২২ জানুয়ারি ছিল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! সেদিন উদ্বোধন করা হয় নবনির্মিত রাম মন্দির ও এর পাশাপাশি গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় রামলালা। আর সাধারণের জন্য রাম মন্দিরের দ্বার খোলার পর থেকেই মন্দিরের সামনে জনজোয়ার। ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তদের কথা ভেবেই রাম মন্দিরের দর্শনের সময় পরিবর্তন করা হল। রামলালা দর্শন এখন থেকে ভক্তরা করতে পারবেন ভোর ছ'টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।
কোটি কোটি মানুষের জনসমাগমে অযোধ্যা ঘিরে প্রবল উৎসাহ সাধারণ মানুষের মনে। প্রথম দিনেই তিন কোটির বেশি অনুদান জমা পড়েছে। এদিকে ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত অযোধ্যা ভ্রমণসূচি স্থগিত রেখেছে। অযোধ্যায় ঢোকার সমস্ত বাস রুটও বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তা সত্ত্বেও ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে হাজারে হাজারে মানুষ প্রতিদিন আসছেন রামলালার দর্শনে। আর এরই মাঝে সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই রামলালা দর্শনের সময় পরিবর্তন করা হল। এখন থেকে ভক্তরা রামলালা দর্শন করতে পারবেন ভোর ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। এই সময় টানা খোলা থাকবে রাম মন্দিরের দরজা।
প্রথমে প্রতিদিন রাম মন্দিরের দর্শনের সময় নির্ধারিত হয়েছিল সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা। এরপর আবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল মন্দিরের দরজা। ফের ২টো থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দর্শনের অনুমতি মিলছিল। কিন্তু, কাতারে কাতারে ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে এবার থেকে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রামলালার দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
আর মাত্র ৫টা দিন। তারপরই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই নিয়েই সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর এরই মাঝে ওই দিনই কলকাতায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, হাজরা থেকে এই মিছিল হবে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। এরপরই বুধবার এই মিছিল বন্ধের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনই বাংলায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জানুয়ারি এই মিছিলের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। শুধু তাই নয়, রামপুজোর দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানালেন শুভেন্দু। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
আর মাত্র কয়েকটা দিন! আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে ঐতিহাসিক রাম মন্দির। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে দেশজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। রাম রাজ্য অযোধ্যায় সাজ সাজ রব। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আর এর মাঝেই রাম রাজ্যে জমি কিনলেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন। অযোধ্যায় সেভেন স্টার এনক্লেভে একটি জায়গায় এই জমি তিনি কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই জমির দাম স্পষ্ট জানা না গেলেও এক সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই জমির দাম ১৪.৫ কোটি।
জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে সরযূ নদীর পারে জমি কিনেছেন অমিতাভ বচ্চন। মুম্বইয়ের নির্মাণ সংস্থা দ্য হাউস অফ অভিনন্দন লোধার বিশাল 'দ্য সরযূ' প্রজেক্টে জমি কিনেছেন বলিউডের শাহেনশাহ। ৫১ একরের জমিটিতে নিজের বাড়ি তৈরি করবেন ও সেই বাড়ি প্রায় ১০,০০০ বর্গফুট হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। অযোধ্যায় জমি কেনা প্রসঙ্গে বিগ বি বলেছেন, 'এই শহরের সঙ্গে আমার আবেগ ও আধ্যাত্মাতিক সংযোগ রয়েছে। এই শহরে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা নির্বিঘ্নে সহাবস্থান করে। আমি এই আধ্যাত্মিক রাজধানীতে আমার বাড়ি নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছি।'
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরএসএস-বিজেপির অনুষ্ঠান, তাই থাকবে না জাতীয় কংগ্রেস। মঙ্গলবার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। দলের তরফে সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীর চৌধুরীকে ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। কিন্তু নির্মীয়মান রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে।
প্রেস বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমশে। কেন শতাব্দী প্রাচীন এই দলের এই সিদ্ধান্ত। সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জয়রাম রমেশ। প্রেস বিবৃতিতে জয়রাম রমেশ লেখেন, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দেশে লক্ষ-কোটি মানুষ ভগবান রামের পুজো করেন। ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আরএসএস-বিজেপি অযোধ্যার রামমন্দিরকে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছে। নির্মীয়মান রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভোটকে মাথায় রেখে এগিয়ে এনেছে বিজেপি-আরএসএস। ২০১৯ সালের সু্প্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে দেশের লক্ষ-কোটি মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে আরএসএস-বিজেপির এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ সসম্মানে ফিরিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারির এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় আসমুদ্র হিমাচল। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁরা কী করবেন, স্পষ্ট নয় অবস্থান। ইতিমধ্যে মন্দির নগরী নবরূপে নির্মিত রেলস্টেশন এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পেয়েছে। ১৪-২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোত্সব। এদিকে ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় গিয়ে কার্যত মূল উৎসবের সূচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। এখন সব চোখে ২২ জানুয়ারির সেই পুণ্যক্ষণের দিকে।
আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ২২ জানুয়ারি অবশেষে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আর সেই উদ্বোধনের আগে আজ অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর, শনিবার অযোধ্যায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন রূপে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন উদ্বোধনের পাশাপাশি অযোধ্যাবাসীকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উপহার দেবেন তিনি। তাই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে অযোধ্যা। বিমানবন্দরে গিয়ে অযোধ্যার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা সফর নিয়ে সাজ সাজ রব। ফুলে ফুলে সেজেছে পথ। মোদীর উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে রাস্তার পাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। এখন ধর্মপথ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি এগিয়ে চলেছে রেলস্টেশনের দিকে। জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়েছেন মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল সাড়ে ১০ টায় অযোধ্যা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ও সেখান থেকেই তাঁর ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডশো শুরু হয়। এদিন পুনর্নির্মিত অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন বা অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করেন এবং নতুন অমৃত ভারত ট্রেন এবং বন্দে ভারত ট্রেনগুলিকে পতাকা দিয়ে উদ্ধোধন করবেন। মোদী আরও কয়েকটি রেল প্রকল্প দেশকে উৎসর্গ করবেন। দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত অযোধ্যা বিমানবন্দর বা মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১ টায়, মোদী একটি জনসভায় অংশ নেবেন যেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। রাজ্যে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা এবং এর আশেপাশের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অন্যান্য প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়াও আজ ৬টি বন্দে ভারত ও ২ টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্য়ে একটি অমৃত ভারত পাচ্ছে বাংলা।
রাতের অন্ধকারে সিংহবাহিনীর মূর্তি চুরির চেষ্টা দুস্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার রাতে বড়ঞার পাঁচথুপির ৩৫০ বছরের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি সিংহবাহিনী মন্দিরে চলে দুষ্কৃতীদের হামলা। ঘটনাকে ঘিরে পুলিসি ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচথুপি ঘোষ হাজরা পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছ প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন এই সিংহবাহিনী মন্দির। সেখানে রয়েছে সোনা সহ অষ্ট ধাতুর মূর্তি। মন্দির পরিচালনাকারী ঘোষ হাজরা পরিবারের দাবি, কয়েক বছর আগে এই মন্দিরের সোনার মূর্তি এবং বিভিন্ন অলঙ্কার চুরি গিয়েছিল। তখন বড়ঞা থানার তৎকালীন ওসি এই মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। নিরাপত্তার জন্য রাতে দুটি করে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে কোন নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নেই। এমনকি সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও নেই। যারফলে এখন দুস্কৃতী আতঙ্ক বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে সামন্য়র জন্য় দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। কারণ তালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ঘোষ হাজরা পরিবারের লোকেদের। তারপর তাঁরা বাইরে বেরিয়ে মন্দিরের দরজা খোলা দেখেই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। যদিও ততক্ষণে বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আজ কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনাকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরেও (Dakshineswar Kali Temple)। সকাল থেকেই মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মন্দির খোলা হয়েছে। মন্দির খোলার পর বিশেষ আরতি হয়। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় মা ভবতারিণীর পুজো। সঙ্গে রয়েছে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোরও আয়োজন। এবার সারারাত খোলা থাকবে মন্দির। মন্দিরের মধ্যে থেকে পুজো দেখার পাশাপাশি থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
মনে করা হয় যে, দক্ষিণশ্বরের ভবতারিণী মা কালী করুণাময়ীরূপে দীপান্বিতা অমাবস্যার এই বিশেষ দিনে মর্ত্যে নেমে আসেন। শ্যামা মা ভক্তদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন এবং তাঁদের সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। আর এই বিশ্বাস থেকেই কালীপুজোর দিন পুজোর ডালি নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। শুধু শহর কলকাতা নয়, মায়ের পুজো দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও অগণিত ভক্ত এদিন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। পুজো দিতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরে। বেলা বাড়তেই উপচে পড়ছে ভিড়।
দক্ষিণেশ্বরে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের দেখানো পথেই পুজো পান মা ভবতারিণী ঠাকুর। মায়ের ভোগ অতি সাধারণ। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
যে কোনও ধরনের পোশাক আর পরা যাবে না মন্দির চত্বরে, এমনটাই নির্দেশিকা জারি পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষের। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেককেই মন্দিরে টর্ন জিন্স, হাফ প্যান্ট, স্লিপলেস জামা পরে আসতে দেখা যায়। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মন্দিরে 'সভ্য পোশাক' পরে আসতে হবে। কারণ মন্দির কোনও বিনোদনের জায়গা নয়। তাই এবারে ভক্তদের জন্য নতুন পোশাক বিধি এনেছে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, সোমবার জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে পোশাক বিধির নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে এবছর থেকে নয়, ২০২৪-এর ১ জানুয়ারি থেকে ভক্তদের এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। জানা গিয়েছে, সোমবার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নীতি আয়োগ সাব-কমিটির বৈঠক হয়, সেখানেই অশালীন পোশাক নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফলে ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা ভেবেই পোশাক বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে কেবল পোশাকবিধি চালু করা নয়, সেটি কার্যকর করার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নজরদারির জন্য জগন্নাথ মন্দিরের ‘সিংহদুয়ারে’ নিরাপত্তারক্ষী এবং অভ্যন্তরে ‘প্রতিহারী’-তে সেবায়েত থাকবে। নতুন বছর থেকে পোশাক বিধি কার্যকর করা হলেও আজ, মঙ্গলবার থেকেই এই বিষয়ে প্রচার শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান করে অযোধ্যা রাম মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করা হল। আগামী বছরের শুরুতেই অযোধ্যা রাম মন্দিরের দরজা খুলে যাবে সর্বসাধারণের জন্য। মঙ্গলবার অযোধ্যায় (Ayodhya) শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিলেন রামমন্দির উদ্বোধনের দিন। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে কোনও এক শুভ মুহূর্তে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এমনকি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রামমন্দিরের এক তলার কাজ শেষ হয়ে যাবে।
রাম জন্মভূমিতে মন্দির তৈরির জন্য ও ভগবান রামের দর্শনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন দেশবাসী। একাধিক গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণ নিয়ে। অবশেষে মন্দির কমিটির তরফে বহু প্রতীক্ষিত তারিখ ঘোষণা করা হল। নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আগামী ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিনে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। এর পর ২০-২৪ জানুয়ারির মধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতেই রাম মন্দির উদ্বোধন হবে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কবে হবে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এখনও চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম (Swaminarayan Akshardham) খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের বাইরে। জানা গিয়েছে অন্যতম বৃহৎ মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে (New JerSey)। ৮ অক্টোবরেই এই মন্দির উদ্বোধন করা হবে ও সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দ্বার খোলা হবে আগামী ১৮ অক্টোবর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ মন্দির হতে চলেছে এই মন্দিরটি। ইতিমধ্য়েই স্বামীনারায়ণ অক্ষরধামের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই মন্দিরের ছবিগুলি দেখেই মন জুড়িয়ে যাচ্ছে, এমনই তাঁর কারুকার্য, স্থাপত্য।
বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট। কার্যত তারপরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির হতে চলেছে এই স্বামী নারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির। ১৮৩ একর জমির ওপর নির্মিত এই মন্দির তৈরি করতে ১২ বছর সময় লেগেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রায় ১২৫০০ জন মিলে এই নির্মাণটি শেষ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরটি প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের বাইরে থেকে ভিতর, ছাদ থেকে প্রতিটি মিনার চোখধাঁধানো, নজরকাড়া কারুকাজে সাজানো। নিঁখুতভাবে খোদাই করা হয়েছে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন গল্প ও চরিত্রদের। মন্দিরের গায়ে ১০ হাজার মূর্তি খোদাই করা আছে। এছাড়াও ভারতের বাদ্যযন্ত্র, ঐতিহ্য, নৃত্যের অঙ্গি-ভঙ্গি মন্দিরের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
রাখী বন্ধন উৎসব উদযাপন করতে পারলেও জন্মাষ্টমী পালন করতে পারেননি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তার জন্য আক্ষেপ থেকেই গিয়েছিল তাঁর। জি-২০ সম্মেলনের (G 20 Summit) জন্য ভারতে এসেই সে কথা জানিয়েছিলেন। এর পর তিনি মন্দির দর্শনের ইচ্ছাপ্রকাশও করেছিলেন। আর সেই ইচ্ছাপূরণ করতেই আজ অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর, রবিবার অক্ষরধাম মন্দির দর্শন করতে গেলেন তিনি। এদিনের জি-২০ সম্মেলনের আগেই এক ফাঁকে ঈশ্বরের দরবারে গিয়ে আশীর্বাদ নিলেন তিনি।
ব্রিটেনে থাকলেও বা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেও ঋষি সুনক ভোলেননি তাঁর শিকড়। বরং তিনি যে 'গর্বিত হিন্দু', সেই কথা একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। ফলে এদিন তাঁকে জন্মাষ্টমী পালন করতে না পারার আক্ষেপ মেটাতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ সস্ত্রীক পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে। সেখানে গিয়ে স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে পুজো-আরতি করেন, মূর্তিদের সামনে ফুল অর্পণ করেন। সেখানকার সাধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
অক্ষরধাম মন্দিরের ডিরেক্টর জ্যোতিন্দ্র ডাবে জানান, ঋষি সুনক ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মন্দিরে এসে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ছিলেন। তাঁদের উপহার হিসাবে মন্দিরের মডেল দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঋষি সুনক জানিয়েছেন, তিনি যখনই সময় পাবেন তখনই মন্দির দর্শন করতে আসবেন।
৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার ৫৬ বছরে পা দিলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। আজ তাঁর ৫৬ তম জন্মদিন। তবে তাঁর জন্মদিনে তাঁকে কোনও পার্টি করতে দেখা যায়নি বাকি সব তারকাদের মতো। বলিউডের 'খিলাড়ি'-কে এবারে দেখা গেল এক অন্য রূপেই। জানা গিয়েছে, তাঁর জন্মদিনে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন ঈশ্বরের দরবারে। তিনি আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে। ইতিমধ্যেই অভিনেতার একমনে ঈশ্বরের নাম সংকীর্তনের ছবি-ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটপাড়ায়।
মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের উজ্জয়িনী শহরে অবস্থিত মহাকালেশ্বর মন্দির। জন্মদিনে এই মন্দিরেই পুজো দিতে এলেন অক্ষয় কুমার। তাঁর সঙ্গে বোন, ভাগনি ও ছেলে আরভকে দেখা যায়। আবার অক্ষয়ের থেকে কিছুটা দূরে বসে থাকতে দেখা যায় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানকেও। এদিন 'খিলাড়ি'-কে আপাদমস্তক গেরুয়া বসনে দেখা গিয়েছে। কপালে চন্দন। আর পাশে সাদা পঞ্জাবি পরে বসে আছেন ছেলে আরভ। হাত জোড় করে, ভক্তি ভরে শিবের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছে অক্ষয়কে।
তবে অক্ষয়ের এমন আধ্যাত্মিক ভাবনা দেখে বেজায় খুশি তাঁর অনুরাগীরা। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি একজন লিখেছেন, 'অক্ষয়ের ইশ্বরভক্তি আমার মন কেড়ে নিয়েছে। আজকের দিনের সেরা ছবি এটি।' প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় অক্ষয়ের ছবি 'ওএমজি ২'। বক্স অফিসে ভালোই ব্যবসা করেছে এটি। আর এবারে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর আসন্ন ছবি 'মিশন রানিগঞ্জ'।
দেবভূমিতে ফের বিপত্তি! কেদারনাথে ফের ঘটে গেল দুর্ঘটনা, যার ভিডিও দেখে রীতিমতো গা শিউরে উঠছে নেটিজেনদের। রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Temple) পেছনের অংশে তুষারধস (Avalanche) নামে। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তুষারধসের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে, সাতসকালে তুষারধসের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। সেই ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
সূত্রের খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে সুমেরু পর্বতে তুষারধস নামে। মন্দিরে ঠিক পিছনেই সুমেরু পর্বত, সেখানেই তুষারধস নামে। আচমকা বিকট শব্দে পাহাড়ের গা বেয়ে ধোঁয়ার মতো নেমে আসে সাদা বরফ। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই তা ক্যামেরাবন্দি করেছেন। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, তুষারধসের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনকি কোনও নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পায়নি। কেদারনাথের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) সাফল্যের পরই এবারে সৌরযান আদিত্য এল১-এর সাফল্যের জন্য আশাবাদী ইসরোর বিজ্ঞানীরা (ISRO Scientists)। ২ সেপ্টেম্বরই উৎক্ষেপণ করা হবে আদিত্য এল১ (Aditya L1)। ফলে তার আগের দিন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান ইসরোর বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিল আদিত্য এল১-এর একটি মিনিয়েচার মডেলও। এছাড়াও এদিনই ইসরো প্রধান এস সোমনাথ শ্রী চেঙ্গালাম্মা মন্দিরে বিশেষ পুজো দিলেন।
চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের একই রকমের প্রথা মেনে চলতে দেখা গিয়েছিল। ফলে এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। আদিত্য এল১ ভারতের প্রথম সৌরযান। চন্দ্রকে জয় করার পর এবারে সূর্য জয়ের পথে ভারত। শনিবার ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এই মহাকাশযানকে। পিএসএলভি সি ৫৭ এর মাধ্যমে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে এই পর্যবেক্ষণ যানকে। ফলে এই মহাকাশযান যাতে সাফল্য নিয়ে আসতে পারে, তার জন্য আদিত্য এল১ মিশনের সাফল্যের জন্য ইসরো প্রধান এস সোমনাথ শ্রী চেঙ্গালাম্মা মন্দিরে বিশেষ পুজো দিলেন। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন। আবার অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান ইসরোর বিজ্ঞানীদের একটি দল।
আদিত্য এল১ কে হালো অরবিটে পাঠানো হবে। যেখান থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হবে ১.৫ মিলিয়ন লক্ষ কিলোমিটার। সাড়ে চারমাসের মধ্যেই এই দূরত্ব সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূর্যের বিষয়ে বিশদে তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠানো হচ্ছে এই আদিত্য এল১-কে। এক সঙ্গে সাতটি পেলোড পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে। যার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং বাকি তিনটি প্লাজমা এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে।
খুব শীঘ্রই বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadha) ও অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti chopra)। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরেই তাঁরা বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন। আর এরই মধ্যে তাঁদের ফের একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি করা হল। তবে এবারে কোনও রেস্তোরাঁ বা বিমানবন্দরে নয়, এবারে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে (Mahakal Mandir)। মন্দিরে পাশাপাশি বসে পুজোও দিলেন পরিণীতি-রাঘব। তারই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
কিছুদিন পরেই বলিউড ও রাজনৈতিক মহলে বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরেই বিয়ের পিঁড়িতেই বসতে চলেছেন তাঁরা। আর তার আগেই তাঁরা একসঙ্গে পৌঁছে গেলেন উজ্জয়িনীতে। হাতে আরতির থালা, কপালে হলুদ-লাল টিকা, পরিণীতির পরনে হালকা গোলাপি রংয়ের শাড়ি ও রাঘব পরে রয়েছেন হলুদ রংয়ের ধুতি, এক অন্য রূপেই শনিবার দেখা গেল চর্চিত যুগলকে। মহাকালেশ্বর মন্দিরে গিয়ে সেখানে পুজো-প্রার্থনা করার একাধিক ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পুজো করা ছাড়াও তাঁদের মহাকাল মন্দিরের নন্দি হলে বসে চোখ বন্ধ করে, শান্ত মনে ধ্যান করতেও দেখা গিয়েছে।
দু'জনেই দুজনের পেশায় বেশ ব্যস্ত। কিন্তু তারই মাঝে একে অপরের জন্য সময় বের করে একসঙ্গে পৌঁছে যান বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে। এর আগে তাঁদের দেখা গিয়েছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে গিয়ে আশীর্বাদ নিতে। আর এবারে তাঁদের দেখা গেল উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে। ঈশ্বরের প্রতি যুগলের এমন ভক্তি দেখে বেজায় খুশি তাঁদের অনুরাগীরা।