সকালেই ভয়ানক অগ্নিকান্ডে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, মহম্মদ আলী পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলের ট্যাঙ্কারে হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায়। বুধবার সকালে এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, তেলের ট্যাংকারে আগুন লাগার ঘটনায় গাড়ির ভিতরেই পুরো ঝলসে যান চালক। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দশটি ইঞ্জিন।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কাকভোরে ট্যাঙ্কারটিতে আগুন ধরে যায়। একটি গাড়ির সঙ্গে প্রথমে ধাক্কা লাগে তেলের ট্যাঙ্কারটির। তখনই উল্টে যায় সেটি। এরপরই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটি। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উল্টো দিকের একটি বাড়ি ও দোকানের সামনের অংশ পুড়ে যায়। এ দিকে,সাত সকালে এভাবে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আগুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যান চলাচল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। খবর যায় দমকলেও। আগুন নেভাতে সেখানে পৌঁছয় এক-এক করে দশটি ইঞ্জিন। দমকল ও পুলিশ আধিকারিকরা উভয় মিলে খোঁজ চালান তেলের ট্যাঙ্কারের চালকের। তবে গাড়িটি জ্বলতে থাকার কারণে প্রাথমিক ভাবে তাঁর খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরে জানতে পারা যায় গাড়ির ভিতরেই পুড়ে মৃত্যু হয়েছে চালকের। পরে পুলিশ কর্মীরা দেহটি বের করে নিয়ে যায়। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে গেল সর্ষের তেল ভরা ট্যাঙ্কার (Tanker)। ট্যাঙ্কার উল্টে যেতেই নীচেই গড়িয়ে পড়ল কয়েক লিটার তেল। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) সিরোহি জেলার। পরে এই খবর জানতে পেরেই চারিদিক থেকে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। এমনকি তাঁরা তাঁদের হাতের সামনে যে বোতল, জার পেয়েছে তাই নিয়েই ছুটে আসেন রাস্তায়। সর্ষের তেল সংগ্রহ করতে এমন ভিড় জমান তাঁরা যে, তীব্র যানজটের (Traffic Jams) সৃষ্টি হয়।
সূত্রের খবর, শনিবার গুজরাটের গান্ধীরাম থেকে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে আসা হচ্ছিল ট্যাঙ্কার ভর্তি সর্ষের তেল। সেই ট্যাঙ্কারে প্রায় ১০০ লিটারের বেশি তেল ছিল বলে জানিয়েছে পুলিস। এরপর রাজস্থানের পিন্ডওয়ারার কাছে চার-লেন হাইওয়েতে হঠাৎ ট্যাঙ্কারের সামনে চলে আসে এক মোটরসাইকেল। তখন দুর্ঘটনা এড়াতে গিয়েই ট্যাঙ্কারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতেই উল্টে যায় ট্যাঙ্কার। এরপর সেখানে গড়িয়ে পড়ে কয়েক লিটার তেল। আর সেই খবর পেতেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা সর্ষের তেল সংগ্রহ করতে হাতে বোতল, পাত্র, জার নিয়ে ছুটে আসেন। হুড়োহুড়ি করতে থাকেন তাঁরা। একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় রাস্তায়। ফলে রাস্তায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
এরপরেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস। রাস্তা থেকে ট্যাঙ্কার সরিয়ে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস সূত্রে খবর, ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়ায় চালক সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে খবর।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানের (Flight) একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, তেলের ট্যাঙ্কে ফুটো হয়ে যাওয়ার কারণে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে বিমানটি সুইডেনের স্টকহোম বিমানবন্দরে (Sweden's Stockholm airport) জরুরি অবতরণ (emergency landing) করা হয়।
বুধবার সময় মতোই আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিমানটি। সওয়ার ছিলেন ৩০০ জন যাত্রী। মাঝ-আকাশে থাকাকালীনই ইঞ্জিনের সমস্যার কথা বুঝতে পারেন বিমানের পাইলট। যে কারণে একটি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন তিনি। পরে সুইডেনের স্টকহোম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। দেখা যায়, দ্বিতীয় ইঞ্জিনের পিছনের অংশের ট্যাঙ্ক দিয়ে লিক হচ্ছে জ্বালানি। যদিও বিমানে উপস্থিত সকল যাত্রীই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করে গন্তব্যে রওনা করা হচ্ছে।
স্টকহোমে বিমানের জরুরি অবতরণের আগেই দমকল কর্মীরা হাজির ছিলেন। যদি অবতরণের সময় কোনও বিপত্তি হয়, তা ঠেকাতে মজুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তবে কোনও রকম সমস্যা হয়নি বলেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর।
শনিবার তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস বহনকারী একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার (fuel tanker) বিস্ফোরণের (explosion) ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আর সে দেশের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী আহতের সংখ্যা ৪০। মৃতের (Death) সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) জোহানেসবার্গের পূর্বে অবস্থিত শহর বক্সবার্গের ট্যাম্বো মেমোরিয়াল হাসপাতালের নিকট।
#BREAKING: Several people killed, others seriously injured in LP gas tank explosion in Boksburg, South Africapic.twitter.com/yI5n60BIDV
— I.E.N. (@BreakingIEN) December 24, 2022
হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি নিচু সেতুর নিচে জ্বালানি ট্যাঙ্কারটি আটকে যায় বলে অভিযোগ। এরফলে সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। হতাহতের পাশাপাশি বিস্ফোরণে হাসপাতালের ছাদের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের পর হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
A truck carrying a gas tank couldn't fit into a low level bridge in Boksburg, South Africa. The level of the bridge compressed the gas tank which caused gas leakage and led to an explosion. Multiple people have been injured and others have sadly passed. 💔#BoksburgExplosion pic.twitter.com/qdH4ll4RQP
— Sage 🍀 (@mashilo_masego) December 24, 2022
জরুরী পরিষেবার মুখপাত্র উইলিয়াম এন্টলাদি জানান, "একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার পাতাল রেল সেতুর নিচে চলে যায় এবং সেখানে আটকে যায়। এরফলে সেতুর সঙ্গে ঘর্ষণের কারণে আগুন ধরে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।"
দমকলকর্মীরা যখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন আবার বিস্ফোরণ হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণে একটি ফায়ার ইঞ্জিন এবং দুটি মোটর গাড়ি ধ্বংস হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ ১৯ জনের আহতের অবস্থা গুরুতর এবং ১৫ জন স্থিতিশীল।
ফের মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। একটি ১০২ অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) ও গ্যাসের ট্যাঙ্কার (Gas tanker) মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত (injured) সদ্যোজাত শিশু-সহ পাঁচজন। ঘটনাটি ফাঁসিদেওয়ার (Phansidewa) ঘোষপুকুর ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের গোয়ালটুলি মোড় এলাকায়। দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গুরুতর আহত সদ্যোজাত শিশু ও পাঁচজনকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (hospital) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, ইসলামপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মাকে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সময়ই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আসে বিশাল পুলিসবাহিনী। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খবর দেওয়া হয় দমকলকে।