টেবিলে পর পর সাজানো ওয়ান শাটার গান, লং মেশিন গান থেকে শুরু করে বন্দুকের বাঁট, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দেখে মনে হতে পারে অস্ত্র তৈরির কোনও কর্মশালা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথায় ছিল জানেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর কাশিপুরের কামারিয়ায় একটি নুঁইয়ে পড়া মাটির বাড়িতে। এই বাড়ির ঘরেই লোকচক্ষুর আড়ালে এতদিন ধরে গড়ে উঠেছিল আস্ত অস্ত্রাগার, অবৈধ অস্ত্রের কারখানা। অভিযান চালিয়ে এই বিপুল অস্ত্র সহ অস্ত্রাগারের মালিক রহমাতুল্লা শেখকে পাকড়াও করে বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জয়নগর থানার পুলিস।
বহুদিন তক্কে তক্কে ছিল বারুইপুর পুলিস। মঙ্গলবার অভিযান চালাতে গিয়ে ওই মাটির বাড়ির অন্দরমহল দেখে পুলিসের চক্ষু কপালে ওঠে। গোপন অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামের পাশাপাশি উদ্ধার ৮ টি ওয়ান সাটার গান এবং ২ টি লং মেশিন গান।
সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ির পাশের পুকুরেও নাকি অস্ত্র ডুবিয়ে রাখা ছিল। ধৃতের স্ত্রীর কথায়, মুজিবর, সাইফুল, সাজমল নামে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম রেখে গিয়েছিল। তবে কি এই বাড়ি থেকেই অস্ত্র, সরঞ্জাম আমদানি-রপ্তানিও চলত?
থামানো যাচ্ছে না অস্ত্রের আস্ফালন। প্রশ্ন উঠছে বারবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাই কেন বন্দুকের নলে? এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের ভয়ঙ্করতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বোমা, বন্দুকের দাপটে রক্তক্ষয়ী ভোটে শিউরে উঠেছে গণতন্ত্র।
ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে ভুটভুটি চালককে খুনের চেষ্টা (Attack) করার অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) থানার অন্তর্গত নয়মাইলের হলং এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ভুটভুটি চালক গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত (Injured) অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আহতর পরিবার সূত্রে খবর, আহত ওই ভুটভুটি চালকের নাম জব্বার মিঞা। তিনি মাদারিহাট নয়মাইলের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, নয়মাইল থেকে হলং যাওয়ার পথে কিছু দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তারপরেই গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কে বা কারা এই আক্রমণ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রেমের (Love) প্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে (Housewife) ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার, রায়গঞ্জের (Raiganj) বাঙালবাড়ি হাটে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, আহত গৃহবধূর নাম বাসন্তী বর্মন। বাড়ি রায়গঞ্জের বামুনগ্রামে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঙালবাড়ি এলাকায়।
আহত গৃহবধুর স্বামীর অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই গৃহবধু তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাঙালবাড়ি হাটে গিয়েছিলেন। হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেই সময় আচমকাই তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন ওই গূহবধূ। গৃহবধুর স্বামীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই যুবক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। তবে প্রেমে সায় না পাওয়ায় তার স্ত্রীর ওপর ক্ষোভে আঘাত করে গা ঢাকা দেয় ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম সুভাষ বর্মন। বাড়ি কালিয়াগঞ্জের পুড়িয়া মহেশপুর এলাকায়। তবে শুধুই প্রেম প্রস্তাবের নারাজ না কি অন্য় কোনও কারণে রয়েছে তা জানাতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
দুই প্রতিবেশী মধ্যে বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে হামলা। ঘটনায় মৃত্যু (Death) দুই জনের। আহত (Injured) আরও দুই। এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) রঘুনাথপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথপুর থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃত দু-জনের নাম সুরজ বাউরি (১৬) ও প্রতীক বাউরি (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মন্টু বাউরির সঙ্গে পড়শি সুরজ বাউরির বিবাদ শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। মধ্যস্থতা করতে ছুটে আসে সুরজ-এর বাবা বাপি বাউরি ও দাদা প্রতীক বাউরি। অভিযোগ, এরপরেই মন্টু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে উভয় পক্ষের চারজনেই গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি তাঁদের রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রথমে সুরজ বাউরিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ১৮ বছরের প্রতীক বাউরির।
উল্লেখ্য, এখনও হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে বাপি বাউরি ও মন্টু বাউরি। ঘটনার পর হাসপাতালে আসেন রঘুনাথপুর থানার পুলিস ও রঘুনাথপুর মহকুমার পুলিস আধিকারিক অবিনাশ ভীমরাও জোধাবর। তকবে কী কারণে এই বিবাদ ও হামলা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথপুর থানার পুলিস।