ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
এবার ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল দুই যুবকের। মৃত দুই যুবকের মধ্যে একজন নাবালক ছিল। অভিযোগ, দুজনকে চোর অপবাদে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন রাহুল শেখ (১৮) ও সুমন শেখ (১৬)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের নতুনচর গ্রামে। সোমবার মৃতদেহ দুটি গ্রামে আনার পরেই শোকের ছায়া নেমে আসে নিহতদের পরিবারে।
জানা গিয়েছে, দু'মাস আগে রাহুল ও সুমন গুজরাটের রাজকোটে কাজের উদ্দেশ্য়ে যায়। সেখানকার একটি জুয়েলারির দোকানে গহনা তৈরির কাজ শিখত তাঁরা। সপ্তাহখানেক আগে দোকান থেকে কিছু গহনা চুরি যায়। সেই গহনা চুরি যাওয়ায় চোর সন্দেহ করা হয় রাহুল ও সুমনকে। এরপর দোকানের মালিক সুমন ও রাহুলকে গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার পর বেধড়ক পেটানো হয়। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে দুজনে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা দুজনকেই মৃত বলে জানায়। পুলিস তদন্তে নেমে মালিক সহ আরও যারা যারা যুক্ত ছিল তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত দুই যুবকের পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে রাজ্যে কাজ না পেয়ে বাধ্য় হয়ে ভিনরাজ্যে যেতে হয় বলে দাবি করেছেন এলাকার বেকার যুবকেরা আর সেই কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
সাত সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই মর্মান্তিক দৃশ্য। বেআইনি মদের ঠেক থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ (deadbody)। ঘটনাটি মহেশতলার (Maheshtala) বাটানগর মল্লিক বাজারে এলাকার। বেআইনি মদের ঠেকে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। যার জেড়েই ওই যুবককে খুন (murder) করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মদের ঠেকে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি মহেশতলা থানার পুলিসকে (police) খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে ওই দেহ উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (hospital) নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ওই বেআইনি মদের ঠেকে বেশ কিছু যুবক মদ্যপান করছিলেন। মদ্যপান চলাকালীন নিজেদের মধ্যেই বচসা শুরু হয়। তারপরেই কেউ ওই যুবকের মাথার পিছনে ইট দিয়ে মেরে খুন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস ইট, মদের বোতল ও বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, মৃত যুবকের নাম শান্তনু বাহাদুর (২২)। মৃত যুবক বাটা ইয়ং বেঙ্গল কলোনির বাসিন্দা। পেশায় একজন গাড়ি চালক। ইতিমধ্যেই মহেশতলা থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস ৬ জনকে আটক করেছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সাতসকালেই পচাগলা মৃতদেহ (deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য নিশ্চিন্তপুর (Nischintapur) বাজার এলাকায়। খবর পেয়ে কুলপি থানার পুলিস (police) পচাগলা দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। জানা যায়, মৃত বছর ৩৬-এর সুমিত বেরা, তাঁর বাবা সহদেব বেরা। তাঁরা ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) এলাকার বাসিন্দার। বর্তমানে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর বাবা মায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। পারিবারিক সমস্যার জন্য বর্তমানে নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই বাড়ির মধ্যে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে একটি টোটো গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ির বারান্দায় সুমিত চেয়ারে বসে থাকতেন। টোটো স্ট্যান্ডে থাকা টোটো গাড়ি ড্রাইভারদের সঙ্গে অল্প কথা বলতেন। কিন্তু হঠাৎ দিন ১৫ ধরে দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপরই এই দুর্গন্ধ পান তাঁরা। তড়িঘড়ি সুমিতের বাবাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি খবর পেয়ে কুলপি থানার প্রশাসনকে জানান।
খবর পেয়ে পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার পরে সুমিতের পচাগলা দেহ মেঝের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির মধ্যে লাইট এবং টেবিল ফ্যান চালু অবস্থায় ছিল। পুলিসের অনুমান, রাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটেছিল সুমিতের সঙ্গে। তবে ঘটনার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিস।