বোলপুরের শান্তিনিকেতনের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন পুরুষ ও এক মহিলা। আটক দুটি চারচাকার গাড়ি। তল্লাশি চালিয়ে আটক করা ওই গাড়ি দুটি থেকে মোট বাজেয়াপ্ত করা হয় নব্বই কিলো গাঁজা। মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়। শনিবার মাদক চোরাচালানের অভিযোগে ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মাদক পাচারের জন্য দুইটি সুইফ্ট ডিজাইর গাড়ির ভিতরে তৈরি হয়েছিল বেশ কয়েকটি গোপন চেম্বার। যার ভিতরে রেখে পাচার করা হতো বিপুল পরিমাণ গাঁজা। শুক্রবার বীরভূম বোলপুরের শান্তিনিকেতনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহবশত আটক করা হয় ওই গাড়িকে। এরপর বোলপুরের কোপাই সেতুর উপর মোষঢাল গ্রামের কাছে এক মহিলা সমেত চারজনকে এমনই দুটি চারচাকা গাড়িতে মাদক-সহ গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই গাড়ি দুটির উপর নজরদারি চালাচ্ছিল বেঙ্গল এস টি এফ। গাড়ির তলায় পিছনের ডিকি থেকে ইঞ্জিন পর্যন্ত বিশেষভাবে একটা ট্রাঙ্ক তৈরী করা হয়েছিল। গাড়ির পিছনের লাইট, সামনের লাইটের পিছনে একটি করে সুড়ঙ্গও করা ছিল যার ভিতর দিয়ে কেজি কেজি গাঁজা ছিল ভরা। তবে এই পাচারচক্রে আর কারা কারা যুক্ত, তার জন্য তল্লাশি চলছে।
পাচারের আগে গাঁজা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সাগরদীঘি থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬১ কেজি গাঁজা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম শ্বেতাপ রায় ও সঞ্জিত সিং। দুজনের বাড়ি দার্জিলিং-এর প্রধান নগর থানা এলাকায়। আজ অর্থাৎ বুধবার ধৃতদের ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে সাগরদীঘি থানার পুলিস। তারপর মোরগ্রামের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু করে পুলিস। ঠিক সেই সময় একটি চারচাকা গাড়ি করে শিলিগুড়ি থেকে বহরমপুরে যাচ্ছিল। কিন্তু বহরমপুর যাবার পথে মোরগ্রামের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে।সন্দেহবশত কারণে ওই চারচাকা গাড়ি আটক করে পুলিস। এরপর গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ৬১ কেজি গাঁজা। গাড়িতে থাকা ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিসের অনুমান, গাড়িতে করে গাঁজাগুলি পাচারের উদ্দেশ্য়েই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত ছক ভেঙে দিল সাগরদীঘি থানার পুলিস। তবে এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।
পাচারের আগেই বিপুল পরিমান গাঁজা সহ গ্রেফতার এক মহিলা। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ওই মহিলা পাচারকারীর নাম সোনামনি দাস। বুধবার সকালে ওই ধৃত পাচারকারীকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিস অভিযান চালানোর সময়ে ওই মহিলাকে আটক করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মহিলার থেকে ১৮ কেজি ১০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ওই ধৃতের থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই মহিলা কোচবিহার জেলার বাসিন্দা। এদিন দুপুর নাগাদ একটি বেসরকারি বাসে চেপে শিলিগুড়ি এসে পৌঁছোন তিনি। তার কাছে থাকা পৃথক তিনটি ব্যাগে গাঁজা মজুত ছিল। প্রাথমিক এভাবে পুলিসের সন্দেহ হওয়ায় ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এরপর তাঁর ব্যাগ থেকে গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রের খবর, সোনামনিকে জিজ্ঞসাবাদ করে কোথা থেকে এই গাঁজা আনা হয়েছিল, এবং কোথায় ওই গাঁজা পাচার করার ছক ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
ফের বিপুল পরিমানে গাঁজা (Weed) উদ্ধার (Rescue) করল পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপের (Nabadwip) গাবতলা এলাকায়। নবদ্বীপ থানা এবং কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার উদ্যোগে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১ কুইন্টাল ৪৫ কেজি ১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কসার্কাস থেকে একটি চার চাকা গাড়িতে নতুন করে ডিজাইন করে তাঁর ভেতরে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিলো। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিস এই বিপুল পরিমান ওই গাঁজা উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় একজনকে আটক করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিস। তবে এই গাঁজা পাচার কান্ডে সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এর আগে বহু বার গাঁজা পাচার কান্ডে যুক্ত ধৃতদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে।
মদ, গাঁজা (Weed) বিক্রি করার প্রতিবাদ (Protest) করায় খুন (Death) হতে হল এক ব্যক্তিকে। খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির ভাই ও ভাইয়ের বউয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি (Baguiati) থানার অন্তর্গত আদর্শ পল্লী এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিস (Police) ও স্থানীয় কাউন্সিলর। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বাগুইআটি দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়। এমনকি এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাইয়ের বউ পূর্ণিমা মণ্ডলকে আটকও করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম রবিন মণ্ডল।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বাগুইআটির শিমুলতলায় মদ এবং গাঁজার ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তির ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও তার বউ পূর্ণিমা মণ্ডল। তবে এর আগে রবিন মণ্ডল একাধিকবার গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাদের রোষের শিকার হয়েছিলেন। তবে সোমবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। তারপরেই মঙ্গলবার ভোরে দাদা রবিন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা মণ্ডলকে মারধর করতে শুরু করে অভিযুক্তরা। আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন রবিন মণ্ডলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় দেশবন্ধু নগর হাসপাতালে। তারপরেই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে।
পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে অবৈধভাবে চলছিল গাঁজার (Weed Tree) চাষ। কিন্তু শেষমেশ পুলিসের নজর এড়াতে পারেনি। গোপনে চাষ করা সমস্ত গাঁজা গাছ নষ্ট (Wasted) করে দিল দেওয়ানদিঘী থানার পুলিস (Police)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Bardhaman) ১ নম্বর ব্লকের ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপুর ও বড়বাগান গ্রামে। পুলিসের একটি দল ওই এলাকায় গিয়ে গাঁজা গাছগুলি কাটতে থাকেন। যদিও গ্রামে পুলিস ঢোকার খবর পেয়েই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের ক্ষেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপুর ও বড়বাগান গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে গোপনে গাঁজা গাছ লাগিয়ে তা বিক্রি করার কাজ চলছিল। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার এই দুই গ্রামেই হানা দেয় দেওয়ানদিঘী থানার পুলিস। অভিযুক্তদের বাড়ি গ্রামের ভিতরের দিকে হওয়ায় নজর এড়িয়ে চলছিল গাঁজার ব্যবসাও। এই ঘটনায় দেওয়ানদিঘী থানার ওসি দ্বীপ্তেশ চ্যাটার্জির নির্দেশে পুলিসের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় গিয়ে গাঁজা গাছগুলি কেটে দেয়।
এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামে গাঁজা গাছ লাগিয়ে ব্যবসা চললেও এই প্রথম গ্রামে ঢুকে পুলিস তা বন্ধ করলো।
ফের বড় সাফল্য বিএসএফের (BSF)। সীমান্তে (North 24 Parganas) চার কেজি গাঁজা (Weed) ও নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ (Banned Cough Syrup) উদ্ধার করল বিএসএফ। উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও কাফ সিরাপের বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে এই ঘটনায় পলাতক পাচারকারী। উদ্ধার হওয়া গাঁজা ও কাফ সিরাপ তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আমুদিয়া সীমান্তের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বালতি-নিত্যানন্দকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ আমুদিয়া সীমান্ত দিয়ে চার কেজি গাঁজা ও ৯৫ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেন্সিডিল বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। সেই সময়ই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নজরে আসে এই কর্মকাণ্ডটি। তবে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের দেখে গাঁজা ও কাফ সিরাপ রেখেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।
এক ব্যক্তিকে গাঁজা পাচারের অভিযোগে ফাঁসি (Hanging) দিল সিঙ্গাপুর (Singapore) প্রশাসন। বুধবারই ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছে। যদিও এই ফাঁসির সাজা স্থগিত করার আবেদন এসেছিল সারা বিশ্ব থেকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’র আবেদন করেছিল সিঙ্গাপুর প্রশাসনের কাছে। ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনও ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন। তবে এই সমস্ত আপত্তি উড়িয়ে বুধবারই তা কার্যকর হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ছিল তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়া (৪৬)। তাঁকে ২০১৭ সালে ১,০১৭.৯ গ্রাম গাঁজা (weed) পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সিঙ্গাপুরে গাঁজা বা অন্যান্য মাদক দ্রব্য নিয়ে ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান এখনও বহাল রয়েছে। আর সেই সংস্থান অনুযায়ী ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরের আদালতে গাঁজা পাচারের দোষে তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়াকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। তবে এই সাজা শুনে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেন তাঙ্গারাজু। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদন্ডই বহাল রাখে আদালত।
নাকা তল্লাশির সময় গাঁজা (weed) ভর্তি একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি (Hooghly) জেলা গ্রামীণ পুলিসের সিঙ্গুর থানা (Singur Police)। সূত্রের খবর, ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। গাঁজা পাচারের ঘটনায় গ্ৰেফতার (Arrest) করা হয়েছে এক মহিলা সহ তিনজনকে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিস বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও এলাকায় একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কর্তব্যরত পুলিস। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতিতে পড়ে যায় গাড়িতে থাকা তিনজন। তখনই পুলিস গাড়িটির ভিতরে তল্লাশি করা শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীনই গাড়ির সিটের তলা থেকে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিসের ডিএসপি জানান, পাচারকারীরা উড়িষ্যার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। সেই গাঁজাটি চন্দননগরের কোনও এক ব্যক্তিকে সরবরাহ করার কথা ছিল। এমনকি যাতে পুলিসের নজর এড়ানো যায় তাই পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। তিনি আরও জানান, গ্ৰেফতার হওয়া ওই তিনজন এত পরিমান গাঁজা কাদের সরবরাহ করতো এবং এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
মাদক-বিরোধী অভিযানে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ৩৫ কেজি গাঁজা (Weed) সহ দু'জনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ (STF) ও বারাসাত থানার (Barasat Police) পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের (North 24 Parganas) হৃদয়পুর মোড়ের কাছে বন্ধ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের রবিবার বারাসত জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির নাম টিঙ্কু শেখ ও আখতার শেখ। অভিযুক্ত দু'জনই মুর্শিদাবাদের রানীনগরের বাসিন্দা। পুলিস আরও জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এসটিএফের-র কাছে খবর ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে গাড়ি করে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি সেই গাঁজা বারাসতের হৃদয়পুর মোড়ের কাছে বন্ধ পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় হাত বদলও করা হবে। সেই মতো এসটিএফ বারাসত থানার পুলিসকে নিয়ে গাড়ি তল্লাশি করে ওই দুজনকে আটক করে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের বাকি পাণ্ডাদেরও ধরার চেষ্টা করছে পুলিস।
বিপুল পরিমাণে গাঁজা(weed) উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৩। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধানকলের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য এখন প্রায় লক্ষাধিক টাকা। অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখনই বিহার থেকে এই বিপুল পরিমাণে গাঁজা নিয়ে মগরাহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল ওই তিন ব্যক্তি। যার মধ্যে একজন গাড়িচালক ও দু'জন মিডল ম্যান। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। পুলিস আরও জানায়, আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত এই তিন অভিযুক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তরা জানায়, মগরাহাটের বাবুর আলীর কাছে এই গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিলো তাঁরা। তার আগেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধানকল থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচারের (Weed Recovery) অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে STF। সোমবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে (Purulia Police) পেশ করানো হয়েছে। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি আটক করে। সেই আটক গাড়ি থেকে প্রায় ৩৩৫ কেজি বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযাগে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ঝালদা হয়ে আসানসোলে যাচ্ছিল গাঁজা ভর্তি দু'টি গাড়ি। সেই খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের STF ঝালদা গোলা রোডে নাকা চেকিং করে। এরপরেই সন্দেহজনক একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি চার চাকা আটক করে। এই প্রচুর মাত্রা গাঁজা উদ্ধারের ফলে এসটিএফ অভিযান সফল।
পুলিস জানিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে ৭৭ প্যাকেট ভর্তি প্রায় ৩৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার চার জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে, ধানবাদ পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে। সোমবার ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। একইসঙ্গে এদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য এই পাচার চক্রের যোগ পেতে জেরা করতে চায় পুলিস।
ফের গাঁজা বিরোধী অভিযানে বিশাল সাফল্য পেল ত্রিপুরা পুলিস। এবারে গাঁজা (Weed) ক্ষেত ধ্বংস করল পুলিস (Police)। গাঁজা চাষীর ফোন ট্র্যাক করে টানা চার ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে ১০ টি বিশাল গাঁজা বাগান ধ্বংস করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার (Tripura) সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার কমলনগর কলাবাড়ি এলাকায়।
এই এলাকার মেইন রোড থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে গভীর জঙ্গলে আবৃত কলাবাগান এর মাঝখানে রয়েছে বিশাল গাঁজার ক্ষেত। বলা চলে গাঁজার মৃগয়া ক্ষেত্র। যা রীতিমতো অবাক করে দেয় পুলিস আধিকারিকদেরও। তবে মহকুমা পুলিস আধিকারিক জানান, এই গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করতে যত ধরণের পদক্ষেপ নিতে হয় সব নেবে পুলিস।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর গাঁজা পাচারকারীদের রুখতে আরও তৎপর হয়ে ওঠে ত্রিপুরা পুলিস।
এবার বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি পুলিস (police)। শুক্রবার রাতে অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াইশো কেজি গাঁজা। গ্রেফতার ভিন রাজ্যের তিনজন।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ সংলগ্ন ৩১ নং জাতীয় সড়কে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাঞ্জাব নম্বরের একটি বড় কন্টেনার ট্রাক আটক করে জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং রাজগঞ্জ থানার পুলিস তল্লাশি চালিয়ে কন্টেনারে তৈরি করা গোপন খুপুরি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াইশো কেজি গাঁজা (weed)। যারা আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। ওই কন্টেনারে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল বছর ৩৫ এ জাসবিন্দর সিং, বছর ২৫ এর বাবু সিং, বছর ৫৪ এর জিন্দর সিং। ধৃতরা তিনজনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসবাদের পর, পুলিস জানতে পারে, গাঁজাগুলি গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
জেলা পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত একটি লিখিত বার্তায় জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে রাজগঞ্জ থানায় শুরু মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কড়া নির্দেশের পর গাঁজা পাচারকারীদের (Weed traffickers) রুখতে আরও তৎপর ত্রিপুরা (Tripura) পুলিস। সম্প্রতি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মধ্য দিয়েও গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা। এবার বাঁশ বোঝাই লরির বাঁশের মধ্যে গাঁজা লুকিয়ে রেখে পাচার করতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়ল এক লরি চালক। ঘটনাটি ঘটেছে তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টে।
তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়ি নাকা চেকিংয়ে অন্য দিনের মতো এদিনও গাড়ি চেকিং করা হচ্ছিল। সে সময় সন্দেহ হওয়ায় একটি বাঁশ বোঝাই লরিকে আটক করে পুলিস। গাড়ি-সহ চালককে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে পুলিস।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর বিষয়। জিজ্ঞাসাবাদে লরি চালক পুলিসের কাছে স্বীকার করেন বাঁশের আড়ালে গাঁজা রয়েছে। এরপরই তল্লাশি চালাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে পুলিসের। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ শুকনো গাঁজা। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকা।