আবারও ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ওই তিন শ্রমিক মালদহের তিন পৃথক জায়গার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত সাতদিনের মধ্যে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই তিন শ্রমিক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের তিন পৃথক জায়গায়। বৃহস্পতিবার মালদহের হবিবপুর থানার আইহো গ্রামের বাসিন্দা বিমল হালদারের মৃতদেহ হায়দ্রাবাদ থেকে তাঁর গ্রামে এসে পৌঁছয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
শ্রমিকদের দাবি, রাজ্যে কাজ নেই। তাই কাজের অভাবে যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। এই বিষয়ে পাল্টা শাসকদলের দাবি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, সেই কারণে বাধ্য হয়ে বাইরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। আর এই টানাটানির মধ্যে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত। একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের পরিবার।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে গাইঘাটা থানার মানিক হীরা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম কানন রায় (৬২), সূত্রের খবর, স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিকের বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ওই মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সমীর মল্লিক নামক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, মৃতা বিজেপি কর্মী কানন দেবীর পরিবারের অভিযোগ তারা বিজেপি করেন, সেই কারণে রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি নিরুপম রায় এর নির্দেশে সমীর কানন দেবীকে খুন করেছে। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি নিরুপমের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে৷
নিহত পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে 'সমীর মল্লিক এলাকার তৃণমূল কর্মী৷ প্রতিবেশী কানুন রায়রা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে৷ অভিযোগ সমীর রোজ কান্দার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় গালিগালাজ করত৷ বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ গালিগালাজ করলে প্রতিবাদ করে কানন দেবীর ছেলে জয়ন্ত৷ এরপর পর সমীরও তাঁর পরিবারের লোকেরা জয়ন্তের উপর চড়াও হয়, জয়ন্তর স্ত্রী ও মা কানন রায় বাধা দিলে তাদের মাথায় বাঁশ দিয়ে মারে বলে অভিযোগ৷ ঘটনাস্থলেই কানন দেবী লুটিয়ে পড়ে, তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক৷
যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই বলে জানান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, 'যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এই ঘটনা কেবল দুই প্রতিবেশীর বিবাদের জেরে ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। মৃতা বিজেপি কর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানায়। তাঁদের পাশে রয়েছি। প্রশাসনের কাছে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি।'