খড়দহ, টিটাগড় ও সোদপুরে একের পর এক ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক চুরির কিনারা করল পুলিস। গ্রেফতার করা হল তিন দুস্কৃতীকে। পুলিসের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা, টিটাগর ও সোদপুর ঘোলা এলাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে অথবা বাড়িতে ঢুকে ওষুধ জাতীয় কিছু স্প্রে করে মানুষকে অচৈতন্য করে চুরির ঘটনা ঘটছিল। আর সেই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে রহড়া থানার পুলিস ও ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশরাফুল নামে এক অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস।
অভিযুক্ত আশরাফুলকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, পার্ক সার্কাসের রিয়ান ও রিজা নাম দুই দুষ্কৃতী আশরাফুলকে বাইকে করে খড়দহ রহড়া থানার অন্তর্গত এলাকায় ছেড়ে দিয়ে যেত। এরপর রাতের অন্ধকারে আশরাফুল বিভিন্ন বাড়ির ছাদে উঠে কোথায় কী আছে তা দেখে আসত। তার ঠিক পরের পরের দিন চুরির অপারেশন চালাত। চুরির শেষে স্থানীয় একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত আশরাফুল। সেই জায়গা থেকে রিয়ান ও রিজা বাইক নিয়ে এসে আশরাফুলকে নিয়ে চলে যেত পার্ক সার্কাসে।
সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া সোনার গহনা রিয়ান ও রিজা নামে ওই দুই দুষ্কৃতী রুবি আনন্দপুর এলাকায় মোহিত কুমার নামে এক সোনার দোকানের ব্যবসায়ীকে বিক্রি করত। তারপর সোনার দোকানের মালিককে জেরা করে ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিয়ান ও রিজা নামের দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিস। চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্কুটিও উদ্ধার করে পুলিস।
রাতের অন্ধকারে পরপর পাঁচটি দোকানের তালা ভেঙে চুরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া ও হুগলি সীমানা লাগোয়া কোতুলপুর থানার চেকপোস্ট বাজারে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চেকপোস্টের অদূরে পরপর দোকানে চুরি হওয়ায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চুরির প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ও হুগলি জেলার গোঘাট থানার সীমানায় রয়েছে খাটুল চেকপোস্ট বাজারে একের পর এক দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। আজ, শুক্রবার সকালে দোকান খুলতেই এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারের অদূরেই রয়েছে খাটুল চেকপোস্ট। সেখানে সারাদিন রাত পুলিস মোতায়েন থাকে। বাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিস থাকা সত্ত্বেও বারংবার চুরির ঘটনা ঘটছে চেকপোস্ট বাজারে। অভিযোগ, পুলিস ও প্রশাসনের উদাসীনতার কারনেই বারংবার এই ঘটনা ঘটে চলেছে। অবিলম্বে চেকপোস্ট বাজারে প্রতিরাতে পুলিস টহল দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ফের অবৈধভাবে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য়ে। মহানন্দা নদী থেকে বালি চুরি করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। আর সেই সময় বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় আহত সাতজন। অভিযোগ, বালি চুরিতে বাধা দিলে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় গ্রামবাসীদের। পাঁচজনের মাথা ফেটে যায় লাঠির আঘাতে। বর্তমানে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাস্থলে থাকা জেসিবি চালক এবং জেসিবিটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে মহানন্দা নদী থেকে মাটি মাফিয়ারা পাচারের জন্য় জেসিবির মাধ্যমে নদী থেকে বালি কেটে পাচার করছিল। খবর পেয়ে মিনি ঢাকপাড়া গ্রামের বেশ কিছু গ্রামবাসী ছুটে যায় সেখানে। এরপর শুরু হয় বালি মাফিয়া ও গ্রামবাসীদের মধ্যে হাতাহাতি। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর থানার পুলিসকে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিস আসার আগেই বালিমাফিয়া ও গ্রামবাসীদের মধ্যে শুরু হয় মারধর।
অভিযোগ, বচসার জেরে গ্রামের বেশ কয়েকজনকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। যার জেরে পাঁচ জন ব্যক্তির মাথা ফেটে যায় এবং আরও বেশ কিছু ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। অবশেষে আহতদের বিধাননগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই আহত পাঁচজনের মধ্যে থেকে তিন জনের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি মন্দিরে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ইসলামপুর শহরের লোহারপট্টি এলাকায়। গোটা চুরির ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে মন্দিরের পুরোহিতের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তড়িঘড়ি এসে খুলে দেয় সেই দরজা। তখনই তাঁদের চোখে পড়ে মন্দিরের দরজা ভাঙা। তারপর মন্দিরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় লুটপাট হয়েছে সোনা ও রূপার অলংকার। যা পুরোটাই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় ইসলামপুর থানার আইসি হীরক বিশ্বাস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রাতের অন্ধকারে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। বাজেয়াপ্ত লক্ষাধিক টাকার গহনা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপারা এলাকায়। ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী মহল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জিপারা বাজারের এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ভিন রাজ্যের দুই বাসিন্দাকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
পাশাপাশি ধৃতদেরও জেরা করে বাকি দুষ্কৃতিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গহনা উদ্ধার করেছে পুলিস। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার রুপার গহনা সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এই ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি বিভিন্ন মহলের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো নীল আলোযুক্ত গাড়ি নিয়ে চুরির অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার সল্টলেকে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই গাড়িটিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সল্টলেকের ইই-ব্লকের বাসিন্দা মহেন্দ্রনাথ সরকার বিধান নগর পূর্ব থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর বাড়ি থেকে তিনটি জেনারেটর চুরি গিয়েছে। সেই চুরির ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে বিধান নগর পুলিস।
এরপর অভিযোগকারীর বাড়ির ও বিধান নগরের বিভিন্ন জায়গার মোট ৩৭টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিস। তারপরেই নীল আলো লাগানো গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়। রবিবার উল্টোডাঙার বাসন্তী দেবী কলোনি থেকে ওই গাড়ির ড্রাইভার তপন রায়কে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক অভিযুক্ত বিমল ব্যাপারীর নাম জানতে পারে পুলিস। তারপর গ্রেফতার করা হয় বিমল ব্যাপারীকেও। আটক করা হয়েছে নীল আলো ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে। সূত্রের খবর, এই গাড়িটি নবান্নে ভাড়ায় দেওয়া রয়েছে। গাড়িটির মালিকের সম্বন্ধে খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিধান নগর পুলিস।
মালদহের পর এবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে দুঃসাহসিক গহনা চুরির অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক সাবিনা ইয়াসমিন। এক রাতে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা সোনার গহনা চুরির ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা ভরতপুর থানা সংলগ্ন এলাকার। গহনা চুরির অভিযোগ করেছেন সোনার দোকানের মালিক সাবিনা ইয়াসমিন। খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিস এসে তদন্ত করলেও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
যদিও দুঃসাহসিক এই চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেধে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। প্রথমে ওই দোকানের পিছনে দেওয়ালের সিক কাটার চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে সেই চেষ্টা বিফল হলে দোকানের সামনের সাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীর দল।
এমনকি চুরি করার পর সমস্ত সামগ্রী ওই দোকানের পিছনে ভাগাভাগি করার ঘটনাও দেখা গিয়েছে সেই সিসিটিভি ফুটেজে। থানা লাগোয়া দোকানে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চুরির ঘটনায় পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিস প্রশাসন।
চুরির অভিনব কায়দা। ভুয়ো পুলিসের পরিচয় দিয়ে সোনার দোকানে হানা। সোনার দোকান থেকে সোনার জিনিস নিয়ে পালাল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্য়ায় দাসপুর বাজারে অবস্থিত একটি সোনার দোকানে ভুয়ো পুলিসি পরিচয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি। সোনার দোকানে ঢুকে অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তি জানায় তাকে নাকি থানা থেকে বড়বাবু উপহার হিসেবে সোনার জিনিস কিনতে পাঠিয়েছে। এই কথা শুনে দোকান মালিক ওই ব্যক্তিকে দুটি সোনার আংটি দেয় আর সেই আংটি নিয়ে চম্পট দেয় সেই ব্যক্তি এমনটাই অভিযোগ দোকান মালিকের।
এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দোকানের মালিক নিজের বিশ্বাসে স্বর্ণ দিয়েছেন। সোনার দোকানে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জানতে পেরেছেন কোনও পুলিস দোকানে যায়নি। উনি যাকে স্বর্ণ দিয়েছেন সে পুলিসের কেউ নয়। তবু পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখছেন।
নতুন পদ্ধতিতে চুরির উপায়। মালিককে কারখানার ভিতরে বন্ধ করে চুরি শ্রমিকের। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত শ্রমিক। জানা গিয়েছে, এক লক্ষেরও বেশি টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করেছে শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়া বিবির বাগান অঞ্চলে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হোসিয়ারি ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস তাঁর নতুন শ্রমিক ঈশান মোদিকে সঙ্গে নিয়ে কারখানাতে শুয়েছিলেন। কারণ ভোর হতে না হতেই মঙ্গলা হাটে মাল বেচতে যেতে হবে। তাই তাঁরা কারখানাতেই শুয়েছিল। ৩২৯ নম্বর জি টি রোড সালকিয়া বিবির বাগানে কমলা ভবন এর নিচেই কারখানাটি অবস্থিত ছিল। অভিযোগ, সতর্ক থাকলে রাতে মালিক ঘুমিয়ে পড়ার পর সেই সুযোগ কাজে লাগান অভিযুক্ত ঈশান মোদি। এরপর কারখানার থাকা ক্যাশব্যাগ থেকে সমস্ত টাকা এবং মোবাইল ফোন নিয়ে মালিককে কারখানার মধ্যে বন্ধ করে তালা দিয়ে চম্পট দেন।
এরপর কারখানায় আটকে থাকা মালিক ছটফট করেন এবং বাইরে আসার জন্য ডাকাডাকি শুরু করেন। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে রাত দেড়টার পর বাড়ির লোক এবং এলাকার লোকজন এসে তালা ভেঙে উদ্ধার করে মালিক শ্যামসুন্দর দাসকে। এ বিষয়ে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
কথায় আছে, চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা! আর ধরা পড়লে কি হবে? চাল চুরি পর্দাফাঁস, হাতেনাতে ধরে ফেলল স্থানীয়রা। মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা ৭ নম্বর অঞ্চলে অবস্থিত চুয়াশোল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। অভিযোগ,সেই কেন্দ্রের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বস্তা ভর্তি চাল, টোটোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল স্কুলের শিক্ষিকার বাড়িতে। নির্দেশ নাকি মিলেছিল এমনটাই। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে টোটোচালকে পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। তারপর গ্রামবাসীর জেরা মুখে পড়ে সবটাই স্বীকার করে নেন টোটোচালক। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও দু-একবার শিক্ষিকার বাড়িতে চাল পৌছে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন টোটোচালক। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব স্থানীয়রা, চলে বিক্ষোভ।
কোনও কোনও স্কুলে ঢালাও চাল চুরি। কোথাও কোথাও খোলা বাজারে চাল বিক্রি। অনেক ক্ষেত্রে আবার ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য ডিম দেওয়া হয় না। পড়ুয়াদের মুখে গ্রাসটুকু কেড়ে নিচ্ছে খোদ শিক্ষিকাই? তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
স্কুলের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সুষম খাদ্য দিতেই মিড ডে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ রাজ্যে দুপুরের খাবার জোগান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বারে বারেই।
রেশন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশন বন্টনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এবার প্রকাশ্যে এল মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগ। পড়ুয়াদের খাবার নিয়েও এত গড়িমসি কেন?
ঘরের উঠোনেই খেলছিল বছর দুয়েকের শিশু। খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মিশ্র পাড়ায়। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে বাড়ির উঠোনে বসিয়ে দোকানে যান শিশুটির মা। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন শিশুর মা ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু দিন পেরোলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি শিশুটির।
খোঁজ না মেলায় বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। শিশুটিকে খুঁজতে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। তবে কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
পুলিসের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হলেও এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে কী প্রতিবেশীদের অনুমান সঠিক? কে বা কারা তুলে নিয়ে গেল শিশুটিকে? এর পেছনে কোন অভিসন্ধি? ফের প্রশ্নের মুখে সাধারণের নিরাপত্তা।
রাতের অন্ধকারে সিংহবাহিনীর মূর্তি চুরির চেষ্টা দুস্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার পাঁচথুপির ৩৫০ বছরের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি সিংহবাহিনী মন্দিরে চলে দুষ্কৃতীদের হামলা। ঘটনাকে ঘিরে পুলিসি ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচথুপি ঘোষ হাজরা পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছ প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই সিংহবাহিনী মন্দির। সেখানে রয়েছে সোনা সহ অষ্ট ধাতুর মূর্তি। মন্দির পরিচালনাকারী ঘোষ হাজরা পরিবারের দাবি, কয়েক বছর আগে এই মন্দিরের সোনার মূর্তি এবং বিভিন্ন অলঙ্কার চুরি গিয়েছিল। তখন বড়ঞা থানার তৎকালীন ওসি এই মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। নিরাপত্তার জন্য রাতে দুটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে কোন নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নেই। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও নেই। যারফলে এখন দুস্কৃতী আতঙ্ক বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে সামন্য়র জন্য় দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। কারণ তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ঘোষ হাজরা পরিবারের লোকেদের। তারপর তাঁরা বাইরে বেরিয়ে মন্দিরের দরজা খোলা দেখেই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। যদিও ততক্ষণে বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুজোর সময় বাড়ি ফাঁকা থাকায় দু:সাহসিক চুরি। লক্ষাধিক টাকা ও ৩০ ভরি সোনার গহনা খোয়া গিয়েছে বলে খবর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরের পিয়াসারা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার ষষ্ঠীর দিন স্বপরিবারে দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন মুসিআর রহমান মল্লিক ও তাঁর পরিবারের আরও চার সদস্য। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ বাড়িতে ঢুকেই হতভম্ভ হয়ে যান মুসিআর রহমান। কারণ মেন গেটের তালা দেওয়া থাকলেও বাড়ির ভিতরে আলমারি তালা ভাঙা। আলমারিতে থাকা ৫৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ৩০ ভরি সোনার গহনা এবং ১০-১২ ভরি রুপোর গহনা লুট হয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তারকেশ্বর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিস।
এর আগেও অনেকবার চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে বাড়ির মেন গেটে তালা দেওয়ার পরেও আলমারির তালা ভেঙে চুরি যাওয়ার ঘটনা তেমন দেখা যায়নি।
রাজঘাট থেকে চুরি শান্তনু সেনের মোবাইল ফোন। সোমবার এই অভিযোগ জানিয়ে নিজেই তার সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সোমবার এবং মঙ্গলবার দুদিনই দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হোন তিনি। অভিযোগ, সোমবার রাজঘাটে প্রতিবাদ কর্মসূচিতেই তার মোবাইল ফোনটি পকেটমারি হয়। এরপরেই তিনি তার সোশ্যাল মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুকে একটি পোস্ট করে এ ঘটনা জানান। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, রাজঘাট থেকেই তার বিদেশি কোম্পানির মোবাইলটি পকেটমারি হয়। এরপর অবশ্য সিএন ডিজিটাল এর পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বারাসতের আমডাঙার আড়খালিতে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় চুরি হচ্ছিল। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন এলকাবাসী। চুরি করার অভিযোগে ঘরে আটকে ওই যুবকের ওপর চলে গনধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, দিনদিন যেন এলাকায় বেড়েই চলেছে নেশাগ্রস্থদের সংখ্যা। সেই জন্য় নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে চুরি। এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চোর সন্দেহে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আমডাঙ্গা থানার পুলিস।