ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার তো লক্ষণই নেই। এবার ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি ইরানের। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। যা এর আগে কখনও ব্যবহার করেনি এবার সেরকম অস্ত্র প্রয়োগ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে ইরান।
গত তিন দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ না করায় পাল্টা ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে ইরান। গত কয়েক মাস ধরে প্যালেস্তাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপরে প্রথমে আক্রমণ শুরু করে। তারপরেই পাল্টা প্যালেস্তাইনে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা এমনই অভিযোগ।
এদিকে ইজরায়েলকে বারবার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমন কী রাষ্ট্রপুঞ্জও ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে বিরত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই প্যালেস্তাইনের উপর হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়নি তারা। গাজায় হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তাই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। গতকাল থেকে লাগাতার ইজরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। আমেরিকা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের সেনা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে তারা ইরানের সব হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতও আনতে পারেন তাঁরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতকানিয়াহু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এতে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে অশান্তি তৈরি হবে।
আশঙ্কা ছিল, হুমকিও ছিল হামলার। শনিবার গভীর রাতে সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ইজরায়েলের বুকে হামলা চালালো ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস জানিয়েছে, 'অপারেশন ট্রু প্রমিসে'র আওতায় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলের ওপর আছড়ে পড়ে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, ১৮৫টি টি একমুখী "আত্মঘাতী" ড্রোন, ১১০টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৬টি ল্যান্ড-অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইরানের তরফে। তবে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ সেই হামলা অনেকটাই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে কাজ করছে মার্কিন সেনারাও। ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বাজার শব্দ শোনা গিয়েছে। হামলার এই ঘটনায় ইজরায়েলের এক শিশু আহত হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরানের এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ লেবানন স্থিত ইরানের সেনাঘাঁটিতে জোরদার হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত আল-হাজ রাদওয়ান ফোর্সের একটি সামরিক কম্পাউন্ডে বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে খবর। ইজরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পরে IDF-এর তরফে এটাই প্রথম আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসের ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই হামলার জবাবেই ইরানের এই আক্রমণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করতে সাহায্য করেছে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো এবং হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি ও কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ইরান-ইজরায়েলের এই সংঘর্ষ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে হইচই পড়েছিল ২০১৮ সালে। দাড়িভিটকাণ্ডের তদন্ত এখনও বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় আগামী সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-কে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে দশ মাস কেটে গেলেও, এনআইএ-কে রাজ্যের তরফ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই না, দশ মাস কেটে যাওয়ার পরেও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি রাজ্যের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি মামলার জল আদালতে গড়ায় আরও দূর। সিঙ্গল বেঞ্চের এনআইএ তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চের। সেখানেও মুখ পোড়ে রাজ্যের। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল থাকে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকাও এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, গত বছরের মে মাসেই রাজ্যের আদালত অবমাননার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের ওপর করেছিলেন রুল জারি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগের শুনানিতে সেই নির্দেশেও কোনও স্থগিতাদেশ নয়- জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পষ্ট। এবার, শুক্রবার মামলার শুনানিতেও অনুপস্থিত তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ওপর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। রাজ্যের ওপর রুল জারি করে তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সর্বাধিক পদে বসে থাকার পরও আদালতের নির্দেশ মানছেন না, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই- বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির।
এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং এডিজি সিআইডিকে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা জানান, এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা এতটা উচ্চপদস্থ হয়ে গিয়েছে যে আদালতের নির্দেশও তাঁরা মানতে পারছেন না! আদালত আরও একটা সুযোগ দিল। তাঁরা যদি আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা না দেন, তবে আরও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাববে আদালত।
সপ্তাহের শুরুতেই পোড়া গন্ধে ঘুম ভাঙে হুগলি তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই চোখে পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য। মেঝেতে পড়েছিল আগুনে পোড়া ২টি দগ্ধ দেহ, গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিল আরেকটি দেহ। অনুমান, মা ও দিদিকে পুড়িয়ে খুন করে আত্মঘাতী হন যুবক। সাত সকালে এই দৃশ্যে কেঁপে উঠেছে বিশ্বাসপাড়া।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন বছর ২৭-র শুভম মাইতি। থাকতেন মা বিজলি মাইতি ও সুজাতা মাইতির সঙ্গে। মেধাবী ছাত্র, ভালো ছেলে, কম্পিউটার বিদ্যায় তুখড়, এইভাবেই শুভমকে চেনেন এলাকাবাসী। সেই শুভম মাইতিই নাকি মাঝে মধ্যে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস বাড়ি ফিরতেন না। কোন অন্ধকারে ডুবেছিল যুবকের মন? মানসিক কোনও অশান্তি থেকেই কি মা, দিদিকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী যুবক?
ঘরের দরজা ভেঙে ৩ টি দেহই উদ্ধার করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস। কোন ধাক্কায় একসঙ্গে ৩ টি মর্মান্তিক মৃত্যু? তদন্তের দাবি উঠছে।
মেট্রো সম্প্রসারণে প্রয়োজন দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। আর তা নিয়েই রাজ্য-মেট্রো সংঘাত চরমে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল তীব্র কটাক্ষের সুর। একপ্রকার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক হৃদয়ের মণিমুক্তো। শেষ রক্তবিন্দু থাকতে ভাঙতে দেব না। প্রয়োজনে আমি বিকল্প রুট করে দেব। বুদ্ধি খরচ করুন।” অন্যদিকে, মেট্রোর সম্প্রসারণের জন্য আলিপুরের বডিগার্ড লাইনও ভাঙতে চায় রেল। এ বিষয়েও অনড় অবস্থানে বাংলার সরকার। তিনি বলেন, “আলিপুর বডিগার্ড লাইন পুলিসের হৃদয়ের মণিমুক্তো। রাজ্যের ঐতিহ্য। এর কোনওটাই ভাঙতে দেব না।” প্রয়োজনে মেট্রোর রুট বদলাতে হবে মত মমতার।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের প্রতিটা মেট্রো প্রকল্পের কাজই তিনি করে দিয়েছিলেন। এদিন রেলের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কৃতিত্ব দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতীয় রেলে আগে ২০টা জোন ছিল। মেট্রোকে নিয়ে ১টা জোন রাজ্য়ে তিনিই তৈরি করেছিলেন। এমনকি দিল্লি মেট্রোর জট ছাড়ানোর কৃতিত্বও দাবি করেন তিনি।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্র বিরোধিতার সুর আরও চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতেই কি রেলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি রাজ্যে দলের ভিত মজবুত করতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর?
মহম্মদ শামি, এই নামটিই ২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে ঝড় তুলেছিল। এর পাশাপাশি সারা বছর ধরে ইন্ডিয়ার হয়ে অনবদ্য বোলিং করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য অর্জুন পুরস্কার পেলেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি। ২২ গজে সারা বছর ধরে লাগাতার অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়েছেন তিনি। ২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে বল হাতে দুরন্ত ভেলকি দেখিয়েছেন। এবারে তাই ভারতীয় বোলার মহম্মদ শামির প্রতিভাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে নিলেন এই অর্জুন পুরস্কার।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে মহম্মদ শামির বোলিংয়ের জন্য় তাঁর নাম অর্জুন পুরস্কারের জন্য় মনোনিত করেছিল বিসিসিআই। এবার সেই মনোনয়নের জন্য় শামি অর্জুন পুরস্কার পেলেন। এবার বিশ্বকাপে মাত্র সাতটা ম্যাচ খেলে মোট ২৪টা উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে তিনবার পাঁচ উইকেট। বিশ্বকাপের প্রথমদিকে তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারপর মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচে ২৪টি উইকেট নিজের ঝুলিতে নেয় ভারতীয় এই তারকা পেসার।
অর্জুন পুরস্কার পেয়ে সংবাদমাধ্য়মে মহম্মদ শামি বলেন, 'এই পুরস্কারটি আমার কাছে একটি স্বপ্ন। এটার জন্য সকলের জীবন কেটে যায় এবং মানুষ এই পুরস্কার জিততে পারে না। আমি খুশি যে আমি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছি। আমার জন্য, এই পুরস্কার পাওয়াটা একটি বড় সম্মান।'
নববর্ষের দিনে উত্তর-মধ্য জাপানে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৬। ভূমিকম্পের পরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। যার ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে জাপানের ভূ-কম্পনে কেঁপে ওঠার একটি ভিডিও এই মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্য়মের পাতায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জোরে জোরে কাঁপছে রেলস্টেশন সহ মেট্রো রেল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Footage from the local Shinkansen station in Ishikawa prefecture, extremely powerful shaking! #japan #earthquake pic.twitter.com/moNwOIH7xp
— MEER YASIR (@MEERYASIR0056) January 1, 2024
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এদিন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে উত্তর-মধ্য জাপানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬ মাত্রা। এর ফলে তৈরী হয়েছে সুনামির সম্ভাবনা। তাই ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামা প্রিফেকচারের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি এখনো পর্যন্ত।
প্রসূন গুপ্ত: বেশ কিছুদিন ধরেই বলিউডের মস্ত আলোচনা যে ঐশ্বর্য ও অভিষেকের মধ্যে কি ভাঙ্গন আসছে? সিনেমা জগতে নানান জল্পনা কল্পনা চিরকাল স্থান পেয়েছে এবং নায়ক বা নায়িকার মধ্যে প্রেম ও ভাঙ্গনের রসালো গল্প কারই বা ভালো না লাগে? এক্বেবারে ভয়ঙ্কর মহিলা থেকে সাবধানী অমিতাভ বচ্চনেরও অভিনেত্রী রেখার প্রেম নিয়ে অসংখ্য গল্প বাজারে আছে। দিলীপ কুমারের পরমা সুন্দরী পত্নী সায়রা বানুর সঙ্গেও কোনও এক সময়ে রাজেন্দ্র কুমারের প্রেমের গল্প ছিল। এ ব্যাপারে সবচেয়ে আলোচিত নাম রাজ কাপুরের। নার্গিস থেকে শুরু করে পদ্মিনী, বৈজয়ন্তীমালা সিমি।এরকম অসংখ্য নায়িকার সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল রাজের কিন্তু তাতে তাঁর অভিনয়ে কোনও ধাক্কা আসেনি।
এই মুহূর্তে মুম্বই চলচ্চিত্র জগতে সম্মানীয় পরিবার অমিতাভের। স্ত্রী জয়া, পুত্র অভিষেক, বৌমা ঐশ্বর্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করার স্পর্ধা কেউ করে না। একসময় অভিষেকের সঙ্গে কারিশ্মা কাপুরের প্রেম ছিল। দারুন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রানী মুখার্জীর, কিন্তু ব্যাস ওই অবধি। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন সিনেমার সেরা সুন্দরী ঐশ্বর্যকে বিয়ে করেন অভিষেক। শোনা গিয়েছে, জয়া বচ্চনের নাকি রানীকে খুব পছন্দ ছিল। অন্যতম একটি কারণ রানী বাঙালি, কিন্তু সেটা আর সাতপাকের দিকে গেলো না। ঐশ্বর্যর বিয়ের আগে সলমন খানের সঙ্গে দীর্ঘ প্রেম ছিল। সলমনের হঠকারী ব্যবহার না থাকলে হয়তো তাঁদের বিয়েটাও হয়ে যেত।এই প্রেম ভাঙার অন্যতম কারণ বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে অ্যাশ নিয়ে গল্প। কিন্তু বয়সের অনেকটা ফারাক থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেরা সুন্দরীকেই বেছে নেয় অভিষেক। বড় পরিবারের বড় ব্যাপার আর কি।
অভিষেক বা ঐশ্বর্য কেউই তেমন দুর্দান্ত অভিনয় করতেন না, খানিকটা নামে কাটতো। এই বিয়ের পরে ধীরে ধীরে অদ্ভুত ভাবে দুজনেরই ছবির কাজ কমতে শুরু করলো। এর মধ্যে অনেকেই ভাগ্যের কথা বললেও আসল কারণ এঁরা অভিনয়ে পটু তো ছিলেন না। এটাই হয়তো অন্যতম কারণ বাড়িতে বসে বসে দুজনেই ভাগ্য নির্ভর করে একে অন্যের উপর দোষারোপ করতেন বলেই খবর। এ ছাড়াও জয়ার কোনও কালেই বৌমাকে তেমন ভালো লাগেনি বলে গুঞ্জন। ধীরে ধীরে দুজনেরই দূরত্ব বেড়েছে। হয়তো পরিবারের ঐতিহ্য মেনে এখনও সরকারি ভাবে আলাদা হয় নি তাঁরা কিন্তু হতে কতক্ষণ?
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তারকেশ্বরের নস্কর পুর এলাকায়। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম নমিতা দাস (২৬)। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তারকেশ্বর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় এবং অভিযুক্ত স্বামী সৌমেন দাসকে আটক করে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর সাতেক আগে অভিযুক্ত সৌমেন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নমিতা দাসের। তাঁদের একটি সাড়ে তিন বছরের কন্যা সন্তানও আছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত সৌমেন দাস অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। যা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এরপর এদিন সকালে অভিযুক্ত সৌমেন দাস তাঁর শ্বশুর বাড়িতে ফোন করে জানায় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। এরপর তাঁরা এসে দেখেন নমিতা দাস মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন ঘরের মেঝেতে এবং গলায় ছিল ওড়নার ফাঁস।
খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানার পুলিসকে। এরপর পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে, পুলিসের গাড়ি আটক করে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান মৃতার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিস।
এবারে অভিষেকের বচ্চনের (Abhishek Bachchan) আঙুলে নেই বিয়ের আংটি! তবে কি বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনই সত্যি হতে চলেছে? বেশ কয়েকদিন ধরেই বচ্চন পরিবার খবরের শিরোনামে। তবে তা কোনও সুখকর কারণে নয়। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, যে অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠেছেন, তাও শোনা গিয়েছে। কিন্তু এবারে অভিষেকের এক ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা জোরালো হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের এক ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাঁর বাঁ হাতের আঙুলে নেই বিয়ের আংটি। একটি ইভেন্টের ছবি রেড্ডিট ব্যবহারকারীরা শেয়ার করেছেন এবং এই ছবিটি শেয়ার করার সময় তাঁরা ক্যাপশনে লিখেছেন— 'অভিষেক তাঁর সাম্প্রতিক ছবিতে বিয়ের আংটি পরেননি, এর আগে পর্যন্ত তিনি সব সময় এটি পরেছেন। তাহলে কী?' ফলে স্বভাবতই তা শোরগোল ফেলেছে নেটপাড়ায়।
অভিষেকের এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই অনুরাগীরা চিন্তিত, বচ্চন পরিবারে কি এবার তাহলে ধরল ভাঙন? তবে কি বলিউডের পাওয়ার কাপল অভিষেক-ঐশ্বর্যর অবশেষে বিচ্ছেদ হবেই? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে ভক্তদের মনে। তবে অবশেষে তাঁদের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেবে, তা সময় আসলেই বোঝা যাবে।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
প্রয়াত 'সাহারাশ্রী' সুব্রত রায় (Subrata Roy)। দেশের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং সাহারা ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ নভেম্বর মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহারা গ্রুপের কর্ণধার। বুধবার লখনউয়ের সাহারা শহরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানেই জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা। সাহারা গ্রুপ একটি বিবৃতি জারি করে সুব্রত রায়ের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে। সংস্থার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের প্রধান সুব্রত রায় মঙ্গলবার রাত ১০টা বেজে ৩০ মিনিটে কার্ডিওরেসপিরেটরি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। দীর্ঘ দিন ধরে হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস এবং মেটাস্টেটিক ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তার শারিরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছিল, যার কারণে তাঁকে ১২ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ‘সাহারাশ্রী’র প্রয়াণে শোকাহত ‘সাহারা ইন্ডিয়া’ পরিবার।" তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সমাজের বহু বিশিষ্ট মানুষজন।
আজ কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও (Dakshineswar Kali Temple)। সকাল থেকেই মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় মা ভবতারিণীর পুজো। সঙ্গে রয়েছে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন। এবার সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। মন্দিরের মধ্যে থেকে পুজো দেখার পাশাপাশি থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
মনে করা হয় যে, দক্ষিণশ্বরের ভবতারিণী মা কালী করুণাময়ীরূপে দীপান্বিতা অমাবস্যার এই বিশেষ দিনে মর্ত্যে নেমে আসেন। শ্যামা মা ভক্তদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাঁদের সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই কালীপুজোর দিন পুজোর ডালি নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, মায়ের পুজো দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অগণিত ভক্ত এদিন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। পুজো দিতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। বেলা বাড়তেই উপচে পড়ছে ভিড়।
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান মা ভবতারিণী ঠাকুর। মায়ের ভোগ অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নাম করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মাকে (RamSwarup Sharma)। শুক্রবারের পর আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে ফের এলেন রামস্বরূপ শর্মা। আর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। ইডি দফতরে 'সাহেব' অর্থাৎ মন্ত্রীকে খাবার দিতে এসেছেন, এমনটাই দাবি করে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তিনি। রামস্বরূপ জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র নাম করে কয়েকজন এসে সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিল।
শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। যদিও তাঁর দাবি, তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাবার নিয়ে এসেছেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন। এর পর তিনি সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সাহেবের নাম করে অচেনা লোক উল্টোডাঙ্গার রাস্তায় সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কেন সই করিয়েছিল জানিনা।'
এছাড়াও রামস্বরূপকে ফ্ল্যাট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার টাকা, আমার সেলুনের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। এখন কেষ্টপুরে থাকি, কেষ্টপুরেই ফ্ল্যাট আছে। ২০ বছর সেলুনে রোজগার করে সেই টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট কিনেছি। ২০ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। সাহেব ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা নিয়েছিলাম লোন হিসাবে, ধারে নিয়েছিলাম। সাহেবের কাছ থেকে লকডাউনের আগে টাকা নিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের আগে লকডাউনের আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা শোধ করেছি, বাকি টাকা পাবে, মাঝে মাঝে শোধ করব। আজ ইডি ডেকেছিল, ওনারা যা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বলেছি যা হয়েছিল তাই বলেছি। নথি, প্যান কার্ড, ব্যাংক ডিটেলস জমা নিয়েছে।'
মন্ত্রীর পরিচারক আরও বলেন, 'ওনার সম্পত্তির কথা বলতে পারব না, যেগুলো জানিনা সেগুলো বলতে পারব না। আমি কোনও কিছুতে নেই। কোনও কিছু জানি না। নগদ টাকা নিয়েছিলাম জ্যোতিপ্রিয়র কাছ থেকে, মাসে মাসে শোধ করে দেব। ডিরেক্টর থাকার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আপনারা বলছেন বলেই জানতে পারছি, আগে জানা ছিল না।'
বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন যে, প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তাঁর। আর এই গুঞ্জনের মাঝেই আরও এক ছবি প্রকাশ্যে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় সলমান খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। কিন্তু এই ছবি কি আদৌ সত্যি, তা নিয়েই শুরু জল্পনা।
কিছুদিন আগেই দিওয়ালি, কিন্তু বলিউডে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলিউড তারকাদের দিওয়ালি পার্টি। সম্প্রতি ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা এক দিওয়ালি পার্টির আয়োজন করেছিলেন, সেখানেই বসেছিল চাঁদের হাট। মুকেশ আম্বানির পরিবার থেকে শুরু করে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের একাধিক তারকা। ফলে সেই পার্টিতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য ও সলমান। তবে ঐশ্বর্যের সঙ্গে দেখা যায়নি স্বামী অভিষেক ও কন্যা আরাধ্যাকেও। অন্যদিকে সলমানও একাই গিয়েছিলেন। আর সেই পার্টিরই এক ছবি বর্তমানে ভাইরাল, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সলমান খানের বাহুডোরে ঐশ্বর্য। যদিও ছবিতে মুখ দেখা যায়নি ঐশ্বর্যের। ফলে সলমান যাঁকে জড়িয়ে রয়েছেন, তিনি ঐশ্বর্যই কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
অবশেষে জানা গিয়েছে, সলমান জড়িয়ে ছিলেন অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির বোন সানা পাঞ্চোলিকে। আসলে পার্টিতে ঐশ্বর্য লাল রংয়ের সালোয়ার পরেছিলেন, আর সেই এক রংয়েরই পোশাক সানা পাঞ্চোলি পরায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, আলিঙ্গনরত অবস্থায় ছিলেন সলমান ও ঐশ্বর্য।