সৌমেন সুর: দেশের যুব (Youth) সম্প্রদায় হল শক্তির উৎস। দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। তারা যদি দেশের মানুষদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে কতটা সচেতন, তা একমাত্র তরুণ সমাজে অনুধাবন করতে পারে। এখন তরুণ সমাজকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে। দেশের সমাজ সংস্কৃতিকে ভালো করে বুঝতে হবে। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ভারতবর্ষের সংহতি বিনষ্ট করছে। তাই দেশের নাগরিক হিসেবে দেশ সেবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।
দেশের জন্য আমরা, দেশ না থাকলে, আমাদের অস্তিত্ব যে বিপর্যস্ত, একথা উপলব্ধি করলে দেশ গঠনের উপযোগিতা চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তাই দেশকে গঠন করার লক্ষ্যে দেশের সেবার প্রয়োজনীয়তা আছে এই ব্যাপারে সর্বাগ্রে তরুণ সমাজেই একমাত্র উপযুক্ত- একথা বলাই বাহুল্য। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে রাতের গভীরে ফুটে আছে সকাল, তাকেই নিয়ে আসতে হবে এই জীবনে । যা কিছু অসত্য, যা কিছু মিথ্যা, তাকে অতিক্রম করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা মানব জীবনের সার্থকতা। একথা তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে, বুঝতে হবে।
আমাদের জীবনের সংগ্রামই হলো- অন্ধকার থেকে আলোই আসা। রাত্রির অন্ধকার চিরস্থায়ী নয় একসময় অন্ধকার ভেদ করে ফুটে উঠবে সকাল। তখন সব কিছু দৃশ্যমান হয়ে যাবে অতএব তরুণ সমাজকে জাগ্রত থাকতে হবে তাদের মাথায় নৈতিকতার আকাশ। সেখানে আলো তাদের ফোটাতেই হবে। মানুষের কাছে তরুণ সমাজ ঝড়ের বার্তা, আগাম জানিয়ে সেটা রোধ করার জন্য তাদের এগিয়ে এসে সমাজকে কলুষ মুক্ত করার জন্য সতর্ক হয়ে কর্মে প্রবেশ করতে হবে। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে জীবনের নানান অন্ধকারকে দূর করতে পারলে জীবনে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হবেই।
দেশের যুবসম্প্রদায় হলো শক্তির উত্স। দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। তারা যদি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে কতটা সচেতন, তা একমাত্র তরুণ সমাজই অনুধাবন করতে পারে। এখন তরুণ সমাজকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে। দেশের সমাজ সংস্কৃতিকে ভাল করে বুঝতে হবে। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য় সমাজ সেবামূলক কর্মসূচী গ্রহন করতে হবে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্য়া, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ভারতবর্ষের সংহতি বিনষ্ট করছে। তাই দেশের নাগরিক হিসাবে দেশ সেবার ক্ষেত্রে প্রত্য়েক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য় রয়েছে। দেশের জন্য় আমরা, দেশ না থাকলে, আমাদের অস্তিত্ব যে বির্পযস্ত, একথা উপলব্ধি করলে দেশ গঠনের উপযোগিতা চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তাই দেশকে গঠন করার লক্ষ্য়ে দেশের সেবার প্রয়োজনীয়তা আছে। এই ব্য়াপারে সর্বাগ্রে তরুণ সমাজই একমাত্র উপযুক্ত-একথা বলাই বাহুল্য়।
তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে, রাতের গভীরে ফুটে আছে সকাল, তাকেই নিয়ে আসতে হবে এই জীবনে। যা কিছু অসত্য়, যা কিছু মিথ্য়া, তাকে অতিক্রম করে সত্য়কে প্রতিষ্ঠা করা মানবজীবনের সার্থকতা। একথা তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে, বুঝতে হবে। আমাদের জীবনের সংগ্রামই হলো-অন্ধকার থেকে আলোয় আসা। রাত্রির অন্ধকার চিরস্থায়ী নয়, একসময় অন্ধকার ভেদ করে ফুটে উঠবে সকাল। তখন সবকিছু দৃশ্য়মান হয়ে যাবে। অতএব তরুণ সমাজকে জাগ্রত থাকতে হবে, তাদের মাথায় নৈতিকতার আকাশ। সেখানে আলো তাদের ফোটাতেই হবে। মানুষের কাছে তরুণ সমাজ ঝড়ের বার্তা, আগাম জানিয়ে সেটা রোধ করার জন্য় তাদের এগিয়ে এসে, সমাজকে কলুষ মুক্ত করার জন্য় সতর্ক হয়ে কর্মে প্রবেশ করতে হবে। তরুণ সমাজকে ভাবতে হবে, জীবনের নানান অন্ধকারকে দূর করতে পারলে জীবন সত্য়ের আলোয় উদ্ভাসিত হবেই।
সৌমেন সুর: এই বিষয়টি নব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। তারাই দেশের আগামী শেকড়। তাদেরকে সুন্দরভাবে বাঁচতে হবে। বাঁচতে গেলে রসদ চাই। সেই রসদের একটা অংশ- সাহিত্য। সাহিত্যকে জানতে হবে, বুঝতে হবে। এই প্রজন্ম, মন্মথ রায় কে জানে না। রমাপদ চৌধুরীকে চেনে না, প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের নাম শোনেনি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনে না- শুনে আমি ভীষণ স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। এরপর ভাবলাম, আমার কর্তব্যটুকু অন্তত করি। সাহিত্যের উপযোগিতাটা তুলে ধরি। প্রথমে বলি, ' Feeling is not a particular content, but the whole universe Subspecie intuition। ' সাহিত্য সমাজের দর্পণ, তবে হুবহু অনুকরণ নয়, এর সাথে আছে কবি- সাহিত্যিকের আপন মনের মাধুরী, তখনই সৃষ্টি হয় ধ্রুপদী সাহিত্য। সাহিত্যের অর্থ হলো পারস্পরিক যোগ। একেরসঙ্গে বহুর মিলন ঘটিয়ে সাহিত্য আত্মীয়তার সূত্র তৈরি করে। তবে বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে সাহিত্য পাঠের অবকাশ কমলেও এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না। মানুষ আর প্রকৃতি নিয়েই সাহিত্যের জীবন। সাহিত্য না পড়লে জ্ঞান সঞ্চয় হয় না। একজন জ্ঞানী মানুষ আর একজন অজ্ঞান মানুষ আকাশ পাতাল তফাৎ।
সাহিত্য সমাজের মাটিতে ফোঁটা ফুল। তবে হুবহু দর্পণ নয়, তার সঙ্গে মিশে আছে আপন মনের মাধুরী। সাহিত্য সমাজের একটি বিচিত্র সুন্দর সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহশালা থেকে আহরণ করে নিতে হবে অজানা তত্ত্ব। আসলে পড়তে হবে। পড়লে দোষ কোথায়! পড়লে বরং জ্ঞান বাড়ে। না পড়লে অজ্ঞানী হয়ে থাকতে হয়। কোনটা শ্রেয়, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কে নাট্যকার, কে কবি, কে সাহিত্যিক, কে লেখক- তারা কি লিখেছেন, তারা কেন নক্ষত্র, এগুলো বুঝতে হবে। জানতে হবে।
সবশেষে বলি, সাহিত্য হল আমাদের আনন্দের আশ্রয়, অবকাশের সঙ্গী, দুঃখের সান্ত্বনা এবং ন্যায় বিচারের হাতিয়ার। সাহিত্য আমাদের হৃদয়কে প্রস্ফুটিত করে। নব প্রজন্মকে অনুরোধ- সাহিত্যকে মনে প্রাণে ভালোবেসে- অফুরন্ত জ্ঞান আহরণ কোরে, নিজেকে প্রকাশ করুন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে।
সৌমেন সুর: এখনো দেশের বহু মানুষ জীবনধারণের জন্য নূন্যতম উপকরণগুলো থেকে বঞ্চিত। এই বঞ্চিতের কারণে তরুণ সমাজকে দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও কর্তব্য পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যে কোনও কর্মে যুব সমাজের অগ্রাধিকার থাকে। তারা সাহসী, কর্মঠ, সবুজের ন্যায় তারুণ্যে, প্রাণপ্রিয়, সূর্যের মতো উজ্জ্বল। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ভারতের সংবিধান রচনার আগে দেশের মানুষের কোন মৌলিক অধিকার ছিল না। গণপরিষদ মৌলিক অধিকার বিধিবদ্ধ করার ব্যাপারে একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। এর ফলে ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারতের সংবিধান রচনা হয়।
দেশের নাগরিক হিসেবে দেশ সেবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তবে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সমস্ত মানুষ অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পূর্ণ অধিকার হয়তো পাইনি। তাই মানুষের অধিকার কর্তব্য পালনে যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জন্য আমরা দেশ না থাকলে আমাদের অস্তিত্ব যে বিপর্যস্ত এ কথা উপলব্ধি করলে দেশ গঠনের উপযোগিতা ধরা পড়বে। অন্যদিকে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে অধিকার গুলো ভোগ করে সেগুলোর বিনিময়ে রাষ্ট্রকে কর দিতে হয়, সেই কর দেওয়া নাগরিকের কর্তব্য। এজন্য যুব সমাজের এই কর্তব্য পালন করা উচিত। যুব সমাজের কর্তব্য প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। মানুষের অধিকার সুরক্ষা করার জন্য যুব সম্প্রদায়কে সমাজসেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। দেশের যুবসমাজ যে কোন সংগ্রামে আপোসহীন লড়াই করে। এরাই সমস্ত শক্তির উৎস। দেশের মানুষ যুব সম্প্রদায়ের প্রতি অনেক আশা করে। যুব সমাজ যদি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সাধারণ মানুষ মনে বলা প্রায়। তাই তাত্ত্বিক ও তুর্কি তরুণেরা যদি মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একদিন না একদিন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে উঠবেই।
বিয়ের কার্ডে এবার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই কার্ড সামনে আসতেই ভাইরাল। দেশের প্রতিটি কোণেই মাহি ভক্তের শেষ নেই। তেমনই এক ধোনি ভক্ত ছত্তিশগড়ের দীপক। যাঁর বিয়ে এই মাসের সাত তারিখ। নিজের বিয়ের কার্ডে ধোনির ছবি দিয়ে থালা বলে সম্বোধনও করেছেন। পাত্রী গরিমাও এই কাছে সাহায্য করেছেন দীপককে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই বিয়ের কার্ড। রায়গড় জেলার বাসিন্দা এই দীপক।
সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলেই দেখা গিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভক্তদের ঢল। কলকাতা থেকে আমেদাবাদ, সব মাঠই ভরে গিয়েছিল সরষে ফুলের মতো। ফাইনালের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েও আরও একটি বছর মাঠে থাকার কথাই জানিয়েছিলেন মাহি। তবে সবটাই তাঁর শরীর উপর নির্ভর করছে বলেও দাবি করেছিলেন।
এরমধ্যেই মুম্বইয়ে তাঁর হাঁটুতে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। ভাল আছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তারমধ্যেই ভাইরাল হল তাঁর ছবি দিয়ে ছাপানো বিয়ের কার্ড।
এ যেন কোনও সিনেমার সিন। একটি যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিজের খেয়ালে। আচমকা একটি স্কুটি করে ছিনতাইবাজরা (Robber) এসে তাঁর রাস্তা আটকাল। এরপর যুবককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রথমেই ব্যাগ থেকে মোবাইলটি বার করে নিতে যাবে, তখনই বছর ২২-এর ওই যুবক বাধা দেয়। তারপর শুরু হয় অ্যাকশন সিন। ছিনতাইবাজরা ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে না পেরে যুবককে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন এলোপাথারি। আর তাতে গুরুতর আহত হন যুবক। এই ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) সেক্টর নয় চক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল। আহত অবস্থায় যুবককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাণ সংশয়-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যুবককে বাঁচাতে চিকিৎসকরা কিডনি বাদ দেন। প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন। এরপর পথচারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ওই যুবকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। ছেলের এমন দুর্ঘটনার কথা শুনে গুরুগ্রামে ছুটে আসেন বাবা। তাঁকে চিকিৎসকরা জানান, আয়ুষের জীবন বাঁচাতে হলে তাঁর বাম দিকের কিডনি বাদ দিতে হবে। সূত্রের খবর, যকৃতেও ভয়ঙ্কর আঘাত পেয়েছেন যুবক। উল্লেখ্য, কাজের সূত্রে কয়েক মাস আগে গুরুগ্রামে এসেছিলেন যুবক। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে এক নাবালক।
আইএএস অফিসার (IAS) পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট(Fake Account) খুলে আত্মীয়দের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক। অভিযুক্ত যুবক আইএএস অফিসার পিবি সেলিমের নামে ফেসবুকে ভুয়ো একাউন্ট খুলে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু এমনকি ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা চাইছিলেন। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে আইএএস অফিসারের। ২০২১সালের ৯-ই ডিসেম্বর তিনি বিধাননগর থানায় (Bidhannagar PS) বিষটি নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস সল্টলেকের এক যুবক বিলালকে গ্রেপ্তার করে।জানা গিয়েছে, আদতে সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
যদিও অভিযুক্ত নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ বিদাননগর আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়।যদিও পুলিসের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। বর্তমানে পি বি সেলিম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসডি পদেও আসীন।
সেতুর ওপর পড়ে ব্যাগ আর মাফলার জড়িয়ে সেতুর নিচে ঝুলছে যুবকের দেহ। বুধবার সকালে মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের দিনবাজার সংলগ্ন করলা সেতুতে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতয়ালি থানার পুলিস (police)। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জললাইগুড়ি হাসপাতাল (hospital) মর্গে পাঠায় পুলিস। জানা যায়, বুধবার সেতুতে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন পথচলতি মানুষজন। এরপরেই লক্ষ্য করেন সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে বাধা একটি গলার মাফলার। নিচে তাকাতেই চমকে ওঠেন মানুষজন। মাফলারের ফাঁসে ঝুলছে এক যুবকের দেহ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুবক ওই এলাকার নয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা ইতিমধ্যেই রুজু করে তদন্ত শুরু করছে পুলিস। তবে দেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। মৃত যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ভোটার কার্ড সহ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিস।
সেই নথির সূত্র ধরে জানা যায়, মৃত যুবকের বাড়ি জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা এলাকায়। স্থানীয় ভিলেজ পুলিসের মাধ্যমে খবর পৌঁছয় মৃত যুবকের পরিবারে। তাঁর দুই ভাই জলপাইগুড়ি হাসপাতাল মর্গে এসে দেহ শনাক্ত করেন। জানা গিয়েছে, যুবকের নাম রঞ্জু রায়। দিনপাঁচেক আগে কাজের জন্য শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন তিনি। মৃতের দাদার দাবি, যুবকের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে মেরে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের দাদা। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আজকাল অল্পবয়সেই মাথার চুল উঠে যাচ্ছে। টাক পড়ে যাচ্ছে যৌবনেই। আর টাকে নতুন করে চুল না গজানোয় চিকিৎসাশাস্ত্রের সাহায্যে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ (Hair Transplant) বা চুল প্রতিস্থাপন করছেন অনেকেই। কিন্তু হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ভুল চিকিৎসকের হাতে পড়লে বা অস্ত্রোপচারে সামান্য ভুলে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। সে ঘটনাই ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। চুল প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বছর তিরিশের এক যুবক। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আথার রশিদ। ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস (Police)।
তাঁর পরিবারের অভিযোগ, চুল প্রতিস্থাপন করার সময় থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয় আথারের। আর দিল্লির যে চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে পরিষেবা নিচ্ছিলেন সেখানে পরিকাঠামো সঠিক ছিল না। এমনকি চিকিৎসা পদ্ধতিতেও ছিল ভুল। পরিবারের লোকেরা জানায়, মাথায় টাক পড়ে যাওয়ায় হীনমন্যতায় ভুগছিলেন আথার। এর ফলে চুল প্রতিস্থাপনের পথে হাঁটেন তিনি।
ওই যুবকের মা আসিয়া বেগম বলেন, “পুরো বিষয়টি যতক্ষণে আমাদের নজরে পড়ে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চুল বসানোর পর থেকে শরীরটা ভাল ছিল না আথারের। লাল র্যাশে ভরে গিয়েছিল সারা গা।” উল্লেখ্য, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই চিকিৎসক-সহ ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিস ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভীষণভাবে ভাইরাল হয়েছে। সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে ভিডিওটি। ভ্রমণপ্রেমীরা বিশেষ করে উঠতি বয়সীদের মধ্যে বাইকে করে লাদাখ যাওয়ার প্রবণতা ভীষণভাবে বেড়েছে। আর ধরুন, আপনি আপনার প্রিয় পোষ্যকেও সঙ্গী করলেন। বাইকের পিছনে বসিয়ে দুজনে মিলে পাড়ি দিলেন অজানা সুন্দরের উদ্দেশে। আর এরকই একটি ভিডিও এখন নেটমাধ্যমের সেনসেশন।
দিল্লির বাসিন্দা চৌ সুরেঙ্গ রাজকনওয়া তাঁর 'প্রিয় বন্ধু' বেলাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন লাদাখের উদ্দেশ্যে। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ ঝুঁকি, প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বেলাকেও। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেন বেলাকে ছেড়ে যাবেন না। এর ফলে পোষ্যকেও সেই মতো তৈরী করেন। ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টি, তুষারপাত সবকিছুর জন্য প্রস্তুত বেলা। আবার তার জন্য বিশেষ রোদচশমাও তৈরি করিয়েছিলেন বলে ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে জানিয়েছেন রাজকোনওয়ার।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাজকোনওয়ার এবং বেলা বাইকে করে পেরোচ্ছে লাদাখের বরফ ঢাকা কঠিন পথ। খরস্রোতা নদীকেও পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন উমলিং লা পাসে। সেখানে জাতীয় পতাকার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই উমলিং লা পাস দেশের সর্বোচ্চ যান চলাচল যোগ্য সড়ক। প্রসঙ্গত, রাজকোনওয়ার নিজেই জানিয়েছেন, এর আগে পোষ্যকে নিয়ে কেউ সেখানে যাননি। প্রথম এই কৃতিত্ব তাঁর এবং বেলারই। ভিডিয়ো দেখে রাজকোনওয়ার আর বেলার প্রশংসা করেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এ ভাবেই সাহস করে আরও দুঃসাহসিক অভিযানে নামুন।’’
৪৫ মিনিটের সফল অস্ত্রোপচারে কল্যাণীর (Kalyani Youth) এক যুবকের প্রাণ বাঁচালো এনআরএস হাসাপাতাল (NRS Hospital)। জানা গিয়েছে, বছর ৩৩-র এক যুবককে সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ গলায় ত্রিশূলবিদ্ধ অবস্থায় কল্যাণী থেকে এনআরএস নিয়ে আসা হয়েছিল। যুবকের এহেন অবস্থা দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। যে জায়গায় ত্রিশূলটি বিদ্ধ ছিল, তার এক ইঞ্চি উপর-নিচে ত্রিশূলটি বিঁধলে প্রাণ সংশয় ছিল। সেই অবস্থায় ওই যুবককে কল্যাণী থেকে কলকাতার এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ট্র্যাকিওস্কোপি করে ৪৫ মিনিটের অপারেশন (Surgery) শেষে তাঁর গলা থেকে ত্রিশূল বের করে যুবককে বিপদমুক্ত করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই রোগী।
জানা গিয়েছে, কীভাবে গলায় ত্রিশূল ঢুকে গেল তা নিয়ে হতবাক চিকিৎসকরা। যখন সার্জারি করা হচ্ছিল সেই সময় কোনভাবেই রোগী নড়াচড়া করেনি একেবারে নির্লিপ্ত ছিলেন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের চিকিৎসকের টিম এই সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে ত্রিশূলটি বের করেন।
এবার চাকরি (job) না পেলে ভরসা নারদজি। ভাবছেন তা আবার সম্ভব কিনা! বাঁকুড়ার (Bankura) ছোট্ট একটি গ্রাম, যেখানে নারদের পুজো করলে চাকরি পাওয়া যাবে এই বিশ্বাসে ধুমধামে চলছে পুজো। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রাম। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে চলছে এই উৎসব। স্থানীয়দের মতে, চাকরির খোঁজ করতে গিয়েই এই পুজোর সূচনা। এখন প্রশ্ন, হঠাৎ এই নারদ পুজো কেন? কেনই বা এই ধূমধাম, কী আছে আসল গল্প?
পাল্টেছে বেঁচে থাকার ধরণ। মানুষ এখন গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী, চাকরি করার চাহিদা বেড়েছে। তবে শহরেও যা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তাতে করে চাকরি পাওয়া বর্তমানে যেন দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই রতনপুর গ্রামের বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই পুজো। চাকরির খোঁজে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। সেই সময় হঠাৎই তাঁদের মনে হয়, নারদ পুজো করলে হয়তো তাঁদের বৈতরণী পার করা সম্ভব হবে।
কারণ, নারদ বার্তা বাহক। তাই বৈকন্ঠ চতুর্দশীর দিন শুরু হয় এই পুজোর। এরপর অস্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বেশ কিছু বেকার যুবক চাকরি পেয়ে যায়। সেই থেকেই এই পুজো সমস্ত রীতিনীতি মেনে শুরু হয়। তবে মন্ত্র সবটাই নারায়ণের। নারায়ণ নিয়েই তাঁদের নারদ পুজো।
উদ্যোক্তারা জানান, ২০১৪ সালে শুরু হয় এই পুজো। এই পুজো উপলক্ষ্যে চলে ৫ দিন ধরে মেলা এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তবে আগে ছিল ৪ দিনের। বেকার যুবক-যুবতীরা নারদমুনিকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের যা মনস্কামনা আছে তা পূরণ করার জন্য। শুধু সরকারি না বেসরকারি বিভিন্ন কাজ পেয়েছেন তাঁরা। তবে একদল বেকার যুবক-যুবতীদের হতাশা থেকে এই উৎসবের সূচনা। উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনও চাকরি না পেয়ে এই পুজোকে অবলম্বন করে তাঁরা এগোচ্ছেন। লৌকিক কিছু না পেয়েই এই আলৌকিক পথে হাঁটছেন। তবে প্রশাসনের উচিত এবিষয়ে আলোকপাত করা দাবি বিজ্ঞান কর্মীদের।
গুজরাতে (Gujarat) মোরবিতে একটি ঝুলন্ত সেতু (Bridge) আচমকাই ভেঙে বিপত্তি। কেবল ব্রিজ (Cable Bridge) ভেঙে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপরে ছিলেন কয়েকশো মানুষ। নদীতে তলিয়ে যান তাঁরা। জানা গিয়েছে, সেই সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লকের মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েত কেশববাটি এলাকার এক যুবকও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গয়নার কারিগর হিসেবে কর্মসূত্রে মোরবিতে থাকতেন তিনি।
রবিবার গভীর রাতে সেই খবর পূর্বস্থলীর (Purbasthali) কেশববাটির বাড়িতে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। সোমবার সকাল থেকেই মৃত ওই যুবকের বাড়ির সামনে বহু মানুষের ভিড় দেখা যায়। জানা যায়, মৃত ওই যুবকের নাম হাবিবুল শেখ। মাস দশেক আগে তাঁর এক কাকার কাছে তিনি সোনার কাজ করতে গিয়েছিলেন। রবিবার বিকেলে তিনি ওই ব্রিজের উপর বেড়াতে যান। আর সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি।
বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর রবিবার রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে মৃতের বাবা মহিবুল শেখ জানান, ছেলে সোনার কাজের জন্য গিয়েছিল। সেখানেই থাকতেন। রবিবার গভীর রাতে খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
সৌমেন সুর: সলিল চৌধুরী বাংলা গানের নবরূপকার ও অন্তরের আকাশপ্রদীপ। প্রথম জীবনে তিনি ভারতীয় গণনাট্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বহু সার্থক গণসঙ্গীতের স্রষ্টা তিনি। তাঁর গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রভাব আমরা দেখতে পাই। ১৯৪৯ সালে 'পরিবর্তন' ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রথম আত্মপ্রকাশ তাঁর। ১৯৫৩ সালে 'দো বিঘা জমিন' ছবির সূত্রে হিন্দি ছায়াছবিতে প্রথম পা রাখেন। জীবনে সুদীর্ঘ সঙ্গীত নির্দেশনায় তিনি ৭৫টি হিন্দি ছবিতে, ৪০টি বাংলা ছবিতে এবং ২৬টি মালায়লম ছবিতে সুর দেন।
এছাড়াও মারাঠি, তামিল, কন্নড়, তেলেগু, গুজরাতি, ওড়িয়া ছবিতেও সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। তবে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বাঁশের কেল্লা, হারানের নাতজামাই, বাড়ি থেকে পালিয়ে, কিনু গোয়ালার গলি, লাল পাথর ইত্যাদি ছবিতে তাঁর সুর উল্লেখযোগ্য। পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ব্যবহারে উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখান সলিল চৌধুরী।
তিনি প্রথম 'কয়ার' সঙ্গীতের প্রবর্তক। ৫০ দশকের মাঝামাঝি তিনি বম্বে ইউথ কয়ার প্রতিষ্ঠা করেন এবং পলিফনিক কয়ার চালু করেছিলেন। যাই হোক গণসঙ্গীতের ক্ষেত্রে তিনি কোরাস গায়ন পদ্ধতি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেশকিছু নজিরবিহীন গান সৃষ্টি করেছেন। যেমন-- 'হেই সামালো, ও আলোর পথযাত্রী, আমার প্রতিবাদের ভাষা' প্রভৃতি কালজয়ী গান। সলিল চৌধুরী শুধু সুরকার ছিলেন না, ছিলেন গীতিকারও। তাঁর লেখা বিখ্যাত গানের মধ্যে 'ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম, অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা'র মতো গানগুলো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
জগৎখ্যাত 'We Shall Overcome' গানের বাংলা অনুবাদ তাঁর হাত ধরেই। প্রায় দুশোর বেশি হিন্দি ও বাংলা ছায়াছবি এবং বিভিন্ন অর্কেস্ট্রার সূত্রে গত যুগের এবং অধুনা প্রায় সব প্রধানসারির শিল্পীর সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বিশ্বভারতী সলিল চৌধুরীকে সাম্মানিক ডি লিট দিয়ে সম্মানিত করেছে। ১৯৭৪ সালে কোপেনহেগেন বিশ্ব যুব উৎসবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ক্যালকাটা ইউথ কয়ার। ভারতের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন, নেলসন মেন্ডেলার ভারত সফর, অমর্ত্য সেনের নোবেল জয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ক্যালকাটা ইউথ কয়ার সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। কবিতাকে সুর দিয়ে সঙ্গীতের রূপ দেওয়া বাংলায় সলিল চৌধুরীর হাতেই সৃষ্টি। পরবর্তী প্রজন্মকে আধুনিক সঙ্গীতমুখী করে তোলার প্রধান কাণ্ডারি ছিলেন তিনি।
তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার (poster)। পোস্টারে প্রাইমারির চাকরি (Primary job) দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ-এর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, তৃণমূল যুব সভাপতি-এর বিরুদ্ধে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগে পোস্টার পড়ে বাঁকুড়ার (Bankura) ১ নম্বর ব্লকে ভিকুরডিহি বাস যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দেওয়ালে।
পোস্টারে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা এই অভিযোগ। লেখা রয়েছে, "দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমাদের জেলার যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা। এইসব চোর নেতাদের জন্যই আমাদের দলের এই অবস্থা। এই সব নেতারা দলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে দলের ক্ষতি করছে। এই নেতারা প্রতিটি অঞ্চলে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট আছে। দলের কাছে অনুরোধ যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
ক্যাপশনে লেখা, 'তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। আর এই পোস্টার ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় পথচলতি মানুষের দাবি, 'রাতের অন্ধকারে কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তাঁরা জানেন না।' তবে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দলের কর্মীদের একটা অংশ এই পোস্টারে সেটা স্পষ্ট। টাকা নিয়ে থাকলেও নিতে পারেন, তদন্ত হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
এই প্রসঙ্গে যার নামে পোস্টার সেই সন্দীপ বাউড়ি জানান, বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তাঁদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন করছে। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লক থেকে ওরা ভোট পাচ্ছে না। তাই অপ প্রচার করছে। বিষয়টি দলকে জানাবো এবং আইনের দ্বারস্থ হব। এগুলো ষড়যন্ত্র।