সামাজিক মাধ্যমে হঠাতই চর্চায় উঠে এসেছেন বিদ্যা বালন (Vidya Balan)। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে নেটিজেনদের। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তিনি নাকি এতদিন বেমালুম এড়িয়ে গিয়েছেন, তাঁর একটি মেয়ে (Daughter) রয়েছে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও থেকেই এত জল্পনার সূত্রপাত। এই বিষয়ে কি অভিমত বিদ্যার? ভিডিওতেই বা এমন কী রয়েছে?
এয়ারপোর্ট মানেই তারকাদের ভিড়। আর যেখানেই তারকা, সেখানেই পাপারাৎজি। সম্প্রতি অভিনেত্রী বিদ্যা বালনকেও দেখা গিয়েছিল সেখানে। তবে অভিনেত্রী বিমানে করে কোথাও যাননি। তিনি এসেছিলেন তাঁর কাছের মানুষকে এগিয়ে দিতে। অভিনেত্রী গাড়ি থেকে নামতেই দেখা যায়, তাঁর পাশে অল্প বয়সী একটি মেয়ে। তাকে দেখে মনে হয় খুব বেশি হলে টিনেজার হবে। এই মেয়েটিকেই কাছে টেনে নিয়ে আদর করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। এই থেকেই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন, এই মেয়েটি কি বিদ্যা কন্যা? সেই উত্তরই পাওয়া গেল এইবার।
অভিনেত্রী নিজেই এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেই মেয়েটি আসলে অভিনেত্রীর ভাইঝি ইরা। তাকেই এগিয়ে দিতে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন বিদ্যা। প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন ২০১২ সালে। তাঁর সঙ্গেই সুখে সংসারযাপন করছেন অভিনেত্রী। কাজের দিক দিয়ে ইদানিং বিদ্যাকে কমই দেখা যায় পর্দায়। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত ছবি নিয়ত।
অভিনেত্রী বিদ্যা বালন (Vidya Balan) বলিউড অভিনয় জগতে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর ভক্ত সংখ্যা অনেক। তবে সিনেমার বিষয়ে তিনি আবার খুঁতখুঁতে। চিত্রনাট্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক বিদ্যা। তাই বছর বছর তাঁর ছবি আসে না। যদিও অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। ইদানিং তাঁর খুব রিলস বানানোর শখ হয়েছে বোধহয়। তাই মাঝেমধ্যেই নানা ভিডিও পোস্ট করে থাকেন। তবে কী এবার তাঁর গায়িকা (Singer) হওয়ার শখ হয়েছে? সামাজিক মাধ্যমে তো ইঙ্গিত তেমনই।
সম্প্রতি বিদ্যা নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওতে প্রথমে আসল সুরে জনপ্রিয় 'লাকড়ি কি কাঠি, কাঠি পে ঘোড়া' শোনা যাবে। তারপর এই গানটিই শোনা যাবে বিষাদের সুরে। এই ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'আমার মতো গায়িকা চাও?' নেটিজেনদের প্রশ্ন, 'তাহলে বিদ্যা অভিনয় ছেড়ে এবার সঙ্গীত জগতে পা দেবেন?'
বিদ্যা আসলে রিলস ভিডিও বানিয়েছেন। তারপরেই পোস্ট করে মজার ছলে লিখেছেন, গায়িকা হিসেবে তাঁকে কেউ চান কি না। বিদ্যা বালন এখনও অভিনয় জগতেই সক্রিয় রয়েছেন। তাঁর সিনেমা 'নিয়ত' থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের ৭ জুলাই।
বাঙালি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) জনপ্রিয়তা দেশে-বিদেশের সব জায়গায়। টলিউডে তো তাঁর ভক্ত রয়েছেই, বলিউডেও তাঁর ভক্তের সংখ্যা কম নেই। এমনকি অভিনেত্রী বিদ্যা বালনও পরিচালকের ভক্ত। তাও একেবারে ছোটবেলা থেকে। এমনকি ছোটবেলায় অভিনেত্রী নাকি পরিচালককে চিঠিও লিখেছিলেন। যদিও সেই চিঠি পাঠাতে পারেননি ঠিকানায়। পরিচালকের প্রয়ানেও ভেঙে পড়েছিলেন বিদ্যা (Vidya Balan)।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা তাঁর পছন্দের পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ছোটবেলায় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা তৈরী হয়েছিল। তাই পরিচালককে নিজের মনের কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও সেই চিঠি পরিচালকের ঠিকানায় না পাঠিয়ে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন বিদ্যা। পরিচালকের প্রয়াণে তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছেরও মৃত্যু হয়েছিল বিদ্যার।
বিদ্যা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'যদি আজ সত্যজিৎ রায়কে চিঠি লিখতাম, তবে আমি তাঁর লম্বা জীবনের জন্য প্রার্থনা করতাম। এমনকি এখনও আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। সবাই সত্যজিৎ রায়ের মাস্টারপিস 'পথের পাঁচালি' ও 'চারুলতা' নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু আমার হৃদয়ের কাছের মহানগর। সত্যজিৎ রায় যদি বেঁচে থাকতেন আমি হয়তো তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারতাম।'
বিদ্যা বালন বলিউডের (Bolywood) এখন প্রতিষ্ঠিত মুখ। ২০০৫ সালে ‘পরিণীতা’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক বিদ্যার (Vidya Balan)। সেই সময় সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) ছিলেন 'পরিণীতা' (Parineeta) ছবিতে ললিতার শেখর। একটি ছবির পরই দু’জনের রসায়ন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। তবে বিদ্যা তত দিনে অন্য চরিত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ততদিনে দা ডার্টি পিকচার ছবির জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিদ্যা বালন। সেই ছবি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল যথেষ্ট।
পরিণীতা প্রসঙ্গে করিনা জানান, সে ছবি একবারও দেখেননি সইফ। যতবার তাঁকে একসঙ্গে বসে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ দেখতে বলেছেন করিনা, কিছুতেই রাজি হননি সইফ। এতে করিনার দাবি, সইফ বোধ হয় ভয় পাচ্ছিলেন। পাছে তিনিও ও রকম একটা ছবি করতে চান!
‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এ রেশমার চরিত্রে আদতে সিল্ক স্মিতার জীবনী ফুটিয়ে তুলেছিল বিদ্যা। তেমন এক বলিষ্ঠ চরিত্রে করিনাও কি কাজ করতে আগ্রহী? তাঁকে জিজ্ঞাসা করাতে বলেন, 'বিদ্যা ২০১১ সালের হিরো। আমি সেই রকম ঝুঁকি নিতে পারব কিনা জানি না। হ্যাঁ, সেই ছবিতে সলমন খান বা শাহরুখ খানের মতো কেউ থাকলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। তা হলে হয়তো পুরোপুরি ছবি ফ্লপ হবে না।'