বলে বিজেপি তাদের চাপে রাখার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে তারা ঘোষণা করে গুজরাট নির্বাচনে তৃতীয় শক্তি হিসাবে তারা লড়বেও। এতেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।

2 years ago
AAP: সিবিআই এবার পৌঁছল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে, চলছে তল্লাশি

প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।

শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।

মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।

2 years ago
TMC: জাতীয়স্তরে ধাক্কা, মমতাকে ট্যুইট করে দল ছাড়লেন পবন বর্মা

এক বছরের মধ্যেই তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা (Pawan Verma)। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) উদ্দেশে ট্যুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন এই প্রাক্তন সাংসদ। একুশের ভোট পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিল্লিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জেডিইউয়ের (JDU) প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ। অশোক তানওয়ার ইতিমধ্যে ঘাসফুল সঙ্গ ত্যাগ করে আপে (AAP) যোগদান করেছেন।

তৃণমূলে থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কীর্তি আজাদ। এবার একদা নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ পবন বর্মা তৃণমূল ছাড়ায় জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। এদিন নিজের ইস্তফাপত্রে পবন বর্মা লেখেন, ‘প্রিয় মমতাজি, অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার ইস্তফা গ্রহণ করুন। আমাকে দলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো এবং‌ আপনার সমর্থন ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে শুভকামনা জানাই।’

এদিকে, রাজ্যে সিবিআই-ইডির জোড়া তদন্ত চাপে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। এই দু'জনকে নিয়ে জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তাই পবন বর্মা পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে আরও একটি সূত্র বলছে, একদা নীতীশ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই আইএফএস ২০২০ সালে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই বহিষ্কার করা হয় ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে।

কিন্তু সেই নীতীশ কুমার এখন বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেই বৈরিতা ভুলে ফের জেডিইউ ফিরতেই তৃণমূল ছাড়লেন পবন বর্মা। ভূটান এবং সাইপ্রাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা পবন বর্মাকে ২০১৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল জেডিইউ-ই। তৃণমূলে তিনি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

2 years ago